নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রাহুল গাঙ্গুলী







সেক্স।গিনিপিগ।অযৌন কেচ্ছা
****************************



[১]

হা।হিশি ~ রোজ পায় : সুড়ঙ্গ
গতিবেগ প্রাপ্ত মলিকুল গঠন < পৃথিবী & তাপ >


[২]

ভীষ্মপথ ~ হুহু-হুহু : হুনর্ তোমারিই
কাঁচি চালালে : হুব্বা রেললাইন < জুয়ারি প্রসব >


[৩]

খিশকো ~ খুকখুক খাসী {খাসীয় মেয়নিজ}
রেডিয়েশন লেভেল হাই @ রেডিও পিকিং।ঘুমন্ত


[৪]

শুয়োরের বাচ-চা ~ চাঁদা / চাঁদ : ভার্চুয়াল
রাহুল → ভিতরে বদবুদ।অন্তরে পর্ণপর্ণ-পর্ণমোচী


[৫]

সটকে রওয়েনা।নেহি তো সদকে রেহনা
গোলিমার পুংবুকে TNT-303।এরা ইরাকে ফুটেছিল


[৬]

১৯৭১।রাশিয়া ~ কেড়ে নেয় জাঙিয়া
ইন্দিরা গান্ধী ও দেওয়াল : ফুলটু মাসিক
স্বপন্ দেখি ~ খোদাই : মোদী / মমতা < পর্ণস্টার >


[৭]

পুষ্টকরণ ~ মরুভূমি < ফাকস্ > সাইরেন
ব্রাহ্মন্য ইমান-ধরম্ : রোটারী পুশি ~ চাও-তো
ডলার বেচে গুরুগারু।মেশিনকোড স্নাইপার্ দুদু


[৮]

এতক্ষন।ভদ্রতা চুদিয়ে চোদালাম ~ নামহীন
ব-দ্বীপ : নীরব ব্যর্থতায় [মা] মা-টি [মা+নুষ]
খাদ্য vs খাদক : বাস্কেট হলো।একই নিয়ম।ধৌত্



জারা সোমা





ছত্রছায়া.
******



কথা যত কম বলা যায়
তত ভালো থাকে সম্পর্করা
ঘরের কোণের টবে বরং যত্নে রাখি
সকল অ-কথা কুকথাদের
ওদের স্পর্শ করি মধ্যরাতে
স্বমেহনেই প্রীত হই
কবি , যোগী , উড়ুক্কু প্রেমের মতো
নীরবতাকে নতজানু করি শিকলে

কথাগুলো বাঁধি নিয়ম মেনে 
যতই খরস্রোত ভাসিয়ে দিক ঘর
শব্দের প্রলেপে ফুটিয়ে তুলি কবিতাঅবয়ব
দেনা পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে
তুলে দিই ম্যাগাজিনে
চিকচিকে চোখের পৈশাচিক উল্লাসে

কখনও আবার আরেকটু সাহসী হই
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ সঙ্গী করে
খুলে ফেলি রগরগে রম্যরচনার পাঠশালা
উৎসমূলে ঢালতে শেখাই রক্তবীজ
প্রতিশোধের অঙ্গীকারে টিকে যাই
ভালোবাসাহীন পৃথিবীর কৌটিল্য ছত্রছায়ায় ।।

প্রতিভা দে




কলম সৈনিক
******* ****


কলম সৈনিক বটে 
ঢাল তলোয়ার ছাড়া
তবুও কলম করতে পারে
হাজার লোকের জ্ঞান হারা।
মস্তিষ্কে চালায় আঘাত
অনেকের ই ঘটায় ঘুমের ব্যাঘাত।
নিঃশব্দ গুলি চালায় অন্তরে
অনেকটাই গোল পাকিয়ে দেয় মন্তরে।
যা গেল তা অভ্যন্তরে 
কাজটা বড়ই গোপন স্তরের।
জেগে উঠে মানুষ স্থির জেনে
অন্তরে তা নেয় মেনে।
সেই অস্রের এমন আঘাত
রক্ত ঝরেনা
শক্ত হয় আরো অন্তরে
বরং মরতে পারে অন্যের কাছে
সত্যকে নিয়ে ঢাল
জ্বালিয়ে নিয়ে বুকে মশাল।
মৃত্যু বরন করে ।

সোমা বিশ্বাস




ধর্ষক হত্যা
********


নারী ধর্ষণ করে তৃপ্তি পাও ।
মনে মনে হেসে নিজেকে পুরুষ বলে বাহবা দাও ।
মনে করো, এইরকম ঘটনা বাস্তবে ঘটতে শুরু হলো,
তাহলে কেমন হতো ?
একদল নারী বিপ্লবীর উদয় হলো
যাদের কাজ ধর্ষকদের হত্যা করা ।
স্লিপার সেলের মতই তারা লুকিয়ে থাকে
আর একটা ডেটালিস্ট তৈরী করে পুরুষ ধর্ষকদের,
তারপর প্রেমের অভিনয় করে সহবাসের টোপ ফেলে 
কেউ একজন ভুলিয়ে গোপন ডেরায় আনে,
সকল বিপ্লবী মেয়েরা তারপর হত্যা করে ।
আর তারপর ??? তারপর ???
তারপর প্রবল অট্টহাস্যে ধর্ষকের লিঙ্গ কেটে ফেলে 
একটা কাঁচের শিশিতে সংরক্ষণ করে.....
মৃত ধর্ষকের ছবি, নাম, পূর্বজীবনের ধর্ষণকাণ্ডের বিবরণ 
       লেখা থাকে তাতে ।
আর.... আর লিখে রাখে.......
           কত নম্বর ধর্ষণকারীর লিঙ্গ কাটা হলো

সন্দীপ দাস




আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী 
**************************





আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ।
যোনি বেচেছি পেটের টানে 
মুজরা করেছি উলঙ্গি বদনে 
এক নির্লজ্জ উলঙ্গ সমাজের সামনে ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী 
রাতের পর রাত বহু অসহায় হাত 
আমার দেহের কোমলতার সওদা করেছে ,
পেটের টানে তাও সয়েছি ।
ওরা বলতো আমি খুব রূপবতী ,
সতী হয়ে শিবের মত বর জুটলো ।
বিশ্বাস করুন , ঠিক শিবের মত 
মা , বাবা তাই তো বলতো ।।
বিদেশে থাকে , ভালো কামায় 
যেটা বলে নি সেটা হল 
কচি মাগী বেচে , মরদটা নিজের 
ব্যবসা চালায় ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ,
আমার এখন নতুন নাম রৌশনি বাই 
সারাদিন ওরা আমার ন্যাংটো শরীরটা 
কামড়ে কামড়ে খায় ,
আর সেই সেবা দিয়ে যেটুকু দিনে পাই 
তাই দিয়ে দিব্বি সংসার চালাই ।।

আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ,
রাতের আঁধারে কত এলো আর গেলো 
কত শিব গাঁজার কোলকে মুখে পুরে 
এই সতী লক্ষ্মীর সম্মান কিনে নিয়ে গেলো ।
লক্ষ্মী !! হাহাহা !! লক্ষ্মী !!
সত্যি আমি লক্ষ্মী , 
মরদের বেডরুম থেকে এই ঢালের উঠোনে 
আমি লক্ষ্মী , সতী-লক্ষ্মী ।।

আফসোস হয় না , বাবু 
একটুও হয় না ।।
সেকালের শিব আজকের জীবের সেবায় 
তুষ্ট হয়েছে ,
তাই তো এতো ডিমান্ড শরীরটার ,
ব্যবসা বেশ ফুলে ফেঁপে বসেছে ।।

যৌনতার ব্যবসায়ী ,
আমি এক যৌনতার ব্যবসায়ী ।।

শিল্পী দত্ত





বারবনিতা
 ********



আমি প্রতিরাতে মনের পসরা সাজিয়ে,
তোমার অপেক্ষায় জ্বেলেছি জোনাকির ঝাড়বাতি।
বারবার তোমার ঠোঁট ছুঁয়ে আমার ঠোঁট,
মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে প্রতিরাতে করা তোমার শপথের কথা‌।
তুমি আমার সন্তানের পিতা হয়েছ,
তবু আজও মোছেনি আমার কপালের 'বারবনিতার' আখ্যা। 
তোমার হাত বহুবার আমার শরীর ছুঁয়েছে,
কিন্তু আমার মনের অভিমান আজও রয়ে গিয়েছে                     তার নাগালের বাইরে।                                                                  কি প্রচন্ড অধিকারে প্রতিরাতে ছিঁঁড়ে টুকরো টুকরো করেছো আমার নারী সত্তাকে।                                               নিজের চোখের সামনে দেখেছি আমার কত স্বপ্নের মৃত্যু।             তবু আজও আমি  প্রতিরাতে তোমার অপেক্ষায়                     আমার মনের পসরা সাজাই‌,                                                       শুধু আজ ঝোনাকির ঝাড়বাতির বদলে  জ্বলতে থাকে           আমার স্বপ্নের চিতা।