নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সুনন্দ মন্ডল



2নম্বর প্ল্যাটফর্ম ...
******************     

                
শীত কুয়াশা ভেঙে সেদিন পৌঁছেছিলে বর্ধমান।
অনেক সাথী ছিল তোমার!
শুধু আমি ছিলাম রামপুরহাটে
২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
এখান থেকেই তুমিও গন্তব্য শুরু করেছ।
নির্জনে একা শেষ প্রান্তে আমার আমি!
তুমি বলেছিলে সাথে যেতে
কিন্তু যাওয়া হয়নি।
রামপুরহাট বাজার পুরো চষে
প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়িয়ে আছি।
অনেক রাত হয়ে গেছে।
রাতের বাতি গুলো স্পষ্ট জানাতে চাইল
আমার ঘরে ফেরার অপেক্ষায় মা
লণ্ঠনের আলো জ্বেলে বসে আছে।
বাল্বের আলোয় বাবার ঘুম ভেঙে যায় সেই ভয়ে।
আমি যখন মুরারই তখন ১০টা!
ইন্টারসিটি লেট।
তোমার ফেরার কথা ছিল
কিন্তু দেখতে পেলাম না।
ফোন যদিও মানুষকে অনেক কাছে এনে দিয়েছে
তবু সেদিন তোমাকে পেলাম না।
শেষ কল করলাম প্রায় ১১ টা রাত
একজন বলল, "ফোনটা স্টেশনে পরে আছে,
বাজছিল! তাই ধরলাম।"
আমি বললাম, "ফোনের মালিক কই?"
"নম্বরটা তো একটি মেয়ের!"
"এটা কোন স্টেশন?"
সে বলল,"রামপুরহাট"
আমি লোকটিকে খোঁজ করতে বললাম।
অনেক খোঁজ করে একটি লাল চাদর
বেগুনি ওড়না আর একটি শান্তিনিকেতনি
ব্যাগ পাওয়া গেল।
আমি সব শুনে অস্থির হয়ে গেলাম
বললাম," মেয়েটির কোনো খোঁজ পেলেন?"
সে বলল, "না স্যার! এখনো পাইনি!"
আমি উচ্চস্বরে বললাম,"একটু দেখুন তাড়াতাড়ি!"
শেষে যখন জানতে পারলাম ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে
ধারে মেয়েটির দেহ পরে আছে!
আমি হতবাক।
লোকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ
করলাম।
আমি বাইক নিয়ে বেরোলাম,
পৌঁছলাম তখন প্রায় রাত ২টা।

অনিরুদ্ধ বাগচী



অয়নিকা ও বুদ্ধপূর্ণিমা 
*********************



বৈশাখের কিছু পরে জ্যৈষ্ঠের সেই রাতে
 দূরবর্তী কোন সানাই'এর সুর,
যেন তিমিরনাশিনী এক জ্যোতি।
উ‌ৎসুখ সুখী মানবের আনাগোনা
বিক্ষুব্ধ যেন কাদের কথাবার্তা;
আমি বসে একা বৃষ্টি হলো কি হলোনা                                             তার হিসেব নিয়ে,
হিসেবে নেই কোন গলদ।

তবুও,

তবুও অয়নীকাদের নিয়ে ভাবতে হবে
ভাবতে হবে বুদ্ধপূর্ণিমার রাতকে নিয়েও;
কিন্তু, ভাববো কি শুধু আমিই একা?
হ্যাঁ শুধু আমি, হ্যাঁ শুধু একা।


পাপাই সেন



ফিরে যাও 2017 
****************




ভালো কেটেছে দিন তোমার-আমারও
বছর দুই হাজার সতেরো-
ক্লান্ত হয়েছি শ্বাস নিতে নিতে।
দুচোখে দেখেছি পাশবিকতা…
গণধর্ষণের উৎসবে।

একই সেই রক্তমিছিল
কুকুরের জিভ চাটে খুন-খারাপি দিন,
বীরের মৃত্যু অমিতাভের
ভুলব না কোনোদিন-
চোখের কাছে কুয়াশাদিন;মন মেপেছে ফারাক,
এমন দিন গুলো সব-
ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে হারাক।

                  

গোলাম কাদের



খেলোয়াড় 
*************


আমার বাঁশির সুরে ঢেউ জাগেনি, 
হৃদয়স্ত শোনিত নদী পিপাসার ।

কাল-মেঘেরা বৃষ্টিকে আদর জানাই
আমি তিরস্কারে বিদ্ধ পাখিকে খুন করি।

তোমরা রোজ খেলো নিজেদের টানে।
আমার খেলাঘর স্বপ্নিল জগতে ।

চরাচর ব্যাপি মায়াজালে বিদ্ধ  অনাবিল, 
নতুন প্রাণে পাপ আদিম থেকে বর্তমান ।

ভাঙা ঘরে যেখানে ভুতেরাও ব্যর্থ! 
বিষাক্ত সেখানেই,ভয়হীন আমি অব্যর্থ ।

হাতছানির বান্দাযুগল সময়েরই সৃষ্টি 
আমি কামুক,ঠিক ওরাই দূরদৃষ্টি ।

রূপের পরশে সব কিছু মায়াজাল 
রক্ষকই অলক্ষ্যে সাঁতারু জঞ্জাল।

তোমরা গিলে পান করো ,প্রেমসুধা
আজও পারিনি উদরস্ত করতে সততা!

আমার আয়নায় সব মিথ্যে ছবি ধরা
খেলাচ্ছলে তাই ভাঙছে রোজ আনমনা ।

কে অপরাধী?কে বা বিচার প্রার্থী? 
আমি আজন্ম পাপী,আমি বিনাশী!

গৌরাঙ্গ মন্ডল




নিত্যনতুন প্রেমান্তর
*******************

বাকল মোচন, শুকনো পাতা, ঝরে যাওয়া সবকিছু 
উল্টো পিঠে দিচ্ছে টহল কয়েকশো প্রেম। ঘাড় পিছু। 

খোলাই ছিল রাস্তা দু'দিক, পা চেপে যাও পাশ কেটে 
শব্দ পেলেই মৃতেরা ঠিক নেমে আসবে প্ল্যান চ্যাট-এ। 

তার চেয়ে বরং ন্যাংটো হয়ে ঘুম দি এসো। দীর্ঘায়ু। 
লক্ষ 'তুমি'র গর্ভ তুমি অনিন্দিতা প্রেম-স্নায়ু, 

উগড়ে দিচ্ছো!উগড়ে দিচ্ছো!কক্ষে কক্ষে কোপ, জানি
আমারও নেই অসুস্থ ভয়। ব্যাধির অনুসন্ধানী। 

কথার ভাঁজে বাঁধছি শুধু লারেলাপ্পা মস্করা, 
স্পর্শ মেশাও, পাল তুলেছে পেন্ডুলামের শিরদাঁড়া। 

সমস্তই তো স্রোতোস্বিনী চরের নীচে খলবলে, 
চুপসে চোখের দৃষ্টিপাতই টেম্পোরারি ফেল হলে। 

গতি! সে নয় প্রতীক্ষিতা, বহমন্দ্রে উদবায়ী, 
চরিত্রেরা বদলে প্রতি উপন্যাস ও অধ্যায়-ই.. 

আগলাবে না আ়ঁচল পেতে, মেঘ জমেছে এক মনে;
আমার হৃদয় কুরবানী দি নব্য প্রেমের অঙ্গনে।

সিলমী ইনতেজার



বিধিবাম
*********


এ কেমন বিধির ব্যামো!
গুরু দেয় চণ্ডালে নমঃ।
ক্যাকটাসের কাঁটাও নাকি সুর তোলে?
চাঁদ নাকি ফেঁসেছে আজ কুন্তলে!
মরীচিকা আর চোরাবালির বস্তিতে
ষষ্ঠ তীর বিঁধছে মা কুন্তিতে।
টিপ আজকাল কালোও ভালো?
ছন্দ মিললেই কবি হলো?
হাসাতে তো ভাঁড় ও পারে।
হাসিয়ের ঘরে কি জীবন ফেরে?