নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কামরুল বসির





বাইফোকালে রাত্রিবিভ্রম
**********************



তিনটি নি:সঙ্গ পাতা আর একটি নিকশ কালো আকাশ, ছায়া হয়ে- বয়ে যাওয়া নিরব হ্রদের চৌহদ্দিতে ব্যথার মতো নিরবতা ঢালছিল- মাঝরাতে। আমার পরনে আদ্দিকালের প্লাস্টিক, মাথায় জুবোথুবো শুষ্ক চুলের ঢেউ; চোখে নির্ঘুম বাতাসী পরাগ। বাইফোকালের অস্পষ্ট তারায় নি:প্রভ নক্ষত্রের মৃত্যাদেশ-

তিনটি পাতার একটি বোধের লহমায় সৌম কুন্তলীর আত্মিয়স্হানীয়, অন্যটি ইকুয়েডরের প্রান্তিক গিরির দলিত লতা; অবশিষ্টে হাইডপার্ক উল্টে আছে বিচিত্র শৈলশিরায়- আমি হ্রদের নিরাবতায় আমার মাথার শুষ্কতা ভিজিয়ে দু’টো এ্যাসপিরিন গুলিয়ে দিলাম। যেমন কেউ কেউ পকেটে হাত রেখে স্রাগ করে বলে: জীবন বইছে এখন সেন্ট্রাল লাইনের সপ্তম কামরায়! অথবা ক্যাপাচিনোর ফেনা ততটা ফেনিল নয় আজকাল! আমি যেন তার বাহুতে হাত রেখে সমার্থনের সবকটা শব্দ নি:শেষ করে বললাম- তুমি প্রাগে যেতে পারো, সেখানেও তিনটি পাতার হ্রদে মাঝরাত এখন।

হঠাৎ দমকায় বাইফোকালটি উডে গেল।
শুনশান হেমন্তে হলুদ ট্রাকটি ছডিয়ে দিল অপেক্ষার গুঙানি- মনান্তরে শেষ হয়ে এলো আশ্চর্য্য একপেশি মাঝরাত। 

নক্ষত্রের মৃত্যাদেশ নিয়ে আমি লোহার চেয়ারে নি:শ্চল- কোন মানুষ এখানে আসেনি আজও, শুধু কিছু কিছু দ্বিপদ কখনও আলিঙ্গন করেছে বহুতল লালসার জনপদে- এ জনশ্রুতিতে বিভেদের শরীরে না হয় একটু জমুক স্বেদ, যেখানে আমি নিয়তির  
টিস্যুতে নিয়ত মুছছি বাইফোকালের লেন্স।

যতীন্দ্র নাথ মণ্ডল(অতিথি)

   
           
  


              কবিতার নিলাম 
               :::::::::::::::::::::::::


                       
নিষিদ্ধ খেয়ালে আমার কবিতা আজ;
সম্মান বিক্রির নিলাম ডেকেছে।
সভ্যতার শবচ্ছেদে,লাশকাটা ঘরে।
চারিদিকে রক্তের দাগ,
কলমে;কফিনে;অন্তর্বাসের লজ্জায়--
প্রতিবাদী মুখগুলি সব পরজীবী।
চক্রান্তের আবার সংক্রান্তি!
পৌষ-ভাদ্র-কালরোগ।
রক্তমৈথুনে ব্যস্ত কালের শিখণ্ডীরা।
অলক্ষ্যে শকুনির পাশা চলছে,
উৎসবের সিংহাসনে কালশিটে দাগ।
সবাই অভিমূন্য,কালপূরুষের শিষ্য।
উগরে দিচ্ছে সব...
আমিও কবি,হাতে নিয়ে মোমবাতি;
হাজির স্মরণ সভার মৌনমিছিলে।
কবিতা বেচবো বলে।

টিংকু রঞ্জন মিত্র





অলক্ষ্মী "গয়নার বাক্স"
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,




আজ ধরণীর শান্তির সাদা আকাশ ছেয়ে গেছে ;
অশনি সংকেতের শোকাকালো স্তরিত মেঘের গোছে।
সূক্ষ্ম অনাচার চতুর্দিকে, রক্তিম খুনোখুনি,
                                                     নারী বধূ নির্যাতন ;
কামুক অসুরেরাও করিছে, আলো আঁধারির
                                                ধরা'তে মা'দের ধর্ষণ।


হে ঈশ্বর !!
তুমি ধরণীতে ফেরো, ফেরিরূপে মনিহারির বেশে,
চুনি হীরা পান্নার বহুমূল্য,
                             অশুভ শক্তি'র রত্ন পূর্ণ বাক্সে ;
লয়ে কাঁধে,,,,
                 অচিন সাগরে করো কালের বিসর্জন ;
অলক্ষ্মী "গয়নার বাক্স",,,,
                      পিছুটানে নাহি পাক পুনরুজ্জীবন।

অজন্তা রায় আচার্য্য





অপেক্ষারা
------------------------

রাত ছুঁই ছুঁই সন্ধ্যা
       আগেই দিয়েছে পাড়ি
এই নিঃশব্দ উপত‍্যকা 
        এখন শুধু আমারই
ধ‍্যান মগ্ন রাত্রির কোলে
        একলা মন কথা বলি
শুভ্র তুষার আভরণে
        কি সাধনে পাহাড় মৌনি
এক সূর্য দহন শেষে
       শীতল আজ কতখানি
নিঃসঙ্গ আছি দাঁড়িয়ে 
           নির্লিপ্ত নিঃস্পৃহ আমি
আঁকা বাঁকা পাকদন্ডী বেয়ে
          সব খুঁজেছি আঁতি পাঁতি
কোনো পাথরের গায়ে 
          ঠিকানা লিখেছ নাকি

এখানেই কি সমাপ্তি 
        গল্পের আরো আছে বাকি
অপেক্ষারা হয়ে যাবে নদী
         তোমার ইচ্ছে গুলো যদি
কখনো সকালের রোদ হয়
         একবার উষ্ণ ছুঁয়ে যায়।।
      

                            

তানিয়া ব্যানার্জী




উপসংহার
-------------------



অশৌচ পালছে বোধ-
  প্রায়শ্চিত্ত! 
মৃত্যু যে বাকি আছে এখনো! 
এহেন রাজরোগে শয্যাশায়ী প্রাণ, 
প্রমাদ গুনছে সময়...
হবে আদ্য শ্রাদ্ধ সপিন্ডি করণ। 

কীটনাশকের বোতলে মিনারেল ওয়াটারের বিজ্ঞাপনী  ছবি 
সততাও তুরুপের তাস,  মোম পেন্সিল আঁকে, 
     নকল ঘাসের জলছবি। 

এ বড় চেনা ছবি,  রাজা রাজা খেলা -
  রানীর হাতেই ঘরের চাবি। 
ভাঙছে ব্রিজ... মরছে নীচ, 
  আকাশ রঙে ঢাকছে ক্ষত। 
তবুও চোখ বাঁধা দাড়িপাল্লা!  গাইছে গান...
 " যায় যদি যাক প্রাণ!  হিরকের রাজা ভগবান "
  
  অশৌচ পালছে বোধ... 
  প্রায়শ্চিত্তে অনড় মেরুদন্ড, 
   এবার কাঠামো হোক বিসর্জন।

রূপা রায়





বিসর্জন
******


মায়ের আসা মায়ের যাওয়া
সবই বুঝি ভ্রম
মা কি কভু কখনো যায় রে বিসর্জন!
তবু যখন বলে লোকে
মা আসছেন ঘরে
আমি তাকে সদাই দেখি
মনের ও মুকুরে ।
মায়ের হাসি মায়ের স্নেহ
চারটি দিনের নয়,
আমার মা যে সারা জনম
 আগলে রাখে আমায়।
যখন আমি দিশা হারাই
কোনো পথের বাঁকে
মা  যে আমার আলো হয়ে
হাত বাড়িয়ে ডাকে;
চলার পথে এলেমেলো ক্লান্ত যখন পা
 স্নেহের শীতল পরশ তখন
আমার সোনা মা।
মায়ের হাতের কোমল ছোঁয়া
আকাশ হয়ে যায়,
দুর্গা মায়ের বিসর্জন
কভু নাহি হয়;
হয় যে  কেবল রূপের বদল
আদল একই থাকে
তাই তো সবাই আমার মতই
মা-কে 'মা' ই ডাকে।।