নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জয়দীপ রায়


মেঘপক্ষ 


ঘন কালো আবছায়া
লুকিয়ে আছে কার্নিশ ধেয়ে
এক প্রেয়সীর কায়া
কালো ওই দুরবীন রেখা
বর্ডার দিয়ে...
একটা পুরুষ এঁকেছি
ধ্রুবের বুকে
তীর ধনুক ওয়ালা
মানুষটার বদলে ওকে
খাড়া করব
পাশের সিংহাসনে
যোনি আঁকবে
প্রসবস্থলে জন্ম নেবে বিকেল
আরেকটা বৃষ্টি পক্ষে। 
                                 

জয়শ্রী রায় মৈত্র


   ওরে ও মেঘ  



ওরে ও মেঘ 
তুই এত চঞ্চল ?
ভোর হতে না হতে এক কালো শামিয়ানায়
ঢেকে ফেলেছিস আকাশের রঙ,

বিশাল কালো ওড়না উড়িয়ে
দু’হাতের বন্ধনে খিড়কি পেরিয়ে
এ কোথায় নিয়ে এলি ?
বিশাল অজানা সফরে,

ঝমাঝম ঝুম ঝুম তালে
জুড়িয়ে গেল সারা শরীর
একমুঠো উত্তেজনার উল্লাসে
হারিয়ে দিলি মন ?,  

আজ কি তুই শান্ত হলি ?
প্রেমাসিক্ত আলিঙ্গন লেপনে
“হারিয়ে যাবার নেই মানা”-য় 
বর্ষণ মুখর ভালোবাসার আঙিনায় ।।

সন্দীপ ভট্টাচার্য



       আমি'র কাহিনী 



         
একটা অনুপস্থিতি 
ধাওয়া করে রাত দিন সময় অসময়
স্বপ্নের মতো দীর্ঘ আকাশের মতো বিস্তীর্ন
তাড়া করে ট্রাম বাস রেস্তোঁরা বিছানায়

একটা ঢেউ দুলিয়ে দেয় মন অজান্তে
রক্তাক্ত "আমি" খোঁজে একটা ঠিকানা
ক্লান্ত কেরানি ঘামের বাষ্পে গুমোট মেঘ
মনখারাপি রেলিঙে অপেক্ষা বৃষ্টিঘ্রাণ

আপাত রঙীন আচ্ছাদনে নাগরিক ধুকপুক
দূরত্ব দীর্ঘতর ক্রমশঃ চাওয়া পাওয়ার
হারাচ্ছে কেউ একটু একটু করে সামাজিকতায়
সময় কোথায় ঝড়া পাতার গল্প শোনার

আসলে জ্বলতে থাকা অহরহ
আর জ্বলে পুড়ে ছাই হওয়ার অপেক্ষা
মাঝে কিছু মিথ্যা মনের রঙে বানানো 
আর বাকিটা নির্বাসিত সেই আমি'র কাহিনী

অনোজ ব্যানার্জী


   এসো কালবৈশাখী



   ‎
ঐ ডাকছে গুরগুর,ভয়ে বুক দূরদূর কাঁপে,
‎নীলাকাশে জমছে কালোমেঘ,
‎আলো কাঁদে, আঁধারের দাপে। 
‎কী ভয়ংকর, কী দুর্বার, কালো কালো
‎মেঘের মিছিল।পাগলী প্রকৃতির,
‎অসহ্য খেয়ালে,ভয়ে সবে...
‎ঘরে আঁটে খিল। ক্ষুব্ধ প্রকৃতিরাণী,
‎সেজেছে আজ, এ কোন রণে???
‎লেগে যাবে হানা্হানি,দাপাদাপি,
‎গাছেগাছে বনেবনে। আকাশ মাটিতে
‎নিবিড় মাখামাখি,বিজলীদীপ্ত
‎লিপ্ত চুম্বনে।ঝরে পড়ে প্রেমের সুধা,
‎অবিরত ধারাবরিষনে।এলোমেলো
‎কুন্তলরাশি,বড়ো বড়ো লাল লাল
‎আঁখি।এসো ঝনঝন প্রলয়নৃত্যে,
এসো ‎,এসো প্রিয় কালবৈশাখী।
ধুয়ে দাও,মুছে দাও,করো সাফ,
আছে যত জমা জঞ্জাল।....
যত পাপ,যত তাপ,করো হরণ,
হে মহাকাল।
ভেঙে দাও, দাও করে তছনছ, 
অন্যায় অত্যাচারী  যত গাছ....
ডালপালা, ফুলফল তার।করো
ধ্বংস গভীর জলের মাছ।
এসো টর্ণেডো,এসো টাইফূন,
পাপের প্রাসাদ দাও গুড়িয়ে,
এসো বজ্র,এসো বিদ্যুৎ, পাপাচারী
চিত্ত,দাও পুড়িয়ে।ধনীদের অবহেলা,
অহংকারে,ঢালো জল,আরো  জল,।
বঞ্চিত বুকে তৃষিত মুখে,দাও জল,
ঝরঝর,শান্তির কলকল।নতুন প্রাতে,
নতুন সূর্যালোকে এই ধরণী করো,
উদ্ভাসিত।এসো এসো কালবৈশাখী,
নব মনেপ্রাণে, সবারে করো উল্লসিত।

শরীফ সাথী


শ্রমিক 
*******


বিশ্ব মাঝে ঘুরে পিছু
ধনী গরীব উঁচু নিচু
সাজানো তাঁর ক্রমিক,
যে যারে যার ধর্ম করি
যে যেখানে কর্ম করি
কেউ কারো কেউ শ্রমিক ৷
হয়না কিছুর সমতুল্য
গায়ের ঘামের ন্যায্য মূল্য
জাগ্রত হোক বোধের,
ঘাম শুকানোর আগে ভাগে
যেন সবার মনে জাগে
মূল্য পরিশোধের ৷

শুভদীপ পাপলু






মিসিং লিঙ্ক ও এক আহত পদার্পণ
******************************



ফের দারিদ্রসীমা দূর করছো সেলুলয়েডের পর্দায়, 
অথবা মধ্যরাতে শর্করা মিশ্রিত ব্যর্থ অ্যানাইহিলিনে
বা উপনিষদের ব্লাড রিপোর্টে সর্বভুক সাইবেরিয়ায়
কিংবা সাপলুডো খেলার অনিষিক্ত কথোপকথনে?

গঙ্গাবক্ষেই সবেমাত্র উত্থিত এ বুর্জোয়া কবির ঘাম
এ মুক্তমঞ্চ সাজালো কেবল শ্রাবস্তী'র কারুকাজ
কোন গ্রন্থি'তে সাপুড়ে বাজায় নায়িকার বদনাম, 
এ কোন সার্কাসে অতিথি তুমি?মহারাজাধিরাজ!

শ্রাবণধারা অস্তাচলে,চলে মস্তানি ফিল্মি দুনিয়াতে, 
কিপারের হাতে গ্লাভস্ নেই,তবু তিনি নাকি আছেন
তিনিই আজও ঘুষ খেয়ে যান সৃষ্টির বীজ বুনতে, 
অভিজ্ঞতার পাপ ঘোচাতে শিশুর রক্ত মোছেন!

আঁধার ঘনিয়ে চশমার ফাঁকে নরমেধ ব্রিজ তুলি
কোথায় জওয়ান,কে আগুয়ান,কোন পথে সভ্যতা
শক্তিহীনা কর্ম করে,ধর্মঘটে-আঁতকে ওঠে বুলবুলি
কুমির কাঁদলে আজও দেখি রঙ মাখে কলকাতা।

এ পাঞ্চজন্য তোমার নয়,ওনার রণসাজ...
এ কোন সার্কাসে জোকার তুমি?মহারাজাধিরাজ!