নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

মন্দবাসা : বৈশাখী গোস্বামী


তুমি আমায় জিজ্ঞেস করেছ বহুবার,"কেন আমি বারবার ভালোবাসি? ওরা তো বাসে না।" তখনই আমি খুলে দিই নিজেকে, অকালেই শ্রাবণ নামে নিশ্চুপ থেকে যায় মুঠোফোন, তুমি কেঁপে ওঠো। আসলে যতবার পরাজিত সৈন্যের মতো ফিরি আসি, চোখের তলার পুরু কালো, মুখের অরুচি, নির্ঘুম রাত আর অপ্রস্তুত পরীক্ষা নিয়ে ততবার তুমি সামলে নাও কেমন করে? আমি তো প্রশ্ন করিনি কোনোদিনও। কারণ জানি, তখন আমি হয়ে উঠি তোমার সন্তান আর তুমি আমার পিতা।
ঠিক এ কারণেই আমি বারবার বারবার ভুলে হাঁটি,
তুমি রেশমি আলো, পরিপাটি। তবে, তুমি আমার প্রেমিক না হলেও আমি তোমার অপ্রেমিকা রয়ে যাব আজীবন।
ইতি,
তোমার অপ্রেমিকা

"তবু...ভালোবাসি" : চন্দ্রানী পাল



তোমার রাস্তা সরলরেখায়
আমার রাস্তা বাঁকা
কি করে যে হলো তবু
তোমার সাথে দেখা!!

তোমার দৃষ্টি অধরে মেশে
আমার দৃষ্টি চোখে
তবুও কেন তোমারই ছবি
আমার আঁখি দেখে!!

তোমার চক্ষু রক্তবর্ণ
আমার আঁখি সিক্ত
তবুও তোমায় ভালোবেসে
আজ আমি রিক্ত।

তোমার প্রিয় গোলাপ আজও
আমার প্রিয় জুঁই,
তবু ও তুমি মনেরবন্ধু
তুমি থেকে তুই..।

তোমার প্রিয় ঝোড়ো হাওয়া
আমার হিমেল বাতাস
তবু আমি তোমার চোখেই
দেখি চেনা আকাশ।

তোমার প্রিয় শীত ঋতু
আমার প্রিয় বসন্ত
তবুও যেন মিল খুঁজে পাই
আদি থেকে অন্ত।

তোমার প্রিয় ময়ূরাক্ষী
আমার কর্ণফুলি
তবুও তো দুঃখে-সুখে
হাত ধরেই চলি।

তোমার প্রিয় সুনীলবাবু
আর আমার প্রিয় রবি,
দু-এক কলম লিখতে পারি
তোমার জন্য সবই।

তোমার প্রিয় জামদানী
আমার বালুচরী,
তবুও মোদের এক আকাশ
সুখের সৌধ গড়ি।

যুক্তি তর্কে থাকো তুমি
আমি আবেগে ভাসি
তবুও যেন মিল খুঁজে পাই
তোমায় ভালোবাসি।।


কবিতা, তুমি অমর রবে : জিয়াউর রহমান



সৃষ্টির পূর্বেও ছিলে স্রষ্টার বক্ষমাঝে,
পরেও আছো অধিষ্ঠিত তুমি
বিশ্ব-হৃদয়ের মন্দিরে।
তোমার রঙধনুর রং রাঙা করেছে
কত মানব- মানবীর হৃদয়ের আবেগ!
কত প্রাচীন অর্বাচীনের কামনা তুমি,
সবার উপর বর্ষণ করেছ কৃপাধারা।
প্রেম-গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ-হওয়া হৃদয়-ক্ষতের হয়েছ উপশম,
কখনো-বা হয়েছ চিড়-ধরা সম্পর্ক
জোড়া লাগানোর আসঞ্জন।
সত্যান্বেষীর বাহন হয়ে পৌঁছে দিয়েছ
তাকে তার কাঙ্খিত লালিত লক্ষে।
বর্বরতার পদতলে নিষ্পেষিত নিপীড়িত
জাতির প্রেরণাদায়ী বিপ্লব-গান হয়েছ,
হয়েছ  প্রতিবাদ-ভাষা, দিয়েছ মুক্তি।


ঐ রাখালের বাঁশির মনমাতানো সুরে,
বসন্তের ঐ কোকিলের সুরেলা কূজনে,
মৌমাছির ঐ অবিরাম গুঞ্জনে,
ঐ পাহাড়ী ঝর্ণার জল-তানে
আছো তুমি বাসা বেঁধে।
সময়হীনতার সুধা সেবনে হয়েছ অমর
আর অমরত্ব দিয়েছ তাদের যারা
যতনে লিখেছে তোমায় তাদের
 হৃদয়ের অনপনেয় কালি দিয়ে!


রাত এখন গভীর :পলি ঘোষ


রাত এখন অনেক গভীর
ঘুমের ঘোরে ভাবনার সাগরে ভেসে ভেসে হারিয়ে ফেলেছি আমি নিজেই নিজের জীবন।

রাত শেষ হবার সাথে সাথে শুরু হয় নতুন ঊষাকাল পূব আকাশে।
ঈশান কোনে জমে আছে কত মমতা আর ভালবাসা অনুভব করি তোমার কাছে কিছু আশা।

গোধুলি একাকার হয়ে মিশেছি আমার মতো নগণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে তার ফুসফুসে।

গোধূলির রঙে রাঙিয়ে যাওয়ার পর এসে গেছে বহু দূরে সরিয়ে কালো মেঘ ঢেকে গেছে আর তুমি আমার মনের ভিতর থেকে ছন্দোবদ্ধ এক রঙা আবীর।

সন্ধ্যা বেলা শেষে যখন এসে গেছে সাত সাগর রক্তের বিনিময়ে কিনে পাওয়া গেল আমার অবুঝ পাখি তুমি কেমন আছো।

রাতের অন্ধকারে মিশে থেকেছি এই ভেবে একদিন তুমি আমার মনের ভিতর চাপা কষ্ট ইচ্ছে হলেও পূর্ন করে তোমার অশ্রু অনুভবে কাছে টেনে চোখে চোখ রেখে আবীর রঙা মেঘে রাঙিয়ে নিও।

মধ্যরাতে খোলা আকাশের বুকে টেনে নিয়ে আমার মতো নগণ্য সাধারণ প্রশ্ন লেখ।

শেষ রাতে মেলার উদ্বোধন সেদিনই হয়েছিল তখন আমি নিজেই নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলে ধরে এক লিখেছিলাম নতুন ঊষাকাল পূব আকাশে।

বিধির কাছে প্রশ্ন: জামান আহম্মেদ ইমন



জীবন গেলো দুঃখ কষ্টে
সুখের ছোয়া পাইনি,
যারে ভালোবাসিলাম আমি
আমার আপন হয়নি।


সুখের আশায় ঘর বাধিলাম
সেই সুখ আমার সয়নি,
মনের আয়নায় ছবিটি তার
মূছে ফেলা যায়নি।

তাকে ছাড়া এই জীবনে 
অন্যকিছু চাইনি,
বিধির কাছে প্রশ্ন আমার
তারে কেন পাইনি?

প্রতিকূল : শৌর্য্যিতি



সে'তো গুটিয়ে ফেলেছে বই খাতা, ভীষণ জ্বরে ..
তুমিও মেঘ দিয়েছো তাকে।মনখারাপি উড়ে যায় ফুসমন্তরে..।

শীত নেমে আসে শহর তার,চোখ।বদলে যাওয়া জলবায়ু
আমিও মৃত্যুকে রোজ চুমু খাই,অবরোধ।হেঁটে চলা পথ আয়ু'র

"ভালো আছি " মিথ্যে সে কথা ভীষণ সত্যি, আয়না
"মিছিলে মিছিলে প্রেম হউক" মোমবাতি না ।

বৃত্ত আঁকছি তাই ,সংসার চলে যায় কোনো মতে।বিপ্রতীপ ,
মন আমিও সময় নিচ্ছি কিনে, বিপরীত।।