নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

নেতা :গোলাম মোস্তফা লিটু


ভোটের আগে সব নেতাদের
হারায় চোখের ঘুম ;
জনগনের বাড়ি বাড়ি, ঘরে ঘরে
যাওয়ার পরে ধুম।

হাতের সাথে হাত মিলায়ে
বুকের সাথে বুক ;
কাধের সাথে কাধ মিলায়ে
বলে- জনগনের, সুখেই আমার সুখ।

নেতা দেয় প্রতিশ্রুতি
আমায় করলে জয়ী ;
ধ্বংস করবো মাদক যত
সমাজে, আছে জীবন ক্ষয়ী।

নিজেই নেতা মদদদাদা
মাদক সাম্রাজ্যের ;
তিনিই আবার ভাষণ দাতা
জয়ী হয়েই করবো বন্ধ, উৎপাদন মাদকের।

আমরা সবাই আম-জনতা
তাদের কথায় নাচি ;
ঋণখেলাপী, স্বার্থবাদী
দুঃশ্চরিত্র নেতার পিছে ছুটি।

নেতার দেয়া চা-পান আর
সিগারেট, বিড়ি খেয়ে ;
সাড়াদিন ঘুরি মোরা
সেই নেতার গুণগান গেয়ে।

একবারও ভাবিনা মোরা
ভোট মোদের, গণতান্ত্রিক অধিকার ;
আছে- ভোট প্রয়োগের জন্য একজন
সৎ যোগ্য চরিত্রবান নেতার দরকার।

আমার ভোটের দাম আছে
ভোটটা মূল্যবান ;
সৎ যোগ্য, আদর্শবান নেতা ছাড়া
করবোনা ভোট দান।

এই উপলব্ধি যতদিন না
আসবে জনতার ;
ততদিন থামবেই না
জয়জয়কার, দুঃশ্চরিত্র ভন্ডনেতার।।।।

মুক্তির দলিল :বারেক উল্লাহ

বিষয়:৭ই মার্চের ভাষণ
                         

৭ই মার্চের এই ভাষণে
বাঙ্গালী পায় শক্তি,
বীর জনতা উঠল জেগে
করল বাংলা মুক্তি।
স্বাধীনতার সংগ্রামেরর কথায় ছিল
১৮ মিনিটের এই ভাষণে,
বাঙ্গালী তাই যুদ্ধে নেমেছিল
পাক হানাদার অপসারণে।
রক্ত ঝরা এই ভাষণে ছিল
স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা,
বাঙ্গালীরা তা মেনেই 
 বিতাড়িত করল পাক সেনা/হায়েনা।
৭ই মার্চের এই ভাষণে
 ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা,
বাঙ্গালীরা বুঝেছিল
 সংগ্রাম ছাড়া তা আসবে না।
 রক্ত যখন দিয়েছি
 আরো দেব রক্ত,
বঙ্গবন্ধু যখন তুলেছিল  এই ধ্বনি।
বাঙ্গালীদের মনে স্বাধীনতা
পাওয়ার ইচ্ছার আগুন
 দ্বিগুণ হল তখনি।
এবারের সংগ্রাম  স্বাধীনতার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম  মুক্তির সংগ্রাম।
বঙ্গবন্ধু তুলেছিল যখন এই সুর,
বাঙ্গালীদের সংগ্রামে বিতাড়িত হল
পাকিস্তানের সব দূষর।
বঙ্গবন্ধু তোমার এই ভাষণ
আজো বাজে সবার হৃদয়ে হৃদয়ে
তুমি যে আছো বাংলার আকাশে বাতাসে
 সব খানে মিশে।
তোমার এই ভাষণ স্বর্ণ অক্ষরে লিখা আছে
 ইতিহাসের পাতা জুড়ে।
তোমার ঐ ভাষণে শুনে  শিহরিত হই
 আজো আমি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে ।

মায়ের পরশ : বিকাশ দাস (বিল্টু )




রাত প্রায় একটা ছুঁয়েছে, চাঁদের আলো ক্ষীণ হয়ে মেঘের আনাগোনা চলছে ।ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে ।পূবের শ্মশান ঘাট থেকে শুধু আওয়াজ শোনা যাচ্ছে" হরি বোল, বল হরি ।"আর আজ কুকুর গুলিও খুব বেহায়া। হঠাৎ হঠাৎ চিৎকার জুড়ে দিচ্ছে ।এই সময় চয়নের গাড়ির শব্দ শোনা গেল ।গাড়ি বলতে একটা পুরানো বাইক, ওটাই বহু কষ্টে কিনেছে ।বাড়ির পাশের টার্নিং এর এখানে ঘোরাতে  গিয়ে পরে গেল। মা শব্দ শুনতে পেল ।বিড়বিড় করে মা বলা শুরু করলো", এ অমানুষ হয়ে গেল ।আমার হয়েছে যত জ্বালা !আজ হয়ত আবার গলায় ঢেলে এসেছে।"
চয়ন গাড়িটা তুলে আবার স্টার্ট দিয়ে বাড়ি আসলো ।চয়ন ভাবলো মা ঘুমিয়ে আছে ,তাই গাড়িটা তুলে ঘরে রাখা  ঢাকা খাবার খেতে বসলো ।
ভাত নিয়ে বসছে, হঠাৎ মার আগমন ।
"কিরে তুই আজও খেয়ে আসলি? আমি স্পর্ষ্ট শব্দ শুনতে পেলাম , দেখলি তো কেউ তোর কথা ভাবে? আর আমি তো মা.. আমি পারিনা ,আমি পারিনারে -আর এভাবে থাকতে ?ভগবানও এমন আমায় নেয়ও না !"
চয়ন চুপ হয়ে শুনছিলো ।মার মুখোমুখি কথা বলতে ভয় হচ্ছিল। আজ একটু বেশিই খাওয়া হয়েছিল তার ।
"ঠিক আছে খেয়ে শুয়ে পর ... আমি মরলে বুঝবি  ?"
চয়ন আর খেতে পারলো না ।একটু বমি বমি আসছে ।আবার বমি করলে মা আরও সন্দেহ করবে তাই পকেটে রাখা গুটকা টা খেয়ে বাথরুম গিয়ে সিগারেট টা ধরানোর চেষ্টা করলো ।কিন্তু নেশা এত টাই ছিল যে ধরাতে পারছিলো না ।বহু চেষ্টার পরে সিগারেট টা ধরিয়ে ভাবতে লাগলো আর বিড়বিড় করে বলতে লাগলো ,"মা ,মা'গো আমি কি আর সাধে খাই? আমি যে আর পারিনা ঠিক থাকতে -?
মা তখনও ঘুমায়নি।
" কিরে চয়ন !যা বাবা এখন শুয়ে পর আর কত? আর পারিনা ।"
মার উপস্থিতি টের পেয়ে সিগারেট টা জলে চুবিয়ে দেয় ।
হ্যা মা...
রাত প্রায় দু 'টা তবুও ঘুম আসছিলো না, শুধু
শ্মশানের কাছ থেকে আসা" হরিবোল  বল হরি  "কানে বিঁধছিলো। তখনি চয়ন হারিয়ে গেল অতীতে।
হ্যা তারও ঘর ছিল, সংসার ছিল, ফুলের মতো ফুটফুটে একটা ভালোবাসার বাগান ছিল ।সেই বাগানের সব থেকে সুন্দর ফুল ছিল গোলাপী ।সেখানে কত সুন্দর খেলা হতো ,হাসি হতো ,অভিনয় হতো আর ভালোবাসাও ছিল ।হঠাৎ একদিন ঝড় আসলো ।বাগান তছনছ হয়ে গেল ।গোলাপী গোলাপ মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। চয়ন আর্তনাদ করলো --কে শোনে তার কথা ?এর পরদিন চয়ন ঠিক বুজতে পেরেছিলো গোলাপ তো কীট ময় !সেই কীট তাকে ধ্বংস করে দিল ।
গোলাপী মারা যায় ,সুইসাইড করলো ।আর পুরো দোষ পড়লো চয়নদের উপরে। চয়নকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় অথচ যে গোলাপী তার প্রাণ তার ভালোবাসা সেই কিনা আগুনে জ্বলসে যাচ্ছে পারছিলো তার অন্তিম সময়ে উপস্থিত থাকতে ।

সকালে মা আগেই উঠে সিদ্ধ ভাত রাঁধতে শুরু করলো। মা জানে ছেলের সারাদিন খাওয়া হয়নি ।,আর মা এটাও জানে চয়ন তো ওরকম নয় ও তো পাড়ার সব থেকে ভালো ছেলে ।কাউকে দোষ দিয়েও লাভ নেই ?সব ওর কপাল! নাহলে প্রাইমারী চাকরিটা হয়েও হলো না  !ভাইভাতে আউট! এর থেকে দুঃখ কি আর আছে ?
মা ভাত রেঁধে চয়ন কে ডাকতে লাগলো ।
"চয়ন। কি'রে চয়ন ?--ওঠ বাবা। তোর ডিউটি আছেনা?--কিরে ওঠ !"
হ্যা মা...
চয়ন নিজেকে ঠিক করে ভাবতে একটু সময় লাগলো ।ভুলেই গেল রাতে কি হয়েছিল ?একটু মনে হওয়ায় নিজের প্রতি লজ্জা হলো ।ইস! মা কি ভাববে?
চয়ন উঠে ব্রাশ করে স্নানটা সেরে নিল। ঘড়িতে তখন আট টা, সাড়ে আট টায় তার ডিউটি ।আর আধ ঘন্টা সময়। বলা বাহুল্য চয়ন একটা কোম্পানির সুপারভাইজার ।
"এই ভাত বাড়া আছে খেয়ে নে--"
ভাত খাওয়া শেষ হওয়ার পথে মা চয়ন কে বললো ,
"কিরে বাবা, এভাবে আর চলে? এখন নতুন করে ভাব ;লোকে জানলে কি হবে? আর তোর দাদারাও নানান কথা বলছে। এখন একটা সংসার কর। আমি মেয়ে দেখি ।অন্তত আমায় একটু রেহাই দে ।আর আমার পেটের ব্যথাটা ক'দিন থেকে খুব বেড়েছে ।কখন কি যে হয় !"
মা --মা !ওসব বলো না ,তুমি না থাকলে আমি.. তুমি তো জানোই দাদারা দাদাদের মতো কাজে ব্যস্ত ।

চয়ন যেতে যেতে তাই ভাবছিলো কি করবে ?না মার কথাই শুনবে --
আজ কাজেও মন বসছিলো না ।খুব উদাসীন লাগছিল তাকে। দুপুরে লাঞ্চ এর খাওয়া শেষ করে মনে পড়লো মার তো পেটের ব্যথা ,তাই বাজারের MD ক্লিনিক থেকে কয়েকটা গ্যাসের ট্যাবলেট নিল ।সামনে মাসে বেতন পেয়ে মার জন্য একটা ভালো ডাক্তার দেখাবে আর মাকে বলেই দিবে," মা আর তোমার কষ্ট করতে হবেনা ,আমি নতুন জীবন শুরু করব ।"
  এসব ভেবে কিছুটা হাসি আসলেও মনের ভিতরের চাপা কান্না দাও দাও করে জ্বলছিল ।অন্তর থেকে কেউ যেন বলে উঠছিলো আমায় ক্ষমা করে দিও ,শুধু মার জন্যই... প্লিজ আমি শুধু তোমাকেই---
ডিউটি শেষ হওয়ার পরে আজ আর চয়ন কিছু খেলো না, মাকে আজ বলেই দিবে সব কথা,নতুন জীবন কথা--
তাই একটু আগেই বাড়ি আসার চেষ্টা করলো ।কোম্পানি থেকে গাড়িতে কুড়ি মিনিট পথ।কিছুদূর আসার পরে ফোন টা বেজে উঠলো ।প্ৰথম বার তুললো না ।আরও বাজছিলো ,গাড়িটা থামিয়ে ফোনের স্ক্রিনে লেখা বৌদির নাম্বারে ফোন !কি ব্যাপার যে বৌদির সাথে দু বছর থেকে কথা বন্ধ তার ফোন? ভাবলো নতুন কোন মতলব নাকি? তবে পরক্ষনেই মনে হলো ফোনটা ধরা যাক ।
ওই পাশে দাদার গলা ।
"চয়ন !চয়ন! চয়ন !তুই তাড়াতাড়ি আয়। মা খুব সিরিয়াস ।"
চয়ন ফোনটা কেটে খুব স্পিডে গাড়িটা ছাড়লো ,না মা তোমার কিছু হবেনা আমি আছি তো--
কি ব্যাপার এত লোক !

"চয়ন বাবা এসেছিস।"
মা তোমার কিচ্ছু হবেনা ।বলো কি হয়েছে? আমি ডাক্তার ডাকছি। ওই ছোটদা ,ছোটদা!গাড়িকে ফোন কর। অ্যাম্বুলেন্স ডাক না!
" বাবা ওসব করিস না ।আমি হয়ত আর বাঁচবো না। তুই মানুষ হ ।আর বল আর সংসার করবি ।"
 মা আমি সব রাজি ।
গাড়িও আসলো তখন।
"চয়ন আমায় একটু জল দিবি ?"
বৌদি !বৌদি !একটু জল আনো --
বৌদির হাতের গ্লাসটা সজোরে নিয়ে মার মুখে জল দিল ।
"আমি তৃপ্তি ,শান্তি পেলাম ।অয়ন চয়নকে দেখিসরে --আর আমায় তোর বাবার পাশেই রাখিস ,নিজের ভূমিতে তৃপ্তি..... পা...বো.... "

মা- মা- মা --মা...
আকাশ গুমরে উঠলো বাতাস আর্তনাদ করে উঠলো বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে পড়তে লাগলো ।মা চির ঘুমে--

রাত দু 'টার দিকে চয়ন শুধুই শুনছিলো সবাই জোরে জোরে বলছিলো ,"হরি বোল, বল হরি ---"

কবে তুমি জাগবে চে : রাজিত বন্দোপাধ্যায়

 

কাউকে পড়তে বলিনি আমার এ চিঠি ।     
হয়তো তোদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়বে !   
কিন্তু বিশ্বাস কর এ আমার আর্ত বেদনা --     
আমার দেশ , আমার শৈশব     
আমার যৌবন , বার্ধক্য জড়িয়ে আছে এতে !     
চে গ্রাভারার মত --   
অদম্য অত্যাচার সহেছি নীরব হাসি মুখে !     
আমার জননী এ দেশ ভাঙ্গছে ,     
ভেঙ্গে চুরে চুর চুর হয়ে পড়ছে ,   
এখনও চুপ করে থাকার মূল্য --     
প্রতিদিন গোনে অসহায় মেয়েটি !   
ট্রামে , বাসে , স্কুলে , ঘরে --   
হাজার টা ধর্ম আর জাত নিয়ে ।   
দলিত হয়ে জন্মানোর খেসারত   
নগ্ন হয়ে দিচ্ছে গ্রামের একঘরে !   
আর আমি চুপ করে আছি --     
ওরা ধমকে গিয়েছে পাড়ায় ,   
এবার ভোট যদি হয় একটা কম ,     
উনিশো ছেচল্লিশের নোয়াখালি     
দেখা দিবে এ পাড়ার মাঠে !     
আর আমি চুপ করে আছি --   
আর কবে তুমি জাগবে চে ?   
কিউবার মত চিৎকার করে --   
আবারও বলতে চায় এ বোবা মন  !! 


অপ্রাক্তনীয় :তনুকা ঘোষ



আমি চাই না আমাদের সম্পর্ক টা কোনদিন প্রাক্তন হোক,
হাজার অভিমান,রাগ, ঝগড়ার ভীড়েও তুমি একবার জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলো!
আমাদের নন্দনে বিকেলে কাটানোর দিনগুলো যেখানে তুমি নীল পাঞ্জাবিতে আর আমি খাদির কালো শাড়িতে, খোলা চুল গাঢ় কাজলে বারবার তোমার মনে ঝড় তুলে গেছি;
তোমার সাথে কাউন্টার নেওয়ার ছলে হঠাৎ করে ঠোঁটে ঠোঁট দিয়ে চুমু এঁকে দিয়েছি।
আমার অগোছালো জীবনের কাছে তুমি গোছালো সংসার,
আমার হাজার ভালোলাগার প্রেমিক থাকুক না কেন তুমি তাদের মধ্যে একটুকরো বসন্ত...
যেদিন শেষ দেখা হল আমাদের গঙ্গার ঘাটে তুমি তোমার বিয়ের চিঠি হাতে,
তোমার পরিবারের অমত, তোমার থেকে বয়সে বড় মেয়েকে তারা মানতে নারাজ।
তুমিও ঘর ছেড়ে আমার হাত ধরে বেরিয়ে আসতে পারবে না!
আর আমিও তোমার সংসার ভাঙ্গতে পারবো না...
আমার বেনারসির সাঁজ, কপালে চন্দন, শরীর জুড়ে ফুলের গন্ধ!
বিছানায় তোমার বিয়ের চিঠিটা ছিন্ন হওয়া,
কপালে সিঁদুর পরাতে পরাতে দুজনের চোখেই জল;
বাসর রাতে একটাই প্রশ্ন তোমার?
কিভাবে মানালে  আমার পরিবারকে!
 আমি বলেছিলাম আমাদের সম্পর্কটা কখনও প্রাক্তন হতে দিতে পারবো না।

সত্যি :সুমিত ভদ্র



বিস্তৃত কংক্রিটের রাস্তা;
হাঁটতে হাঁটতে একদিন ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,
সেলাইয়ের পরে সেফ্টিপিনে আটকানো হাওয়াই চটিটা।
পথের ধারে সস্তার ল্যাড়ো বিস্কুট আর এক কাপ গরম লাল চায়ের ধোঁয়াতে
একনিমেষে ফ্যাকাসে হয়ে আসে ঝা চকচকে শহরতলি।
তবুও চোখ বন্ধ করলে
এখনও সামনে আসে নিজের হাতে সাজানো আলোকিত এক স্বপ্নপুরী;
একমুহুর্তের মধ্যেই সমস্ত স্বপ্ন চুরমার করে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে দেনায় জর্জরিত পরিবার আর বেকারত্বের সাথে গভীর সম্পর্ক।
জীবনে কখনও প্রেম ছিল,
ছিল চিত্রকলাতে নতুন নতুন সৃষ্টির আনন্দ-
আজ সবই অতীত,
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দায়ে প্রেম আজ পরিণত বিচ্ছেদে
আর ভার্জিন ক্যানভাসের মতোই সাদা হয়ে থাকে জীবনের সব সৃষ্টির উল্লাস!
তবুও আত্মবিশ্বাস হারায়নি কখনও ছেলেটি;
বুকের মাঝে আজও বাঁচে রবির কলম-
"নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন হবেই হবে।"