আমার দুর্গা
**********
দুর্গা দেখি পথের পাশে;ঝুপড়ি ঘরে।
দুবেলা দুমুঠো ভাতের অভাবে শুকিয়ে মরে।
ছেঁড়া পোষাকে;নোংরা চুলে
রাস্তার মাঝে ভিক্ষা করে;
উত্সব ভুলে।
দুর্গা দেখি খাওয়ার দোকানে চায়ের ঠেকে;
বাসন মাজে; কাপ ধোয় দুঃখ শোকে।
সন্ধ্যা বেলা বাড়ি ফিরে জ্বর গায়ে;
ঠান্ডা ভাতে পেট ভরায় মায়ে ঝিয়ে।
দুর্গা দেখি বেশ্যালয়ে;খোলা শরীরে
সারাদিন রাত শরীর বিকোয় টাকার তরে।
শরীর নয়তো ;বিবেক বিকায় অনাহারে মরার ভয়ে।
দুর্গা দেখি পাহাড় কোলে তপ্ত রোদে
মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে।
বুকের পাঞ্জরে মচকা লাগে হাওয়া র ঘায়ে।
দুর্গা দেখি খনির ভেতর কয়লা কালো চামড়া নিয়ে;
জট পাকানো লাল চুলে পাগড়ি বেঁধে।
দুর্গা দেখি ইট ভাটায়;চা বাগানে ;তামা খনির গর্ভে
কাদে অর্ধাহারে;অনাহারে।
জীবন যুদ্ধের ইতিহাস লেখে
বন্ধ কারখানার হাড় পাঞ্জরে।
দুর্গা দেখি ঝোপের আড়ালে;ফাঁকা মাঠে;বন্ধ কারখানার ফাঁকা ঘরে
রক্তাক্ত উলংগ শরীরে মরে পড়ে।
রাতের হিংস্র অসুরের দল ভীষণ লোলুপতায়;ধারালো কামফলাকাগ্রে তারে খেয়েছে ছিঁড়ে।
তবু দেখি আমার দুর্গা
রোদে পুড়ে তামাটে শরীরে
সকরুন দৃষ্টি নিয়ে হেটে যায় জীবনপথে।
আগামীর নব অরুন প্রভাত দেখাবে বলে এই নতুন সভ্যতাকে।