নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বাচাল সময় ,, কবি - অযান্ত্রিক



মূর্খের বাচালতা শুনে আপন কিছু দিন করেছি পর,
কিছু নিন্দার দাম তোমাকেও নিতে হবে  সহিস,
 নামতে হবে মাটিতে ,রাখতে হবে ছিপটি মাটির উপর,
তবেই বুঝবে, প্রশংসা আসলে প্রাপ্য ছিলো নাকি বিষ।

আমার আয়ুনদীর স্রোত স্থিমিত,অধিকার বাড়ছে চরে,
দূর কে কাছের কাছে আনতে লাগছে টলমলে সাঁকো।
সহিস এই মূর্খতার কি দাম দেবে ,মৃত্যুর অনেক পরে,
এই অকালে কি নাম দেবে ভাবো, ভাবতেই থাকো।

চোখের নীচে মেঘ,কালো কিন্তু জলদগম্ভীর নয়,
সহিস তুমি কি সত্যিই বাগে আনতে পারো ঘোড়া,
নাকি আঘাতের ভয় দেখিয়ে বশ্যতা কোরো আদায়
মঞ্চে মঞ্চে বাচলের কীর্তন শুনে ,আর ভালো লাগে না।

হাতে হাতে প্রচার তাবীজ, মন্ত্রের মতো উচ্চারণে লোভ,
বিজ্ঞাপনে ডেকে আনে লোলুপ কদর্য ভিখারী বৃত্তি।
আমি সেরা আমি উত্তম বলে চিৎকার করে সব,
মূর্খের চিৎকারে ঘেন্না লাগে ,থুঁতু উঠে আসে,”সত্যি”।

অমলদার বাস্তবতা বিকাশ দাস (বিল্টু )




রক্তপ্রবাহ স্থিমিত;অলিন্দ -নিলয়ের সংঘাত, আড্রিনালিনের উর্ধ্বচাপ ;বিমূর্ত হয়ে জীবন দর্শন খুঁজি....

পাথরে -পাথরে ঠোকাঠুকিতে স্ফুলিঙ্গ হয় , এই স্ফুলিঙ্গই তো আগুনের জাত, হিসেব বোঝেনা  ;ভস্ম করে নিজেও স্থিমিত হয়....

হিংসা -বিদ্ধেশ , বিবেক -উপলব্ধি মানুষকে শেখায়- ভাবায়  ;মানুষে মানুষে সংঘাত হলে,প্রশ্ন থেকে যায়? বারুদ তো কৃত্রিম ;অকৃত্রিমতার দাবানল তো  দাউ দাউ করে......

উবাচ অমলদা।অলস দুপুরে সব সমীকরণের সমতা আনে, মাত্রা তুলে দিয়ে আলেয়ার ব্যাখ্যা দেয় -এই আলেয়ার রহস্যকে ভাবতে বলে, "সম্পর্ক "-"মাত্রিক" -কি'না?- জানতে চেয়ে কথার ইতি টানে......

স্তব্ধ দুপুরে ভাবতেই থাকি, সত্যিই বড়ই অদ্ভূত অমলদা !খুঁজে পেয়েছি সব উত্তর, রক্ত প্রবাহেরও মানে ;পাথর -মানুষের সম্পর্ক আর জীব -রসায়ন...

               

দেশ //অনিন্দ্য পাল



সময়ের তিক্ত ইতিহাস লুকিয়ে পড়েছিল
ক্যালেন্ডারের পিছনে
ঘৃণার পাঁচিল উঁচু হতে হতে এখন
ঢেকে ফেলেছে মেঘ

 তেতো কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে
অক্টোপাসের মত কালি ছোঁড়ে
গৃহী এবং সন্ন্যাসী

ফুটপাতে শুয়ে থাকা রিকেট শিশু
খিলখিলিয়ে হেসে উঠে পাগলী মা কে বলে
দেখ্ দেখ্ দোকানের টিভিতে
দুটো কাদা মাখা লোক কেমন সার্কাস দেখাচ্ছে!

পাগলী আকাশ দেখে তারপর হেসে উঠে বলে
যা চান করে আয়
ওরা কেউ চান করে না
সব নোংরা
সবাই নোংরা।

#পরস্পর_বিপরীতধর্মী ,, রাহুল কর্মকার



নাহ ঋতু আমার সমস্যা নেই তোমার চলে যাওয়া নিয়ে , হয়তো তুমি যেভাবে বাঁচতে চাও সেভাবে পারতে না আমার সাথে হয়তো এটা বুঝতে তোমার এতোটা সময় লেগেছে কারণ এতো দিন তোমার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি তাই ॥
আজ তুমি আমার থেকেও বড়ো চাকরি পেয়েছো , মাইনে বেশি তাই হয়তো অনেক কিছু তোমায় হাতছানি দিচ্ছে তাই হয়তো আমাদের সেই একসাথে শিমলা যাওয়ার প্ল্যান প্রথম রাতে 'এই রাত তোমার আমার 'গান করার প্ল্যান , রাতে হটাৎ বাইক নিয়ে long drive এ যাওয়ার প্ল্যান , বৃষ্টি হলে বারান্দা তে একসাথে ভেজার প্ল্যান আর ওই একে ওপরের পরিপূরক হওয়ার প্ল্যান ওসব আর আনন্দ দেয়না তোমায় ।
নাহ ঋতু আমার সত্যি সমস্যা নেই তোমার চলে যাওয়া নিয়ে আমি আজকাল আর তোমার মধ্যে সেই প্রেমিকা কে খুঁজে পাইনা ,খুঁজে পাইনা নিজেকে তোমার মধ্যে কোথাও ॥
have a nice life 😊

have a nice life ! মানে টা কি অমিত , হ্যাঁ আমি চাকরি পেয়েছি আগে তো কি ! তুমিও পাবে তার মানে ছেড়ে চলে যেতে হবে তোমায় ।
দেখো এতো দিন একসাথে এতো মুহূর্ত কাটিয়েছি এতো স্বপ্ন দেখেছি দুজনে , হ্যাঁ অবশ্যই তোমার চাকরি পাওয়াটাও দরকার কিন্তু আমি আগে পেয়ে গেছি বলে ড্যাং ড্যাং করে বাবার দেখা ছেলে কে বিয়ে করে তোমায় ছেড়ে চলে যাবো সে আমি পারব না । তুমি চেস্টা তো করছো দেখবে পারবে নাহলে কিছু না কিছু করলেই হবে দুজন সব manage হয়ে যাবে , ফালতু কথা আর বলবে না ॥
এবার congratulation জানাও তো ভালো করে ।

congratulation
সত্যি বলো সুমি আমাদের কতো লড়াই করতে হয়েছে তাই আমরা আজ একসাথে , এই congratulation টা তোমার জন্য তোমার এই লড়াইয়ের জন্য , কিভাবে তুমি তোমার বাবা মা কে বোঝাতে পেরেছো যে আমরা ভুল নয় কিভাবে নিঃশব্দে লড়াই করে গেছো আমার চোখের আড়ালে কিভাবে অপেক্ষা করেছো সঠিক সময় আসার জন্য । কিভাবে পারলে তুমি আমার কথা বোঝাতে ওনাদের , আমার সাথে কথা না বলেই কিভাবে ওনারা মানলেন ?
ভালবাসলে আর বিশ্বাস থাকলে মেয়েরা পারে ওতো বুঝতে হবে না ।
শুধু পাশে থেকো ॥

শুধু পাশেই তো চেয়েছিলাম সুদীপা, আজ বলছ তোমার নাকি বাড়িতে মানবে না যেখানে আমি ভালো চাকরি করি , তোমাকেও ভালোবাসি ,
সুদীপা তুমিতো কথাও বলতে দিচ্ছো না তোমার বাড়িতে ।
এইভাবেই হেরে যাচ্ছ এইভাবেই মেনে নিচ্ছ , আমায় চেস্টাটাও করতে দিলে না ॥ বেশ জোর করবো না ॥
All the best .

Be happy 😊

চাইছি এখন; চাইছি না কবি: মনদীপ ঘরাই



খুব বেশি তো চাই নি আমি!
সকাল সকাল ধোঁয়া ওঠা উষ্ণ তোমার একটা ফোন...
রিসিভারের ও প্রান্ত থেকে দরদ নিয়ে
জানতে চাইবে: তুমি ভালো আছ তো?
আমি ইথারে ভাসিয়ে দেব উত্তর:
ভালো আছি। ভালো আছি।

খুব বেশি কি চেয়েছি আমি?
আনমনা দুপুরে ক্ষুদেবার্তার ভেলায় আসবে ভেসে:
এখনও খাও নি কেন? চুপ করে খেয়ে নাও।
আমি ক্ষুধার্ত বাঘের মতো খেয়ে নেব
দুপুরের রোদ, যানজট আর অপেক্ষার সব মেঘ।
তারপর তৃপ্তি করে বলবো:
তুমি না থাকলে কী যে হতো আমার!

এর বেশি তো চাই নি আমি!
ক্লান্ত সন্ধ্যায় মেসেঞ্জারের উত্তাল জগতে টুং করে শব্দ হবে দুবার। তুমি লিখে পাঠাবে:
ভালোবাসি। ভালো থেকো।
আমি তোমার জন্য ভাল থাকবো পুরোটা সন্ধ্যে-রাত।

রাত। ও হ্যাঁ, রাত।এখন অনেক রাত।
যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নীরবতার ক্যাপসুল খেয়ে ঘুমাচ্ছে রাতের পর রাত।
ওরা জানেও না, এ কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গাতে তোমার লাগে মুহূর্তখানেক সময়!

অথচ তুমিও ঘুমাচ্ছ ওদের মতোই। নীরবে। আদরে।

আমার পাঠানো বার্তাও হয়তো পৌঁছায় না তোমার করতলে।
ইস! যদি পৌঁছাতো আমার বলা-না বলা সব কথা।
এখন আমি....
এর বেশি চাইতে ভুলে গেছি।

#ধার্মিক..... কৃষ্ণ বর্মন .....



আমি অক্ষরে অক্ষরে ধর্ম মেনে চলি।
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক।
ধর্ম বলতে তোমরা যা জানো আমিও তা জানি
কিন্তু আমি তোমাদের মত করে বুঝি না।
তোমাদের বোঝাটাকে যদি জোর করে
আমার উপর বোঝার মত চাপিয়ে দাও
তখন আমি তো কথা বলবই।

ভোর চারটের আজান কিংবা চৌ রাস্তার মোড়ের
জয় শ্রীরাম ধ্বনি আমাকে বিভ্রান্ত করে না।
ছোটো বেলায় দেখেছি ভোর চারটের আজান শুনে
আমার ঠাকুমা ঘুম থেকে উঠে
দুই মাইল পথ পায়ে হেঁটে গঙ্গা থেকে জল এনে
সকালের প্রথম সূর্য কিরনে ধুঁইয়ে দিত
আমাদের বাড়ীর দু'শো বছরের পুরানো তুলসী চাতাল।
একটু বড় হলে সন্ধ্যার জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে
মনসুর আলির ছেলে রহমতও আমার সাথে মন্দিরে ছুটে গেছে
সোনামুগের প্রসাদী লাড্ডুর আশায়।
সেদিন আমার মন মস্তিষ্কে কোনো বিভ্রাট ঘটেনি
আজও ঘটে না।

তোমরা যদি জোর করে আমার ধর্মকে মন্দির মসজিদ
কিংবা গীর্জায় আটকে রাখার চেষ্টা কর
তখন আমি তো চুপ থাকব না।
আমার ধর্মে আঘাত লাগলে
কিংবা বিচ্যূতি ঘটিয়ে আমাকে ধর্মান্তরিত করতে চাইলে
আমি তৎক্ষনাৎ চীৎকার করে বলব
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক,
তোমার ধর্ম আমার ধর্ম নয়।

যেদিন তোমার ধর্ম আমার বাড়ির ফ্রিজে নজরদারি চালাবে না
যেদিন তোমার ধর্ম জেহাদের নামে
আমার বাড়ির কিশোর কিশোরীর মস্তিষ্ক অপহরন করবে না
কিংবা রক্ত ঝরাবে না রথযাত্রা ইস্টারে অথবা জুম্মাবারে
সেদিন জানবে তোমাদের সকলের ধর্মই আমার ধর্ম।