নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

তুই ও তুমির মাঝে ফারাক

#তুই_ও_তুমি_এর_মাঝে _ফারাক

লেখক ও সংগ্রাহক :জ্যোতির্ময় রায়

"কে তুমি নন্দিনী আগে তো দেখিনি ..."এই যা মনে ফুলটছে মনে হচ্ছে আমারও । একটা মজার কথা বলি একটা ছেলে একটা মেয়ে ...ইয়ে মানে প্রেম । প্রথম প্রথম প্রেম বুঝতেই পারছেন "তুমি " ছাড়া কোনো কথা নেই ,যেন একদম বিয়ে করা বউ ।না...এটা বলছি না যে বউকে শুধু তুমি বলা হয় "তুই" তো বলতে পারি ।
যাক ওই প্রেম চলছে আরকি ,যেমন চলে প্রথম প্রথম তো তাই রাত জেগে কথা বলা ,ওভার কেয়ারিং (ওটা ওভার কেয়ারিং বলা যায় ) ,দারুন দারুন সব ঢপ ( এর থেকে ভালো কমপ্লিমেন্ট আমার কাছে নেই ,সেটা নিশ্চই কেন বলতে হবে না ,প্রথম প্রথম প্রেম তো বোঝাই যায় )
কিন্তু .....কিন্তু ...একদিন  গল্পটা নিশ্চই বুঝতেই পারছেন ।ওই ব্র্যাক আপ - ট্রেকআপ হবে ? আজকাল যা নিত্য দিনেই হয় । তাহলে বলবো একদম ঠিক ....হমম ব্র্যাকআপ এর মতোই বলা যায় ,ভুলবোঝাবুঝি ,দূরত্ব ,প্রাচীর । এই যা "তুই আর তুমি" এর গল্প করতে গিয়ে কোথায় চলে এলাম । যাই হোক ঠিক দুবছর পর সেই "তুমি" এখন "তুই" এ ।পরে আবার আস্তে আস্তে ...। তবে প্রেমটা নাকি নেই আগের মতো ছেলেটি বলে ।"তুমি যখন তুই হলো প্রেমটা বেশি হওয়া উচিত তাই না ? কি জানি বা বড় বড় লোকের বড় বড় ব্যাপার "।।

যাক এবার আসল কথায় আসি 
"তুমি" ও "তুই" দু শব্দই সর্বনাম পদ] সম্বোধিত দ্বিতীয় ব্যক্তি বা মধ্যম পুরুষ ( ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, স্নেহের পাত্র ...)
সম্ভবত"তুমি,বা তুই, "যুষ্মদ্ " শব্দ থেকে উৎপত্তি ।

এবার আমরা কিছু প্রিয় মানুষের কাছে শুনে নেব কত ইঞ্চি ,বা ফুট ফারাক "তুই ও তুমির মাঝে " ?

কবি চন্দ্রানী পালের কাছে "
তুমি হলো কাছের
আর তুই হলো নিজের....
তুমি আর তুই তে যে ফারাক বিশেষ নাই,
অধিক ভালোবাসলে
তুমি তুই হয়ে যায় "

কবি পাপিয়া মজুমদার বললেন "বন্ধুত্বর ক্ষেত্রে তুমি / তুই চলে কিন্তু আপনি ? নৈব নৈব চঃ ,,, তুইটা খুব মিষ্টি আপন মনে হয়  ....তুমি ঠিক আছে চলে যায় । "

গল্পের ছলে দারুন সুন্দর ভাবে বলবো তরুণ কবি জ্যোতির্ময় মুখার্জি
"
"অ্যাই শোন্ না,
আজ থেকে আমরা 'তুই' নয় 'তুমি' বলবো,
আমরা তো lover
'তুই'-টা ঠিক মানায় না বুঝলি...."

ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে খুঁজে পেলাম একটি কিশোরীর স্বগতঃ সংলাপ, একটি কিশোরকে....."

কিন্তু কবি সুমনা বসুর কাছে "আমার কাছে দুটোই সমান । আমি আমার ছেলেকে তুইও বলি আবার সময়ে সময়ে তুমিও বলি । ভালোবাসায় কিছুই ফারাক পড়েনা ।"

কবি পিয়ালী মুখার্জি বলল কবিতার ছলে "তুমি টা যেন কেমন কেমন ,, বড্ড লাগে ন‍্যেক্বা / তুই টা মনে শান্তি জাগায় ,মনে হয় না আমি একা ...।"

কবি গৌরাঙ্গ মন্ডলও বললেন যে "তুই টা,,,, দীর্ঘ দিনের,,,,,  তুমি টা,,, খনেকের জন্য,,,, শেষ হয়ে যায়,,,, কাছের টা তুমি,,, আর নিজের টা তুই,,,,,,"

কথা শিল্পী ও কবি নীলা হোসেন এর কথায় "তুমি একটু দূরের, আর তুই এক্কেবারে কাছের বন্ধুকে বলা যায়। প্রেমিক অথবা   সহধর্মীনির ক্ষেত্রে তুই কথাটি মানানসই ও শ্রুতি মধুর নয় ।"

কবি অনন্যা রায় এর ভাষায় "
আপনি যদি চৌকাঠ হয়
তুমি ঘরের প্রবেশাধিকার
তুই হলে হাতের বাঁধন
শক্ত করার অঙ্গীকার ।"

কবি সোমা বিশ্বাসের কথায় শুনতে পাই "তুমি শব্দটা শুনতে লাগে ন্যাকা ন্যাকা আর তুই টা খুব কাছের । একটা অধিকারবোধ থাকে যেন ।"

সোজা সাপটা ভাবে কবি মধুছন্দা অধিকারী বলল "
যতটা হৃদয় আর প্রাণের মধ্যে ফারাক ঠিক ততটাই"

কবি মিঠু মুখার্জীও কিন্তু সহজ ভাবে বলল যে "তুই মনে হয়  অনেক আপন ,  (আমার একটা তুই চাই ) মনে হয় এই চাওটা সবারি মনে মনে"

শুভ্রা আইচ বললেন "তুমিটা সবাইকে বলা যায় ,তুইটা বলা যায় না ,শুধু বন্ধুদের "

কবি কল্যাণী মুম্মার কথায় "
তুইই টা বড্ড কাছের নিজেরও অনেক "

কবি আর্য মন্ডল এর ভাষায় "
তুমি গভীর....
তুই গভীরতর....
অনেক 'তুমি' 'তুই'তে বদলে যায়...।"
কবি শিপ্রা দাসগুপ্ত সোজা ভাবে বলে দিল "তুই  নিজের মনে হয় ।"
প্রিয় কবি মনি আহম্মেদ এর ভাষায় "
তুমি হলো  আপন
তুই হলো  নিজের "

লেখক ও সাহিত্যিক এবং কবি সনাতন দাস এর কলমে বললেন "
তুমি আর তুই' এর মধ্যে সময়ের ব্যবধান। "

তরুণ কবি বিকি দাস ও সহজ করে বলে দিল "তুই মানে খুব কাছের রে "

কবি সুতপা পুততুন্ডও  মজার চলে বলে দিলেন "ম এর "
গৌরব বণিকের কাছে "
তুমি : সম্মান দিয়ে সম্মোধন করা
তুই: একান্ত আপনের জন্য সম্মোধন করা "

কবি কাকলি চৌধুরীর কাছে "
তুমি কেমন যেন ভাসা ভাসা ভাব, তুই টা শক্ত পোক্ত "

অধিনাধ দে এর কথায় "
তুই -- চেনাশোনা ও প্রিয়জন , তুমি --চেনাশুনা ভাব, প্রিয়জন, হাল্কা নবতর অনুভূতি ...."
এবং সমদত্ত সেনের কাছে "তুই হোলো বরো কাছের আর তুমি হলো বরো আপন।"

যাই হোক সবাই কিন্তু "তুই" টাকে বেশি কাছের বলে জানিয়েছে । একমিনিট দাঁড়া ! তার মানে ইয়ে ...ওহঃ বুঝছি এই ব্যাপার । এখন তবে প্রেমটা বেশ জমিয়ে ।।
কিন্তু আমার ভাগ্যটাই খারাপ শালা ও তো এখন আমায় তুই বলে কিন্তু সেই অনুভূতিগুলো আর নেই ।। কিংবা আছে অনেকটা গভীরে ।।

এই ডাইনি....

      এই ডাইনি....

      জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি

ভেস্টার মন্দিরে লুকানো যে আগুন
তাতে শরীর ছুঁয়ে ফিনিক্স হলাম মাঝরাতে
ডাইনির ঠোঁট চুষে অমৃত খেয়েছি আমি
ডাইনিরা রাতবিরেতে কথা বলে
ডাইনিরা শাষন করে।শোষণ করে
কখনো অভিমানে ঠোঁট ফোলে
কখনো সে কবিতা....
কখনো সে 'মা' হয়ে ভাত বাড়ে।
কবির স্বীকারোক্তি :এটা ঠিক কবিতা নয়
ঠিক কি আমি নিজেও জানিনা
একটা কষ্ট বা হয়তো একটা ভালোলাগা
উৎসর্গ করলাম
শাল‍্যদানী আর কোনো এক ডাইনিকে ।।

পথ ও রাস্তার পার্থক্য

     পথ ও রাস্তার পার্থক্য

সংগ্রাহক : জ্যোতির্ময় রায়

পথ : সংস্কৃত শব্দ যার অর্থ আগত ।
রাস্তা: راسته রাস্তাহ্।  ফার্সি শব্দ ।

যাই হোক দুটির শব্দের মধ্যে অবশ্যই আলাদা একটা অর্থ আছে ,তাই তো এদের ব্যবহারও আলাদা ।
আগে জেনে নেব প্রিয় কিছুমানুষের কাছে এর পার্থক্য গুলো
এস. হোসেন খানের কাছে "রাস্তা নিজে নিজে ঠিক করা যায় না,পথ নিজে নিজে ঠিক করা যায় " কিংবা "আরও বলা যায় রাস্তা দৃশ্যমান,পথ দৃশ্যমান নয় যেমন কর্মজিবনের পথ""রাস্তা বাস্তবতা বেশি পথ কিছুটা কাল্পনিক"
আবার কবি সুতপা পুততুন্ড এর কাছে "পথ শুধু পথিকের রাস্তার হয় যান
এখন পথ আর রাস্তা দুজনেই সমান!"

আবার স্মৃতিকণা দাস বলছে "পথ সীমাহীন ,অনন্ত যাত্রা আর রাস্তায় বেরোলে বাড়ি ফেরার আকুতি ...."
কিন্তু চন্দ্রানী পাল এর কাছে "
পথ হয়ে যায় বন্ধ
রাস্তা থাকে খোলা…..
মনের ঘরে যখন
পরে হঠাৎ কোন তালা....."

এবার আর্য মন্ডল এর কাছে "
পথ অনন্ত...রাস্তা সীমিত....!!!"
কবি পদ্মজা ঘোষের কাছে "পথ থাকে সময়ের সাথে,রাস্তা থাকে পায়ের সাথে!"
আবার কেউ কেউ বলছে কোনো পার্থক্য নেই যেমন রিফাত আহমেদ আউয়াল এর কাছে আর গৌরাঙ্গ মন্ডলের কাছে "উপরের কমেন্ট গুলোর বিরোধিতা করলাম। আসলে শব্দ দুটো একই অর্থ বিভেদ নেই। বাক্যগঠনে যে শব্দটি উপযুক্ত হয় আমরা সেই শব্দটি ব্যবহার করি।"
যাই হোক এখানেও দর্শন নিয়ে এলেন কবি মালবিকা হাজরা তার কাছে "পথ দর্শন , রাস্তা বাস্তব ।" এবং  প্রভা মজুমদারের কাছে "
পথে পথে দ্বন্দ্ব বিভেদ,রাস্তা মেলায় রাস্তাকে।"

কেউ কেউ আবার একদম সোজা সাপটা কথায় বলে দিলো
রাস্তায় নামলে "রাস্তার লোক" আর পথে নামলে "পথিক"..." (সান্তনি দোলাই ) ও
"ঠিক পথে যেতে হয়, তবে রাস্তা কেউ দেখায় না।" (জ্যোতিপ্রকাশ সাহা ) ঠিক তেমনি কবি  জারা সোমা বলে  দিল "রাস্তা নিয়ে যায় অভিষ্ট পথে "
তরুণ কবি জ্যোতির্ময় মুখার্জী বলল "
পথ হারায়,'রাস্তা তবু রাস্তা থেকে যায়'"
ঠিক তেমনি বলল কবি বিনা মোদক চৌধুরী "
যত মত তত পথ
পায়ে পায়ে পার করেছি কত
আরো আছে প্রয়োজন যত।"
অনেক পার্থক্য কিন্তু উঠে এলো এতে । তবে কবি লীনা দাসে কাছে "আসলে পথ বা রাস্তা একই অর্থ সবাই জানে.
ব্যাপক অর্থে এভাবে বলা যেতে পারে পথ তোমাকে দেখে নিতে হবে কোন্ ভাবে গেলে সুবিধে.
আর রাস্তা ? অন্তহীন ,হেঁটেই চল হেঁটেই চল." কিংবা কবি গোপা ব্যানার্জির কাছে "
রাস্তার অর্থ টা রাস্তার মতনই সোজা সরল আমার কাছে । অর্থাৎ যা আমরা এক স্থান হতে আরেক স্থানে হেঁটে যেতে ব্যাবহার করি । কিন্তু পথ ??  রামকৃষ্ণদেব বলে গেছেন ...... " যত মত তত পথ " অতএব পথের বিশ্লেষন অনেক গভীরে ।"

কবি মৌসুমী ব্যানার্জীর কাছে "
রাস্তা বলে পথকে আমি দিয়েগেলাম ফাঁকি, ছায়ার সাথে মায়ার খেলা,
একটুখানি মাতি ।"
তরুণ কবি বিকি দাস বলেন "
পথ আর রাস্তায় পার্থক্য আছে। যেমন- আমার বাড়ির সামনে দিয়ে তোমাদের যাবার পথ তৈরি করে দিলাম।
রাস্তা কিন্তু নয়। পিচের রাস্তা হয় পথ না। কাঁচা রাস্তা রাস্তা হয়।"
ঠিক তেমনি বলল কবি সুস্মিতা কর্মকারও "
যখন আমাদের জীবনে না না প্রতিবন্ধকতা আসে তখন মানুষ সেই প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি পেতে নতুন পথের সন্ধান  করে |
সেই পথই নতুন দিশার সন্ধান দেয় |
কিন্তু রাস্তা যাতায়াত অর্থে ব্যবহৃত |"
তবে ভাষাবিজ্ঞানী ও কবি ,লেখক নুসরাত রুমু এর কথায় "
পথ সংস্কৃত  শব্দ হতে আগত। ব্যাপক অর্থে বুঝায়।
রাস্তা কখনো ছোট অর্থে ও ব্যবহার হতে পারে। যেমন - জমির আল।"

মজার চলে বললেন কবি ফারহিন সুলতানাও " রাস্তা কারোর বাপের নয় " মানে রাস্তা জনগণের কিন্তু পথ একান্ত আপন "
আবার পিয়ালী  মুখার্জী একটু রূপক করে বললেন যে "দুটোতেই ,হাটাচলা কর ,কিন্তু  খুব সাবধানে বাবা ,ডায়ে বায়ে দেখে চলো ।"

বিশিষ্ট সাহিত্যিক সমীর সরকারের ভাষায় বলা যায় "
রাস্তা : তোরা ভাল থাকিস
  পথ : হুমম তুমিও ---"

ঠিক তেমনি ইবনে মনির হোসেন এর কথায় পার্থক্য শুধু "সময়ের "

আমার কাছে এর পার্থক্য "আভিজাত্যে "
কারণ "পথে যেমন যত মত আছে ,রাস্তায় নেই "
রাস্তা মানে ইট ,পাথর ,বালি আর পিচের আয়োজন " রাস্তা ঠিক রাস্তাতেই মেলায় আর পথ শুধু দূর থেকে আরও দূরে নিয়ে যায় "

এই হলো পথ আর রাস্তার গল্প ।

একমুঠো বৃষ্টি ধরো

~*** একমুঠো বৃষ্টি ধরো ***~
               ©মনিকান্ত সর  

    
ভালোবাসি তোমাকে -- এটা নিদারুণ সত্যি,
না আছে সন্দেহ, না আছে তার অবকাশ ।
কিন্তু কতটা...., তা বলতে পারবো না,
আসলে পরিমাপ করিনি কোনদিন,
হয়তো বা প্রয়োজনই পড়েনি,
এক একটা অনুভবই যথেষ্ট তা বোঝার জন্য ।
তবুও যদি শুনতে চাও--
তবে ধরো...............  এই এত্তোটা হবে।
বা মনে করো....
একমুঠো বৃষ্টি ধরলে ভরা বর্ষায়,
ক্ষণিকের ব্যবধানে আঙুলের ফাঁক গলে
                                            ঝরে গেল সব,
শুধু রয়ে গেল, জলের এঁকে যাওয়া ছাপ।
তবুও এই আনমনা বৃষ্টিতে
                যতখানি স্পর্শসুখ পেলে তুমি --
------------ ঠিক ততখানি ভালোবাসি তোমায় ।
ধরো.......
পূর্ণিমার কোন এক মায়াবী রাতে, হেঁটে চলেছো তুমি,
মাথার উপর আকাশ জুড়ে গোল চাঁদ,
দুহাত বাড়িয়ে আহ্বান জানিয়েছে তোমায়,
হঠাৎই কালো মেঘ এসে, আটকে দিল পথ,
ভয়ার্ত তুমি, তোমার সামনে বিস্তীর্ণ আঁধার,
দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য তুমি।
অকস্মাৎ একটা ঝোড়ো বাতাস এসে
                                     সরিয়ে দিল কালো মেঘ ।
কিছুটা অপ্রস্তুত ভাবেই সামলে নিলে নিজেকে ।
ঠিক যতখানি খুশির ঝিলিক সেই মুহূর্তে
                     দেখেছিলাম তোমার চোখে --
------------------ ততখানি ভালোবাসি তোমায় ।
তাই, মেলাতে যেও না ভালোবাসা,
খুঁজতে যেও না তার পরিমাপ,
শুধু জেনো......................
                                     ভালোবাসি..
                                             ভালোবাসি ।।

~~***অগোছালো মন***~~

     ~~***অগোছালো মন***~~

       সুস্মিতা কর্মকার

আজ না হয় তোর মনকেই আঁকড়ে ধরি |
সমস্ত  বিষণ্ণতাকে ঘিরে তোকেই  বদ্ধ করি |
অগোছালো মন জুড়ে থাকিই না হয় আজ তোর ওই কল্পনায়  |
নিকোটিনের নেশাটা না  হোক থাকুক অন্যদিনের জল্পনায় ?

আজ না হয় তোর মনকেই আঁকড়ে ধরি |
স্বপ্নে বিছানো  ক্যানভাসের ওই সাত নীল রং কেই  জাপটে   ধরি |
গোছালো মনের অন্তরালে জড়িয়ে থাকা তোর  ঘন প্রশ্বাসেই , না হয়  নিজেকেই  আজ  বরণ করি   ?

আজ না হয় তোর মনকেই আঁকড়ে ধরি |
তোকে ঘিড়ে ধরা মুহূর্তদের কাছে পেতে  চাওয়ার  কল্পনাতে,  না  হয় আজ নিজেকেই  নুতন করি |
আজ না হয় তোর মনকেই আঁকড়ে ধরি ||

আর দাঁড়াব না

    ~*** আর দাঁড়াব না ***~
            
      © মনিকান্ত সর


হঠাৎই পেরিয়ে গেলে, পাশ দিয়ে, চোখের নিমেষে,
কিছুটা ধূমকেতুর মতোই তোমার আবির্ভাব ।
পিঠে এলিয়ে পড়া খোলা চুল,
শারীর আঁচল জড়িয়ে ছিল -- তোমার সারাগায়।
মন্ডপে তখন উপচে পড়ছে মহানবমীর জনপ্লাবন,
আমার চোখ শুধুই তোমার খোঁজে।
একটু এদিক ওদিক উঁকি, না পেয়ে........
এ প্যান্ডেল থেকে সে প্যান্ডেল,
এই লাইন থেকে সেই লাইনে দাঁড়িয়েছি বারবার ।
কপালের ঘাম তখন চিবুক বেয়ে গলার কাছে ।
চোখে তবুও তৃষ্ণা.......
অগত্যা ক্লান্ত পথিক, নির্ঘুম রাত,
সাক্ষী বলতে চাঁদ তারাদের আসা যাওয়া, আর...
দশমীর সকালটুকু।
মায়ের বিদায় ক্ষণে বিষন্ন বদন,
অম্লান দৃষ্টিতে মেতেছে সবাই সিঁদুর খেলায়,
আমার উৎসুক চোখ, সেখানেও তোমায় খোঁজে.....
হয়তো শেষ বারের মতো,
যদি আসো আরও একবার,
নাহয় আরও একবার লাইন,
আরও কিছুটা প্রতীক্ষার প্রহর গোনা ।
এলে না...........
শেষমেশ এলে না, আরও একবার ধরা দিতে,
অভিসারী মন প্রশ্ন রেখে যায় শুধুই--
তাহলে কী আবার একটা বছর..?
তাহলে কী ভীড়ে ঠাসা আবার কয়েকটা লাইন..?
আবার যদি না পাই...?
নাহ্, আর বোধহয়........................... ।।