নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সম্পূর্ণা চ্যাটার্জী




অন্তঃ পর 
*******



আমার চোখে জেগে থাকা এখনও কিছু রোদ
ঠিক যেমন সহিংস দিন খুঁজে চলে বোধ
অল্পসল্প লুকোচুরি যদিও চলে মনে
ঝাঁপবন্ধ সকালে আগামী। অন্যকোনো নামে

আপাত দৃষ্টিতে গড়ে তুলি মাঠ
যেটুকু যা গাছ ছিল আজ সব কাঠ
অবসরের ইতিকথায় সদ্য বোনা কাঁথা
প্রত্যেকটা আদরে রক্ত। শৈশবের নকশা

খুঁজে মরি নিজের কাছে হারিয়ে যাওয়া রাস্তায়
নিজেকে পেয়েই ভুলে যাই গত দিনের অসময়
নিতান্ত সমীহরা আড় চোখে দেখে
কয়েকটা আনুগত্য সপ্রশ্ন| অবাধ্যতায় চেয়ে

চমকে উঠে দেখি হঠাৎ, পিঠে কার হাত
ভেবেছিলাম শহর! অভিপ্রেত রাত


জ্যোতির্ময় মুখার্জী



আত্মঘাতী জলের মতো গড়িয়ে 
*****************************


আত্মঘাতী জলের মতো গড়িয়ে
কাঁচা ঘুম ভেঙে।হাত-পা ছুঁড়ে
এবড়ো-খেবড়ো কুড়িটা বছর চুরি গেছে
        অন্তর্বাসে ঢেকে কিছু ঘণীভূত রাত





আর্যতীর্থ




এই বছরে 
*******





ঠিক কতটা করেছো লাভ, কি খোয়ালে এই বছরে,
লাভ কি বলো  সেসব কথা অঙ্ক কষে হিসেব করে?
স্মৃতির কফিনবন্দী করে সময় রাখুক তাদের তুলে,
এবার সময় সামনে দেখার, আগের বছর বেবাক ভুলে।

দুঃখ কিছু  ফাউ জুটেছে হয়তো কারো এই বছরে
খন্দখানায় ভরে ছিলো গিয়েছো যে রাস্তা ধরে।
সেই বিষাদে আকাশ ঢেকে আগামীতেও চলতে গেলে
আর কাউকে দোষ দিও না আগের মতোই হোঁচট খেলে।

কিংবা তোমার সুখযাপনের রূপকথা সব এই বছরে
চাওয়ার বেশী প্রাপ্তি দিলো ভাগ্য তোমায় দুহাত ভরে।
সফলতার পট্টি চোখে বাঁধলে সেটাও বোকামি যে,
কেউ জানেনা পরের মোড়েই তোমার জন্য লুকিয়ে কি যে।

বেশির ভাগের মাঝামাঝি কেটেছে দিন এই বছরে,
সুখের গাড়ি দুখের গাড়ি পাশাপাশি আস্তে জোরে।
আনন্দ আর অশ্রু মিশে ক্যালেন্ডারের বাতিল পাতায়,
এবার লেখা শুরু আবার  ভাবীকালের সাদা খাতায়।

রোজনামচায় গল্প অনেক ফেললে লিখে এই বছরে,
আবছা হওয়ার অমোঘ পলি জমবে দেখো কদিন পরে
চলো এবার সামনে হাঁটি , বুকের খাঁচায় নতুন আশা,
কুড়িয়ে নিই ভাগ্য যা দেয় বিষাদ কিংবা ভালোবাসা।


রুপা রায়




আজ কাল পরশু 
*************

আজ কাল পরশুর শব্দ মিছিল
চলছে যে তালে তালে ভাবনার ঝিল

কাল ছিলো সুখে ওরা আজকের মত
হিসেবের বোঝাপড়া সাথে ছিল যত

পথের বাঁকে ছিলো রাশি রাশি ভুল
সেই কাঁটা সরিয়ে আজ সুখের ফুল।

নদীর পাড় ছিলো নোঙরেতে বাঁধা
জীবনের গান হয় সাত সুরে সাধা।

সা রে গা মা পা ধা নি সা সপ্তক সুর
মন চায় ভালোবাসো হোক বহুদূর।

ভালোবেসে ঘর বাঁধে পরিযায়ী পাখি
বসন্ত ঠোঁটে নিয়ে করে ডাকাডাকি।

আজ কাল পরশুর একসাথে চলা
কবিতার কথা হোক ছন্দতে বলা।।

শ্রীময়ী গুহ




অলীক 
*****




ভাললাগা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় অবিরাম,
অমলতাস ,পলাশ, মহুয়ার.... মাটি শিকড় আজও পিছুটান...
কেমন যেন উজান ঢেউয়ের কবিতার আখর।

অভিমানী মেঘ ----
জমাট বাঁধা হৃদয়ের চৌখূপীতে- ভোর ঘেঁসা ,
অভিসারী বাসি ফুলের ছেঁড়া পাপড়ির মৌনতা বাসর.....

নিকষ কালো অমানিশার বুকে, যেমন তারা খসা.... বিদ্যুৎ ঝলক চিরে চিরে যায়.....
তোর আথালি পাথালি খোঁজা শরীরী সর্তবন্দী প্রণয়----
 আমার মনবাগিচায় বেদনার
ফলক অবিরত রক্ত ঝরায়----

 সেদিনের পাশাপাশি হৃদস্পন্দন ...
সেদিনের দুটি শরীর মিশে মিশে যাওয়া .....
সেদিনের অকাল শ্রাবণের আভ‍্যন্তরিন ঝড় প্রলয়ের -
সিক্ত ,রিক্ত ,ঋদ্ধ, পরিপূর্ণ বর্ষণ ব‍্যথা ছাওয়া ......
এ সবই আজ অবান্তর/
এ সবই--- শুধুই স্মৃতি-
 চোরকাঁটা ক্ষত আহত স্বপন!

অনাহূত এ মুহুর্ত !
তোর আমার এই অপলক ছলছল- অযথাই গভীর দৃষ্টি দর্পণ .......

এ কবিতা নয় ....
নয় শুধু কোনও ছন্দ বদ্ধ মনকথা অবান্তর মনন....

এ কেবলই টুকরো টুকরো পথচলা /
আকাশ দিগন্তের.... অচেনা মাঝির -
ভাঙাচোরা নাওখানির -হঠাৎই থমকে চাওয়া ----
    অলীক কাল্পনিক আগন্তুকের মিলন যাপন ।।


অঞ্জনা দে ভৌমিক




দূরের আকাশে 
**********





দত্যিদানা মেয়েটি
সারাদিন মনে মনে পাখির মতো
ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় সবুজ থেকে নীল আকাশে।
সে যেন সদ্য ফোটা একটি গোলাপ
শুধু একবার ছুঁয়ে দেখো তাকে!
যেন নীলিমার চাঁদ মেঠোপথের  বাঁকে।
ফুলেশ্বরী বাংলার কাজলনয়না অভিমানী সে
তিস্তার পারে মেঘবালিকা নামে ভেজা গায়ে
নদীর আঁকন বাঁকন দেখে।
দুচোখে তার দূরের আকাশ দৃষ্টি সেদিন উদাস,
আকাশ হয়েছে কালো ;
ঘুরলো এবার বকুলতলা, চাঁপাবনে নেই আলো ;
বাতাস হয়েছে কৃপণ চোখে সোনালী স্বপ্ন
হঠাৎ করে বাজলো ঝুমুর কলাপাতায় ;
দূরের আকাশ দেখলো এবার মনের পাখি, দত্যিদানার ডানায়।