নোটিশ বোর্ড
সুখ:শাহীন রায়হান
আমার শ্যাওলা ধরা ভাঙা হৃদয়ে
চির সবুজ ছত্রাক তুমি মরুর বুকে
বয়ে যাওয়া এক অনন্ত সুখের
প্রবাহমান জলচ্ছবি।
তোমায় নিভৃত নিশীথে দেখাতে সুখ
স্পন্দিত হৃদয়ে লেখাতে সুখ
প্রেমময় স্পর্শ অনুভব অনুভূতিতে
সুখ তোমার গভীরতম অন্দরে
সুখ অরণ্যময় বাহিরে
সুখ কাল কালান্তরে ছুঁয়ে থাকা
মধ্যরাতের সুখচ্ছবি তুমি।
আমি সুখ সমুদ্রে নোঙর ছিঁড়ে পাল তোলা এক
নিরুদ্দেশ নাবিক- জীবন কম্পাসে
উষ্ণ স্পন্দন দেখে দেখে মনে হয়
তোমাতে মরি তোমাতে থাকি বেঁচে।
তোমার অপেক্ষায়: সাব্বির সেখ
একদিন আমিও হেঁটেছিলাম কালবৈশাখীর ঝড়ে,
বিবর্ন আকাশে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায়।
একদিন আমিও হেঁটেছিলাম তপ্ত ধু ধু মরু প্রান্তরে।
নীল দিগন্তে শীতল মরুদ্যানের প্রতীক্ষায়,
তারপর..
তুমি এসেছিলে বিদগ্ধ হৃদয়ে বৃষ্টির বারিধারা হয়ে,
জীবনের গোধূলিবেলায় শীতল মরুদ্যান হয়ে,
ধ্রুবতারাও হিংসে করে জ্বলেছিল তখন,
তোমার ভালোবাসায় তৃপ্ত হয়েছিল তৃষিত এই মন।
তারপর ভেসেছিলাম আমি সুখের সুনামিতে,
আবেগের ভেলায় পাড়ি দিয়ে অজানা এক দেশে.
আজও আছো তুমি, ঠিক আমার পাশে,
তবে তোমার আমার মাঝে শত বিরহের সুর বাজে.
প্রেম এসেছিল নীরবে :- তোহাদ্দেশ সেখ
তোমার মুখ ফেরানো আমার ভাবের পোড়া বাড়ি
শহরের লালচে জ্বরেও আদর কাড়ি
তোমার চোখ রাঙ্গানো আমার শেষ বিকেলের সূর্য যেমন
তবুও রাত নামলে তোমায় খোঁজে বেহায়া মন
তোমার অনিদ্রা আমার হলুদ স্বপন
আর ব্যাস্ত আঙ্গুল তোমার চুলে আদর বুনন
কোন এক আনমনা দুপুর ছুঁয়ে
হয়তো তুমি বুঝনি প্রেম এসেছিল নিরবে।
তোমার খুব ঝগড়ার ক্লাসরুম
আমার হাসতে থাকা উদাস আকাশ
তোমার চিমটি কাটা মিষ্টি ছোঁয়া কেন আমার তাতে
হাত বোলানো রাত কাটানো ভাবের প্রকাশ
তোমার রাগি মুখ আর গাল রক্তজবা
আমি শিল্পী তখন তোমার ঠোঁটে স্বপ্ন এঁকে বাচঁতে শেখা
আমার বন্ধু ভাবা আর তোমার মান অভিমান সবই
হয়তো তুমি বুঝনি প্রেম এসেছিল নিরবে।
পোষা কষ্টগুলো :- আহাম্মেদ হৃদয়
মনের ভিতরে পুষে রাখা
কষ্টগুলো ফুঁসে উঠতে চায় অন্তনির্শে
বলতে ইচ্ছে করে বজ্রকন্ঠ সুরে
আমি তো অভাগার সন্তান নয়।
তবে আজ কেনো লোকে আমাকে ডাকে
সমাজের দেওয়া নাম ধরে।
মার আদর স্নেহ ভালোবাসায়
কেটেছে আমার দিনকাল।
আজ আদর স্নেহ করার মতো কেউ নেই,
বলছি আমি এক সমাজের দেওয়া কাঙ্গাল।
হাজারো বায়না পূরণ করতে
চেষ্টায় ছিলো মা আমার।
আজ বায়না করতে মানা আমার
চেষ্টায় থাকি অন্ন যোগাতে।
বায়না আমার অন্ন দেয়না
কষ্টে কাটায় তিনবেলা।
আজ ভাগ্যর নিয়তির টানে,
রাত-যাপন করছি রাস্তার পশুদের সাথে।
এখন আমার দিনরাত কাটে
মার মতো মানুষের অবহেলা পেয়ে।
হাত পেতে বলি দুঃখি আমি
ধাক্কা মেরে বলে শালা এখানে কি?
আমি তো নবাবপুরের ছিলামনা দুঃখি।
নবাবের একমাত্র ছেলে ছিলাম আমি।
যারা আমার বাবার পদতলে ছিলো
আজ তারা আমাকে লাথি মারে।
সমাজ সেবার অন্তরালে
লুকানো ওদের লোমশ চরিত্র।
তাই, কখনো ইচ্ছে করে,
বনের হিংস্র পশু হয়ে যেতে।
ইচ্ছে করে প্রচন্ডগর্জনে
পৃথিবীটাকে কাঁপিয়ে দিতে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)