নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

কবিতা, তুমি অমর রবে : জিয়াউর রহমান



সৃষ্টির পূর্বেও ছিলে স্রষ্টার বক্ষমাঝে,
পরেও আছো অধিষ্ঠিত তুমি
বিশ্ব-হৃদয়ের মন্দিরে।
তোমার রঙধনুর রং রাঙা করেছে
কত মানব- মানবীর হৃদয়ের আবেগ!
কত প্রাচীন অর্বাচীনের কামনা তুমি,
সবার উপর বর্ষণ করেছ কৃপাধারা।
প্রেম-গোলাপের কাঁটায় বিদ্ধ-হওয়া হৃদয়-ক্ষতের হয়েছ উপশম,
কখনো-বা হয়েছ চিড়-ধরা সম্পর্ক
জোড়া লাগানোর আসঞ্জন।
সত্যান্বেষীর বাহন হয়ে পৌঁছে দিয়েছ
তাকে তার কাঙ্খিত লালিত লক্ষে।
বর্বরতার পদতলে নিষ্পেষিত নিপীড়িত
জাতির প্রেরণাদায়ী বিপ্লব-গান হয়েছ,
হয়েছ  প্রতিবাদ-ভাষা, দিয়েছ মুক্তি।


ঐ রাখালের বাঁশির মনমাতানো সুরে,
বসন্তের ঐ কোকিলের সুরেলা কূজনে,
মৌমাছির ঐ অবিরাম গুঞ্জনে,
ঐ পাহাড়ী ঝর্ণার জল-তানে
আছো তুমি বাসা বেঁধে।
সময়হীনতার সুধা সেবনে হয়েছ অমর
আর অমরত্ব দিয়েছ তাদের যারা
যতনে লিখেছে তোমায় তাদের
 হৃদয়ের অনপনেয় কালি দিয়ে!


রাত এখন গভীর :পলি ঘোষ


রাত এখন অনেক গভীর
ঘুমের ঘোরে ভাবনার সাগরে ভেসে ভেসে হারিয়ে ফেলেছি আমি নিজেই নিজের জীবন।

রাত শেষ হবার সাথে সাথে শুরু হয় নতুন ঊষাকাল পূব আকাশে।
ঈশান কোনে জমে আছে কত মমতা আর ভালবাসা অনুভব করি তোমার কাছে কিছু আশা।

গোধুলি একাকার হয়ে মিশেছি আমার মতো নগণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে তার ফুসফুসে।

গোধূলির রঙে রাঙিয়ে যাওয়ার পর এসে গেছে বহু দূরে সরিয়ে কালো মেঘ ঢেকে গেছে আর তুমি আমার মনের ভিতর থেকে ছন্দোবদ্ধ এক রঙা আবীর।

সন্ধ্যা বেলা শেষে যখন এসে গেছে সাত সাগর রক্তের বিনিময়ে কিনে পাওয়া গেল আমার অবুঝ পাখি তুমি কেমন আছো।

রাতের অন্ধকারে মিশে থেকেছি এই ভেবে একদিন তুমি আমার মনের ভিতর চাপা কষ্ট ইচ্ছে হলেও পূর্ন করে তোমার অশ্রু অনুভবে কাছে টেনে চোখে চোখ রেখে আবীর রঙা মেঘে রাঙিয়ে নিও।

মধ্যরাতে খোলা আকাশের বুকে টেনে নিয়ে আমার মতো নগণ্য সাধারণ প্রশ্ন লেখ।

শেষ রাতে মেলার উদ্বোধন সেদিনই হয়েছিল তখন আমি নিজেই নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলে ধরে এক লিখেছিলাম নতুন ঊষাকাল পূব আকাশে।

বিধির কাছে প্রশ্ন: জামান আহম্মেদ ইমন



জীবন গেলো দুঃখ কষ্টে
সুখের ছোয়া পাইনি,
যারে ভালোবাসিলাম আমি
আমার আপন হয়নি।


সুখের আশায় ঘর বাধিলাম
সেই সুখ আমার সয়নি,
মনের আয়নায় ছবিটি তার
মূছে ফেলা যায়নি।

তাকে ছাড়া এই জীবনে 
অন্যকিছু চাইনি,
বিধির কাছে প্রশ্ন আমার
তারে কেন পাইনি?

প্রতিকূল : শৌর্য্যিতি



সে'তো গুটিয়ে ফেলেছে বই খাতা, ভীষণ জ্বরে ..
তুমিও মেঘ দিয়েছো তাকে।মনখারাপি উড়ে যায় ফুসমন্তরে..।

শীত নেমে আসে শহর তার,চোখ।বদলে যাওয়া জলবায়ু
আমিও মৃত্যুকে রোজ চুমু খাই,অবরোধ।হেঁটে চলা পথ আয়ু'র

"ভালো আছি " মিথ্যে সে কথা ভীষণ সত্যি, আয়না
"মিছিলে মিছিলে প্রেম হউক" মোমবাতি না ।

বৃত্ত আঁকছি তাই ,সংসার চলে যায় কোনো মতে।বিপ্রতীপ ,
মন আমিও সময় নিচ্ছি কিনে, বিপরীত।।


বিবেক এবং : সুমিত ভদ্র



শহর কেঁপে ওঠে ঘুম ভাঙা চিত্কারে;
থর থর করে কাঁপতে থাকা শরীর বারবার ব্যর্থ হয়
কামলালসায় নিমজ্জিত হিংসাত্মক হাতের থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টায়।
উপভোগ করো শরীর,
নষ্ট করো সম্ভ্রম।
চিঁড়ে ফেলো যোনি তোমাদের কালো রাতের চিহ্ন মুছে দিতে।
মেতে ওঠো শরীর নিয়ে খেলা ও হত্যালীলায়।
তোমাদের কামোত্তেজনা মানে না কোনো বিবেকের বাঁধা!
ছোট্ট প্রানের ধর্ষন ব্যাথার কাতরতাও পৌঁছাতে পারেনা তোমাদের কানে।
বন্ধ ঘরে বা জঙ্গলে বেড়ে যায় আরও একটি শিশুর গলাকাটা লাশের সংখ্যা।
আর প্রতিবাদ ধামাচাপা পড়ে ধর্মাবলম্বি রাজনীতির কচকচানিতে।
শুঁকিয়ে যায় একসময়ের দগদগে ঘাঁয়ের ক্ষত,
নিভে যায় মোমবাতি মিছিলের বাতি,
গতানুগতিক কলরবে ভেঙে যায় কালো কাপড়ে ঢাকা মৌন মিছিলের নীরবতা।
বেকসুর হয় আরও একটি ধর্ষক,
বীজ বপন হয় আরও এক ধর্ষিতার প্রানহানির।

ঝরা পাতা : রাণা চ্যাটার্জী



কালকেও যে সজীব ছিল, আজকে ঝরাপাতা
সাংবাদিক লিখছে কতো,আমার কলম ভোঁতা

এইতো সেদিন চির সবুজ,জাগলো কিশলয়
হঠাৎ দেখি এক যুদ্ধ ছায়া,কখন কি যে হয় !

দস্যি দামাল,ছন্দে কামাল,ভারত সেনানী বীর,
 মনোবলের লেলিহানে গুঁড়াও,যত জঙ্গি শিবির

বড়শি নিয়ে পড়শী দেশ,রোজ করছে নাজেহাল,
 বীর সেনাদের দৃঢ়চেতা ভাব ,হবেইনা টালমাটাল।

গাছের পাতা ঝরতেও দেখি নতুন পাতা আসে
পাখপাখালির মিষ্টি সুর সংগীত হৃদয় ভালবাসে।

  ঝরা পাতা তো ঝরেই পড়ে  নির্ঝরে টুপ করে,
  কচি পাতা আসে দেখি,সেজে ওঠে গাছ ভরে।
                     
 পাতা ঝরে ,খসে যায়ও,কত স্মৃতি রেখে যায়,
 উদাসীন মন,করে হায় হায়,গাছ বুঝি অসহায়।

 নিয়মেরই আঙিনায় সব কিছুই তো সয়ে যায়,
 পৌঢ়রাও সরে যায়,কিশলয় দেখি প্রাণ পায়।

 তবু মন খাবি খায়, সুখ দুঃখের স্মৃতি চমকায়,
 ব্যস্ততা ধমকায়,ঝরা পাতা থমকায়,ধোঁয়াশায়।