নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পিয়াংকী






আমিত্ব 
*******



চুপিসারে নৈঃশব্দ এসে লিখে যায় অন্তহীন সংলাপ , 
উত্তাপ পুড়িয়ে তৃপ্ত হয় বিভাজিকা , 
সমাজের চিলেকোঠায় যখন প্রেম মাপে নিষিদ্ধতা ...
ঠিক সেই মুহূর্তেই পিয়াংকী পোশাক ছেড়ে আমি হয়ে উঠি তোমার অনিন্দিতা॥

কবিতাযাপন আত্মায় আঁকে বিশুদ্ধ শ্বাস , 
মুহূর্তরা বন্দী হয় খাতার সাদা পৃষ্ঠায় 
অলৌকিক আতিশয্যে ক্রমাগত মুড়তে থাকি অস্তিত্ব 
উপপাদ্যের পাতায় স্পর্শক , আমায়  উৎসর্গ করে চেতনায় ॥

বৈশাখী চ্যাটার্জি







সর্বনাশ 



এক অদ্ভুত ভালোলাগা ছুঁয়ে গিয়েছিল । 
তোমার নিস্তব্ধ অবয়ব জুড়ে ভেসে বেড়াতাম আমি , একটা সাদা মেঘের মতন। 
কতবার তোমায় বৃষ্টি ভিজিয়ে গেছি । 
তার থেকেও বেশি ভিজেছি নিজে । 
কি স্বছন্দে তুমি অস্বীকার করে গেছো ওই বৃষ্টির জল । 
কি স্বছন্দে তুমি জানাতে পেরেছ আরো কতো মেঘ আসে -ভেসে বেড়ায় তোমাকে ঘিরে । 
কিছু কষ্ট কথা নষ্ট ঘরে ভাসে , 
কিছু ভালোবাসা ফিরে যায় ফিরে ফিরে আসে । 
তুমি আমার তেমনটি এক সুখ । 
ভাঙ্গা আয়নার প্রতিফলনের বিরাট অসুখ। 
আজ বলছি ভালোবাসি । 
তোমায় ছুঁয়ে হাসি । আমার বৃষ্টি গুলো তোমায় ঘিরে ঝরে।  
ভাঙ্গা আমার ঘর 
কালো তোমার ঠোঁট 
মন সর্বনাশে পোড়ে । 
পোড়া বাতাস ওড়ে । 

সুদীপ ঘোষাল







রোদবেলা



ভট্টাচার্য পাড়ার দুর্গাপুজো দেখলেই মনে পড়ে বাল্যপ্রেম,অমিতের।কাঁসর    ঘন্টা বাজত আরতির সময়।অমিত ভালো কাঁসর বাজাত।আর তাছাড়া সীমার মুখ দেখবার লোভে ছুটে চলে যেত পুজোমন্ডপে।অমিত আরতির ফাঁকে দেখে নিত সীমার    চোখ।তার চোখের নজর অমিতের দিকেই থাকত। অমিত সারাদিন তাকিয়ে থাকত ওদের বাড়ির দিকে।যদি একবারও দেখা যায় সীমার মুখ। অসীম খিদে চোখে কেটে গেছে তার রোদবেলা।

আজও বাহান্ন বসন্তের পরে অমিত ভুলতে পারেনি তার অতৃপ্ত প্রথম রোদবেলার কথা...

ঋজুলেখা দত্ত







অলীক মানুষ
************



ফসকে যায় , ক্রমাগত অবিরত
সে ফসকে যায় , অনেকবার
তার মুখোমুখি হয়েছি
চেপে ধরেছি তার খসখসে হাত
অভিজ্ঞতার কর্কশ ছোঁয়া ,
কখনোবা নির্ঘুম রাতের
নির্জন বাঙ্ময় অন্ধকারে
তার সাথে নিজেকে মিশিয়ে
দিতে দিতে বলেছি -
''বল্ না - তুই কি চাস ? ''

আমি কাঁদলে - সেও নিঃশব্দে কাঁদে ,
আমি হাসলে - সেও কেমন হাসে ,
আমি রাগলে - ওর মুখটাও কেমন
রাগী রাগী দেখায় , কিন্তু ..
প্রশ্নের জবাবে সেও একই
প্রশ্ন করেছে - নিরুত্তর দৃষ্টি !

সত্যি বলছি আয়নার পিছনের
অলীক মানুষটাকে আজও চিনতে পারিনি !

মৌসুমী রায়




নদী ও ক্ষ্যাপা
************




ওই যে ক্ষ্যাপাটা উদলা গায়ে
নদীকে ছুঁলো নদীতে শরীর ডোবালো
নদী ভুলে গেলো নিজের গতিপথ।
আজ রমণের দাগ তার কাছে ধারালো।

নদীর শরীরের নোনাস্বাদ বাড়ছে
বাতাসের পাতায় জলের কালি দিয়ে লেখে
তার শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে গোপন কবিতা
ক্ষ্যাপার মুখ নির্লিপ্ত প্রেমহীন দেখে।

নদী পালাচ্ছে দূরে কোথাও হারাচ্ছে
কতটা পালালে আবার মিলন হবে জানেনা
নিষ্কাম নগ্নতায় জড়িয়ে শুয়ে থাকবে শুধু
ক্ষ্যাপা বিনে মিলন পূর্ণতা পাবেনা।


জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি








মাল খসানোর আগেই ছিঁড়ে যায় বিচি


বাল, ওসবে কিস্সু হয় না

জল পড়ে
পাতা নড়ে
আলো আলো
কালো কালো
ভিজে গেছে বুক…..

তা বাল, চেটে খেয়ে নে

যত্তসব,
চোখ ভাঙে
বুক ভাঙে
কতোরূপে কতো জলাধার

মাল খসানোর আগেই ছিঁড়ে যায় বিচি