নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

একান্ত ব্যক্তিগত : অনিন্দ্য পাল


কোনো কোনো দুঃখ অহল্যা পাষাণীর মত চেপে থাকে
বুকে, সবটুকু একাকিত্বের শুকনো কুয়োয় হাবুডুবু খেতে খেতে মনে হয় আমার জন্য বরাদ্দ নেই বোধহয়
দেবতার টুকরো। পাষাণের মৃত্যুভয় নেই, তবু ঘোর কৃষ্ণ এক রাতে কেঁপে ওঠে অস্তিত্ব, জলজ প্রতিবিম্বের মত অস্পৃশ্য মনে হয় আমার 'আমি'কে। ছুঁতে চাই যখন, আষ্টেপৃষ্ঠে ধরতে চাই যখন, চারিদিকে চেয়ে দেখি, অসংখ্য মিথ্যা ঝুলে আছে নিরুচ্চার বাদুড়ের মত। অথচ দুঃখ এই প্রথম নয়, সময়ের মর্গে থরে থরে শুয়ে আছে সেই সব মনোগত শব। তবু কোন কোন কাঁটা আজীবন গেঁথে থাকে বুকে, কান্না শুকিয়ে জমে থাকে নিষ্পাপ তুহিনের মত।

এ আমার ভুল নয় :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



জীবনের এই সঙ্কির্ণতার মাঝে,
 তোমায় যদি বৃহৎ আকারে কল্পনা করি।
এ আমার ভুল নয়,,
যেমন ভুল নয়,
ধুপের অমীয় সুধায় তোমার শরীরের ঘ্রাণ আমি অনুভব করি।
যেমন ভুল নয়,
 গোধুলী লগ্নে মঙ্গল প্রদীবের নিয়ন আলোতে,,
তোমার প্রতিচ্ছবি দেখে আমি বিভোর হয়ে রই।
যেমন ভুল নয়,  রুদ্রাক্ষরের মালার একশত আটটা,  পুঁথির প্রতিটা পুঁথিতে,, নিরাকারের মাঝে তোমার সাকার রূপ আমি স্পর্শ করি।
ঠিক তেমনি ভুল নয়,
তোমার অস্তিত্বের সন্ধান না পেয়েও,
তোমায় স্বয়ংসম্পূর্ণ রূপে,,
আমার মন কল্পনায় প্রতিষ্ঠা করা।

সুপ্রভা-তুমি নেই বলে :-আল-আমীন আপেল



তুমি  নেই বলে-
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ আজ
চার ঋতুতে বদলি হয়েছে।

তুমি নেই তাই-
নবান্ন উৎসব হারিয়ে গেছে।

তুমি নেই বলে-
কান্নামাছি, ডাঙ্গুলি খেলা
হারিয়ে গেছে।

তুমি নেই বলে-
গাজী মিয়ার বস্তানি
হারিয়ে গেছে।
চম্পুগান, ঘেটুগান
হারিয়ে গেছে।

আর আমার চোখ দুটি,
অজস্র বছর ধরে-
তোমায় একটা বার
দেখবে বলে অপেক্ষায় আছে।

এসো বর্ষা :অনোজ ব্যানার্জী



বৃষ্টি আসে,সৃষ্টি হাসে,আষাঢ় -শ্রাবণ আনে বর্ষা।
সবুজ ঘাসে,সবুজ মাসে,চাষীরা মনেপায় ভরষা।।
গ্রীষ্মের কান্না,মুছে দেবে বন্যা,নদীর দুকূল ছাপিয়ে।
ময়ূরের নৃত্যে,শান্তিতে ফিরতে,সুখপাখী ওড়ে দাপিয়ে।।
বর্ষার ঝমঝম, মনে জাগে কত দম,উড়ে যায় গ্রীষ্মের তেজ।
মাঠঘাট টলমল, শুধু জল আরজল, বাবুদের কী আমেজ।।
ধনী, সাহেবরা,খুশীমন ফুরফুরা,তাকায় সুখে  জানালার চোখে।
নগরের রাজপথ,বরষার কি মদত! হাঁটুজল কে আর রোখে??
বিদ্যুৎ, মেঘ, ঝড়,ভেঙে যায় কত ঘর,বর্ষার প্রচণ্ড তাড়নায়।
দিন আনাদিন খাওয়া ,দারিদ্র্যক্লিষ্ট ,কত লোক ভেঙেপড়ে কান্নায়।
চাষীরা করে চাষ,অন্ন করে বাস,কৃষকের লাঙলের ফলায়।
বরষার করুণায়,পৃথিবী খাদ্য পায়,দারিদ্র্য সভয়ে পালায়।।
হৃদয়ের ভালোবাসা,জাগায় স্বপ্ন আশা,প্রেমিক জোয়ারে ভাসে।
পিয়াসী মরুর বুকে, বিক্ষত যারা দুঃখে, দাঁড়াও চাতকের পাশে।।
পাপীদের যত পাপ,গুণ্ডাদের সংলাপ,ভেসে যাক ধর্মের বন্যায়।
সমাজের খাতা থেকে,সমাধিতে দাও ঢেকে,প্লাবিত সমস্ত অন্যায়।।।

কাছে এসো না ‘র 'বর্ণ : শুভঙ্কর বিশ্বাস


     ‘র’ বর্ণে থইথই জল
   আদিগন্ত কামুক বালিয়াড়ি
স্বপ্ন দেখে..চাঁদ হেসো না আর।
ভালোবাসা রক্তবর্ণের মার্কশিটের
ছন্দ।লকলকে জিভে পরিযায়ী ফুল ,
নারীর স্তনে স্তনে যত মহাদেশ -সাগর।
আমরা উড়ে যাব বাতায়ন ছিন্ন করে,
এসো না আর কাছে।

কাটমানি : শিবানী বাগচী



রাজনীতিতে আজ হানাহানি,
জনরোষে পড়েছে কাটমানি!
দিন রাত হিংসায় হানহানি,
আগুন জ্বলছে জ্বলবে জানি!

মুখোসের আড়ালে ছদ্মবেশ,
দুর্নীতিতে আজ গেলো বুঝি দেশ!
নেতা নেত্রির লুঠতরাজে,
নোংরামিতে হলো আজ সব শেষ!

যারা যা নিয়েছো ফেরৎ দাও,
আমলারা ঝেড়েছে কত শত টাকা!
আজ কেন তবে স্বীকার করে না,
বন বন ঘুরছে যে নিয়মের চাকা?

কোমড় বেঁধে নেমেছে জনতারা,
এবার খুলবে হিসেবের খাতা!
দিদি দাদা তুমি সাবধানে থাকো,
জনজাতির নামে এ সব নষ্ট কথা!

কাটমানি ইস‍্যুতে রাজনীতি আজ,
এলোঝেলো দল নেই কোন কাজ।
ভোটের আগের লুটের বোঁচকা,
খুলেছে এবার বসে করবে রাজ!

এক দল ছেড়ে দল পাল্টাও,
হাত পাল্টে বেশী বেশী ঘুস খাও।
তাই বলি শোনো সময় থাকতে,
যেন কাটমানি সবাই ফেরৎ দাও!