নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তপময় চক্রবর্তী


উত্তরের খোঁজে

**************



আর ও আজ একটা ট্রেন মিস...
পেশীর পাহাড়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভারে,
ঘনীভূত মৃদু ঘর্ম উষ্ণতার বিষ,
চোখে দেখা ফেলা লাল আলোয় ধারে,
জোর করে কবিতার চেষ্টায় জেরে
মনে জাগা দুঃখের এ এক অন্য পাড়ে,
সহানুভূতি আর কপ্রোমিসে চলা মোড়ে
লক্ষী লাভে এ হেনো জীবন মারে।
ভাবতে থাকা ইচ্ছা আর বিপুল জন স্রোত
বানিয়ে দিতে পারে অ্যাসিড ক্ষারের মিত্রতা
চলতে পারে এ রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে
জাগিয়ে দিতে পারে মৌলিক ইচ্ছা আবেগ,
হঠাৎ ঝাপ্টে একলা আকাশ, শূন্য রাশি বাঁশি
ভিজিয়ে দিয়ে যায় বিপুল স্রোতের ইচ্ছা ভাবনা,
না বলা রয়ে যায় ঘুরিয়ে বলা একছড়া রাশি,
মেলে দেওয়া নিজের টাকায় ফিনফিনে নিংড়ানো শাড়ী,
পড়ে থাকা না পড়া অনেক গল্পের বই,
বাঁচিয়ে রাখা মরা নারকেল গাছের সারী।
না পাওয়া রেল, অন্ত্র তন্ত্রের অ্যাসিড রসে
আর স্মার্ট চালভাষে ,না খাওয়া চপের গন্ধে,
সঙ্গে থাকা বোতল বন্দি  ক্লোরিন অল্প জলে
স্পর্শরত বৃদ্ধ আঙুলে চাপতে থাকা সমূহের রাশী,
খুঁজে পেতে  ভাবনাকে  ডুব দেওয়া থেলামাসে।
উত্তরের খুঁজে ফেরা হতাশ অর্ধেক !
বলতে থাকা না বোঝা ভালো মন্দের মই।
আর নিজেও নিজের তিক্ত রাশি বাসী
প্রতিটি ক্ষনে দিচ্ছি কঠিন ফাঁসি।।

সুপ্রীতি বর্মন

আকাঙ্খিত অন্তমিল

********************


হৃদয়ের পাঁচিলে জমে আছে শতাধিক শ্যাওলা,  অবসাদের অবগাহনে প্রচ্ছন্ন তুমি।
 তোমাকে ছুঁতে চাওয়ার, 
 পুরানো গাঁটছোলায় সঞ্চিত মৃত ক্ষুধা তৃষ্ণা,  জঠরের গহ্বরে তোমারূপে ভ্রূন বন্দী। 
চাদরের আবডালে পর্নমোচী বৃক্ষের উন্মোচন শরীরে, 
কিলবিলিয়ে উচ্ছন্নে কৈশোর মেতেছে রাসলীলায়।
অপত্য স্নেহে অবাধ আস্কারায় জমাটি দুগ্ধস্রোতে স্তনদান, 
বিন্দু বিন্দু সঞ্চয়ে ভ্রমিল তনু অবসাদের দীর্ঘায়িত প্রতীক্ষা শরীরি ক্ষুধা।
 সকল কিছু উজাগরে লালায়িত অতৃপ্ত শরীর, লেশ জীবাশ্ম এঁটো ভক্ষন অমৃত স্পর্শ অঙ্কিত বক্ষে, 
কালো কালো ছোপে হাতড়ায় স্মৃতিচিত্র বায়স্কোপে।
এলোমেলো বিন্যস্ত কেশভারে গঁদ রঞ্জনের জেল, 
অঙ্গুলীচারনায় রাজপুত্রের রৌদ্রদগ্ধ হৃদয় হিমশীতল রূপের আলাপচারিতা।
আমি তখন স্নিগ্ধা তোমারে নাড়াচাড়া আবিষ্কার প্রনয়াষ্পদে মানচিত্র।
 অঙ্গুলীলেহনে শরীরের খাঁজে খাঁজ অন্তমিল সন্ধিহান অন্বেষনে, 
কেন্দ্র নাভিগত অভিকর্ষের টান আমি আনমনা পাতা, 
খসখস ঘর্ষনে উচাটন তোমার পরাগরেনুর রন্ধ্রে, 
এলোচুলে শুকানো উদগ্র তেজ।
 হে সরসী দাও তব ভিরু বাহুডোর লুকাতে চাই আমি, 
নাও প্রশয় আমার গর্ভাশ্রয়, 
দাও প্রতিদান আগামী।
টলমল পায়ে তোমার হাত ধরে নবাঙ্কুর প্রজন্ম, আমার হৃদয়ের কথাসাঁকো অন্তমিল চরনে, নেই কোন অন্তরাল স্ফুলিঙ্গ তোমার অবাধ আত্মভরি অহংকারী দৌরাত্ম্যে,
 মাড়িয়ে যাও অবহেলায় আমার প্রতীক্ষার আঁচল।
তোমার স্বীকারোক্তির সোহাগ সিঁদুর ভ্রমে শিবরাত্রি,
 কলসী কলসী দুধ অবলীলায় গড়িয়ে নর্দমায়। অলেখ্য আমার কন্ঠ পিপাসিত তপস্যা ভস্মে ঘি ঢালা,
 উচাটন বদ্ধ উন্মাদ স্বামী,
করতে লেগেছে আনমনে তোমাকে সম্প্রদান অন্যত্র এই তোমার প্রতিদান,
 বুঝলে না গো আমি শুধু তোমার হতে চাই স্বামী।
সূঁচের অগ্রভাগ সন্দিগ্ধ বান দুশ্চরিত্রা, 
গালে খুলতে থাকো আঁচলের পর আঁচল, 
কৃষ্ণা নির্বিকার দূরে থাকা নীরব অসহায় দর্শক, 
ঔদাসীন্য কি বিচার কর্নপাত নতুন অভিসার, বিষেলা বাঁশির উন্মুখ সুর।
অস্তিত্বের নব সালংকারা রূপ তোমার আঁখিপদ্মের উন্মোচনে,
 তোমার নিতম্ব ঊরুর সন্ধিক্ষনে সাগরের নিশ্চিত আশ্রয়, 
কুমারীর খিলখিল সহাস্য অপথ্য স্নেহে প্রেমিকার উপবেশন, 
ভ্রম পিতৃস্নেহে তোমার হাত ধরে আগামী পথ চলা।
কোমরের দুর্বার যানজট ধাক্কাধাক্কি বস্তাপচা সংসারে,
 ভিরু আলম্ব তোলানি ঠাসা,
 শিড়দাঁড়া কোনঠাসা, 
তবুও দেখ এতটুকু কমেনি মনের জোর,
 তুমি তো শুধু আমারি।

রুনা দত্ত

প্রেম 

*****

ঘুম ঘুম নিঝুম 
নেশা ধরা চোখে
তোর ঠোঁট মেশে
প্রেমের আবেশে
মায়াবী রাতে
দিশাহীন নিশাতে  
চাঁদ যায় ভেসে
 মুগ্ধ জ্যোৎস্নাতে

 ঝিম ঝিম শরীর
 চুম্বনে স্নাত
 বেহিসেবী ঝড়ে
 ভালোবাসায় আদৃত

প্রেম প্রেম ভালোলাগা
ছুঁয়ে যায় শরীরে
তোর ঠোঁট ছুঁয়ে থাকে
 চিবুকে আর অধরে।






 প্রথম প্রেম বা নীল নেশা

************************




দু হাত বাড়িয়ে তোকে আলতো ছুঁয়েছিলাম
হয়তো সেই তুই আমার প্রথম প্রেমিক বা নতুন মুগ্ধতা ছিলি।

প্রেমের তীব্রতায় যেদিন তোর ঠোঁট ছুঁয়ে ভালোলাগার আবেশে ভেসে গেলাম সেটাই  হয়তো আমার প্রথম চুম্বন ছিলো।

তোর নিঃশ্বাস প্রঃশ্বাসে মিশে গিয়ে যখন
তোর ভিতরে নিজেকে আবিষ্কার করলাম
 হয়তো সেটাই আমার সঙ্গমের প্রথম
 অবকাশ যাপন ছিলো।

  আমার প্রথম প্রেম আমার প্রথম চুম্বন 
  প্রথম সঙ্গম এখনো বড় বেশী উজ্জ্বল
  অমলিন আমার স্মৃতিতে।

  এখনো তোর জন্য বিনিদ্র রাত বিরহী 
  প্রহর একলা জাগা আমার অভ্যাসে
  শিরা উপশিরায় মজ্জায় ধমনীতে । 
  
  তাই এখনো যেনো নিবিড় আশ্লেষে তোকে
  খুঁজে চলি আমার বেদনায় বিষাদে 
যন্ত্রণায় 
  ভালোলাগার নীল নেশায়।

নার্গিস পারভীন

এসো অধরা

*************






আকাশে শুক্লা পঞ্চদশী শশী!
আর আমিও চপলা অপ্সরা উর্বশী!
বহুচারিণী? হলাম না হয় আজ!
খুলেছি গহন গোপন মনের ভাঁজ!

বিশ্বের যত সুন্দর আমি ছোঁব!
বন্য তারুণ্য অরণ্য ভালোবাসায় ভাসাবো!
দিনে ঝাঁঝালো রোদ রাতে মায়াবী আলো!
মিছেমিছি সতীপনা গেলই আমার গেল!

ওলো নিশীথ ফুল মল্লিকা চামেলী!
বাতাসের সাথে আমাকে নিয়ে কি এত বলাবলি?
নির্বাসন নিয়েছে কষ্টসঙ্গী নিদারুণ অভিমানে!
তাই কি ফিসফিস ছড়িয়ে দিচ্ছিস সুবাসিত গুঞ্জনে?

এই জোছনা বাজায় একটানা কত্থক নৃত্য!
ভেঙেছি আমি লক্ষ্মণরেখা আরোপিত বৃত্ত!
এ জগতে পরতে পরতে নেশা নেশা মদিরা!
নেবো আস্বাদ পেতেছি ফাঁদ ধরতে সব অধরা!

তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়




শুধু তুমি 
**********




মনেই ফাগুন থাকে,সে যে রঙের নেশায় ডাকে।
দখিন হাওয়া নানান ছলে, তোমারই নাম যায় যে বলে।
দূরের বাঁশি বেজে ওঠে কোন সে মেঠো সুরে।
তুমিই তখন খেলা করো আমার এ মন জুড়ে।
মনে আগুন জ্বালিয়ে দিলো শিমুল পলাশ এসে।
প্রেমের কথা বলতে ভ্রমর ফুলের পরে বসে।
কোকিল তখন কুহুতানে গাইতে থাকে গান।
নদী তখন কুলকুলিয়ে তোলে মধুর তান।
সবাই মিলে ছন্দে-তালে, সুর মিলিয়ে গানে গানে।
তোমার কথাই আমায় বলে, নানান মধুর মধুর ছলে।।

উজ্জ্বল ঘোষ






রক্তপ্রবাল
***********



      
অনামিকায় জ্বলছে রক্তপ্রবাল...
সেজমাসি ফিসফিস বলে গেছে মাকে
বড়মামা স্পষ্ট
বাবা পায়চারি করছে
মা ভয়ে মরছে...
কেউ বলে কলাগাছ, কেউ নারায়ণ...
শেষে স্থির করে.....
আমি তো ভীষণ ছোট
বড় হ'তে চাই!
আত্মগত লজ্জা ভাবে
আর কি উপায় নাই!...
সে অনামিকায় জ্বলে রোজ
আমার চিতা
আমি কি আদৌ জীবিত ?