নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আজো ভুলিনি : বারেক উল্লাহ





আজো স্মৃতিতে স্মরণে বারেবারে দেয় হানা বাহান্ন সনের কাহিনী,
ভাষার তরে রক্ত দিয়েছিল যারা তাদের আজো আমরা ভুলিনি।
পাকিস্তানি শাসক,দালাল  কেড়ে নিতে চায় যখন মুখের ভাষা বাংলা আমারি,
তখনি গর্জে উঠে  বাঙ্গালী রাজ পথ মুখরিত করে তুলে মিছিলের সারি।
এদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চায় যখন পাকিস্তানি  কুশাসক,
তখনি বাংলার জনগণ জাতীয়তাবাদে হয়ে উঠে আস্তে আস্তে  সচেতন।
বাঙ্গালীদের দমিয়ে রাখতে পাকিস্তানি শাসক যখন জারি করে ১৪৪ ধারা,
বাঙ্গালী তা ভঙ্গ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লে পাক হানাদার নির্বিচারে গুলি চালায়।
রক্তে তখন রঞ্জিত হয়ে শহীদ হলেন সালাম,বরকম,রফিক সহ আরো অনেক বীর সৈনিকেরা।
তাদের রক্তের বিনিময়ে ফিরে পেলাম বাংলা আমার মাতৃভাষা।


মেয়েদের চরিত্র : অপেক্ষার প্রহর






#মেয়েদের কিছু স্বভাব, চরিত্র, গুণ, আচার, আচরণ, অভ্যাস যা কমবেশ অনেকের ক্ষেত্রেই আছে। অনেকে এখন হয়ত বলবে আমি নারী গবেষক হয়ে গেছি, হু নারী গবেষণাও একটা গবেষণ :


১-কারো সাথে পারুক আর নাইবা পারুক মুখে মুখে তর্ক করেই যাবে।

২-কিছু একটা জানলে নিজেকে অনেক বড় মাপের জ্ঞানী মনে করবে। কিন্তু সে জানেনা এই জানা আরো অনেকেই জানে।

৩-কোথাও জেতে লাগলে আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে একনাগাড় চিন্তা করতে থাকবে কোন জামাটা গায়ে দিয়ে যাবে।

৪-সাজগোজ করে বারবার আড়া চোখে আয়না দেখবে আর নিজেকে ভাববে আলালের বউ দুলালী।

৫-ছোট ভাইকে অকারণে রাগিয়ে দিবে। মাথার চুল সব ছিঁড়ে ফেলবে তবুও তারে রাগাবে।

৬-ভ্যানিটিব্যাগে আলাদা কিছু খুচরা টাকা রাখবে যেন ছোট ভাই চুরি করে নিয়ে যায়। আবার চুরি করলে তাকে বকাবকিও করবে।

৭-প্রিয় মানুষটির সাথে অযথা রাগ দেখাবে। এই ধরো আজ ফোন দাওনি কেন! তুমি অন্য কারো সাথে টাংকি মারো আমাকে রেখে! যাও তোমার সাথে আড়ি।

৮-সারাদিন খাবে কিন্তু মোটা হওয়া যাবেনা। মোটা হয়ে যাবে সে চিন্তা করে তেমন একটা আর খায়না। ডায়াবেটিস রোগীদের মতো।

৯-সন্ধ্যা হলে হতাশা চেপে ধরবে। সারাদিনের কিচ্ছা কাহিনী সব সন্ধ্যা বেলায় বিষণ্ণতার সাথে গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দিবে।

১০-তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা হুট করে মুখে বলতে পারেনা কিন্তু মনে মনে হাজার বার বলে দেয়।

১১-জাগতিক সবচেয়ে বেশী খাতির থাকে বাবার সাথে। প্রিয় মানুষ বলতেও একান্ত বেশীরভাগ বাবাকেই বুঝে।

১২-যে মেয়ের বাবা নেই সে মেয়ে জানে পৃথিবী তার জন্য কতটা নির্মম। যখন অনেক কষ্টে থাকে তখন বারবার শুধু বাবাকেই মনে পড়ে। আর কাঁদে।

১৩-শ্বশুর বাড়ীতে যদি তুচ্ছতাচ্ছিল্যতা পায় এরপরেও মা বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে বিনয়ী হয়ে মিথ্যা বলে দেয় অনেক ভাল আছি।

১৪-স্বামীকে অপমান করে একরকম পৈশাচিক আনন্দ পায়। আনন্দটা বাহ্যিক। সাইকোলজি ভাষায় এটাকে সেক্সুয়ালি বলে।

১৫-খুব ছোট থেকে পৃথিবীর নোংরামি বুঝে যায় খুব সহজে। প্রকৃতি এই জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি তাদের কাছে পোঁছে দেয়।

১৬-কাউকে অপমান করলে পরবর্তীতে সংকুচিত বোধ করে। মনে মনে ক্ষমা প্রার্থনা করে। নিজেকে তখন অনেক বড় অপরাধী মনে করে।

১৭-প্রথম ফেসবুক আইডি খোলার পর পাসওয়ার্ড মনে রাখেনা। যে খুলে দেয় পরবর্তীতে তার কাছে গিয়ে বলে আইডি হ্যাক হয়ে গেছে।

১৮-সবকিছুতে কারবারি দেখাবে। কেউ কিছু একটা করতে লাগলে যদি সে সামান্যতম কিছু জানে তখন সেখানে গিয়ে কারবারি করবে।

১৯-কিছু একটা জানতে কৌতূহলী হয়ে থাকবে। এই ধরুন আমি আর আপনি একটু ফিসফিস করে কথা বলছি। মাঝখানে সে শুনতে পায়নি। তখন বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকবে কি হইছে, কি হইছে!

২০-কেউ তাকে ভালোবাসে কিনা এই জিনিসটা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকে। কিন্তু যখন জানতে পারে বা প্রপোজ পায় তখন আর তাকে পাত্তা দেয়না।

২১-যাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে তাকে নিজের চেয়েও বেশী বাসে। কিছু বললেও মুখ বুঝে সহ্য করে নেয়।

২২-সহ্য করার ক্ষমতা অসীম। সৃষ্টিকর্তা এই জিনিসটাও এদের অগাধ ক্ষমতা দিয়েছেন যার তুলনা ছেলেরা ক্ষীণ।

২৩-প্রতিটা স্বামীর আসল চেহারা তথা ভণ্ডামি স্ত্রী'রা খুব কাছ থেকে দেখতে পায়। দেখেও কিছু বলেনা কারণ এটা তার আরেকটা পৃথিবী

যেতে নাহি দিব: সুরঞ্জনা বিশ্বাস দে





  তোমার শেষ চিঠিটা এসেছিলো একটা
   সাদামাটা খামে,
   (এখনও চিঠি লেখা রেওয়াজটা অনিকেত
    দেয়নি ছেড়ে ),
   খোলা চিঠিতে কয়েকটা সাজানো শব্দ—
    “তুমি একবার আসবে লাবণ্য
     সেই নীলকুঠির ধারে?”

     অনেক বছর পরে এলাম ,
      যেখানে আমার ঠিকানাটা একদিন
      ভেসে গিয়েছিল কোপাই এর জলে।
      সেই কোপাই,
     এখনও সে চৌডল হারানো কিশোরী
     আর ফুলডাঙার মাঠের পাশে সেই
     পোড়ো নীলকুঠি,রাঙচিতার ঝোপ আর
      পাথুরে চড়াই।
     কোপাই -এর মাটি ছোঁওয়া জলে
   আমাদের ইচ্ছেগুলো তখন ভাসতো টলটলে,
    শেষবেলায় কোপাই -এর বুক ছুঁয়ে উড়ে
     যেত বক, তার পাখসাটে
     এলোমেলো হতো আমার চুল
     তুমি সাজিয়ে দিতে নিজের হাতে।
     এই মুহূর্তগুলোই শুধু এখনও পড়ে আছে
     নোনাধরা সিঁড়ির পৈঠাতে। 
   
    সেবার বান এসেছিল কোপাই -এ,
    তোমার শরীর জুড়ে ছিল তখন পলাশের
     নেশা ,আর আদিবাসী উৎসবের রাত,
     মাদল -মউলের মৌতাত।
   ধীরে ধীরে পাড় ভেঙে পড়ছিল কোপাই-এ,
   পড়ন্ত বিকালে তুমি হাঁটতে পা মেপে মেপে,
    এক ছটাক ,দু ছটাক —শেষ পথ। 
   একদিন বললে “ তুমি এগোও,আমি আসছি”
   সেই শেষ দেখা, তুমি হারিয়ে গেলে।
 
   আজ আবারও আমরা হাঁটছি ,
   ঘর বাঁধতে না পারা দুজন যেমন হাঁটে ,
   পাশাপাশি কোন কথা না বলে,
   কিছুটা পথ,কিছু মুহূর্ত ,কিছু পিছুটান ফেলে,
   চলবো আমরা ,যতক্ষণ না সূর্যাস্ত হয়।
   তারপরে হাসনুহানার বোঁটা বেয়ে নামবে
    চাঁদলাগা রাত,সে এক অন্য মেয়েলিকথা।।

           
              

আবার না হয় বৃষ্টি নামুক :- মুহাম্মদ ইয়াসীন



আবার না হয় বৃষ্টি নামুক অঝোর ধারায়।
পাখ-পাখালী গাছ-গাছালী ঝড়ের বেগে উড়ে হারাক।
পথের ধূলোয় বৃষ্টি নামুক ধুয়ে দিতে
টিনের চালে দালানের গায়ে ময়লা মুছুক।
মনের দেয়াল উড়ো হাওয়ায় দোল খেয়ে যাক
জমে থাকা কালো দাগে
বৃষ্টি এসে রং মেখে যাক।

আবার না হয় বৃষ্টি আসুক রৌদ্র ছায়ায়।
বন-বাদাড়ে শিয়াল হাকুক গলা ছেড়ে।
হাওয়ার ভারে ধান শালিকের ডানা উড়ুক
ধানের গায়ে ঘাস ফড়িংয়ের চলা থামুক।
রাখাল বালক গরুর পালে বাড়ি ফিরুক
চাষী মাঠে কাচি ফেলে একলা হাঁটুক।

আবার না হয় হালকা করে বৃষ্টি নামুক।
বাতাস বয়ে সাদা মেঘে কালো কাটুক।
মেঘের গায়ে নাম লেখা হোক কারো কারো
বৃষ্টির ফোঁটায় গান লেখা হোক নব প্রেমের।
যুগল প্রেমিক বৃষ্টি মাখুক সারা গায়ে
তেপান্তরের মাঠ তাল পুকুরের ঘাট
রহিম মিয়ার ছালা ঘরে বৃষ্টি ঝরুক
বাদ না থাকুক একটি ফোঁটার খালি জায়গা।

আবার না হয় বৃষ্টি আসুক হৃদয় ছুঁয়ে
ঢলে ফোঁটায় গা ফেটে যাক ছিদ্র হয়ে।
ঝমঝমিয়ে শনশনিয়ে বৃষ্টি পড়ে গা ধুয়ে যাক।
মনের মাঝে জমে থাকা পাথরাবরণ
ছয়টি রিপুর সকল ধাপে ভাটা পড়ে হোক নিবারণ।
জগৎ জুড়ে বারতা নামুক শান্তিময়
বৃষ্টি এসে নেক ধুয়ে সব ভ্রান্তিময়।

জল: অভিজিৎ দাসকর্মকার



একটু জল আর
না-ধোয়া রসায়ন ভাঙে
অক্সিজেন পরমাণু।

সারাদিন রাসায়নিক ভাবে সংগঠিত হয় জলের পরমাণুটি---
হাসির আলোকদশায়, হাইড্রোজেনের দ্রাব্যতা স্পষ্ট।

ঠাট্টার নজরে মলিন চোখের কোণায়, আজও কৃষ্ণচূড়ার ফুলফোটে-

আসলে অনুঘটিত ছিলাম-
গাল বেয়ে সরেসপেশীর অনর্গল যাতায়াত,

কেনোনা ---
জল ফেলেছিলাম অনেক
কিন্তু হাত ধোয়া হয়নি এখনো...

সভ্যতা: রবি মল্লিক





ভোর রাতের গাঢ় অন্ধকারের বুকে
বিক্ষিপ্ত তারাদের দীপ্ত প্রকাশ...

দিগন্তের সাঁকো বেয়ে হেঁটে আসা আভা
অন্ত ঘটায় স্বপ্নের-

ঘুমন্ত দানব জেগে ওঠে-
সড়কে, বাজারে , কারখানায়,
কামারশালায় চলে সভ্যতার সৃজন,
গাছের মৃতদেহের শ্রাদ্ধ হয় কংক্রিটে-
তুমি জাপটে ধরো মুঠোফোন,
কৃষ্ণচূড়া মাটিতে লুটায়-