নবজাতক: অঙ্গীকার
*******************
বেশ্যা হও, বেশ্যা হওয়া তোমাদের জন্মগত অধিকার....আমরা পুরুষ, আমরা এনজিও, আমরা সমাজ !!.. .. মহিলার শরীরকে বাজার বানানোর যে যুক্তিটা যত্ন করে সকলকে বোঝানো হয়, তা হলো অভাব....শিক্ষার নাকি চাল ডালের ?... কিন্তু শিক্ষা দিয়ে প্যান্টের তলায় মারাত্মক অস্ত্রটাকে কে কবে শান্ত করতে পেরেছে !... আর অভাব. ? আমাদের নীচুপাড়ার সাঁওতাল মাসিরা প্রতিদিন সকালে দলবেঁধে মিস্ত্রীর কাজে যায় সেটাও তো অভাবের তাড়নাতেই...তবে ?....মনুয়ার স্বামী থাকতেও আরো একটা পুরুষ শরীরের প্রয়োজন ছিলো....কেন ?... কারন একটাই.সেটা তীব্র কাম যন্ত্রনা ....কিন্তু তাই বা কী করে হয় ?.. সেই তাড়নাতেই যদি কেউ শরীরকে ভাড়া খাটায় তাহলে জীবনে এত অন্ধকার কেন ?... এখানে একটা মজাও আছে, সম্মতিতে যৌনশিল্প আর অসম্মতিতে ধর্ষন !...অথচ দুটো ভাত কাপড়ের জন্য নারী শরীরে প্রতিদিন তিরিশটা শরীরের দাপাদাপি এটা অত্যাচার নয় ?... ইঁদুর পচা ঘন্ধময় পেনিসকেও চুষতে বাধ্য করা আরো ১০০ টাকা দিয়ে, এরপর পেছনে নাও, কুকুর সাজো..ইত্যাদি ইত্যাদি......যৌন কর্মী !!....নিজের নিজের ঘরের মা বোনেদের সুরক্ষিত রেখে "বাইরের" ঘরের মেয়েদের অসহায় দেখতে আমরা খুব ভালোবাসি, সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে আরো ভালো বাসি.... অসহায় সেই বাজারের মেয়েটি কারোর বোন নয় ? কারোর মেয়ে নয় ?....অথচ এই ব্যবসাকেই শিল্প নাম দিয়ে আমরাই মুনাফা লুটি,.. যুক্তি দেখাই এদের জন্য নাকি আমাদের নিজের ঘরের মা বোনেরা সুরক্ষিত থাকে !!.. এদিকে তারা রয়ে যায় অন্ধকারেই তবে কারোবারিদের পকেট ভরে, লকপকানো পুরুষ অঙ্গ ঘন্টাখানেক তৃপ্ত হয়..... আমাদের পরম মাননীয়া সিএমের যখন কন্যাদের নিয়ে এত প্রকল্পের কথা শুনি....তখন বিশ্বাস করুন মুখ লুকোনোর জায়গা পাই না.....অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছুট নাবালকও স্কুল ড্রেস ব্যাগে লুকিয়ে সোনাগাছির ঘরে ঢোকে.....সোনাগাছি, কাদারোডে যারা এই যৌন শিল্পের কারবারে নেমেছেন সেখানে ১৩ বছরের কচি মালও পাওয়া যায়.....এই মা, দিদি, বোনেদের ওপর প্রতিদিন চলা অমানুষিক অত্যাচারকে আমরা কেউ কেউ নির্লজ্জ সমর্থন করি... অতএব " সে মন্দিরে দেব নাই"....এ মন্দিরেও আর আমাদের মনূষ্যত্ব নাই.....পড়ে আছে শুধু "মানুষ" নামক আমড়ার আঁটি....
আর রেপ টেপ দেখতে চান তো গুগলে আসুন...বৌদির শাড়ি ছাড়া থেকে স্নান....হস্ত মৈঃ থেকে হার্ড ফাকিং..... OK আপনার কচি মাল পসন্দ তাই তো ?স্কুল সেক্সে পেয়ে যাবেন....আছে টিন সেক্স....১৬ বছরের যুবতীর সব কিছু. ...খিড়কি থেকে সিংহদুয়ারের ভেতরের সমস্তটা....বৌদি মানে লাখ লাখ বৌদি.....যুবতী মানে লাখ লাখ যুবতী.......হাতের মুঠোয় ভ্যারাইটিস যৌনাঙ্গ....থেকে থেকে মেয়েদের মুখে আরামের আওয়াজ.....ক্লাস ফাইভের ছেলের দলও টিফিনে স্কুলের মাঠে বসে দেখে নিচ্ছে সব টুকু.....মাল !!গুরু মাল !! ....মোমবাতি, বেগুনেই যদি শীৎকার হয়....তবে লোহার রোড, ভাঙা কাচের বোতল, গাছের গুঁড়িতে তো সুখ সাগরে মাল ভেসে ভেসে উঠবে....সন্দেশ খালির বৃদ্ধার যৌনাঙ্গ থেকে নাকি নাড়ি ভূড়ি বেরিয়ে এসেছিলো.....গোপন অঙ্গ আর গোপন নেই, লজ্জাস্থানে আর লজ্জা নেই.....মা বাবা তাদের ছেলেকে মোবাইল না কিনে দিলেও ছেলে বন্ধুর মোবাইল থেকে দেখে নেবে XXX.....কচি মাথাতে যা ঢোকে তা রয়ে যায় বরাবর.....তবে?... উপায় ?....কী হবে ভবিষ্যত- পৃথিবীর ??উপায় জানা নেই...তবে ভাবলে গা শিউরে উঠছে.....বিকৃতির যেন প্রতিযোগিতা চলছে....নৃশংসতায় আমার চেয়ে কে আগে !!. ২২ দিন যমে মানুষে টানাটানি, অবশেষে সেই মায়ের মৃত্যু ...সেই রাতের রেপ, ভাঙা বোতল ঢোকানো যোনিদ্বারের লাইভ ভিডিও যদি নেটে এসে গেছে....তা দেখে কত শত পুরুষ অঙ্গ যে প্যান্ট ভেজাবে তার ইয়াত্তা নেই....এদিকে ততদিনে সেই শরীর পুড়ে ছাই, জীবনেও, মরনেও.....সাড়ে তিন থেকে একষট্টি !!.... মহিলা হলেই হলো....রাস্তার পাগলীটাও চলবে..... কে দায়ী এ প্রশ্ন বৃথা. ..দায়ী আমরা নিজেরাই......জ্যাঠামো নাম দিয়ে সব সতর্কতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মাশুল গুনছি আমরা........