নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

প্রেমিকা : রবি মল্লিক




আষাঢ়ের তপ্ত দুপুর পেরিয়ে যখন বিকেলে
কৃষ্ণ কালো মেঘ জমাট বাঁধে গগন আঙিনায়;
বলাকা সারির ছুঁয়াছুঁয়ি খেলা,
দিঘির জলে হাঁসেদের মেলা,
আর স্নিগ্ধ শীতল উত্তাল বাতাস তোমার
আগমনের বার্তা দিয়ে যায় আমার জানালায়;
এই নিয়ে আমাদের সম্পর্কের মেয়াদ বছর পঁচিশ,
তবু আবিস্কার করেছি তোমায় সহস্র ভিন্ন রূপে!
খুঁজেছি তোমায় নতুন করে চেনার পথের হদিশ,
পেতেছি প্রেমের বাসা আমার হৃদয় দ্বীপে৷
                                                   
তোমার মেঘের কাজল পরা চোখের অপলক দৃষ্টি,
পাগলা হওয়ায় গাছগুলিতে উড়ন্ত কেশের বাহার,
বিদ্যুতে বুনট করা আঁচল,
মায়াবী চোখের চাউনি সজল
আর মেঘের ভেলায় চড়ে তোমার ভেসে যাওয়া,
মনে করিয়ে দেয় আমাদের প্রথম আলাপের উপহার;
আজও তুমি নবরূপে চিনিয়েছ নিজেকে আমার কাছে,
আঁচলে বিদ্যুতের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটাই!
রূপের নকশা এঁকেছি মন দিয়ে; ভুল হয়ে যায় পাছে
ক্যানভাসে পার্থক্য স্পট, ভিন্ন প্রায় সবকটাই৷

উষ্ণতা ছাড়িয়ে : দেবলীনা চক্রবর্তী







আমিও চাই শীতল হতে ,
  এই উষ্ণতাকে ছাড়িয়ে উঠে
 আবার চাই শীতল হতে !

 প্রকৃতি তুমি প্রেমিক হয়ে ,
 ঝড়ে পরো এই পাথর বুকে 
 এই গুমোট আগল ভেঙে -
  বৃষ্টিফোঁটায় দাও আমায় ছুঁয়ে !

আমি তো তেমন কঠিন নই 
 আঘাত করো ,ভাঙো - 
   কান্না দিয়ে ভেজাও ,
ঘন মেঘের কোলে মিশে -
 আমায় আবার গভীর করে দাও !

 প্রকৃতি তুমি প্রেমিক হয়ে এসো
 তোমার প্রেমের আলিঙ্গনে ,
     আমায় আবার তৃপ্ত হতে দাও !

তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে: বৈশাখী চক্কোত্তি





তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে"
"চক্ষে আমার তৃষ্ণা
ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে "।
দারুণ দহনে জ্বলছে আজ
হৃদয় কেন মরুচরে।।
আসুক ঝঞ্ঝা, উড়ে যাক সবকিছু
হোক তপ্ত হাওয়ার অবসান। উঠুক ঝড়ের নিশান।
ক্ষুধার্ত মন ভাসে সুদূর শূন্যতায়
সময় আগত, অবগুণ্ঠনের হোক না অবসান ।।
এ এক বৃষ্টিবিহীন বৈশাখের তপ্ত দিন
রুক্ষতায় ভরা বেরঙিন, স্বপ্নহীন ।
প্রান কেন পোড়ে,  কিসের সন্তাপের তরে?
সময় আনে পরিবর্তন, আশার নতুন দিন ।।
মৃদঙ্গে ধ্বনি ওঠে দৃমি দৃমি দুরু দুরু
বীণার ঝঙ্কারে মেঘমল্লার বিস্তার ছায় দু' মেরু।
অশনি গর্জে ওঠে গুরু গুরু গুরু গুরু ।
 দুরন্ত বর্ষণ খেলে, সন্তাপান্তে পুনর্জন্ম শুরু।।
    

মৃত্যুহীন পিকাসো :জয়দীপ সেন







সাধু প্রস্তাব, রাজি হয়ে যাও পিকাসো
বিষয় যখন নির্লিপ্ততা
সাবধানে ঘরে চাবি দিয়ে চলে এসো বৃষ্টির ভিতর
বহু কাঙ্খিত না ভিজলে মানবো কেন তোমার শ্রম?
আহা নেমে এলে বৃষ্টিতে, তুমি বলছ বৃষ্টি নয়
দুঃখ ফোঁটা ধারালো, কেটে ছিঁড়ে নেবে ব্যবধান
তাই সই 
রটনা হোক, আমার পছন্দ কোথাও রেখো আপাদমস্তক ভদ্র কিন্তু গোপনে বেড়াল
রেখো ছবিতে, আচ্ছা আচ্ছা এই নাও দুধ একবাটি
মাছ নাও কামড়ে 

জানা যায় না তোমার ছবি ইতস্তত কতবার
উনি প্রতিবেশী, ঘুমের ব্যাঘাত হয়
স্টুডিওর আলো চক্রী
উনি সদ্য উৎসুক পুরুষ
কি উপলক্ষ কি দেহস্রোত ইত্যাদি খবর নিয়েছেন
ভালো ক'রে বাড়িওলা
যা দিনকাল
উনি এসব জানেন না, উনি ঘুমতে চান
ঘুমে চিরকাল দেখতে পান
চোর--কাঁদছে 
এক থালা ভাতে কান্নার জল...আর বেড়াল ব'সে
ওকে বন্ধু করো, জড়িয়ে ধরে বলো নীলরং তুমি কেন এত খুলে দিয়েছ

আমার গুলিয়ে দেয়া স্বভাব
তুমি নিশ্চিন্তে তুমি অবিরত তুমি একা
পিকাসো
ছবি শেষ করো
বিষয় যখন নির্লিপ্ততা।

উড়ান : হেমা পাল বর্ধন





ছায়ার প্রতি একতরফা টান ছিঁড়ে ফেলে নিজেকে মেলে ধরতে চাই উন্মুক্ত আকাশে, 
নিজের মধ্যের সব নীল ছড়িয়ে দিতে চাই দীঘির জলে ।
সময় এসে গেছে শীতের পরশ টুকু কাটিয়ে ওঠার, 
আমার থেকে চিরন্তন 'আমি'কে পৃথক করার ।
সবুজ ঘাসে নগ্ন পা ফেলে যেতে চাই নতুন এক পৃথিবীর বুকে, 
যেখানে সবকিছু শর্তহীন, বন্ধনহীন, 
যেখানে নারীর পোশাক খুলে রেখে শুধু মানুষ হয়েই বাঁচা যায় ।
ছুঁতে চাই সেই আকাশ, যেখানে জাজ্বল্যমান রয়েছে  আমার অভীষ্ট ধ্রুবতারা ।

বিদ্যাসাগর,, তোমায় প্রণাম :অনোজ ব্যানার্জী




  ‎
ওরা কালো শকুনি,,চেনে শুধু ভাগাড়ের পচাগলা মাংস,, হীরের মর্ম কেমন করে বুঝবে? জহুরী তো নয়,যে জহর চিনবে! ওরা অসুর, ওরা নররাক্ষস, ওরা অর্থলোভী নরপিশাচ,,।। রাজনীতি,,    মানবকল্যানের নীতি।ওরা,, রাজনীতির কী জানে?? মানবজাতির কলঙ্ক ওরা,,কে ওদের মানে??
তাই ওরা স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে,,আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে করে সবকিছু ছারখার। তাই ওরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরষ্কার করেছে চুরি। ভেঙে দিয়েছে নির্মমভাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মূর্তি। আগুন ধরিয়ে করেছে কত স্ফূর্তি। যে বিদ্যাসাগর  মহাশয়ের কৃপায় আমরা শিখেছি বর্ণমালা। যিনি বন্ধ করেছেন ঘৃণ্য সতীদাহপ্রথা। যিনি চালু করেছেন বিধবাবিবাহ। কোন দুর্নীতির কাছে কোনোদিনও তাঁর মাথা করেননি নিচু।
তিনি করুণাসাগর,,তিনি বিদ্যাসাগর। তিনি বাংলামায়ের প্রকৃত বীরসন্তান।বীরসিংহের সিংহশিশু। ভারতমাতার গর্ব। উচুমাথা তাঁর আমৃত্যু রেখেছিলেন উঁচু। গরীবের দুঃখে,কাঁদত তার কোমল হৃদয়। করতেন সেবা,অনাথ,,দীনহীন মানুষদের। বিদেশী ইংরেজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন রুখে, বীরবিক্রমে। সমাজসংস্কারক, মহান পুরুষ তিনি। প্রকৃত সৎ,ভদ্র,,বজ্রের মত কঠোর,,কুসুমের মত কোমল ছিল তাঁর চরিত্র।
প্রকৃত ঈশ্বর তিনি।,,দেবতা,,ভগবান,
উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগই দুহাতে করেছেন দান।  এই যুগে এই পৃথিবীতে কে আছেন এমন সুমহান??নারীশিক্ষা করেন প্রচলন  , করেছেন কত স্কুল,,কলেজ স্থাপন। দানসাগর তিনি,করেছেন কতকিছু অকাতরে দান।



ভারতমায়ের এই চরমতম দুর্দিনে,,হে ঈশ্বর,,হে ভারতরত্ন,,  হে সত্য-ধর্ম -মানবতার পূজারী,, তুমি এসো আবার ফিরে, এই ধরণীমায়ের কোল আলো করে। আমরা আছি বসে
তোমার অপেক্ষায়,। কবে আসবে তুমি??