নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আহ্নিক গতি: জয়ীতা চ্যাটার্জী


পেরিয়ে যাচ্ছে দিন
বাতাস কেটে কেটে।
পেছন থেকে ঠেলা লাগে গরম নিঃশ্বাসের
জানি বাকি আছে পথ পেরতে হবে হেঁটে।

একটা বিশাল রাত
এসে দাঁড়িয়েছে অশ্বত্থের নীচে।
আমি একাকী পেরোচ্ছি বাঁক, প্রাগৈতিহাসিক
তত্ত্ববিদ তাড়া করে আমায়, সময়ের পিছে।

সীমাহীন এক দৌড়,
ছুটতে ছুটতে ছুঁয়ে দেবে আকাশের বুক।
হে পৃথিবী তোমারই গর্ভ থেকে জন্ম
নেয় আরও আরও পৃথিবী, আরও কত দুখ।

আদিমাতা তোমার কাছে
জীবন ,শেষ অঙ্গীকার রাখে।
বিগত জন্মের কাছে কোন প্রশ্ন থাকবে না
ভেসে যাবে মহাশূন্যের নিগূঢ় জ্যোৎস্নাতে।

মিথ্যা জ্ঞান: রিঙ্কু মন্ডল



উত্তম, মধ্যম বৃদ্ধ দর্পণের তুল্য
জ্ঞানান্বিত অনুভবে পৃথিবীর মাঝি,
মিথ্যা ছাড়া জ্যেষ্ঠ বৃদ্ধ জ্ঞানপূর্ণ সাজি
অধম পারেনা দিতে প্রাপণীয় মূল্য।
বৃদ্ধগনের সম্মুখে বিম্ব হতে যাই
অস্বচ্ছ স্বীয় দর্পণে দেখায় অস্পষ্ট,
বুদ্ধি সকল সংগ্রহে হয় শত কষ্ট
জীবন চলার পথে অসাফল্য পাই।

উত্তম বৃদ্ধ সেদিন বলেছিল সত্য
অধম আমি কেবল করে গেছি হেলা।
মিথ্যা জ্ঞানে শুধু আজ অশান্তির চিত্ত
সমাজে পাগল নামে হয়ে আছি কথ্য।
মরু দেশে বয়ে যায় যৌবনের ভেলা
মাঝে মাঝে লু বাতাস প্রাণ নিতে মত্ত।
     
                                 

আকাশ টা মস্ত বড়:প্রতিভা দে


আকাশ টাতো মস্ত বড়
ঢাকে আকাশ রৌদ্র আলো,কখনো মেঘের রাশি,ঢেকে ফেলে শশী,
নিগ্ধ আলো মিলিয়ে যায়,
অন্ধকারে পথ খুঁজি তায়,
নিরবতায় দিন গুনে যাই
হয়ত তখন বিদ্যুৎ ঝলকায়,
সেই আলো পথ পাই,
ঝড়ের মাঝেও আলো থাকে
সেই আকাশটা নিরব বলি
যাকে।
দেখায় পথ এমন করেই,
আবার সূর্য পাঠায় ভোর
হলেই।

মন্দবাসা : বৈশাখী গোস্বামী


তুমি আমায় জিজ্ঞেস করেছ বহুবার,"কেন আমি বারবার ভালোবাসি? ওরা তো বাসে না।" তখনই আমি খুলে দিই নিজেকে, অকালেই শ্রাবণ নামে নিশ্চুপ থেকে যায় মুঠোফোন, তুমি কেঁপে ওঠো। আসলে যতবার পরাজিত সৈন্যের মতো ফিরি আসি, চোখের তলার পুরু কালো, মুখের অরুচি, নির্ঘুম রাত আর অপ্রস্তুত পরীক্ষা নিয়ে ততবার তুমি সামলে নাও কেমন করে? আমি তো প্রশ্ন করিনি কোনোদিনও। কারণ জানি, তখন আমি হয়ে উঠি তোমার সন্তান আর তুমি আমার পিতা।
ঠিক এ কারণেই আমি বারবার বারবার ভুলে হাঁটি,
তুমি রেশমি আলো, পরিপাটি। তবে, তুমি আমার প্রেমিক না হলেও আমি তোমার অপ্রেমিকা রয়ে যাব আজীবন।
ইতি,
তোমার অপ্রেমিকা

"তবু...ভালোবাসি" : চন্দ্রানী পাল



তোমার রাস্তা সরলরেখায়
আমার রাস্তা বাঁকা
কি করে যে হলো তবু
তোমার সাথে দেখা!!

তোমার দৃষ্টি অধরে মেশে
আমার দৃষ্টি চোখে
তবুও কেন তোমারই ছবি
আমার আঁখি দেখে!!

তোমার চক্ষু রক্তবর্ণ
আমার আঁখি সিক্ত
তবুও তোমায় ভালোবেসে
আজ আমি রিক্ত।

তোমার প্রিয় গোলাপ আজও
আমার প্রিয় জুঁই,
তবু ও তুমি মনেরবন্ধু
তুমি থেকে তুই..।

তোমার প্রিয় ঝোড়ো হাওয়া
আমার হিমেল বাতাস
তবু আমি তোমার চোখেই
দেখি চেনা আকাশ।

তোমার প্রিয় শীত ঋতু
আমার প্রিয় বসন্ত
তবুও যেন মিল খুঁজে পাই
আদি থেকে অন্ত।

তোমার প্রিয় ময়ূরাক্ষী
আমার কর্ণফুলি
তবুও তো দুঃখে-সুখে
হাত ধরেই চলি।

তোমার প্রিয় সুনীলবাবু
আর আমার প্রিয় রবি,
দু-এক কলম লিখতে পারি
তোমার জন্য সবই।

তোমার প্রিয় জামদানী
আমার বালুচরী,
তবুও মোদের এক আকাশ
সুখের সৌধ গড়ি।

যুক্তি তর্কে থাকো তুমি
আমি আবেগে ভাসি
তবুও যেন মিল খুঁজে পাই
তোমায় ভালোবাসি।।


কবিতা, তুমি অমর রবে : জিয়াউর রহমান



সৃষ্টির পূর্বেও ছিলে স্রষ্টার বক্ষমাঝে,
পরেও আছো অধিষ্ঠিত তুমি
বিশ্ব-হৃদয়ের মন্দিরে।
তোমার রঙধনুর রং রাঙা করেছে
কত মানব- মানবীর হৃদয়ের আবেগ!
কত প্রাচীন অর্বাচীনের কামনা তুমি,
সবার উপর বর্ষণ করেছ কৃপাধারা।
প্রেম-গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ-হওয়া হৃদয়-ক্ষতের হয়েছ উপশম,
কখনো-বা হয়েছ চিড়-ধরা সম্পর্ক
জোড়া লাগানোর আসঞ্জন।
সত্যান্বেষীর বাহন হয়ে পৌঁছে দিয়েছ
তাকে তার কাঙ্খিত লালিত লক্ষে।
বর্বরতার পদতলে নিষ্পেষিত নিপীড়িত
জাতির প্রেরণাদায়ী বিপ্লব-গান হয়েছ,
হয়েছ  প্রতিবাদ-ভাষা, দিয়েছ মুক্তি।


ঐ রাখালের বাঁশির মনমাতানো সুরে,
বসন্তের ঐ কোকিলের সুরেলা কূজনে,
মৌমাছির ঐ অবিরাম গুঞ্জনে,
ঐ পাহাড়ী ঝর্ণার জল-তানে
আছো তুমি বাসা বেঁধে।
সময়হীনতার সুধা সেবনে হয়েছ অমর
আর অমরত্ব দিয়েছ তাদের যারা
যতনে লিখেছে তোমায় তাদের
 হৃদয়ের অনপনেয় কালি দিয়ে!