নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রহস্য কাহিনী(তিন)







দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

2/401 Urmila Apartment .
Gorai Complex. Bagnan.
Howrah 711303.


          (তিন)


১১.

মেয়ে গায়

জল তরঙ্গে নূপুর ভেসে যায়

মাছরাঙা পাখিটির দেশে

দোল খায় চোখ

আর ক্রমশ রঙ্গিন আকাশের মাঠে

খেলা চলে রোদ ও ছায়ার

মায়াবী অক্ষর গাছে গাছে

সুস্বাদু পথের জানালায় বাহবা তুলি

আরো কিছু এঁকে দিলে

সাদা কাগজের যেমন খুশি সাজ

বাড়িতে উৎসব গন্ধ

এসব কিছুই দুঃখ ভুলানি উপকথা

ঠাকুমার কণ্ঠটি কেঁপে কেঁপে

ঝুলির ভিতর নামের মালাটি জপে

আর বর্ষার মাঠে বীজতলা

তৈরি হলে কষ্টের ভিতর

ভাতের পুরনো সুবাস ফিরে আসে

সে ঘরে ফিরে নি কেউ বলতে পারে না

১২.

একটা ভাঙাচোরা বাড়ির নীচে

শূন্য আর স্বপ্ন বুনে

সময় কেটে যায়

ঘুম বিদায় নেওয়ায় তার জায়গা

নিয়েছে তোমার প্রিয় নাম

এই যে বর্ষার দিনে মেলে

তোমার দীর্ঘ চুলের বাহার

মাঝে মাঝে সেখানে

সেজে ওঠে বর্শা রঙের ক্লিপ

রাত্রির শরীরে

কেঁপে ওঠে

এক মধুর ঝড়

ধ্বংসের ভিতর এক কালো নদী

শূন্যতার মাঝখানে গড়ে

তোলে রাত্রির এলো চুলের

অস্পষ্ট স্মৃতি

মৃত জোছনায়

আছড়ে পড়েছে কান্না

সাগরের গুমরে গুমরে


সায়ন্তনী হোড়



বৃষ্টির রেখা
**********



একটা সর্পিল বাঁকের কাছে
লুকানো আছে মরচে পড়া কথা গুলো
রূপকের আড়ালে তার অবশিষ্ট অবয়ব।

ব্যক্তিগত টেবিলের সেই নীলচে খামের 
ইতিহাস পড়তে পড়তে  
বৃষ্টির সোঁদা গন্ধের অবচেতনে
 নিজেকে হারিয়ে ফেলি।

বৃষ্টির উল্টানো প্রতিফলন। কিছু অসমাপ্ত 
 শব্দের জ্যামিতিক আকার।
বিন্দু  থেকে চতুর্ভুজে অঙ্ক মেলানোর সময়
  হয়তো আমাদের চুপকথার মিলন হবে এক
  অশরীরী বৃষ্টির  সরলরেখায় ।।
                                  

শুক্লা মালাকার



বর্ষা লেখা



যেদিকে তাকাই মাইল মাইল সবুজ
দূরে দিগন্ত রেখা বরাবর আকাশ বিষাদ সাজিয়েছে
এখানে এই নির্জন ডুয়ার্সে ধ্বসে পড়েছে শহুরে মুখোশ
কয়েকটা মুহুর্ততারপরই ধেয়ে এল কান্না
বৃষ্টি কুয়াশায় ঢেকে গেল প্রান্তর
এই অপরূপ দৃশ্য মেখে ভেসে যাচ্ছে যত প্রেমহীন দিন
বিপ্লবী জলহাওয়া উড়িয়ে নিল ক্লান্তির চাদর

এখন কেউ দুটো ভালোবাসার কথা বললে
দু চার লাইন লিখেও ফেলতে পারি

                           

তপময় চক্রবর্তী





ছাতার বৃষ্টি
***********



মেঘ তো আগেই জমেছিল চাঁদের আড়ালে 
সকাল থেকেই শুরু তার বিন্দু বিন্দু  প্রকাশ,
খিচুরি আর ভাজা খেয়ে এখন চলো জীবন যুদ্ধে ,
এ যেন নানা রঙয়ের ছাতার  বহিঃ বিকাশ ,
ক্রমাগতই ধাক্কা খেয়ে চলেছে একে অপরের সাথে ,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়ার পাখনা মেলার লড়াই ,
তালুবন্দি হাতে এপাশ ওপাশ হলেই -
হামলা করে একরাসি  দিকবিদিক শূন্য জলবিন্দু,
মরিচা পড়া শিরদাঁড়া শক্ত হয়ে এগোয় পাখনা !
 তখনই হঠাৎ এক শিকের ধাক্কায় বিষণ্ন ডানা ,
আবার ও হেরে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলা ,
জং ছাড়িয়ে গুটিয়ে পড়ে ব্যাগের আড়ালে ;
বজ্র পাতের শব্দে ব্যাস্ত শহর  উঠলো কেঁপে ,
খোলা জানালা দিয়ে আকাশ যেমন  চলছে এগিয়ে ,
ইট কাঠ আর শহরে কোলাহল আমার থেকে 
যাচ্ছে সরে ,
চারিদিকের সোনা ব্যাঙ আর  রঙীন কচু পাতায় একফোঁটা জল ,
যে সৌন্দর্য জন্ম লয় -- -- কমলার বাড়ে বল ,
প্রচন্ড বর্ষায় জলময় রাস্তায় ব্যাস্ত যানের সশব্দ খেয়ালি,
জং ছেড়ে ছাতাই পারবে বাঁচাতে এ হ্যানো হেঁয়ালি ! 

সুনন্দ মন্ডল




কোত্থেকে যে আসলে?
   ******************
          

আকাশ থেকে পড়লে তুমি
বৃষ্টি সাথে নিয়ে।
মাথার চুল পড়ল এসে
আমার চোখে ধেয়ে।

জানলা খোলা, চুলটা এলো
চিরুনি দেয় আঁচড়।
মোটর গাড়ি থমকে গিয়ে
একটু মাখে আদর।

গন্ধ মাখা একটি চুল
ভুলিয়ে দিল পথ।
ভাবতে গিয়ে তোমার কথা
কাজের পোকা বধ।

বাদল দিন মেঘলা দেখি
বায়ুর ভরে ভাসলে।
কোথায় তুমি পড়লে দেখ
কোত্থেকে যে আসলে?

বিশ্বজিৎ ভৌমিক




"বৃষ্টি মানে স্মৃতির জানালায় তুমি"
*****************************



আমরা উন্মুক্ত হয়ে আছি
বৃষ্টির অপেক্ষায়,
বহুদিন পর আজ বৃষ্টি আসুক।
সমস্ত আকাশ জুড়ে বৃষ্টি আসুক,
অজস্র ধারায় অঝরে বৃষ্টি আসুক।
আজ আমাদের ধূলি ধূসরিত।
বৃষ্টি নামুক---
মলিন হৃদয়ের মাঠ, প্রান্তর জুড়ে।
সবুজ ফসলে ভরে যাক্ ধরা,
শীতল বাতাসে শান্তি ফিরে পাক সবাই।

তবে তার আগে বৃষ্টি নামুক
আমাদের বিবেকের মরুভূমিতে,
সেখানে মানবতা ফুল হয়ে ফুটুক,
আর পরিশুদ্ধ হোক ধরা, হৃদয়ের গ্লানি।
মানুষের জন্য মানুষের মমতা
ঝর্নাধারা হয়ে বয়ে যায়।

আমার কাছে বৃষ্টি মানে
স্মৃতির জানালায় তুমি,
বৃষ্টি মানে জলজ বাতাসের শীতল ছোঁয়া হিম হিম সুখ,
বৃষ্টি মানে স্মৃতির আঙিনায় হঠাৎ দেখা তোমার মুখ।।