নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ভারত সৈন্য ,, রৌনক হাজরা



ফিরে আসছি 'মা' তোমার কোলে,
কথা দিয়েছিলাম শেষের বারে,
এবারে বুলেট ছাড়েনি আমায়,
কফিনে আসবো পতাকায় মুড়ে।।

পালিয়ে যায়নি যুদ্ধের ময়দান থেকে,
লড়ে গেছি শরীরের শেষ বিন্দু অব্দি,
কাপুরুষ ছিলো না তোমার ছেলে,
শুধু মৃত্যুর দ্বারে হলাম বন্দী।।

বোনকে বলো রক্ষা করেছি ভারতকে,
রাখীর মূল্য দিলাম প্রান দিয়ে,
অশ্রু যেন ঝরে না দুই নয়নে,
গর্ব করে একবার দাদা বলে ধরে জড়িয়ে।।

ভাইকে বলো পড়াশোনায় মন দিতে,
উপহারে বাইক দিয়ে গেলাম তাকে,
কষ্ট পেয়ে ভেঙে যেন না পরে,
রক্ষা করতে হবে তার ভূমি মা'কে।।

বাবাকে দিলাম সমস্ত দায়িত্ব থেকে ছুটি,
ফিরে আসবো  তোমার সন্তান রুপে,
মনের মানুষকে বলো সম্পর্কে টানলাম ইতি,
নিজেকে বারেবার দেবো,এই ভূমিতে সপে।।

             

ব্যাকুলতা... অয়ন চ্যাটার্জি



আজ কেমন যেন কেটে গেছে মনের ত্রাস,
হয়তো বুঝি মন পেয়েছে প্রেমের নিঃশ্বাস।

দেখেছি তো তোমায় আমি বহুবার,
পেয়েছি তোমার মধ্যে স্বপ্নের বাস্তব দ্বার।

লিখেছি আজ তোমা পদ্যের ফুলবাগানে,
আবেগ ভরা ব্যাকুলতার কথা কলমটাই জানে।

চলে গেছে সকল বিষন্ন, মন যে আনন্দিত,
আজ একটু বেশি অবাধ্য মন আর শিহরিত।

রাতের তারাভরা আকাশ দেখে মনে ওঠে ব্যাকুলতা,
তার মাঝেই দেখেছে মন তোমায়  এ তার উন্মত্ততা।
    

ফোন আসক্তি.. আফরোজা সুলতানা



মানুষ যে বড় ব্যস্ত,
পুরো পৃথিবীটা মুঠোয় বন্দি করে
সেল ফোন নিয়েই মত্ত।
তাই তো চোখে চোখ রেখে কথা হয় না
পাড়ায় ক্রিকেট এর হৈচৈ শোনা যায় না
মাঠের বুকে দৌড়ে ফোরিং ধরে না কেউ
চা এর দোকানে হুল্লোর মাখা আড্ডা দেখা যায় না..
আরে সেল ফোনের মধ্যেই যখন দোকান
বাইরে এক পা হাঁটারও প্রয়োজন পড়ে না
'আসুন দিদি' ডাকটা বোধ হয় একদিন হয়ে যাবে লুপ্ত;
ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক আর গড়ে উঠবে না ।
মনের অবস্থাটা ঠিক কিরকম
তা জানে না বাড়ির লোকজন
তবে বন্ধুত্বের অনুমতি গৃহীত হওয়া
লোকগুলোকে জানানোটা খুব প্রয়োজন
হাজার বন্ধুর লাইক পেয়ে ওদের আনন্দ হয় ভারী
অবশ্য এসব কিছু কে বুড়ো আঙুল আমিও দেখাতে পারি!

আলো ছায়ার কথামালা --- হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়






।। পঁয়ত্রিশ ।।



               খুব ছোটবেলায় একা একাই সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। তার মানে এই নয় যে আমি কারও সঙ্গে মিশতে চাইতাম না বা মিশতে পারতাম না। আর পাঁচটা মানুষের মতো স্বাভাবিক সব গুণই আমার ছিল। তবু একা একা থাকতে হলে আমার খুব একটা অসুবিধা হতো না। ছোটবেলায় আমাকে একা রেখে কেউ বাইরে গেলে অথবা এখনও যখন প্রয়োজনে একা থাকতে হয় তখন আমার তো বেশ ভালোই লাগে। তখন কলেজে পড়তাম, ট্রেনের জন্যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি, ট্রেন আসতে দেরি করছে ; কত মানুষ কত কি বলছে। আমার বন্ধুরাই কত কিছু বলত। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা যেত। আমি একটুও বিরক্ত হতাম না। বরং ট্রেন আসতে দেরি হলে আমার বেশ ভালোই লাগতো। আমি বসে বসে কবিতা পড়তাম। তাই আমার কাছে কেউ ট্রেনের আসা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করত না। কারণ ওরা জানতো, আমাকে বলে কিছু লাভ হবে না।
               একা একা থাকলে আমি নিজেকে নিয়ে ভাবতে পারি। নিজের কোনো লেখা নিয়ে আরও গভীর চিন্তা ভাবনা করা যায়। সে যাই হোক, কোনো কিছু নিয়ে একবার ভাবনার গভীর জলে ডুবে গেলে আর দেখতে হবে না। তখন কে কোথায় আছে, আমিই বা কোথায় কি জন্যে বেরিয়েছি সব ভুলে যাই। তখন আমিই আমাকে সঙ্গ দিই। আমার কোনো ভালো লাগা নিয়ে আমিই আমাকে একটা বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে যাই। এটা সম্পূর্ণ একটা ভিন্ন জগৎ। এই জায়গায় কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই কারও জন্যে মনে কোনো অভাব বোধ জাগ্রত হয় না। আত্মমগ্নতার চূড়ান্ত স্তরে গিয়ে পোঁছানো যায়।

হে গিরিরাজ... অভিজিৎ দাসকর্মকার



তারপরও
ছায়ারাও বাবার আচরণে
বৃক্ষের নীচে দাঁড়ায়-

বিস্তীর্ণ কাঁসাইয়ে কৃষ্ণগহ্বর
নদীর সাথে শুয়ে আছে
স্নানঘাট গুলি
কাব্যের স্পষ্ট একাকিত্ব,আর-
নাব্যতার বৈধব্য নিয়ে-

মহড়া সাজাও
হে গিরিরাজ,!
আজ কিছুটা আলতা পরে
হেমলক খাবো
তোমার সোসাইটির সক্রেটিস বলে...

নিয়ম,, বৈশাখী গোস্বামী



একঘেয়েমি যাপন শেষ করে
রাত ভোর হয় নতুন অভ্যাসে,
ক্যালেন্ডার বদলায় না সময়ে
বছর পুরোনো দেবতার দোঁহাই,
অথচ নিত্য প্রতিমার বিসর্জন!
প্রতিকৃতিই পূর্ণ সহায়।

নিয়ম বানায় নিয়ম ভেঙে
নিয়ম মানি সমাজ নামেই।
প্রমাণ লোপাট যুগ পেরিয়েও
চোখ সয়ে যায়, চোখ সরিয়ে
মাত্রা মানলে মাত্রাতিরিক্ত
মাত্রা ছাড়ায়, অনাশক্ত ।