নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুদীপ্ত নিয়োগী





প্রেমিকা
********


এক উজ্জ্বল বর্ণনা
সুকেশী তুমি
তোমায় দেখেছি বহুবার
বাস্তবের কল্পনায়
সাধারণ ভীড়ে হেঁটে যাওয়া তুমি
এক বাস্তবের রুপকথা
তুমি সংগ্রামী হলে
হবে কি কভু আমার সত্যভামা
তুমি সমর্পিতা হলে
কখনো কি হতে চাইবে আমার রুক্মিনী
কখনো কি বাস্তবের ঘেরাটোপ পেরিয়ে
করতে পারোনা আমায় প্রেম নিবেদন
আমি তোমার বাস্তবের রুপকথার
এক অসুন্দর প্রেমিক

বিনয় লাহা





ডালখোলা জ্যাম 
**********


কাউকেই বলিনি কখনো। 
তোমাকে বললাম। 
ছাল চামড়া ছাড়িয়ে রাস্তার উপর ফেলে মারব তোদের। 

উফ্! এত জ্যামে থাকা যায়। 
এত লোক মারা যায় না খেয়ে। 
উফ্ সামান্য তিন ঘন্টার জ্যাম। 
উফ কোনোদিন মাত্র দুঘন্টার। 

বাস, লরি, ট্রেকার, রেল সব একসাথে। 

ঘুমাচ্ছেন বৌদিরা। 
দেওরের পকেট আর ভোট মেরে দুই দশক ক্যান্সার জমিয়েছে চৌত্রিশ নাম্বার জাতীয় সড়কে। 

একদিন নতুন সড়কমন্ত্রী সংসদে হাসতে বললেন হাতি আর লেজের কাহিনী। 

সন্ধ্যা নেমে এলে চাকরির ইস্তফা দিয়ে মুক্তি কিনে বাড়ি ফেরত এলাম। 
তারপর আর ডালখোলার জ্যাম দেখিনি। 

বিশ্বাস করো এই কাহিনী কাউকেই বলিনি 
শুধু চুপি চুপি লিখে পাঠালাম। 
হয়তো তুমি জানিয়ে দেবে সকলকেই। 

মাধব মন্ডল




নাও গল্প
********



ভাসছে কথারা চিৎপাৎ কখনো বা উপুড়
কেউ কেউ শত্রু শত্রু টাক টাক মাঠে কে!

চিৎপাৎ উপুড় উপুড়  শুধু পোড়ে কথারা
গল্পে আদিরস ঢেলেছে তাই বুঝি গিলছো!

তাহলে গল্প শেষকথা! শব্দের বুননে
ও পিরীত সোনা এসো এসো বর্ণপরিচয়ে।

কুমারীরা বড় বড় হলে ভয় উথলে ওঠে!
ও আবাদী কাকে ভয় তোর! দেহরসে লাফাস?

সূর্য নেমেছে গঙ্গায় সটান ভাষা পাড়ে
এ আদি বিষে অলস কিছু এক্ষুনি চাইছে।

নাও গল্প খাও গল্প পেটুক দেহবাদী
কথারা পুড়বে ও পোড়াবে কুমারীর হাতই।

প্রভাত মণ্ডল










বিধি সম্মত পরকীয়া
**************




জয়ন্ত বাবুর ফেসবুকের টাইম লাইনে  বুদ্ধদেব বাবুর পরকীয়া সম্বন্ধে লেখা দেখিয়ে অফিস ফেরত ঘোষবাবু গিন্নীকে হেঁকে বলল ওগো শুনছো দেখো দেখো প্রখ‌্যাত সাহিত‌্যিক বুদ্ধদেব গুহ পরকীয়া সম্বন্ধে খুব সুন্দর একটি কথা লিখেছেন। "ভালোবাসা উদ্বৃত্ত হলে তা অন্য কাউকে দেওয়াই যায়।
তিনি আরো বলেছিলেন পরকীয়া অনেকটা খোলা বারান্দার মত। ঘর হচ্ছে বিবাহ। বারন্দা হচ্ছে পরকীয়া। ঘরে থাকতে থাকতে একঘেয়ে লাগলে তুমি একটু বারন্দায় বেরোবে। একটু মিষ্টি হাওয়া গায়ে মাখবে , চাঁদ তারা দেখবে। তারপর রাত বাড়লে আবার ঘরে ঢুকে পড়বে।"
গিন্নী তা দেখে খেঁচিয়ে বললেন, তা আমি কি করব শুনি, ঘোষবাবু আমতা আমতা করে বললেন মানে তুমি প্রতিদিন যা চিৎকার চেঁচামেচি কর অফিসের নন্দিনীকে নিয়ে, আমি তো ঘরে এনে ফস্টিনস্টি করছি না, তুমি যখন জেনেই ফেলেছো, একটা কম্পোমাইজ করে নাও, নয়তো ডিভোর্স যদি চাও তাও নিতে পারো।
আর এই দেখ মহামান‌্য আদালতের রায় দিয়েছেন অতৃপ্ত বিবাহিত নারী পুরুষ পরকীয়ায় লিপ্ত হতে পারে তা কোন দন্ডনীয় অপরাধ নয়। তুমি আর আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না এটা করবো ওটা করবো। তবু খোকার ভবিষ‌্যৎ ভেবে তোমাই বলছি একটা কম্পোমাইজ করে নাও।
আদালতের রায়ের কথা শুনে ঘোষ গিন্নী আহ্লাদি সুরে বলল ও তাই বুঝি, আমিও তোমাই একটা কথা বলবো।
গিন্নীর এই আহ্লাদিপনায় মনে মনে প্রমাদগুনে বলল কি বলবে বল,
আর কিছুই না তেমন, আদালত যখন রায় দিয়েছেন বলে দিই তাহলে, তোমার ওই বন্ধু রজতে শরীরের গঠন দেখলেই আমার শরীরে কেমন কাঁপন দেয়, তোমার নাদুস নুদুস চেহারা আমাকে তৃপ্তি দেয় না, তাই তোমার অবর্তমানে আমার আর ওর মধ‌্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর আমার  দের খোকাও ওরই ঔরস জাত।
জানোতো জানু তোমার সম্মানের খ‌্যাতিরে আমরা চুপ আছি। নাহলে ও তো ওর বউকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকেই বিয়ে করবে বলেছিল।
আমি কিন্তু জোর আপত্তি করেছি, আমার আবার একা ওকে দিয়ে হবে না,  অতৃপ্তই রয়ে যাবো।
যাকগে আদালতের রায়ে ভালোই হল বলো, যে যেমন যখন তখন পাটর্নার চেঞ্জ করতে পারবে।
যেমন চারপেয়েরা করে।
জয় মহামান‌্য আদালতের জয় হোক।

মোনালিসা পাহাড়ী



শ্রাবণ
******



দৃষ্টির দেওয়ালে বৃষ্টি যখন আবছা
বিবর্ণতার চোরাবালি রং ঢেলে দ‍্যায়
মন সীমানার আকাশ গাঙে গাঙচিল
ডানা ঝাপটায়...
হাতড়ে মরে খড়কুটোর জাগতিক বাসা
হলদে বিকেলগুলো জটপাকিয়ে যায়
ভাঙাচোরা কথকতার ভিড়ে
শেষ রাতে ঝাঁঝালো নিকোটিন
ভারি হয়ে যায় বুক,চোখের পাতা জুড়ে
উদ্দাম নৃত্য শুরু করে শ্রাবণের উৎসব।

সুপ্রভাত দত্ত




দেওয়াল
 *******

              
 
দীর্ঘশ্বাসের  স্পর্শ- 
কেমন সুদূর  বিষন্নতা!
শব্দটি আজ উদ্যোগ, 
ফিকে হওয়া গানের খাতা ।

দেওয়াল যে কী চাই? 
মনখারাপের  আড়াল থেকে-
ঘাসগুলি জন্মায়, 
শিশির চমক সূর্যালোকে ।

মাটির উপর ধুলো- 
কেমন যেন অর্থবিহীন! 
শরীরটা চমকানো, 
ছায়ায়  ছায়ায়  উদাস দিন!

আমিই অন্ধকার- 
তোমার দেওয়াল ধরা স্বভাব ।
তুমি তো চিৎকার-
তোমার কীসের আবার অভাব!