নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সন্তাপন : রিনা রানী দাস



গেঁথে রাখো যদি প্রিয়ভাষী- শকুন্তলা সন্তাপন
ঘন-ঘোর বনে অমা-বৃষ্টি চঞ্চলা হরিণী যত...
আখছোবরার অধিকালে যাঁতে মায়াবী ক্ষতই
’সরাবান তহুরা’ পিয়াসী তাপসীর আলাপন।

বিদূষক রাত্রির কিনারে বিনয়ী চাবুক কাঁপে
সারিবাঁধা সেগুনবীথিতে রিনিঝিনি বৃষ্টি ছোটে...
আধ-ভাঙা ছড়ার ভিতর সুক্ত জমে না মোটেই
কি কথা কহ হে, কাপালিক! প্রণয়-ভিক্ষার ভাঁপে।

বিবাগীকানন নিশি জাগে, শতবর্ষী অপেক্ষায়!
কোন কু-লক্ষণে অর্ধ-রাত্রি কাটে প্রদোষের দেশে...
সুখতারা নৌকা নিয়ে আসে রুদ্ধ বারতা শেষেই
অধি-সরসী ঝঙ্কারে নেচে জলকেলি স্বপ্নে আয়।

চাঁদ-মূখী কথার সন্তাপে দু’টি প্রাণে বাজে ডুগডুগি
প্রেয়সীর নীরব ঘাতক বেদানার রসে বাঁচে হুগি।

আঙুলের কলকেলি :অভিজিৎ দাসকর্মকার



কিশোরীর শেষে
জলজ-শ্যাওলায় লি লি বাতাস,
ঢেউয়ে দোলা অসংখ্য ঘুনসি বাঁধা নস্টালজিয়া

অতঃপর গলায় ছোট্ট মাদুলি আর,
গোরুটির ইউরেনাস অর্বিটে জাবর কাটা বা
পায়রা উড়ে যাওয়া ডট্-বল লেখা দানাটির উপর

পুটুস ফুল বাড়ছে স্যাটেলাইট ছাতা ধরে
কানের কাছে শালিক পাখিটি ওয়েব লেন্থ আঁকা বৃষ্টিদুপুর বলেছিল
ভলতেয়ার তখনো সামনে দাঁড়িয়ে

পাটকুহু পাখিটি মুখে করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নক্সা কাটা টুনটুনি পাখির অভিনয় যাপনের আষাঢ়িকোষ

অহল্যাবাই রাস্তাটি ঠিক
অক্লান্ত জলের বুদবুদ ভিড়ে মিশে গেছে,  আর-
সরবনে দ্রুপদীপদের আলাপ

সা-পা ধরে তানপুরা
সকালে খবরকাগজ হাতে
মৈত্রী চ্যানেল শোনে আর-
চায়ের ঠোঁটে গরম ক্ষণিক চুমু, এতে -
শিবরঞ্জনী ও রাগ হারায়

কবি শান্ত হয় কলমে 
প্রেমিকার কোলে মাথা আর
আঙুলের কলকেলিতে আঙটির কলাকোষ
সোনা-জল হয়ে বয়ে যায়...

অলৌকিক নুপুর ধ্বনি: সুমিত মোদক



শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি হয়ে বাজতে পারি তোমার বুকে , শ্রীরাধিকা ;
আবার তোমার পায়ের নূপুর হয়ে  শব্দ তুলি
শ্রীকৃষ্ণের গভীর থেকে গভীরে
প্রেমিক হৃদয়ে ;
আমিই পারি ....
আমি যে তোমাদেরই সুর-তরঙ্গ ;
#
যমুনার জলকে ছুঁয়ে আসার সময় গুলিকে একের পর এক ধরে রাখতে জানি ;
মনে রাখতে জানি মহাকালের স্বরলিপি
বসন্ত-বাহার ...
#
শ্রীরাধিকা , তুমি বার বার জন্ম নিতে জানো ;
শ্রীকৃষ্ণ বিরহে দুচোখ ভেসে যায় জলে  ;
তবু , তোমার কোনো অভিযোগ নেই  ,
অনুযোগ নেই সময়ের কাছে ,
শ্রীকৃষ্ণের কাছে ,
এই জীবনে ....
#
আর আমি যুগ যুগ ধরে বেজে চলেছি মহাকাল হয়ে ;
একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে সময়ের ধারাপাত ,
কদম ফুলের সুঘ্রাণ , বৈষ্ণব পদাবলি ,
আমারই চলচ্চিত্র  ;
#
কেবল , তুমি শ্রীকৃষ্ণে বিভর হতে  জানো ;
আর , আমাকে করে তোলো অলৌকিক নূপুর ধ্বনি  ।

রিসাইকেল বিন: শাহীন রায়হান


ইদানিং হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো নিউরন কোষে
উন্মাদ হয়ে ঘুরে বেড়ায়
প্রতিনিয়ত প্রেমময় নীল যন্ত্রণায় ভূগী
হৃদয় শ্মশানে অতীত সুখানুভূতির
এক ব্যর্থ দামাল ঘোড়া উষ্ণ শ্বাস-প্রশ্বাসের বুদবুদে ডুবে যায় অবিরাম।
.
নিঃস্ব আমি অবাঞ্ছিত চিন্তার পরাজিত মসনদে-
তোমার চির অমর ভালোবাসার
রিসাইকেল বিনে তোমাকে হাতড়ে বেড়াই
কামনার শরাবে।

সীমান্তের শহীদ : অমিত কুমার জানা




প্রবাদে আছে 'বীরভোগ্যা বসুন্ধরা,
বাস্তবে বীর জোয়ানের সব সুখই অধরা।
দেশমাতৃকার রক্ষার দায়িত্ব অর্জনের তরে,
অকথ্য কায়িক শ্রমে নিজেদের গড়ে তোলে তিল তিল করে।
তাদের প্রসর স্কন্ধ একে একে গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ,
তারপর শপথ নেয় নির্দ্বিধায় করতে জীবন সমর্পণ।
যৌবনের স্বপ্ন, সাংসারিক সুখের অপমৃত্যু হয়,
এভাবেই দেশ রক্ষিতে বীর সেনার আগুয়ান অকুতোভয়।
কখনো সীমান্তের তুষার ঝড় গায়ে মেখে নেয়,
কখনো খোলা আকাশকে ছাদ ভেবে রাত কাটায়।
কখনো স্মৃতির আঙিনায় ভেসে ওঠে স্বজন,
অবসন্ন শরীরে অশ্রূমাখা হয় দুটি নয়ন।
এভাবেই দিন রাত কেটে যায় সীমান্তের নিরাপত্তায়,
অন্যথায় দেশবাসীর দুঃস্বপ্ন, ব্যাঘাত অনিবার্য সুখনিদ্রায়।
সারা দেশ যখন নিদ্রাচ্ছন্ন এরা তাকিয়ে থাকে নক্ষত্র খচিত আকাশপানে,
কখনো বা শত্রুপক্ষের বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় তরতাজা প্রাণে।
হয়তো বা শত শত প্রাণ লুটিয়ে পড়ে জঙ্গির বোমা বিস্ফোরণে,
কফিনবন্দী নিথর বিচ্ছিন্ন দেহ ফিরে আসে জন্মস্থানে।
শীততাপের আরামে নেতা মন্ত্রীরা টাকার অংকে করে ক্ষতি পূরণের ঘোষনা,
নতুন শত শত তরুণ পুনঃপ্রস্তুত হয় ,সত্যিই এ তো অমর শহীদদের প্রেরণা।

সামলে পড়ো:- শুভম চক্রবর্ত্তী


রাত্রি যোগায় কালি,
উচ্ছাস দেয় জোনাক।
কিছু বালক আছে,
ওরা খাবার না পাক।

তুমি উপরতলা,
আমি ফুটের 'যাতা'।
তুমি ধর্ম মানো,
আমি পেরোব না পা।

অনেক চিন্তা আছে,
যারা ঘুমায় না রাত।
অনেক স্বপ্ন বুকে,
যারা যাচ্ছে নিপাত।

তাই খাবার আনি
এই তোমার দুয়ার,
তুমি ধর্ম খোঁজো
এই 'প্যকেট' ছোঁবার।

তুমি বুলিও দাও
ঐ সাম্যবাদের,
একি বিচার তোমার
একবিংশ সালের।

আজ লজ্জা লাগে
এই এদের দেখে,
এরা রবীন্দ্র নজরুল এর উত্তর
এরা কী বা শেখে।

যদি সোজায় লিখি,
আমি দেশদ্রোহী।
তুমি সামলে পড়ো
জপি ত্রাহী ত্রাহী।