নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়





বর্ণমালার সাথে আমার সংসার 
 ***************************




চেতনামাত্র শব্দ সমুদ্রে ডুবে দেখি --চোখের সামনেই ভাসছে  আমার অজস্র জন্মের প্রেমিকা বর্ণমালা ।
আমি বর্ণমালাকে ভালোবাসি --বর্ণমালা আমাকে . . . . 

সাতপাকে  ঘুরে আমি এখন তার  সাথেই সংসার করি ।

জয়দীপ রায়





বাংলা জানে  একুশে
*******************





    জানলা ছুঁয়ে কার্নিশ ভেদ করে আসা রোদ
     অ লেখা এক পাঞ্জাবীর উপর         
     পাশের বাড়ির ছেলেটা সদ্য স্কুলের জামা পেয়েছে
     কাকু নাক শিটকে  
     ইংরাজি সাহিত্য শেক্সপীয়র ভুলে তুই
     বাংলা শিখবি বেশ বেশ 
     “আম পাতা জোড়া জোড়া 
     বড় হয়ে বেশ চড়িস ঘোড়া” 
     খিল্লি ওড়ালেন এক পোশাকি 
      হুম নামে বাঙালি ই বটে।
     তার কিনা সকালে সুগার ফ্রি 
     দুপুরের মেনু ভাত কাঁচা লঙ্কা
     আর পোস্ত দিয়ে মাখি
  
   সুইট হার্ট ব্যাপী ভ্যলেন্টাইন মাখা 
   আঁতেল শব্দ গুলো  জ্বর গায়ে থার্মোমিটার মুখে 
   ঘুরে বেড়াচ্ছে আর চড়ছে পারদ 
   বাঙালির লোহিত শ্বেত দিনে দিনে কমতে থাকা 
          অণুচক্রিকায় 
   রবীন্দ্র সরোবর বঙ্কিম সরণি র বদলে
   তাদের আড্ডা জমে শেক্সপীয়র সরণির রোয়াকে
নাম না জানা ভোকাল সঙ
ভোকালিস্টদের তালু চেনে 
আমাগো ভাষা রসগুল্লায়
মেঘের কিনারা খোঁজে 
চটি পেতে ফুটবল 
গোল তুই শালা মোহন বাগান আমি ইস্টবেঙ্গল
এলাইচি মাখা রাস্তার ভাঁড় ছোট্ট চুমুক
 রেডিও বলছে একুশে ওই দিন কি দাদা
 আপনার বোঝার কম্ম নয় 
 খাটি বাঙালি রা সেটা জানে। 
 

স্বপন রায়




আমার বাংলা
*************



বাংলা আমার রক্তের কণে কণে,
শিরায় শিরায় প্রবাহিত অনুভব_
প্রথম সে'দিন চোখফোটা দর্শনে,
দেখেছি কোমল বাংলার অবয়ব ৷
বাহান্ন সাল সূচনার অধ্যায়...
রক্তে লিখিত ভাষাশহিদের কথা ৷
লোহিত কণিকা রাজপথে বয়ে যায়,
ভেসে যায় কত জননীর নীরবতা ৷
পাষান গলেছে বেদনার আঁখিজলে,
ঘনঘোর মেঘে তারা ফুটে জ্বলজ্বল ৷
পশ্চিমী ঝড় ফিরেছে আস্তাবলে
রণাঙ্গনের মাথানীচু সেনাদল ৷
জনগণমনে বাংলা থাকুক বেঁচে—
অমর একুশ থাক্ সদা অন্তরে ৷
মুক্তো এনেছে অতল সিন্ধু সেঁচে,
প্রহরী জাগুক প্রতি বাঙালির ঘরে ৷

মালবিকা হাজরা





আনন্দ
******


                
অবকাশে গিয়ে বসি যখন 
পলাশের গালিচায়
চেনা উঠোন থেকে একটি আঁচল 
উড়িয়ে নিয়ে যায়
হলুদরোদের মতো বর্ণমালায়...
কী নামে ডাকি সে মুগ্ধ ছোঁয়ার!
দ্রিমি দ্রিমি মাদলের বোল শুনি
আমার মায়ের ভাষায়।

ফারদিন খান সুপ্ত





  তিন গম্বুজ
 **********





কিচিরমিচিরে অবচেতনার নিদ্রাভঙ্গ -
      প্রহর যে হলো সবে মাত্র।
  উদিত সূর্যের আলোয় আলোকিত ভুবনে,
      জুড়ে গেল  ভোর পাখিদের মেলা।
রবির আবছা আলোর প্রকাশে মনকোণে,
      চেঁপে যাওয়া গহিন আর্তনাদ।
বদ্ধ-গৃহ চৌকাঠ পেরিয়ে পুষ্পকাননে,
  দুরন্তপনায় ছুটে চলা তাজা পুষ্পের আশায়।
টকটকে রক্তিম গোলাপগুচ্ছ বদ্ধ হাতে,
      খালি পায়ে রাস্তার মাঝে হন্টনরত-
    রক্তিমা লাল পাঞ্জাবী পরিহিত।
ফুঁটছে পায়ে কাঁটার ন্যায় ইট-পাথরের কণা,
    বদ্ধহাতে কণ্টকময় পুষ্পকানন পুষ্পসম।
অব্যক্ত ব্যথায় মনে পড়ে গেল,
              ভাষা শহীদদের যন্ত্রণা।
আবুল,বরকত,সালাম,জব্বার-
               প্রাণ দিয়েছেন ভাষায়।
রক্তে মম, পথ রঞ্জিত হওয়ায়,
       স্মৃতিচারিত ভাষা আন্দোলন।
তিন গম্বুজের নিচে তুচ্ছ কয়েক গোলাপ,
      সাক্ষরিত মম রক্তাক্ত পথের।
সাক্ষরিত ভাষা শহীদের রক্তাক্ত-
        অমূল্যচরণ পদধূলিরঞ্জিত পথের।

শুভদীপ সেন





নৈস্তব্ধ
*****




আগুন,তুমি স্বপ্ন পথিক-
রক্ত আগন্তুক,
ঝর্ণাধারায় মৃত জীবন-
সমকামী সব সুখ।
আফ্রিকা'র ঐ কালো শিশু-
পেটে নেই আজ ভাত,
পুঁজিবাদের হাতটা ছাড়ো-
থাকবে না জাতপাত।
বৃক্ষরোপন,বনসৃজন 
পাগলামি ঝুড়ি ঝুড়ি
হীরক রাজার দেশেতেও ভাই,
হীরে গেছিল চুরি।
মিথ্যে কথা বলবে যতই,
ততই তুমি সৎ
সঠিক বিচার চাইতে গেলেই
বন্ধ বিশ্বপথ।
কন্যাভ্রূনের মৃত্যু মিছিলে,
ভোরের সূর্য কাঁদবে
যাবজ্জীবন সঙ্গীরা সব, 
আগামী জোনাকি আনবে।
শহরের সেই সবুজ মাঠে,
কত্তো পায়ের ছাপ
বলতে গেলেই বুঝতে হবে,
ভাবাটাই মহাপাপ।
অট্টালিকা উঠবে গড়ে,
আকাশগঙ্গা ফুঁড়ে
বিনিময়ে আজ আসবে না আর,
একটি পাখিও উড়ে।
প্রেম-প্রীতি ছাত্র-ছাত্রী,
তোমরাই মহাকাল
বুঝিয়ে শুধু দাওগো ওদের,
কত ধানে কত চাল।
যতোই ভাবো এগিয়ে গেছো
রয়েছে ছায়া পিছে,
দূরে তুমি ঠেলবে যতই
ততই আসবে কাছে।
ঘুম আমার মধ্যরাতে,
করছে স্বপ্ন ফেরি
কলম তুমি গর্জে ওঠো,
নেই রেনেসাঁর দেরি!