নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সব অভিমান ভুলে : মান্নুজা খাতুন (মালা)



চলো সব অভিমান ভুলে কল্লোলিনী তিলোত্তমার
জনজোয়ারের ভিড় ঠেলে এসপ্ল্যানেডের ধার বেয়ে
এক শান্ত প্রদোষবেলায় গঙ্গার তীরে।।

চলো পাশাপাশি বসি আরও একবার
সহস্র বছরের পুরানো ; সহস্র স্মৃতির সাক্ষী
বাঁধানো সেই অশ্বত্থের নীচে!
যার ডাল গুলো নুয়ে পড়ে ঠেকেছে মা গঙ্গার বুকে
যার কোটরে এখনও বাস করে
কয়েকশো পক্ষীযুগল ও তার পরিবার।।

চলো ভুলে গিয়ে সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব
আরও একবার আসি কাছাকাছি
দুহাতের মুঠোয় হাতপুরে ; ছলছল নেত্রে
চেয়ে থাকি একে-অপরের পানে  কিছুক্ষন;
করি বিচরনে আবেগের রাজ্যে।।

ভুলে গিয়ে সব অভিমান,   মুছে ফেলে সব দ্বিধাদ্বন্দ
চলো রচি  আরও একবার প্রেমের নিগড়।।
      

শুদ্ধিকরণ: সুমিত মোদক




জেগে উঠে প্রথম সকাল
তানসেনের সুরে ...
সম্রাট অশোকের রাজপ্রাসাদ
দূরে , বহু দূরে ...
#
তোমার মধ্যে সেই শিশুটি
জাগতে দেখি আবার ...
বিক্রমাদিত্যের সিংহাসনে বসতো যে বার বার , এবার ...
#
জল চেয়েছি , প্রাণ চেয়েছি ,
বাতাস চেয়েছি শুদ্ধ ...
তোমার সঙ্গে শুদ্ধিকরণে
আমরা ঐক্যবদ্ধ . .
#
মেলে দেবে সবুজ পাতা
বৃক্ষরাজি , নম্রতায় ...
চাণক্যর অর্থশাস্ত্রে ইলশেগুঁড়ি
বৃষ্টি আজি , সভ্যতায় ....

✍️সম্পাদকীয়....

"শত ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ বৃষ্টি এসে জুড়িয়ে দিল প্রাণ
মরতে থাকা মানুষ জানে,মেঘ,সে বেঁচে থাকার গান।।"



প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে, সময় মত প্রকাশ না করতে পারার জন্য। রোজ অফিস ফেরত ক্লান্ত চোখে হারিয়ে যাচ্ছে সব,সবটুকুই।আসলে সবার খিদে পায়।পকেটে তাই দুটাকা রেখে বাজি খেলছি।

হয়তো এটাই নিকোটিন এর শেষ সংখ্যা,আসলে নিকোটিন সব সময় পুড়ে গেলে ছাই হয়ে যায়।
পরে থাকা এস্ট্রেতে থাকে ঘৃণা।

এইটুকুই থাক তবে আমার নামে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে ,আপনারা যারা লেখা পাঠিয়েছিলেন, সবার লেখা নেওয়া সম্ভব হয়নি ,যাদের লেখা নেওয়া হয়নি তাদের জন্য দুঃখিত।

ধন্যবাদ নিকোটিন এর সকাল বেলা ও রবিবাসরীয়'র সম্পাদক কে  মান্নুজা এ সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হতো না ।।

                                      ধন্যবাদান্তে,

                               জ্যোতির্ময়


বৃষ্টি তুমি নেমে এসো : অষ্টপদ মালিক



বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
রোদজ্বলা ঘাসে
বাঁচার আশায় ওরা যেন
খুসির হাসি হাসে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
ফুটিফাটা মাঠে
মাঠ ভরা ফসল ফলুক
চাষির জীবন পাঠে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
শহিদ স্ট‍্যাচুর বুকে
ধূয়ে যাক ধূলো বালি
বাঁচি মনের সুখে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
পুকুর ডোবা খালে
জলজীব যত আছে
বাঁচুক খুশির তালে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
ঘাম ঘামাচির দেশে
রোদপোড়া মানুষজনে
একটু ভালোবেসে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
বাদল পোকার গায়
টাপুরটুপুর ঝমঝমিয়ে
এসো নুপুর পায় ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
চাতক পাখির ঠোঁটে
ফটিক জলের আশায় ওরা
ছটপটিয়ে ওঠে ।

বৃষ্টি তুমি নেমে এসো
অফিস ছুটির দিনে
ছন্দে সুরে বাঁধবো তোমায়
আপন হৃদয়-বীণে ।

আসুক বৃষ্টি: বৈশালী ব্যানার্জ্জী



আকাশ ডেকে ওঠো একবার ঘোলাটে মেঘ আবার জড়াক তোমাকে 
গনগনে রোদে ঝলসানো ব্যর্থ চাকরি খোঁজা ছেলেটা শান্তহাসি হাসুক
সদ্য প্রিয়জনকে হারানো বিধবা মেয়েটা গল্প
বুনুক নিজের জন্য 
ঋণগ্রস্ত হাড়জিরজিরে অসহায় চাষিটা বুক
ভরুক আশার বিদ্যুৎএ
উদাস বাউল তার একতারা তুলে গলা চড়াক
' বাদল বাউল বাজায় বাজায় বাজায় রে'।
দিন সাতেক পরে আকাশ টা ধূসর রঙের শাড়ি তে ঢেকেছে নিজের সোনার চেহারা ঠিক রঙ্গনা যেমন ভাবে হেঁটে চলে অফিসের দিকে। হঠাৎ চারিদিকটা অন্ধকার করে এল ঝড় উঠল এলোমেলো হয়ে চুলগুলো ঝামড়ে পড়ল মুখের উপর তারপর সব থামিয়ে আছড়ে পড়ল বৃষ্টি তড়বড় করে ভেজাল সব ফুটি ফাটা মাঠে রুক্ষগাছ শুক্ষ নদী সাথে বিবর্ণ ক্লান্ত মুখের রঙ্গনাকেও।

কম্পন : জয়ীতা চ্যাটার্জি



একটা ভূমিকম্প ঘটে গেল হঠাৎই,
কেঁপে উঠল বাড়িটা, বাঁ দিকের
বারান্দাটা ঝুঁকে পরল বেশ খানিকটা
তবু জানলার মুখ যেনো আকাশের দিকে।
দুহাতে অঞ্জলি করতে চায়,
আলো ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকে,
প্রার্থনার মতো পথ খুঁজে ফেরে আলো ভরা চোখে।
বাড়ির ভেতরেই ভীষণ একটা হাহাকার,
অনেক হুল্লোড় ঘুমিয়ে পরছে
 চড়া বিদ্যুৎ ঝলকানির মধ্যে।
মনে মনে ভাবছি কি ভাবে ফেরা যায় চেনা ডাকে।।