নোটিশ বোর্ড
সোমা দাস
লাশে ঢাকা মা
***********
কাশ ফুলের ঝারে যখন লেগেছে মাতন
যখন পরেছে ঢাকে কাঠি-
আমার বিষন্নতা ছুঁয়ে থাকে জলের তোড়ে
ভেসে যাওয়া মানুষের পীড়িত মুখ!
নতুন জামার গন্ধে লেগে থাকে -সেই
দু-মুঠো অন্নের জন্যে ক্রন্দনরত শিশুর
দীর্ঘশ্বাস!
যেন-দুহাত বাড়িয়ে আনন্দঘনো মুহুর্তগুলোকে
ছুঁতে চায়!
আমি কাদামাখা লাশের উপর দিয়ে হেঁটে চলি
মন্বন্তর যেন!
ঢাকের কাঠিতে বাজে স্বজন হারানো কান্নার বোল
হৃদয় বিদারক শব্দের ঝংকারে শূন্য বুকের খাঁচা !
কিছু শব্দের অনুরনন ফিরে আসে -
আমাদের বাঁচাও, বাঁচাও আমাদের! !
অনির্বাণ দাস
মানবতা
*******
মিশছে মানুষ মাটির নিচে
থাকছে মানুষ কাহিনীতে
ওই ছেলে টা সহজ সরল
হিংসা ভরা পৃথিবী তে !
যাচ্ছে মুছে শহীদের দান
ভাবছে ওপারে পূর্ব গণ
বলছে ঝুঁকে , হচ্ছে টা কি ?
মা এর বুকে , এ কোন পাষাণ !
ভাবছে ওপারে পূর্ব গণ
বলছে ঝুঁকে , হচ্ছে টা কি ?
মা এর বুকে , এ কোন পাষাণ !
লাল মাটির অরুণ ছায়ায়
তরুণ কেনো রক্তে ভরায়
নদীর কূলে ওই ছেলেটা
মিথ্যে কেনো দ্বন্দ্বে জড়ায় ?
তরুণ কেনো রক্তে ভরায়
নদীর কূলে ওই ছেলেটা
মিথ্যে কেনো দ্বন্দ্বে জড়ায় ?
গোলাপ চারা অরুণ , বরুণ
কাঁটায় আছে রক্ত বিন্দু
হালকা বুলেটে রাস্তা বুলেটিন
বিবেক হবেনা পূর্ণ চেতনা কিন্তু !
কাঁটায় আছে রক্ত বিন্দু
হালকা বুলেটে রাস্তা বুলেটিন
বিবেক হবেনা পূর্ণ চেতনা কিন্তু !
পারি না আমি ফোটাতে ফুল
পারি না আমি জাগাতে কুল
পাই না আমি গোলাপ বর্তমান
পাই না মাতুঃষ্বসা , মাতুল !
পারি না আমি জাগাতে কুল
পাই না আমি গোলাপ বর্তমান
পাই না মাতুঃষ্বসা , মাতুল !
হোক , মেঘের ভেলা আকাশের জন্য,
নীল জল সমুদ্রের জন্য,
সবুজ রঙ প্রকৃতির জন্য,
কোকিলের গান বসন্তের জন্য,
সবুজের উচ্ছ্বাসে, ফুলের ঘ্রাণে
জাগুক আলোড়ন সবার প্রাণে !
নীল জল সমুদ্রের জন্য,
সবুজ রঙ প্রকৃতির জন্য,
কোকিলের গান বসন্তের জন্য,
সবুজের উচ্ছ্বাসে, ফুলের ঘ্রাণে
জাগুক আলোড়ন সবার প্রাণে !
একটা আকাশ কি পারে সবটুকু মেঘ ধরে রাখতে?
একটা সাগর কি পারে সবটুকু জল জমা রাখতে?
আর একটা বসন্তই কি পারে সবটুকু ভালবাসা প্রকাশ করতে?
তার পরও যেন ভালোবাসায় পূর্ণ থাকে এই বসন্ত।
সেই শুভকামনাই থাকবে আমার কলমের মূলে !
একটা সাগর কি পারে সবটুকু জল জমা রাখতে?
আর একটা বসন্তই কি পারে সবটুকু ভালবাসা প্রকাশ করতে?
তার পরও যেন ভালোবাসায় পূর্ণ থাকে এই বসন্ত।
সেই শুভকামনাই থাকবে আমার কলমের মূলে !
নীশি যখন ভোর হবে,
শুকতারা নিভে যাবে,
শুরু হবে নতুন দিন।
দু:খ হতাশা ক্লান্তি ভুলে
দিনগুলি হোক অমলিন,
শুভ হোক প্রতিটি দিন।
শুকতারা নিভে যাবে,
শুরু হবে নতুন দিন।
দু:খ হতাশা ক্লান্তি ভুলে
দিনগুলি হোক অমলিন,
শুভ হোক প্রতিটি দিন।
রবি মল্লিক
বিপথগামী
**********
আর কতটা রক্ত ঝড়িয়ে
তোমরা শান্ত হবে?
আর কতগুলো লাশ দেখলে
তোমাদের ঘোর কাটবে?
মৃত্যু মিছিল এর প্রচার
করে চলেছ সগৌরবে,
রক্ষকই নিয়েছে আজ
ভক্ষকের দায়িত্ব;
"জোর যার মুলুক তার"
মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে,
রাখতে চাইছো অক্ষুণ্ন
ধ্বজার স্থায়িত্ব;
অনিবার্য প্রলয়
ডেকে আনবেই ধরাধমে,
মায়ের শূন্য কোলের
হাহকার কাতর বাণী,
বর্তমান আর ভবিষ্যত্
প্রজন্মকে ধ্বংস করে,
কাদের ওপর শাসন চালাবে
"রাজা আর রাণী"!
তোমরা শান্ত হবে?
আর কতগুলো লাশ দেখলে
তোমাদের ঘোর কাটবে?
মৃত্যু মিছিল এর প্রচার
করে চলেছ সগৌরবে,
রক্ষকই নিয়েছে আজ
ভক্ষকের দায়িত্ব;
"জোর যার মুলুক তার"
মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে,
রাখতে চাইছো অক্ষুণ্ন
ধ্বজার স্থায়িত্ব;
অনিবার্য প্রলয়
ডেকে আনবেই ধরাধমে,
মায়ের শূন্য কোলের
হাহকার কাতর বাণী,
বর্তমান আর ভবিষ্যত্
প্রজন্মকে ধ্বংস করে,
কাদের ওপর শাসন চালাবে
"রাজা আর রাণী"!
অনুরাধা সরখেল
মেয়েকথা ৬
*********
সহেলীর বিবাহের তৃতীয়দিন পরেই নতুন সংসার ছেড়ে চলে আসতে হল।তৃতীয়দিন অর্থাৎ,ফুল সজ্জার ঠিক পরেরদিন।সাদা চাদরে সহেলীর রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি।তাকে পতিতা হতে হল।অথচ যে পুরুষটির সাথে এই নব বধুর বিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সে উচ্চ শিক্ষিত।সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের মধ্যে একজন।বিবাহিত পুরুষটির মা,বাবা অধিক আগ্রহে মেয়েটির প্রতি তীব্র কুরুচিকর মন্তব্য প্রর্দশন করলেন এবং সদ্য বিবাহিত কন্যাটি ঘরছাড়া হতে বাধ্য হল।
সতিত্ত রক্ষার প্রধান দায় নারীদের সগর্বে গ্রহন করতে হয়।এঁঠো খাবার যেমন মানুষ খেতে চায়না।পরিস্কার চকচকেথালায় ভিন্নরুপে সুসজ্জিত ভাবে সাজানো খাবার গ্রহনে আগ্রহী ঠিক তেমনি একজন নারীকে সতিত্ত রক্ষা করে সুসজ্জিত হয়ে পুরুষের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে হয়।সাদা চাদরে রক্তের দাগ না পেলে চরিত্রহীন শব্দটি মাথা পেতে গ্রহন করতে হয়।একটি ছেলের অবশ্য এসবের কোনো বালায় নেয়।যৌবনে বহু ক্রিয়াকলাপের পর বিবাহের সময় একটি সুন্দরী কুমারি মেয়ে খুঁজতে বেড়িয়ে পরে।শহরান্চলে বড় হওয়া বেশ কিছি পুরুষ ,যারা তথাকথিত সভ্য এবং শিক্ষিত বলে বিবেচিত তারা একটু অল্প শিক্ষিত গ্রাম্য মেয়ের সঙ্গে বিবাহ করতে মত প্রকাশ করে।তাদের কুমারিত্ত নিয়ে চিন্তার রেশ বেশ কিছুটা মনে করে সভ্য সমাজের পুরুষরা।
পুরুষরা চায় কচি চারা গাছে সদ্য প্রস্ফুটিত একটি ফুল,যে পুর্বে কেও স্পর্শ করেনি,ঘ্রাণ নেয়নি বিবাহের পর তিনি প্রথম স্পর্শ করবেন,ঘ্রান নেবেন এবং ইচ্ছেমত ফুলের একটি একটি করে পাঁপড়ি ছিরবেন।
সায়েন্সের ভাষায় ,হাইমেন
শব্দটির বাংলা অর্থ স্বতীচ্ছদা।সাঁতার,খেলাধুলা,না চসহ দৈনন্দিন বহু কাজ কর্মের ফলে এই পর্দাটি ছিরে যেতে পারে।এছাড়াও অনেক নারী এই পর্দা ছাড়াই জন্মগ্রহন করেন।এসবের বিচার না করেই কিছু পুরুষ এখনও নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা বলে।পতিতা হতে হয় বহু নারীকে।যারা মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে তারা সমাজের চোখে জীবিত থাকে আর যারা সহ্য করতে পারেনা সমাজ তাদের নির্বাসন দেয়।
শব্দটির বাংলা অর্থ স্বতীচ্ছদা।সাঁতার,খেলাধুলা,না
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)