নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পোষাক : আমিনুল ইসলাম




নগ্নতাদের একত্র করলে তারা লজ্জায় পোশাক খোঁজে
প্রতিশ্রুতি নিয়ে ওরা নিজেদের ঢেকে নেয় অন্ধকারের আড়ালে।
রাতের নগ্নতা জুড়ে আড়াল খুলে খুলে খুঁজছি তাদের 
নগ্ন শরীরে আয়না নির্বাক দাঁড়িয়ে নিজেকে আরও একবার যাচাই করে
মেঘের আড়াল ঠেলে সূর্যের নগ্নতা দেখার চোখ নেই তোমার চোখে
আসলে যা দেখ সবই রেটিনায় সাজিয়ে রেখেছে অন্য কেউ
অন্যের আবর্তে আবর্তিত হতে হতে খুঁজে চলেছো সভ্যতার নগ্ন পোশাক

সূর্য প্রনাম : সুমিত মোদক




সারাটা রাত ধরে যে ফুল মেলে দিয়েছে পাপড়ি
সুঘ্রাণ ,
সকালবেলা তাকে কি ঝরে যেতে দিতে পারি !
সদ্য যুবতী প্রেয়সীকে বলে রেখেছি
ওড়না বিছিয়ে রাখতে ;
#
আজকাল নদীয়ার পথে পথে হাঁটলেও
ভিতরে ভিতরে চৈতন্য জাগে না ;
জাগে না বৈষ্ণব পদাবলি ...
#
তোমারও তো আসার কথা ছিল
কিছু রাগিনী সঙ্গে নিয়ে সেই মেঠো পথ ধরে
মায়ের নিকানো উঠানে ;
#
কেন জানি না , এখন আর সূর্য প্রণামের সময় পাই না ;
মেলে দিতে পারি না ইচ্ছা-ডানা
প্রজাপতি-রঙ ;
#
অথচ , চারিদিকে সকালের আলো , ফুলের সুঘ্রাণ ,
বৈষ্ণব পদাবলি , নিকানো উঠান , প্রজাপতি-রঙ  ...
#
হয়তো  , আমি আর আগের মতো , তোমার মতো ,
সহজ সরল নেই ।

সাংবাদ : অভিজিৎ দাস কর্মকার



ভূগোলের শব্দে সিবেকের বিজ্ঞান
কানেক্টিং পিপলস-এর সিগনালে

পশ্চিম রাস্তার গাছটি
কবিতা কুড়ায় ছায়ানীচে-

টানটান মুহুর্ত্বরা নীল আলোয়
নাইট মেয়ার হয়ে আছে চোখের ঠিক কোণে।

নিউটন খোঁচা দেয় মাধ্যাকর্ষনে
তৃতীয় সূত্রে আত্মীয়ের এপিটাফ জমে দেওয়ালের অক্ষরে লেখা হয় মহাকাব্য।

ডিজিটাল যোজনা,
রাস্তায় লাল রঙে জ্বলজ্বল করছে-
শুয়ে আছে গণতন্ত্র নামক বিষয়বস্তুটি।

প্রকৃতি হন্নে হয়ে ছুটে চলে, আর সোসিওলজিতে পথ ঝাঁটানির কণ্ঠস্বর।

বন্ধু তোমায় : শুভম চক্রবর্ত্তী



হে হৃদ-সখা,
এই দুরন্ত পৃথিবীর উন্মাদনায়
সবাই যখন একাকিত্বে মত্ত,
আত্ম চঞ্চলতা যখন সবার রক্তে,
স্বার্থপরতা যখন মানুষের একমাত্র বুলি,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল প্রেম।
বন্ধু যখন 'ফেসবুক'এ সীমাবদ্ধ,
আর তার প্রতিদান যখন লাইক আর কমেন্ট,
জীবন-যাত্রা যখন মোবাইলে বন্দী,
মানুষ যখন শূন্যে ভেসে বেড়ায়,
এই ক্ষনে জানাই তোমায় হৃদ-অন্তরাল বন্ধুত্ব।

এসো হে বন্ধু,
আজ এই শুভক্ষনে
লোক দেখানো বন্ধুত্ব কে বিদায় জানিয়ে,
প্রভেদের বেড়াজাল ছিন্ন করে,
সবাইকে আপন করেনিয়ে
মানুষের পাশে দাঁড়াই,
ভালোবাসার সমুদ্র গড়ে তুলি।


পুঞ্জীভূত বিক্ষোভ : অমিত কুমার জানা


খোলা আকাশের নীচে
রোদ বৃষ্টি ঝড়ের সাথে
সভ্য সমাজের আড়ালে
আমরা তাতেও ছিলাম মেতে।

সহনশীলতা হারিয়ে গেলেও
বাঁচার তাগিদে সহ্য করেছি কতো
কষ্টেরাও মাথা উঁচু করেছিল
ওদের সাথেও হয়েছি অভিযোজিত।

জীবন ছিল মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায়
স্বাধীনতা ছিল অফুরান
সারা পৃথিবীটা ছিল ঘর
সেই খুশিতে ভরে ছিল মনপ্রাণ।

হঠাৎ ওরা এসেছিল সদলবলে
দেখিয়ছিল জীবন পাল্টানোর স্বপ্ন
বুঝিনি সে মিথ্যা আশ্বাস
ওরা নাকি দেবে অমূল্য মানিক রত্ন!

তারপর পোড়া ইঁটের মতো করে
ওরা মোদের সাজিয়েছিল উপর্যুপরি
ওদের আড়ম্বর জীবনের ভিত গড়েছিল
মোদের উপর অন্যায় বল প্রয়োগ করি।

ওরা কেড়েছিল মোদের স্বাধীনতা
ক্ষুন্ন করেছিল স্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা
কেড়েছিল মোদের বাকশক্তি
বালি সিমেন্টের আবরণে।
কিন্তু ওরা কি জানে?
মোদের বিক্ষোভের লাভা পূঞ্জীভূত হচ্ছে
সচেতন দুটো ইঁটের মাঝখানে।

অনুপ্রবেশের ধুলো ঝড় ; আমিনুল ইসলাম



আকন্ঠ গিলে ফেলছি নিমজ্জিত পতনের ঢেউ
ঢেউয়ে ওড়নার ফুরফুরে শরীর বিলিয়ে দেয়া
এসবের আড়াল-আবডালে পরাগহীন হয়ে ওঠা ও
অন্যের তাগিদেই মৌমাছি প্রতিপালনের পক্ষ জুড়ে
মোমবাতিটি পুড়ছে
বিবশ হয়ে আসা ঠোঁটের অনুপ্রবেশে দ্রাঘিমায় নিষিদ্ধ
ধূলো ঝড়
ক্রোধের রং লাল জানি, দুরুদুরু ভালোলাগার ভয় মিশ্রণে যে রঙের আবির্ভাব, সে রং সহনশীলতায় ডিপ- ফ্রিজে বরফ জমতে থাকলে
কাঁচ ঝাপসা হয়ে ওঠে
প্রতিনিয়ত চোখের ট্যানেলে স্ক্যান হতে থাকা অবস্থান পরিবর্তন আঁকা হলে
একটি নিপুণ রাত জাগে সমান্তরাল

অতঃপর, ধীরে ধীরে মালতীর নাইট ড্রেসে জোনাকি খুলছে