নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মৌসুমী রায়




মৌসুমী রায়

40b,Dr Sundari Mohan Avenue

Kolkata-700014



সাক্ষাৎকার :

১:-আপনার কাছে কবিতা কি ? 

উত্তর: কবিতা আমার বেঁচে থাকার উৎস,জীবনের সব রং এর মাধ্যমেই পাই।আমার সুখ দুঃখ হাসি কান্না এর সাথেই জড়িয়ে।

২:- আপনার প্রিয় কবি কে ?আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তর: প্রিয় কবি বলতে প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারপর নির্মলেন্দু গুণ। আমার অনুপ্রেরণা আমার বন্ধুরা যারা প্রতিদিন আমায় নতুন ভাবে নতুন লেখায় উৎসাহ দেয়।

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তরঃ আমার একাকীত্বের সাথি কবিতা,কবিতার মাধ্যমে আমার না বলা কথারা প্রকাশিত হয়।

৪:-আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তরঃ আমার প্রথম কবিতার বই "কষ্টেই সুখী"

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ?
উত্তরঃ কবির লেখা এমন হওয়া দরকার, যেখানে পাঠক নিজের না বলতে পারা কথা খুঁজে পাবে। একাত্ব হতে পারবে কবি ও কবিতার সাথে।

৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তর: গুরুত্বের কথা বলতে পারিনা কিন্তু এটা মানি যে ফেসবুকের মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌছানো অনেক সহজ।

৭.ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ? 

উত্তরঃ অবশ্যই ছাপা ম্যাগাজিনের ।ছাপা ম্যাগাজিন মানে আমার লেখা একটা ছাপা অক্ষরে থাকছে ,পাঠককে পড়তে হলে সেই লেখা কিনে পড়তে হবে ,অর্থাৎ লেখাটার একটা মূল্য থাকছে ,অপর দিকে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিন এর গুরুত্বও আছে ,অনেক লেখা একসঙ্গে পাওয়া যায় ,সহজে পড়া যায় ওহ কিনতে হয় না । একসময় আসবে যেদিন খাতা কলম থাকবেন না ,সেই সময় এই ব্লগ গুলোই তো থাকবে ।হয়তো এখন নয় ,হয়তো কয়েক শতাব্দী পর ।

৮. আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর: আসলে মানুষ আস্তে আস্তে বিনোদন এর যে বিষয় বা মাধ্যমে কেই বুঝে উঠতে পারছে না ,যে কোন জিনিসটা তাকে বেশি আনন্দ দেবে ।যেমন ধরুন ফেসবুক বা ইউটিউব এ কিছুক্ষন সময় কাটানোর পরই মনে হচ্ছে না। ,আর ভালো লাগছে না ,এই যে ভালো না লাগাটা জন্ম কিন্তু এই ইন্টারনেট ।আসল মানুষ এখন সব কিছু হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছে ,পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত দেখতে পাচ্ছে যেগুলো আমরা বই পড়েই আগে জানতাম ,বুঝতাম এবং কল্পনায় সেই ছবি আঁকতাম ,হয়তো বিভিন্ন জনের সেই কল্পনা আলাদা হতো ,কিন্তু একটা কল্পনা শক্তি ছিল ,একটা ভাবার শক্তি ছিল এখন সেই শক্তিকে  পঙ্গু করে দিয়েছে ,আর এই জন্যই সবাই বই বিমুখ হয়ে গেছে ।



৯. উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ? 

উত্তর: উত্তরাধুনিক কবিতা মানে এই নয় যে শুধু ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করলেই হবে ।উত্তরাধুনিক কবিতার একটা নির্দিষ্ট রীতি আছে ,একটা নির্দিষ্ট তাল ,ছন্দ । ধরা যাক পদ্য কবিতার ক্ষেত্রে ...আগে যেমন লেখা হত
এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।"

এইখানে ভূরি ও চুরি ,একদম কাছাকাছি শব্দ দিয়ে মিল করেছেন 
উত্তরাধুনিক কবিতার ক্ষেত্রে 

"তুমি কিসের মহৎ ,তুমি কিসের উদার 
সাপের কামড় খেয়ে মেটায় ক্ষুধা " 

এখনকার মিল ,ছন্দ গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ,একটা আলাদা রীতি সম্মিলিত ।

কবিতা মানেই তো একটা ছান্দিক রীতিতে অনুরিত হওয়া কিছু অপ্রকাশিত শব্দমালার বহিঃপ্রকাশ ।
যা সহজে বুজে নেয় মনের আকুতি ,মনের গভীরতা।তাই কবিতা এরকমই হওয়া উচিত ,যা বোধগম্য ।


১০. গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তরঃ গদ্য কবিতা মানে গদ্য নয় কিন্তু কবিতা যার একটা নিদির্ষ্ট তাল থাকে ,একটা ছন্দ থাকে ।
গদ্য পদ্য কবিতা বলতে একটা গদ্য কবিতার একটা নির্দিষ্ট পদ্য রীতি ।



কিছু কবিতা : 


তাসেরঘর
********


ভুল করে যদি মাঝরাতে 
তোমার নাম ধরে ডাকি
তুমি কি বেঁধে নেবে মায়ার বাঁধনে...
না আবারো দিয়ে যাবে ফাঁকি?

ইচ্ছে মতো গড়ে নেবো 
তোমার আমার তাসের ঘর 
যা খুশি তাই বলুক লোকে, বাইরেটাকে... 
বদলে দিয়ে রাখব তোমায় বুকের ভিতর।

মনখারাপের সাজিটাতে ভরে রাখি
আমার না বলা সব সুখ
মেঘের আঁচলে রাখব ঢেকে চড়া রোদে...
আমার ভালোবাসার মুখ।

জীবন মানে তোকেই বুঝি
আমার মনে অবৈধতার অসুখ
তোর ছোঁয়াতে ব্যাকুল থাকি...
তোর হাসিতে দূর হয়ে যায় আমার যত দুখ।


দূরত্ব
*****


লাল মাটির কাঁকড় বিছানো স্টেশনে
দাঁড়িয়ে মনে হলো কত জায়গায় 
যাওয়ার ছিলো তোমার সাথে
হোলোনা আর কোথাও যাওয়া।
অনেক ভিড়ের মাঝে 
সবচেয়ে কাছের মানুষের
মুখটা মিশে গেলেই ভয় হয়...
হয়তো আর কোনদিন তাকে
হবেনা কাছে পাওয়া।
এখন গোধূলি নেই দিগন্তে ঢলেছে দিন
সন্ধ্যার আকাশপাত্রে টলোমলো রঙ...
পাখিরা বাসায় ফেরে সাথে 
আপাদমস্তক অভিমানে মুড়ে,
আমিও ফেরার পথে আবারো তুমিহীন।




নদীর কথা
**********


নদীর কথা ভাবলে আমার
তোমায় মনে পড়ে...
আবছা বাদলদিনে বৃষ্টি ফোঁটায়
দুজন কূল হারিয়েছিলাম শরীর ঝড়ে।

আমার পাশে আজকে তোমায়
আর ঘন হয়ে বসতে দেখিনা...
নদীর বুকে আজো গভীর ছায়া পড়ে
খামখেয়ালেও তুমি কি আর ভালো বাসতে পারোনা?

নদীর ওপার থেকে আমায় কেউ
খুব আদর করে ডাকে...
আমার প্রাণের চিলতে আলো আসছে নিভে

আমায় কে আর আটকে রাখে।



কাঁচের স্বপ্ন
**********


তোর কারনে আঁচড় কাটি
জমাট বাঁধা অন্ধকারে
মনের ভিতর মনের রোপণ
কজনাই বা পারে...
তোর কারনে সিঁদুর কাঠি
খেলনাবাটি সব ছড়িয়ে ফেলা।
সাধ ছিলো শুধুই কাঁচের চুড়ির
তাও দিলিনা কত আসলো গেলো মেলা
তোর কারনে চোখের জলে 
মাথার বালিশ ভিজে ঢোল..
একবার তোর আসল রূপটা দেখা
একবার মুখোশটা কে খোল।
চেষ্টা করেছি বহুভাবেই
তোর তালে পা মিলিয়ে চলার
বুকের খাঁচায় চাপ বাড়িয়ে...
ভেবেছি বাড়ুক পাপের ভার।
হৃদয়ের মন্থনে উঠতো জেগে
আমার প্রেমিক কূলছাড়া বৈরাগী
আরেকবার চল নাহয় অলীক স্বপ্নের..
বাঁধন কেটে গোটা চাঁদরাত জাগি।




বেরঙ জীবন
************

           

আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই..
তোমার মুখোমুখি চোখে চোখ রাখা
পলক ফেলতেই অন্ধকার
অভিব্যক্তিহীন হৃদয় স্থির শূন্যে ফেরারি বলাকা।

বিবশ বিবেক অবশ মন্ত্রে
ঘর সামলানো আজ দায়
যখন থাকো ঘুমঘোরে প্রিয়, 
জাগরণ তোমার বুকে হাঁটে কিসের ছলনায়।

আটকুঠুরির যে কোন দুয়ার খুললেই
প্রিয় তোমাকেই পাওয়া যায়..
ছায়া ঘেরা চোখ খুঁজে ফেরে মন
রামধনু রঙ হারিয়ে আজ সাদা কালো জীবন।


সাক্ষাৎকারে :জ্যোতির্ময় রায় (কার্যকরী সম্পাদক)

সম্পা পাল





উমা , তোমার অপেক্ষায়
**********************




শুনছো তুমি !
আমি ভাদ্রের একা দুপুরে বসে ,
মেঘগুলো এখন প্রায়ই ছাঁদে আসে ।
রোজই দুপুরে কীটস , বায়রন ,রবীন্দ্রনাথের সম্মেলনে আমিও ছাঁদে আসি ।
ওরা বিশ্ব , আমি তুচ্ছ , নগন্য , বালির কণা ।
এক কোনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি , সূর্যটা কখনো কখনো বিরক্তও করে ।

যেদিন বৃষ্টি থাকে সেদিন আর আসা হয় না ।
সেদিন জানালার পর্দা সরিয়ে ডুয়ার্সের বৃষ্টি দেখি ,
দেখি পাহাড় আর সমতলের সঙ্গম ।

রোজনামচার জীবন ভেঙে এবার আমায় উমা এনে দাও
পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সামিয়ানা এখনো আমাদের আলমারিতে ।
আমার আয়োজন শুরু হয়েছে , উঠোনে ঢাক বাজবে 
একা এক ঢাকুরে ফাঁকা স্টেশনে বসে  , হয়তো অপেক্ষায় .........

কাজী জুবেরী মোস্তাক






কবি পরিচিতিঃ
নামঃ  কাজী জুবেরী মোস্তাক
জন্মঃ ১৯৮৩ সালের ২১এ সেপ্টেম্বর ।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বি,এ পাস  ।
পারিবারিক জীবনঃ পিতামাতা ও ছোট এক ভাই পিতা ছিলেন একজন সরকারী কর্মচারী ও একজন সংগীত শিক্ষক , মা পুরোপুরি গৃহিণী ৷
স্ত্রী এক পুত্র এবং এক কণ্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক জীবন  ।
পেশায় একজন সরকারী চাকুরীজীবি
সাহিত্য কর্মঃ ১৯৯৮ সাল থেকেই অনিয়মিত  ভাবে লেখালেখির  সাথে জড়িত ।
দৈনিক পত্রিকা , সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন এবং বিভিন্ন সাময়িকী ম্যাগাজিনে বিভিন্ন সময় কবিতা ও ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে ৷ এখন পর্যন্ত কোন একক বই প্রকাশিত হয়নি তবে বিভিন্ন সময়ে যৌথ কাব্যগ্রন্থেই লেখা প্রকাশ হয়েছে যেমনঃ
শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি
ভোরের পাখি
শততারা
হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু
বিশ্ব সাহিত্য ও কবিতা সম্ভার 


শখঃ পড়া ও লেখা, আড্ডা, ভ্রমণ ।

সাক্ষাৎকার 
***********



১:- আপনার কাছে কবিতা কি ? 
উত্তর :- কবিতা আমার কাছে একটা অস্ত্র যে অস্ত্র দিয়ে মানুষের রক্তে আগুন জ্বালানো সম্ভব, সম্ভব জলন্ত দাবানল নিভিয়ে ফেলা ৷

২:- আপনার প্রিয় কবি কে ? আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কি ? 
উত্তর:- আমার প্রিয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ৷
আমার বিবেক এবং দ্বায়বদ্ধতাই আমার অনুপ্রেরণা ৷

৩:- কেন লেখেন আপনি কবিতা ? 
উত্তর:- কবিতা লিখি জেগে ঘুমিয়ে থাকা মানুষ গুলোকে সজাগ করার জন্য ৷

৪:- আপনার প্রথম কবিতার নাম ও কাব্য গ্রন্থের  নাম (প্রকাশিত/ অপ্রকাশিত) 
উত্তর:- আমার প্রথম কবিতার নাম " শহীদ মিনারের গল্প "
কবিতাটা লেখার ৮ বছর পরে শতকের স্বপ্ন প্রাপ্তি নামক বইয়ে কবিতাটি স্থান পায় বইটি যৌথ ছিলো ৷

৫:- কবিতা/কবি সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ ? 
উত্তর:- কবি বা কবিতার সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক হওয়া উচিত অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইডের মতো কবি বা কবিতা ছাড়বে পাঠক গ্রহণ করবে আবার পাঠক ছাড়বে কবি বা কবিতা বেঁচে থাকবে ৷

৬:- ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যে জগতে কতখানি গুরুত্ব রাখে ? 
উত্তর:- মানুষ এখন আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হতে শিখেছে , প্রযুক্তির এই যুগে ফেসবুকিয় কবিতা বা সাহিত্য বাংলা সাহিত্য জগৎকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বা করা শুরু করে দিয়েছে ৷ তবে হ্যাঁ ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অনেক গ্রুপ আছে যেগুলো সাহিত্য জগৎকে কলঙ্কিত করতে পারে ৷

৭:-ছাপা ম্যাগজিন ও ব্লগ ম্যাগজিন বা ওয়েব ম্যাগজিনের মধ্যে কার বেশি গুরুত্ব ? এবং কেন ?
উত্তর:-তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ ছাপা ম্যাগাজিন এর চাইতে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের দিকে ঝুঁকছে ৷ আমি মনে করি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ব্লগ বা ওয়েব ম্যাগাজিনের গুরুত্বটাই বেশি ৷

৮:-আজ কাল অনেক কবি জন্ম নিচ্ছে ,কেউ বা প্রেমে আঘাত খেয়ে ,কেউ বা ব্যর্থতায় আবার কেউ কবি হবে কবিতা লিখছে , কিন্তু যখন লেখা ছাপাতে চাইছে টাকার অভাবে বই করতে পারছে না ,বা করলেও বই বিক্রি হচ্ছে না , মানুষের এই বই বিমুক হওয়ার কারণ কি ? বইয়ের অভিমুখে আনতে গেলে কি করা উচিৎ বলে আপনার মনে হয় ?
উত্তর:- ভালো বই বা ভালো লেখার পাঠক নেই তা না পাঠক প্রচুর আছে ৷ তবে মূল সমস্যা হলো প্রত্যেকেই নিজেকে কবি বলে দাবি করি ঠিকই কিন্তু পাঠক কি চায় তা তারা জানেনা বা বোঝেনা ৷ একজন পাঠকের চাহিদা যদি কবি বা সাহিত্যিক বুঝতে পারে তবে অবশ্যই পাঠক বই পড়বে ৷
প্রকাশকরা এখন প্রতিভার মূল্যায়ন করেনা তারা চিন্তা করে একজন নতুন লেখকের বই কেনো একজন পাঠক পড়বে? যদি না পড়ে তার লগ্নিকৃত অর্থ জলে চলে যাবে ৷
একজন প্রকাশককে অবশ্যই আগে বিচারিকজ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে সঠিক পান্ডুলিপি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তবেই পাঠকের চাহিদা মাফিক লেখা পাঠক পড়তে পাড়বে এবং বই মুখি হবে ৷

৯:-উত্তরাধুনিক কবিতা বলতে কি বোঝেন ? অনেক জনই আজকাল কিছু কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বলছে এটা উত্তরাধুনিক কবিতা , কিন্তু কবিতা পড়তে গেলে দাঁত ভাঙার উপক্রম কিংবা মাথার উপর দিয়ে চলে যায় সেক্ষত্রে আপনার কি মতামত ? 
উত্তর:-দাত ভাঙা গুটি কয়েক শব্দ জুড়ে দিলাম আর এটা উত্তরাধুনিক কবিতা হয়ে গেলো আমি অন্তত এটা মনে করিনা ৷

১০:- গদ্য কবিতা ও গদ্য-পদ্য কবিতা কি ? গদ্য কবিতায় কি ছন্দ বা নির্দিষ্ট তাল থাকার প্রয়োজন নেই ?
উত্তর:-গদ্য কবিতা নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিত্তিতেই শুরু হয় এবং শেষ হয় ৷ তবে নির্দিষ্ট ছন্দ অবশ্যই থাকা প্রয়োজন ৷ আর গদ্য-পদ্য কবিতায় অবশ্যই তাল এবং ছন্দ জরুরী ৷







কিছু কবিতা 
************



সব তন্ত্রের একই মন্ত্র
*******************
 

কানের ঠিক কিছুটা উপরে একটা পিস্তল তাক করা ,
সামনে সাজানো রয়েছে বিশাল এক পেটোয়া বাহিনী ,
পিছনেও পড়ে আছে রাজ্যের তামাম রক্ষি বাহিনী ;
কারনতো একটাই জনতাকে ওদের মতো
করতে না পারা ৷

গণতন্ত্র নামক এক দিল্লিকা লাড্ডু ঝুলিয়ে রাখা সামনে ,
একনায়কতন্ত্রকেও বৈধতা দিয়ে;নাম তার অাজ গণতন্ত্র ,
স্বার্বভৌমত্ব ভেবে ছিনিয়ে নিয়ে দেখি সেও এক ষড়যন্ত্র ,
সব তন্ত্রেরই ঠিক একই মন্ত্র যা জনতার 
কাপর খোলে ৷

স্বৈরাতন্ত্রের নিয়মিত চলাচল আজকে আমার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ,
স্বাধীনতা'তো হলো এক ট্রাম কার্ড তার জুয়ার টেবিলে বসে ,
সব তন্ত্রকেই দেখি দিনের শেষে স্বার্থতন্ত্রেই 
গিয়ে মিশে ,
বাম ঘরামী স্বভাব আমার সেতো শুধুই আপন দম্ভে ৷


মৃত্যুদন্ডের দাবি 
***************


আমি অমরত্ব নিতে আসিনি
আমি আমার মৃত্যুদন্ড নিতে এসেছি ,
আমি জানি এখনই আমাকে বন্দী করা হবে
শেকল পড়ানো হবে আমার উন্মুক্ত হাতে পায়ে ৷
আমি জানি আমি দেশদ্রোহী ,
তোমরা কতোটা দেশ দরদী বলবে ?
আমার টাকা চুরি করে গড়েছো অট্টালিকা
তাতেও আবার বসিয়েছো দেখি সিসি ক্যামেরা ৷
আমি জানি আমি সংখ্যালঘু ,
কারন বিদ্রোহী হয়ে জন্মায় খুব কম ,
আর যারা বিদ্রোহী লাশ থাকে তাদের ডোবা,নালায়
তাদের নিস্তব্ধ দেহতে শেয়াল শকুনেরাও মচ্ছোব চালায় ৷
আমি জানি আমি একা ,
কারন আমি কোন দুর্নীতিবাজ না ,
পেনশনের ফাইল আটকে হাত পেতে দিইনা
অথবা অন্যায়ের সাথে আমি আপোষহীন চলি তাই একা ৷
মধ্যরাতে আমার ছবি যাবে প্রেসে ,
আমার কন্ঠ রোধ করতে ক্রসফায়ার হবে ,
শিরোনামে থাকবে আমার মৃত্যু হয়েছে বন্দুক যুদ্ধে
আর পা চাটার দলেরা তখন চায়ে টোস্ট ভিজিয়ে খাবে ৷
আমি অধিকার চাইতে এসেছি ,
নির্যাতিত নিপীড়িতের কথা বলতে এসেছি ,
মনে রেখো আমাকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে না !
১০মাস ১০দিন পরে আবারো অামার জন্ম হয় অন্য কোন গর্ভে ৷



আপন স্বার্থে দ্বন্দ
****************


অঘোষিত এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছি আজকে ,
প্রতিনিয়তই এক স্বার্থ যুদ্ধ চলছে পৃথিবীতে ,
ইরাক,প্যালেষ্টাইন আজও জ্বলছে সেই দ্বন্দে ,
কাশ্মীর আজও স্বার্থের দ্বন্দে রক্তা রক্তি খেলে ৷
তিব্বত আজও নিষিদ্ধ তাই অজানাই রয়ে গেছে
স্বার্থের দ্বন্দে আফগানীরা ঐ তালেবান হয়ে গেছে ,
সিরিয়াও তাই আপন গৃহেই আজও বন্দী পরে আছে ,
আর আই,এস,আই সেখানে করা পাহারায় বসে আছে ৷
শান্তির পতাকা হাতে স্বার্থপর ঐ ছুটছে দেশ বিদেশে ,
ধর্মের কথা বলে ঐ স্বার্থপরই আবার অধর্মের গান গাইছে ,
ওদের স্বার্থেই মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে
আপন স্বার্থে দেশে-দেশে সবাই যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে ৷
কখনোবা নিজের স্বার্থেই দ্বন্দে জড়িয়েছ তুমি আমাকে ,
আবার কখনো সে স্বার্থে যুদ্ধেই জড়িয়েছি আমি তোমাকে ৷
অস্ত্রের মুখে বিরোধীতা করবে বলো কার সাধ্য আছে?
তবুওতো কেউ না কেউ গর্জে উঠবে হয়তো সেটাও আপন স্বার্থে ৷




যেদিন তর্জনী উঠবে 
******************



আমার পক্ষেও একদিন তর্জনী উঠবে
রাস্তার মোড়েও সেদিন পিকেটিং হবে ,
ছাত্র জনতা মিলে রাজপথ দখল নিবে
ঝড়ো স্লোগানে চারিদিক মুখরিত হবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন কেউ দাঁড়াবে
কাঁধে কাঁধ রেখে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে ,
ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে পাশে দাঁড়াবে
ন্যায়ের পক্ষে বুকটা টান করে দাঁড়াবে ৷

আমার পক্ষেও একদিন ওরাই লিখবে
যে কলম আজকে ভয়ে পকেটে আছে ,
সংবাদপত্র সেদিন আবারো সরব হবে
টিভি রিপোর্টাররাও ছুটে চলে আসবে ৷

আমার জন্যও কোন মা সিজদায় রবে
আবার কোন মা ঠাকুর ঘরে পড়ে রবে ,
কেউ রোজা রবে ,কেউবা রাখি বাঁধবে
জয়ীও হবো ওদেরই দোয়া আশির্বাদে ৷

একদিন ওরা ঠিক সংগ্রামী হয়ে যাবে
দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি জ্বলে উঠবে ,
অন্যায়ের প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে
নিজের অধিকারও আদায় করে নিবে ৷




যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছিনা 
******************


তবে তাই হোক তোমাদেরই জয় হোক
আমার নাহয় ব্যারাকেই ফিরতে হোক
আমার জন্য দরকার নেই কোন শোক ৷

জয় হোক আজকে ওদেরই জয় হোক
যারা ভঙ্গুর সমাজে রক্তখেকো জোঁক
আমরা নাহয় হলাম আজ ছোটলোক ৷

বেঁচে থাকো তোমরা শতাব্দীর সমদিন
বিবেকের কাছেই থাক তোমাদের ঋণ
শতায়ু হোক তোমাদের বাঁচার এইদিন ৷

আজকে আমরা ব্যারাকে ফিরে যাবো
আমাদের যাই আছে জমা দিয়ে দেবো
দেশপ্রেম আর প্রতিজ্ঞাটা রেখে দেবো ৷

আজকের মতো হয়তোবা ফিরে যাবো
নতুন করে আবারও সব গুছিয়ে নেবো 
ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে স্বপ্নটা সাজাবো ৷




কিছুই অবশিষ্ট নেই 
*****************


এখানে আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই 
এক সুশৃঙ্খল সমাজ চাইতে গিয়ে দেখি ! 
সে সমাজ উশৃঙ্খলতার আগুনে পুড়ছে
অথচ সমাজপতিরা আলু পোড়া খাচ্ছে ৷

এখানে আজ আর কিছুই পাওয়ার নাই 
সস্তায় আজ যা মেলে তা শুধুই উপদেশ ,
নয়তো নেতাজীদের মিথ্যে আশার বাণী
আর কৃত্তিমতায় ঝড়ানো চোখের পানি ৷

এখানে আজ স্বপ্ন দেখাই যেনো দুঃস্বপ্ন 
ইচ্ছাগুলো গলাটিপে হত্যা করছি রোজ ,
স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন প্রতিদিন হয় নিখোঁজ 
আর ; সমাজপতিরা দেখায় মিছে দরদ ৷

এখানে আজ বেঁচে থাকাটাই বিলাসিতা 
আর মৃত্যু সেতো আজ একেবারেই সস্তা ,
জীবন সাজাতেই জীবন আজকে মরিয়া 
অথচ মৃত্যুকে রাখি বুকপকেটে ঢাকিয়া ৷

এখানে আজকে কেউই ইতিহাস ঘাঁটেনা
ক্ষমতা আর অর্থ দম্ভই যেনো মূল চেতনা
মগজেও লালন করে নোংড়া চিন্তা,ছলনা
অথচ ভাবটা তার ; সে ধোয়া তুলসিপাতা ৷




আমার চাওয়া 
*************




বুক সেল্ফে বন্দী পড়ে থাকা গণতন্ত্র আমার চাইনা ,
যে গণতন্ত্রর মুখোশে স্বৈরাতন্ত্রর বাস তাকে চাইনা ,
বুক ফুলিয়ে যে গণতন্ত্রে কথা বলা যায় তাকে চাই ৷

পর্দার আড়ালে বিদ্রোহী কবিতা আবৃতি করবোনা ,
জনমঞ্চে দাঁড়িয়ে পাঠ করতে চাই বিদ্রোহী কবিতা ,
আজকে আমি আমার বাকস্বাধীনতার মুক্তি চাই ৷

রাজনীতির পকেটে বন্দী গণতন্ত্রকে অামার চাইনা ,
হাতে-পায়ে শেকল জড়ানো কথিত গণতন্ত্র চাইনা ,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো সতন্ত্র হয়ে উড়ার গণতন্ত্র চাই ৷

যে সংবিধান স্বাধীনতার মুক্তি দেয়না তাকে চাইনা ,
যে সংবিধান রাজনেতার হয় জনতার না তা চাইনা ,
আমার সংবিধানে আমার জন্য বলার ক্ষমতা চাই ৷

যে আইন দূর্বলের না হয়ে সবলের হয় তাকে চাইনা ,
ক্ষমতা অার টাকায় বিক্রি হওয়ার আইনও চাইনা ,
আমার আইন সেতো ভরসা ও আস্থার হওয়া চাই ৷

আমার দূর্বলতাকে পূঁজি করে দুর্নীতি হতে দেবোনা
আমার ন্যায্য হিস্যায় অনিয়ম হবে তাও মানবোনা
দুর্নীতিহীন অধিকারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া চাই ৷






আমি যা চাই 
************



তোমাদের বাক্সবন্দী স্বাধীনতা আমি চাইনা
আমি শুধু মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে চাই ,
যে হাওয়ায় ভেসে বেড়াবে না বারুদের গন্ধ  
অাবার ; পঁচা লাশের গন্ধও নাকে লাগবেনা ৷

অবচেতন মনের চেতনাবাদ আমার চাইনা ,
আমিতো শুধুই আমার আগামী ফেরত চাই ,
অনেক হয়েছে এবার এ ব্যবসা বন্ধ করো
বিশ্বাস করো ধোঁকাবাজি আর সহ্য হয়না ৷

নীতিহীনদের নীতিকথা আর শুনতে চাইনা
ওদের গালগল্প , ভন্ডামি আর কত সইবো ? 
আমিতো শুধুই দূর্নীতিমুক্ত এক সমাজ চাই ,
নীতি আদর্শহীন ভাবে আমি বাঁচতে চাইনা ৷

আমি বাক প্রতিবন্ধী হয়েতো বাঁচতে চাইনা ,
আমিতো শুধু উচিত কথাগুলো বলতে চাই ,
আর চাই ; ন্যায্য পাওনা চাওয়ার ক্ষমতাকে
বলতে গেলে কণ্ঠ চেপে ধরবে তা মানবোনা ৷






পুরোনো শহরের স্মৃতি
********************




একদিন আমিও ছিলাম তোমার পুরোনো শহরে 
আমারও বসতভিটা ছিলো তোমার পুরোনো সে 
শহর জুড়ে ৷

ভালোবাসাময় এক যৌথ খামার ছিলো সেখানে ,
দুয়ার ছিলো ; ছিলো জানালা ভরা প্রিয় আকাশ 
আর তুমি ছিলে ৷

আমার অপেক্ষাতেই বন্দী থাকতে ভেতর দুয়ারে
কখন ফিরবো আর কড়া নাড়বো খামারের সেই 
বন্ধ দুয়ারে জোড়ে ৷

আজও স্বপ্ন দেখার স্বপ্নেরা আছে তোমার শহরে ,
শূন্যতা আর হতাশার যৌথ গ্রহণ চলছেই আজও
আমার শহর জুড়ে ৷

যে শহরে একদিন ছিলো ভালোবাসার মাদকতা
সে শহর আজকে ভালোবাসাহীন ; আছে শূন্যতা 
আর ব্যার্থতা ৷

তোমার শহরে আজ জানালা ভরা প্রিয় আকাশ ,
আর আমার শহরে আজও পাওয়া না পাওয়ার 
যন্ত্রনার বসবাস ৷

তোমার শহরে তুমি তোমার মতো ভালো থেকো ,
অামিও ভালো থাকার অভিনয়টা আমার মতো  
শিখে নেবো 





আমি তোমার দখলে 
*******************


যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার ওজন বেড়ে যাচ্ছে
তুমি জেকে বসছো এ অন্তরে ,
প্রতিনিয়ত তোমার বিস্তৃতি ঘটছে
তুমি দখল নিয়েছো এই অম্তরে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে 
তোমার আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে
ছায়ার মতো থাকছো আমার পাশে ,
আর তোমার বসতি গড়ে উঠছে 
আমার এই ভাংগাচুরা অন্তর জুড়ে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
আমি হারিয়ে ফেলছি নিজেকে
তোমাকে দেখছি সারা সত্তা জুড়ে ,
নির্ভরশীল হচ্ছি তোমার উপরে
ঠিক পরজীবিদের মতো করে ৷
যতোই সময় যাচ্ছে
বেওয়ারিশ চর দখলের মতো করে
আমিও যাচ্ছি তোমার পূর্ণ দখলে ৷



সাক্ষাৎকারে : জ্যোতির্ময় রায়

গোপাল চন্দ্র সাহা





বিপ্রতীপ  
*******





চাঁদের এ'পিঠে গল্পের ইলসে গুড়ি জ্যোৎস্না 
অলিন্দের জাফরানি আলপনায় 
মৃদুল ছন্দ তল্লাশে, 
স্নিগ্ধ প্রত্যাশা জমিয়ে
রাত্রি কঙ্কণে কেটে যায় ঋতুর গমনাগমন
শুভক্ষণী প্রাঞ্জল অন্তরাগে

উৎসুক চাহনি থমকে যায় যেখানে 
চাঁদের ও'পিঠে
শূন্যতার বিক্ষিপ্ত ঝড়ে পেচিয়ে যায় সন্ধ্যাচারী
সেখানে এক খন্ড মেঘ আলেয়া ছায়ায় হাঁটে 
তাল রেখে নিরুদ্দেশে
আর ক্রমাগত পুড়ে যায় 

দুকুল ছাপিয়ে প্লাবিত কথারা ঘেমে ওঠে
ধমনীর গোলাপী অথবা বিবর্ণ কোলাজে

ধীরে ধীরে এ'পিঠ আর ও'পিঠ
দুই বিপ্রতীপ ডুবে যায় কোন একক প্রদর্শনে 
ঘন অমা-রস কল্লোলে  ।।

পলি ঘোষ




মন
****



মন এমনই এক আশ্চর্য অনুভূতি যা কিছু সবার সাথে শেয়ার করা যায় না! কিছু এমনই প্রতিচ্ছবি এঁকেছি আমার মনের অন্তরালে! যা কেবলই ছুঁয়ে যায় আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে অন্তরে অভিমানে কেঁদে যায় দূর হতে আর এক আশ্চর্য অনুভূতি আকুলতা বিশ্বাস অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় সদস্য হতে! জানি আমি সে কেবলই আমার একরাশ আন্তরিক অভিনন্দন আমার বন্ধু হবে!

অমৃত বাণী সোনাই যখনই দেখি মনটি উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে অবাক নয়নে নয়ন মেলে! আজ সে বলে মনে মনে ভাবলাম আমার সারা জীবনের সঞ্চয় অনুভূতি সকল ইচ্ছা তোমারই চরণে নিবেদন করতে করতে আজ আমি এক আশ্চর্য লাবণি ক্লান্ত পথিক! যা কিছু নিরবে চোখের অশ্রু ঝরে যায় উত্তরার মত কিছু করে!

জানি মনের নাকি দুটো সন্তান !এক হলো কু মন আর অপরটি সু মন! যখন নাকি কু মন খুব আকুল হয়ে উঠে কোনো মানুষ খারাপ ব্যবহার করে! আর সু মনের জোরে মানুষ প্রতি দিন পবিত্র কিছু ভালো কাজ করতে ব্যাস্ত হয়ে ওঠে!

আমার মনে তো সব অপমান জ্বালা সহ্য করে ও কারো খারাপ করার চেষ্টা ও করি না! আমার মন তাই বলে উদ্ভুত ঈশ্বর বিচার!

আজ আমি ধন্য মনে মনে পেরে আনন্দিত হলাম নিজেকে নিজেই আবিস্কার করতে পেরে! এ এক আশ্চর্য অনুভূতি আমার জীবনে!

দীপান্বিতা বিশ্বাস



তামসী
******





মেকী শহরের মিথ্যে ভালোবাসা--
ইতস্তত ঘুরছে ট্রামলাইন ঘেরা রাস্তায়।
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে কিছু মিথ্যে প্রতিস্তুতি,
নিয়ন আলো ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে নোংরা গলির অন্ধকারে।
আবেগী নৌকারা বটবৃক্ষের তলায় স্থির দাঁড়িয়ে অবহেলার আস্তরণ মেখে,
গঙ্গার প্রতিটা ঢেউয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে শত অপেক্ষামান রংমশাল।
নীলকণ্ঠী পাখির বোবা কান্না চাতকের মতো চেয়ে আছে,
শ্মশানে এককোনে পড়ে থাকা নিথর দেহের দিকে।
কবিতা থেকে বেরিয়ে কিছু প্রেত খুঁজে চলেছে--
"বাঁচার ঠিকানা"।
ছাইরঙা গ্রিলে গ্রাস করেছে অন্ধকারের ছন্দবানী..
মাটি ফুঁড়ে ওঠা সবুজ অঙ্কুরকে গিলে খেয়েছে কিছু রাক্ষুসে শিকড়।
শ্যামলা মেঘের দোলদুলানি অনেকটা কমে গেছে চলমান ব্যস্ত জীবনে,
হলুদ কদমফুল গুলো শুকিয়ে গেছে বৃষ্টির অভাবে।
ভালোবাসার প্রতিটা ছটা কাঁপছে কামারের গরম হাতুড়ির অগ্নিস্ফুলিঙ্গে...
আর কিছু রুদ্ধশোক হাত পা বেঁধে পরে আছে রেললাইনের ইস্পাতে।।