নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সৌমিক মৈত্র






১।।

যতক্ষন না ফুরিয়ে যায়, ততক্ষন অবদি সবকিছু রঙীন;
চোখ আলোর কাছে ঋণী আর অন্ধকার মোমবাতির কাছে।

২||

ভেঙে গেলে তা বিচ্ছিন্ন, মচকে গেলেও তা আটকে থাকে শুকিয়ে যাওয়ার আগে অবদি।।

৩||

জল জীবনের জল ধ্বংসের, পরিস্থিতি বেছে নেয় মরা বাঁচা।

৪||

মৃত্যুর পর মানুষ রূপে কুৎসিত হয়, আর গুনে সুখ্যাত।।

৫||

বিছানার সাথে নিঃশ্বাস ভাগ করতে শিখলে তবেই একসাথে বাঁচা যায়।।

শব্দ জব্দ (৩) : আজকের শব্দ " অক্ষর"






অক্ষর : অক্ষর বলতে আমরা বুঝি বর্ণমালা প্রতিটি বর্ণকে । 

অভিধান অনুযায়ী 

অক্ষর বি. 1 বর্ণ, letter (অক্ষরজ্ঞান); 2 যার ক্ষরণ নেই অর্থাত্ ব্রহ্ম, পরমাত্মা; 3 শিব; 4 বিষ্ণু; 5 আকাশ; 6 (ছন্দ.) একবারে উচ্চারণসাধ্য শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ, syllable7 (বীজগ.) অঙ্কের প্রতীকরূপে ব্যবহৃত বর্ণ। ☐ বিণ. ক্ষরণহীন। [সং. ন+ √ ক্ষর্+অ]। ̃ .জীবী (বিন্), ̃ জীবক, ̃ জীবিক বি. লিপিকার, মুদ্রাকর, লেখক। অক্ষর পরিচয় বি. বর্ণজ্ঞান; বিদ্যারম্ভ (চার বত্সর বয়সে তাঁর অক্ষর-পরিচয় হয়); সামান্যতম জ্ঞান (এ বিষয়ে তার অক্ষর-পরিচয়ও নেই)। ̃ বিন্যাস বি. বর্ণ সংস্হাপন, লিখনপ্রণালী। ̃ বৃত্ত বি. অক্ষরসংখ্যার দ্বারা নিরূপিত বাংলা ছন্দবিশেষ (কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত)। ̃ মালা বি. বর্ণমালা, alphabetঅক্ষরে অক্ষরে ক্রি-বিণ. যথাযথভাবে, হুবহু।

এবার একটু অক্ষর নিয়ে ভাবা যাক :

এই যে আমরা রোজ লিখছি বা পড়ছি সেটা যেকোনো ভাষায়ই হোক না কেন প্রতিটি ভাষার একটা অক্ষর আছে ,আমরা বাংলা অক্ষর ও ইংরেজি অক্ষর জানি বুঝি লিখতে পারি ,কিন্ত চাইনিজ বা জাপানিজ অক্ষর বুঝতে পারি না পড়তেও পারি না ,তেমনি হায়ারোগ্লিফিকের বর্ণ বা অক্ষর গুলো আজও রিসার্চ করার বিষয় ,এই অক্ষর গুলো আসলে এক একটা ছবি যেমন "অ" এটাও একটা ছবি আমরা এটাকে "অ" উচ্চারণ করছি কিন্তুক যারা বাংলা জানে না পড়তে পারে না তাদের কাছে এটা একটা ছবি মাত্র ।
তাই বলা যায় কে অক্ষর আসলে ক্ষরণহীন ,একটি ছবি যার দ্বারা আমরা অনুভূতি ,ভাব প্রকাশকে একটা লিখিত রূপ দিতে পারি ।


অক্ষর শব্দ নিয়ে আজ যারা লিখলেন



"মানুষের চোখের সামনে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে অক্ষর!
'অ' টাই বেঁচে আছে মানুষেরই আগে, বাকি সব ক্ষর।"

              -   সুনন্দ মন্ডল




"অক্ষরের ঠোকাঠুকি তে জন্ম নিলেও নিতে পারে কাব্য

ভাবনার পোষাকে মিশে থাকে প্রবাদও ।।"

               - অরূপ সরকার



"কথা ভুলে যাওয়া শ্রমিকের ফ্যাকাসে শব্দ ঠোঁটে-
বপন করলে অক্ষর-বীজ একদিন গল্প গাছ হয়ে ওঠে।"

           - মেঘনা রায়

"অক্ষর : পরিচিত দেওয়াল লিপি ,
             যতটুকু এই আমি,মৃত্যর আগে রোজ শিখি।"

                - জ্যোতির্ময়

"অক্ষর সবসময় বুলি নয়
কখনো তা প্যারামিটারও হয়।
ঘটেছে কত ঘটনা অপ্রীতিকর
কথা শুনেনি বলে অক্ষরে অক্ষর।"

    -  জিয়াউর রহমান

উজান উপাধ্যায়







নিষিক্ত




স্নান করতে গেছি ভেবে ডুবে গেছি নিষিক্ত ডিম্বাণুর চোখে।

দাঁত খুলে দাঁড়িয়ে গেছি নর্দমায়, শেকড় উপড়ে ছয়ফুট উচ্চতার গাছ চুলে কলপ দিচ্ছে।

তুমি জানতে, আমি স্নানে। শহরের সব জল আমার শরীরে-

এইভাবে শুকিয়ে যাচ্ছি রোজ। আমাকে ভেঙেচুরে শহরের গাধাদের ঘর সংসার।

তোমার কোলেপিঠে চড়ে এইভাবে সন্দেহজনক হয়ে বেড়ে উঠছি। চাঁদ পর্যন্ত আমার পচাগলা হাত।

শব্দ জব্দ (২) : আজকের শব্দ " কথা"





শব্দ জব্দ : শব্দ জব্দ শুনলেই একটা লেখা মনে পড়ে যায় শব্দ নিয়ে যার শব্দ যাদু যার লেখায় 

"শব্দ কল্প দ্রুম



সুকুমার রায়


ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম, শুনে লাগে খটকা-
ফুল ফোটে? তাই বল। আমি ভাবি পটকা!
শাঁই শাঁই পনপন, ভয়ে কান বন্ধ-
ওই বুঝি ছুটে যায় সে ফুলের গন্ধ?
হুড়মুড় ধুপধাপ- ওকি শুনি ভাই রে!
দেখছ্ না হিম পড়ে- যেও নাকো বাইরে।
চুপচুপ ঐ শোন! ঝুপঝাপ ঝ-পাস!
চাঁদ বুঝি ডুবে গেল?গব গব গবা-স।
খ্যাঁশ খ্যাঁশ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ, রাত কাটে ওই রে!
দুড় দাড় চুরমার - ঘুম ভাঙে কইরে!
ঘরঘর ভন ভন ঘোরে কত চিন্তা!
কত মন নাচে শোন - ধেই ধেই ধিনতা!
ঠুং ঠাং ঢং ঢং, কত ব্যথা বাজে রে-
ফট ফট বুক ফাটে তাই মাঝে মাঝে রে!
হৈ হৈ মার মার 'বাপ বাপ' চিৎকার -
মালকোঁচা মারে বুঝি.? সরে পড়, এইবার।"



তাই শব্দ নিয়ে কিছু কাজ করার চেষ্টায় আমাদের একটু শব্দ খোঁজার চেষ্টা ।

আজকের শব্দ  "কথা" 

কথা নিয়ে যারা লিখলেন 

"স্পর্শ কর মন ছুঁয়ে দেখো 
শিশির ভেজা ধান ,
এমনিই প্রাণ পাবে কথারা সব
এতো শব্দের আয়োজন বৃথাই আমার।"

        -  বর্ণা দত্ত

"হৃদয়ের চোরাকুঠুরিতে জমে আছে  নানা কথা 
বলি বলি করে বলা হয়  না তো 
জমে আছে হৃদয়ে সে ব্যাথা 
থেকে থেকে হায় 
চোখ ভরে যাই,  বেড়ে ওঠে ব্যাথা টুকু 
দীর্ঘনিঃশ্বাসের ছাতায়।"

          - মান্নুজা খাতুন

"অনেক অপ্রিয় কথা যা সত্যও হয়,
অনেক সত্য সবসময় প্রিয় হয় না।
বাস্তবতার ভিড়ে অহেতুক কথাও গল্প বানায়,
সত্যি মিথ্যের আমদানি রপ্তানিতে মজেছে জমানা।"

            - সুনন্দ মন্ডল


"ঠোঁট ঠোঁট রেখে বুনে চলি কথা 
নীরবতার ভাষা সহজ নয় বোঝা।
কথার ভীড়ে হারিয়ে গেছে সবাই একলা একা,
কথার মুখোশ চাপিয়ে নিয়েই ঘরের পথে ফেরা।"

            - অরূপ সরকার


"
কথার কথায় সময় কাটে
কাটে কথার ভালো লাগার ঘোর...
তোর দেওয়া সেই ইচ্ছেডানায়
কথা পায়না উড়ান দেওয়ার জোর।"

          - মৌসুমী রায়

" কথার উপর বৃষ্টি পড়ে নৌকো আসে ঘাটে,
মুঠোর মাঝে গল্প উড়ে কান্না বিকোয় হাটে।
শহর জুড়ে জীবন পুড়ে ধূলোয় মাখা চিমনি,
তোমার কাছে চাইতে গিয়ে দাঁড়াই ঘুরে এমনি।"

               -  অরুণাভ নিয়োগী




"চোখে চোখে আর কতো দেখা হবে
প্রিয়তম লাজুকলতা
আর দেখা নয়, আজ ছুঁয়ে তোমাকে
বলবো মনের কথা।"

          -শাহীন রায়হান

"কঠিন কথা সহজ করে বলতে সহজ কথা জটিল হয়ে যায়..."

          -অনিমূল ইসলাম

"কথার পরেও কথা থাকে 
কথায় কথায় কথা বাড়ে
সঠিক কথা অনেক সময় 
হারায় নানান কথার ভারে"

   - মোঃ গোলাম মোস্তফা লিটু

"জমে থাকে কথা প্রকাশিত শব্দ রূপে,
পুড়েছিলো রক্তিম পলাশ বিষাক্ত 'ধুপে'।"
          
        - রৌনক হাজরা 


"সজীব বলে অনর্গল
জড়ের কথা মনে,
প্রকৃতি বলে সবার কথা
ক'জন তা শোনে!"
        
     -বৈশালী ব্যানার্জী 


কথা : ফুরিয়ে যেতেই অভিমান  জালিওয়ালবাদ 

        - জ্যোতির্ময়

কৃতী রায়





অন্তর্বর্তীকালীন...



ঝুপ করে নেমে আসা বসন্তের সন্ধ্যেয় ঝরে পড়ে কোনো মায়াবী গন্ধ! তোর বুকের ছাদে উঁকি দিয়ে দাঁড়াই ক্লান্ত আমি; চুল খুলে দিই। বিপদ বাড়তে থাকে, তুই ঠোঁট এগিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত। বাইরে বিধ্বস্ত রাষ্ট্র জ্বলছে প্রতিকূল হাওয়ায়। বুলেটে বুনে দেওয়া তাত্ত্বিক উপত্যকায় গোলাপ বাগান চোখে পড়ছেনা দূরবীনেও।
 তুই জামার বোতাম খুলে রেখেছিস আজ অজান্তেই।আমি ভালোবাসার স্পর্ধায় তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। তোর দেওয়া নাম ধরে ডাকতেই পরিচিত হাসি ছড়িয়ে পড়লো আমার আনাচেকানাচে। তোর চশমার ওপার থেকেও একই রকম আলো। আর প্রত্যেকবার এভাবেই ফোনের স্ক্রিনে ভিডিও কলে কয়েক'শ কিলোমিটার দূর থেকেও তুই আমায়ে ছুঁয়ে ফেলিস অবলীলায়। আমি মুখ নীচু করে ফেলি লজ্জায়। তুই এগিয়ে এসে কপালে এঁকে দিস চুমু। অপটিকাল ফাইবারের ডিজিটাইজড পৃথিবীতেও সে স্পর্শ আমাকে ছুঁয়ে ফেলে ঠিক কোন অদৃশ্য সূক্ষ্ম তরঙ্গে। বিজ্ঞান কোনোদিন কি তাকেই "ভালোবাসা" নামে ব্যাখা দেবে!?..হয়ত বা। জাগতিক কিলোমিটারের হিসেব পেরিয়েও আমাদের মাঝে ঠিক কোনো দূরত্ব থাকেনা আর।তুই আমাকে স্পর্শ করিস, আমি তোকে আদর। তুই আমার চুল সরিয়ে দিস ব্যক্তিগত মুহুর্তে, আমি তোর বুকে মুখ! তুই আমার কোলে শুতে চাস ব্যস্ত দিনান্তে, আমি অভিমান করে তোর চোখে চোখ।
ভেবে দেখেছিস,যে পৃথিবীতে তুই আর আমি আস্ত একটা জড়পদার্থ  ফোনের দু'প্রান্তে থেকেও ভালোবেসে ফেলছি দূরত্ব সরিয়ে ! সে পৃথিবীতেই, "ধর্ম", " বর্ণ", "জাত" আরোও কত কি নামের কিছু অদৃশ্য অন্তর্বর্তী বস্তু দিয়ে একে অপরকে আলোকবর্ষ দূরত্বে সরিয়ে দিচ্ছে কত্ত মানুষ!.... অদ্ভুত, তাই না?


জয়তী দাস





"সত্যের মুখোমুখি,,



যতটুকু বিনিময় হলো সারাদিন,
সবাই একই শিকড়ে ভিন্ন ডালে জুড়ে জুড়ে -

যা কিছু স্পষ্ট - ঠোঁট থেকে বেরিয়ে যাওয়া শব্দ
যা কিছু অসংগত সংলাপ- হঠাৎই গেলো মুছে !

অস্পষ্ট আলোয় দীঘির জল কালো হয়ে আসে-
চোখের সামনে প্রতিটা মলাট ছেঁড়া মনেহয়!
সাজানো পাপড়িগুলো ছড়িয়ে আছে; অনাবৃষ্টির মুক্তো ছটায়!

কয়েকশো বার প্রমাণ লোপাট করে বারবার আয়নার সামনে,
রুমালে মুছে নেওয়া যথেচ্ছাচারে শনাক্তকরণের দাগ!
লুকিয়ে পড়া দেহঘরে;সেজে ওঠা জমকালো পোশাকে-

বদলাবো ভাবতেই সেই কবিতা হতে চাই আজ,
কলমের কাছে আর্জি; স্পষ্ট হোক সেই অন্ধকার -

জীবনকে সত্যের মুখোমুখি কাঠগড়ায় টেনে আনতে ;
কঠোর কিছু শব্দের মুখোমুখি! কবিই দাঁড়াক -