নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রূপবান মৃত্যু : মাধব মণ্ডল


যাও পা পা করে, খোঁড়ামণি
দেখ মৃত্যু ছুঁড়ছে কারা

মৃত্যুকে একবেলা ভেজে চারবেলা খাই
কতো অপমান করতে হয়েছে গাদা

শ্যাওলাও মৃত্যুকে কাছে বসায়
আমি অভিন্ন মন হয়ে হাসি হি হি

কার কি ছোঁড়ার আছে আর
এই তো এখানে আমি আজও পড়াই

শিঙির কাঁটার যন্ত্রণা ঘিলুর ভাঁজে ভাঁজে
মৃত্যু রূপবান হয়ে নাচো নাচো আরও জোরে

বর্ণহীন প্রভাত : রাজিত বন্দোপাধ্যায়

 

জেগে উঠে দেখি --     
বসন্তের প্রভাত রঙে ঢাকি       
রেখে গেছে ভাল লাগা ভোর !     
আমার জীবন ব্যাপী --     
কেবলি অনিশ্চিতের কঠিন খোল ,       
জীবনেরে অশান্ত করে অর্থনীতি       
ঢেলে দেয় বাঁচার এক তিক্ত লড়াই ।   
নিরন্নের সারিতে বৃদ্ধি --     
চারিদিকে মেহনতের নেই কোন বোল !   
এমন দেশের চালক --   
জীবনেরে দেখায়ে ঝলক কেবলি বিজ্ঞাপনে     
বসন্তেরে করেছে মলিন হতবাক !   
তবু চায় তারা আরো সমর্থন --     
বুকের পাটার দেয় নির্লজ্জ মাপ   
অথচ কাজের বেলায় দেখি  ফাঁক !   
বসন্তে জেগে থাকি যদি --   
বর্ণহীন হোক তবে তাহাদের হাত ,     
মারছে , মারুক যদি ভাত ।   
বসন্তের অঙ্গীকারে হয় যদি হোক     
তাহাদের বর্ণহীন প্রভাত ।     



প্রিয় দুশমন :হেমন্ত সরখেল


যখনই এভাবে বলো
মনে হয়
আমায় হেরে যেতে বলছো।

উৎসাহ হত হলেই মৃত্যু, স্তব্ধতা, বর্তমানহীন
মাটি ঠেকা পিঠে।

এভাবেই অজান্তে দুশমন হয়ে ওঠো।
আরো বেশী ভালোবেসে ফেলি তোমাদের।

তুমিই এসো।
চরম সত্যে-
তোমার আগে তো ওকেও চাওয়া যায় নি!
                          

মন খারাপের বসন্ত : প্রলয় কুমার বিশ্বাস



কেন জানি না এ বসন্ত
কবি মনে দাগ কাটেনি তেমন একটা।
একটা শূণ্যতা,  স্বজন হারানো বেদনা।

আগুণ ঝরা ফাগুনের মধুমাসে
অশোকেও শোক ছিল!
পলাশও কেঁদে গেছে লাশে!

লাল রঙা শিমুল কিংবা শুভ্র সজিনাও
সে অস্থিরতাকে দূর করতে ব্যর্থ।
সুমিষ্ট কোকিলের কুহুতানও পারেনি
সে শোক মেটাতে বিন্দুমাত্র।

শুধু, চোখে ভাসছে ভাইয়ের লাশ,
বাসন্তীর চোখে জল.....!!
           

কাঁচ : সুপ্রভাত দত্ত



জলের উপর অজানা হাঁসের আঁচড়,
কত ছায়া কত আকাশ ভাঙে..
ভেঙে যায় পুরোনো কোনো প্রহর,
নতুন এক প্রহরের সন্ধানে!

মুঠোর ভিতর শিউরে ওঠে রেখা।
মুঠো, তুমি বাস্তবতায় ভরা...
একটি মন চোখের উপর লেখা
চোখের জলে কেঁপে ওঠে তারা।

একলা পথে কাতর হয় স্মৃতি,
অন্ধকারে বুক কাটে কাঁচে...
কাঁচের ভিতর জমা সহানুভূতি,
কান্না গুলো শূণ্যতাতে বাঁচে।

সমস্ত ধর্ষিতা আমার বোন : মান্নুজা খাতুন



ষোড়শী তুই কি  ফিরবি আবার সেই চেনা জীবনে?

অন্ধকার রুদ্ধ ঘরের থেকে বেরিয়ে কি আসবি?

এই আলোর পৃথিবীতে!

তুই কি বাঁচবি আর পাঁচটা মেয়ের মতো?

পাশের বাড়ির মেয়েটির মত তোর কি ইচ্ছে করে না?

রাস্তার ধারে বাটি হাতে ফুচকা খেতে!

মাইলের পর মাইল পথ উজিয়ে পড়তে যেতে!

তুই কি আর স্বপ্ন দেখবি না বোন?

তুই কি হবি না নতুন ভবিষ্যতের আদর্শ শিক্ষিকা?

তোর তো স্বপ্ন ছিল বোন! তোরও তো ইচ্ছে ছিল!

কিন্তু আজ কি হলো তোর!

ওই ভাবে দুই হাটুর পরে মাথা গুজে আর কতদিন?

বেরিয়ে আয় বোন এই আলোর পৃথিবীতে

দেখিয়ে দে ওই নরপিশাচদের, ছুড়ে দে ওদের মুখে চুনকালি।

কিন্তু বোন

বেরিয়ে আয় বোন,  তোর পাশে আছি

সব ভুলে গিয়ে চল ফিরবি আবার চেনা জীবনে।

তোর চোখে জল কেন বোন!

ভাবছিস তোর কোন মুল্য নেই এই ধরাধামে

আছে!!  তুই আমার বোন, পাশের বাড়ির মালতীর বোন, আমার এ লেখা যে তারও ছোট বোন

এ ভাবে ভেঙে পড়িস না বোন আমরা আছি

মুক্ত কন্ঠে বলতে পারি

সমস্ত ধর্ষিতা আমার বোন, আমার দিদি আমার মা।