কবরের নীচে ঘুমিয়ে আছে যারা , তারাও কি জানতো কোনদিন --- কবর তাদের পরিচয় লিখে দেবে একদিন ।
আগুনে শুয়ে পুড়েছিল যারা তারাও কি জানতো কোনদিন --- এই চিতা তাদের পরিচয় চিনিয়ে দেবে একদিন । অপারেশন টেবিলে যে কান্না ভাসিয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল এর ফোর্থ ফ্লোর , সে টেবিল কি জানতো সেদিন , এ শিশুটি কার -----
ভগবান না আল্লাহর ?
তারপর আজানের শব্দ মিশে ভেসে এসেছিল রামায়ণের পাঠ তারই নতুন কানে । শিশুটি কেঁদে উঠেছিল না বুঝেই ---
শুধু পৃথিবী বুঝেছিল সেদিন , শৈশব তার কেঁদে ওঠে বারবার
ভগবান না আল্লাহর নামে ।
শিশুটি বড় হল । পদবি জুড়ে দিল পরিবার তার ওই ছোট্ট পিঠে । পরিচয় পেল সে ধর্মের খাতায় প্রথম বার ।
পৃথিবী চিনলো তাকে জীবনের এ দীর্ঘ পথ জুড়ে
মানুষ জানলো পরিচয় মানুষের
হিন্দু না মুসলমান ।
সেও রক্ত দিয়েছিল । সেও বহুবার মানুষকে ভালোবেসে
দাঁড়িয়েছিল এসে মানুষের পাশে .....
রক্তের ফোঁটায় সেদিন ধর্ম ছিলনা লেখা
সেবকের কর্মে সেদিন ধর্ম দেয়নি দেখা
তবু হিংসা , তবু নিষ্ঠুর রক্তপাত দেশজুড়ে রোজ আসে
মানুষের হাতে লেখা হয় ইতি
একটা জীবনের কথা ।
আর দূরে রাজনীতি হাসে বসে বরফের ডেরায়
মদিরা হাতে ওরা মজা নেয় আমাদের
আর আমরা ধর্মহীন লাশ হয়ে পড়ে থাকি কবরে
অথবা জ্বলন্ত চিতায় ।