নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অজন্তা রায় আচার্য্য





অপেক্ষারা
------------------------

রাত ছুঁই ছুঁই সন্ধ্যা
       আগেই দিয়েছে পাড়ি
এই নিঃশব্দ উপত‍্যকা 
        এখন শুধু আমারই
ধ‍্যান মগ্ন রাত্রির কোলে
        একলা মন কথা বলি
শুভ্র তুষার আভরণে
        কি সাধনে পাহাড় মৌনি
এক সূর্য দহন শেষে
       শীতল আজ কতখানি
নিঃসঙ্গ আছি দাঁড়িয়ে 
           নির্লিপ্ত নিঃস্পৃহ আমি
আঁকা বাঁকা পাকদন্ডী বেয়ে
          সব খুঁজেছি আঁতি পাঁতি
কোনো পাথরের গায়ে 
          ঠিকানা লিখেছ নাকি

এখানেই কি সমাপ্তি 
        গল্পের আরো আছে বাকি
অপেক্ষারা হয়ে যাবে নদী
         তোমার ইচ্ছে গুলো যদি
কখনো সকালের রোদ হয়
         একবার উষ্ণ ছুঁয়ে যায়।।
      

                            

তানিয়া ব্যানার্জী




উপসংহার
-------------------



অশৌচ পালছে বোধ-
  প্রায়শ্চিত্ত! 
মৃত্যু যে বাকি আছে এখনো! 
এহেন রাজরোগে শয্যাশায়ী প্রাণ, 
প্রমাদ গুনছে সময়...
হবে আদ্য শ্রাদ্ধ সপিন্ডি করণ। 

কীটনাশকের বোতলে মিনারেল ওয়াটারের বিজ্ঞাপনী  ছবি 
সততাও তুরুপের তাস,  মোম পেন্সিল আঁকে, 
     নকল ঘাসের জলছবি। 

এ বড় চেনা ছবি,  রাজা রাজা খেলা -
  রানীর হাতেই ঘরের চাবি। 
ভাঙছে ব্রিজ... মরছে নীচ, 
  আকাশ রঙে ঢাকছে ক্ষত। 
তবুও চোখ বাঁধা দাড়িপাল্লা!  গাইছে গান...
 " যায় যদি যাক প্রাণ!  হিরকের রাজা ভগবান "
  
  অশৌচ পালছে বোধ... 
  প্রায়শ্চিত্তে অনড় মেরুদন্ড, 
   এবার কাঠামো হোক বিসর্জন।

রূপা রায়





বিসর্জন
******


মায়ের আসা মায়ের যাওয়া
সবই বুঝি ভ্রম
মা কি কভু কখনো যায় রে বিসর্জন!
তবু যখন বলে লোকে
মা আসছেন ঘরে
আমি তাকে সদাই দেখি
মনের ও মুকুরে ।
মায়ের হাসি মায়ের স্নেহ
চারটি দিনের নয়,
আমার মা যে সারা জনম
 আগলে রাখে আমায়।
যখন আমি দিশা হারাই
কোনো পথের বাঁকে
মা  যে আমার আলো হয়ে
হাত বাড়িয়ে ডাকে;
চলার পথে এলেমেলো ক্লান্ত যখন পা
 স্নেহের শীতল পরশ তখন
আমার সোনা মা।
মায়ের হাতের কোমল ছোঁয়া
আকাশ হয়ে যায়,
দুর্গা মায়ের বিসর্জন
কভু নাহি হয়;
হয় যে  কেবল রূপের বদল
আদল একই থাকে
তাই তো সবাই আমার মতই
মা-কে 'মা' ই ডাকে।।


প্রবীর রায়






বদল চাই
*********






"সারে জাহা সে আচ্ছা" কথাটা কি শুধুই শব্দ-
ইতিহাস রচতে শান্তনা, নাকি অনুভূতি !
প্রতিটি ভারতবাসী হৃদে -ভ্রমের চাদর,
"হাম বুলবুলে হে উসকে-এ গুলিস্তাঁ হামারা"
আমরা কি সত্যিই মানি-একে অপরকে ভাই বলে !
কখনো কি আপন ভেবেছি-এই দেশকে,প্রাণকে !
"বন্দেমাতরম" শব্দটির অর্থ-আমরা কি আদৌ জানি !
যদি জানতাম নিজেদের শুধরাতাম,দেশ ও প্রাণকে বাঁচাতে,
বিপ্লবীদের রক্ত-বলিদান ,বৃথা যেতে দিতামনা কখনো !
নিজেকে প্রশ্ন করো ? নিজ মাতৃভূমিকে কখনো সন্মান করেছো !
জাতীয় সঙ্গীতকে কখনো তার পাওনা মর্যাদা দিয়েছো ! 
না! যদি করতে-সকলের কণ্ঠে একটাই গান ভাসতো প্রভাতে,
গানের প্রতিটি শব্দ কানে-কানে বাজতো আর অর্থটা রক্তে- রোমকূপে শিহরন জাগাতো,
হিংস্ররা ভেদাভেদ ভুলতো,ভাঙতো জাত-ধর্মের অদৃশ্য প্রাচীর,
নারী-শিশু-বৃদ্ধ সকলের অধিকার সমান হত-কেউ বেকার থাকতোনা !
সকলেই শির উঁচু করে বাঁচতো,গর্বে বলতো আমি ভারত বাসী !
কোনো শিশুই মূর্খ বা শ্রমিক হতোনা ! কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ঘরছাড়া হতোনা বা একলাও হতোনা সব হারিয়ে ! 
না আসতো দেশে ভ্রষ্টাচারী রাজনেতা-রাজনেত্রী,না হারাতো দেশের সম্পদ !
তবে এ কেমন স্বাধীনতা-কেমন মাতৃ সন্তান ! যারা নিজ মাকে খুন করে-ধর্ষণ করে উল্লাসে !
একজনও কি আছে ! যে চেঁচিয়ে বলবে-বদল চাই-বদল চাই-বদল চাই।।

পাপাই সেন





আগলে
,******


ধর্মভীরু মানুষ কিছু, ছাদে
মিথ্যে জ্বালায় টুনী
রক্ত গড়াচ্ছে চিকন রেখায়
আমি কাটামাথা গুনি।
চোখ থেকে দূরেই ধানেরক্ষেত
বালিতে পুরোনো রেখা…
কখন, কোথায়,কেন কী হচ্ছে?
হয়না তেমন দেখা।
তারা কত হিংসে জমায় আমি 
লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি,
স্বস্তিতে কত বস্তি পুড়ছে
তাকে আগলে রাখা যায় কি?
                          

কার্তিক ঢক্







সরলীকরণ 
**********



চোখেতে চোখ রেখে বলো
কতোটা সরলীকরণে হেঁটেছে ঝর্ণা-জল..
নুড়ি পাথরকেই সঙ্গ দিয়েছো বেশী। 
যতোটা নাব্যতা চেয়ে ছিলাম-
তার থেকে অনেক দিয়েছো নোনা-ঢেউ--
দাঁতালো মাছ আর জেলিফিশ... 

হাতে হাত রেখে বলো
হৃদয়-গ্রাহ্য হাওয়া দিয়েছো কতোটুকু--
আইভি-লতায় গন্ধ ফোটেনি এখনো
মৌমাছিদের হুলের তীব্র  চিৎকার... 
বাগান শুকায় ঝর্ণা-জল ক্ষিদে নিয়ে বুকে..

বৃষ্টি চাইতেই,  কান্না ঝরায় মেঘ ! 
ভেবে দেখো , ভিজছি দু-জনেই...