নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জ্যোতির্ময় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জ্যোতির্ময় রায় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

📜 সম্পাদকীয় ✍️







"গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ ,আমার মন ভুলায় রে"
দূরে থাকা প্রিয় মানুষ জানি উৎসবেই আসবে ফিরে "।।

উৎসব মানেই ফিরে আসা ,ফিরে দেখা ,মিলন
ছুটির আমেজ,খুশির ছোঁয়া, ঠিক ভালো হয়ে যাবে মন।।

নদীর পাড়ে শুনতে পেলাম,ঢাকের আওয়াজ,ঈদে
মাটির গন্ধে ভিজছে আঁচল,হঠাৎ দেখা ছোট্টবেলার হারিয়ে যাওয়া বান্ধবীকে।।

শালুক ফুলের বউ মালা আর,পদ্মদীঘির পাড়
দেওয়াল দেওয়া মনের ভিতর, ফের পাতাবে সংসার।।

এমন সময় ফুরফুরে মন,ইচ্ছে আলিশ কিনছে বই
দূরের কোথাও বন্ধুকে বলা ,এবার পুজোয় ফিরবো'ই।।

তাই তো আবার নতুন করে ,নতুন ভাবে পথ চলা
মনের ভিতর জমছে কথা ,ফের হোক একটু বলা।।

দেখতে দেখতে কাটছে সময়,গুনছে দিন
ভিড় জমাটি মোড়ের মাথায়, পুজোর আমেজ খুব রঙ্গিন।।

সাজবে আলো,শহর জুড়ে ,মন পড়ে থাক উৎসবে।
দূরেও জানি ফুটবে খুশি,দিনান্তের দুবেলা ভাত,মফঃস্বলে।।


যেমন প্রিয় ফিরলো বাড়ি,বছর পাঁচেক পর,

উমা'ও এলো বাপের বাড়ি ,জানান দিচ্ছে গ্রাম-শহর।।


তাই
সবার কলম লিখছে কথা,জমছে বুকে নিন্মচাপ ,
আপনার “না বলা কথা’য়” ফের নিকোটিন প্রাণ পাক।

হারিয়ে যাওয়া মাস্তুলে ,পুড়ছে সবাই,চিবুকের কাছে একা,
তোমার আমার কথা’র মাঝেই ,মন-জমি কে “উৎসবে’তেই দেখা।।


ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন,হাসি থাকুক প্রিয় মানুষটির মুখে,
শুভেচ্ছাটা সঙ্গে নেবেন,সঙ্গে রেখো এই আগন্তুক কে।।






                                                  ধন্যবাদন্তে,
                     
                                নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার



📜 সুচিপত্র


সুমিত মোদক 
 অরূপ সরকার
   জিয়া 
রুনা দত্ত
শুভঙ্কর গড়াই
 জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি
 রাণা চ্যাটার্জী
মৌসুমী রায়
উত্তম মণ্ডল
শতাব্দী মজুমদার
অমিত কুমার জানা
 মাধব মণ্ডল
 সীমন্তিনী
স্বাগতপর্ণ গোস্বামী
সুদীপ ভট্টাচার্য্য
সায়নদীপা পলমল
যীশু চক্রবর্তী
 সুমিত মোদক
 অমিত কুমার জানা
প্রতিভা দে
 আশীষ মাহাত
শিবানী বাগচী
রবি মল্লিক
আমিনুল ইসলাম
শাহীন রায়হানের গুচ্ছ কবিতা
অনিন্দ্য পাল এর গুচ্ছ কবিতা
 সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)
সবুজ জানা ,
অনাদি রায় এর গুচ্ছ কবিতা
অভিজিৎ আচার্য্য
জয়দীপ রায় এর গুচ্ছ কবিতা
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশদীপ গড়গড়ী
জিয়াউল হক
কাজী জুবেরী মোস্তাক
 তন্মনা চ্যাটার্জী
জসিমদ্দিন সেখ
মৌসুমী রায়
শুভম চক্রবর্ত্তী
মান্নুজা খাতুন





টাট্টুঘোড়া.. জ্যোতির্ময় রায়



জ্যোতিষীর চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখলাম
পশ্চিমবঙ্গ একটা বিস্কুট।

মন্ত্রী আর বুদ্ধিজীবীরা গবেট।আর মুখ্যমন্ত্রী
 টাট্টু ঘোড়ার মত,টেমসের তীরে পিকনিকে ব্যস্ত।।

আমি ,তুমি আপনারা ,তখন ধর্ষক।

মিডিয়া তখন কপিরাইট বলে চালিয়ে দিয়েছে
ডাক্তার প্রবাসী।।

বাঃ ,আস্ত ঘোড়া তো!
বাঃ হিসু পেয়েছে বলে আপনি বই বিক্রি করেনি।

ম্যাগাজিন এ পদ্যে লিখে বলছেন
      জুয়ার আসর,মদ আর মাগী।


ব্যারিকেট ভাঙার দিন নেই।।


#এবং_ও_তারপর

ঘাম... জ্যোতির্ময় রায়



১.

শরীরকে রোদে শুকিয়ে নিচ্ছি।
       খিদে পায়না।পান্তা ভাতে।

৩.
আয়নাও মিথ্যে বলে।রক্ত জমাট।

৫.

বাহারি ডাকটিকে তুমি প্রেম লিখে দিও
রাতের মতই ,আদ্র তোমার চুমু ।

৭.
চিমিনির ধোঁয়াটা জানে কি ?
মিথ্যে বলেছো "ভালো আছি তাও!"

৯.
অফিস ফেরত চোখে বুজে আসে
দু টাকার স্বপ্ন গুলো ।

২.৪.৬.৮.১০

যে শরীরে রক্ত ভীষণ,সে শরীর দাগ কাটা।
যে চুমু তিক্ত নয়,পাওয়ার ভীষণ চশমাটা'র

#এবং_ও_তারপর

✍️সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র





✍️সম্পাদকীয়....


"ভাঙছে হৃদয়।মোমবাতি মিছিল।
অবরোধ কিংবা পলিটিক্যাল ইস্যু...
এসো তবে ধর্মান্ধতা।অভিমান।হিংসা
        বিসর্জন হোক সব কিছু'র..."



দেখতে দেখতে পুজো শেষ।কারো ফিরে যাবার পালা ,কারো বা সেই রোজ ব্যস্ত ভিড় বাসে কিংবা ট্রেনে একটু বসবার জায়গার সেই ঠেলাঠেলি ।ভিড়ের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মুখ ,একাকী হাটা পথ ,নিজেকে বন্ধ করে দেওয়া সেই মানুষটা হয়তো আবার হারিয়ে যাবে ।


শহরে সেই আলোয় আলোয় ভরে উঠা অন্ধকার গলি পথ ,ব্রিজের নীচে বিষণ্ন মুখ ,খদ্দেরহীন আবার, রাত পাহারা দেবে কেউ খামোখা ,তুমি "প্রেম নয় নরম শরীর খোঁজে আচর দিয়েছো যাকে"



ভাসানের সুর বেজে ওঠে তারপর ,কই এলো নাতো সে এবারেও ,সদ্য বিয়ে হওয়া বিরোহিনী রাই এখন পথ চেয়ে ।অথচ সে কোনো দিনই ফিরবে না জেনেও প্রতীক্ষাটা বেঁচে থাকে ,বেঁচে থাকতে শেখায় ।ল্যান্ড মাইনে ছিন্ন ভিন্ন ঝলসে যাওয়া মুখটা প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা মাত্র ।



ছোট্ট মেয়েটাকে তার মা সামলে রাখে খুব ,হারিয়ে যদি যায় ,তার নিখোঁজ প্রেমিক ফেরেনি আর বিসর্জন এ ।


ব্যর্থ প্রেমিক কবি হয়ে উঠে তারপরও 

অনেক কিছু পাওয়া অনেক কিছু হারিয়ে যাওয়ার মাঝেই কেটে গেল পুজোর এই কয়েকটা দিন 

সব থেকে খুব কাছের লোককে হারালাম এবারেও 

প্রিয় শিল্পী"আইয়ুব বাচ্চু" ও কবি ও সম্পাদক পৌলমী সেনগুপ্ত "মহাশয়া কে 

 "কেন তুমি এতো অচেনা হলে" এর মত হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গানের সুরে তবুও বেজে ওঠে ভিতরে সত্যিকি অচেনা হবেন তারা ? না! হবেন না রয়ে যাবে হৃদয়ে হৃদয়ে ,




ঠিক এমনি এক মরশুমে কিছু কলমের আগুন জ্বলে উঠল আমাদের "বিসর্জন" এর সংখ্যা 

প্রীতিবারের মতো এবারও আমাদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন অতিথি কবি হিসাবে মৌসুমী ভৌমিক মহাশয়া ,অনেক অনেক ধন্যবাদ উনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য 

এবারেও আমরা অনেক জনের লেখা পেয়েছি ,অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সকলকে ,
এভাবেই সঙ্গে থাকুন ,ভালো থাকুন সবসময়।



                         ধন্যবাদান্তে,
                             জ্যোতির্ময় রায় 
                       কার্যকরী সম্পাদক 






✍️সূচিপত্র.....




অতিথি কবি :
মৌসুমী ভৌমিক 

✍️কবিতা :
রোমা মন্ডল ব্যানার্জি 
অনোজ ব্যানার্জী
মাধব মণ্ডল,
পিয়াংকী মুখার্জী 
বন্দনা মিত্র 
প্রভাত মন্ডল
তপন জানা 
শ্যামল কুমার রায়
রাণা চ্যাটার্জী 
অরিন্দম দাস
বিকাশ মন্ডল 
হোসাইন শাহাদাত
রাজীব লোচন বালা
অক্ষয় কুমার সামন্ত
কাজী জুবেরী মোস্তাক
সিদ্ধার্থ সিনহামহাপাত্র
সুনন্দ মন্ডল 
চিরঞ্জিত সাহা 
ঋজুলেখা দত্ত 
শ্রাবণী  নায়েক
প্রাপ্তি মণ্ডল ভৌমিক 
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
এস. কবীর
সোমা দাস
কামরুল বসির
যতীন্দ্র নাথ মণ্ডল(অতিথি)
টিংকু রঞ্জন মিত্র
অজন্তা রায় আচার্য্য
তানিয়া ব্যানার্জী,
রূপা রায়
প্রবীর রায়
পাপাই সেন
কার্তিক  ঢক্
অভিজিৎ দাসকর্মকার
পবিত্র কুমার ভক্তা
বৈশাখী চক্কোত্তি
শ্যামাপদ মালাকার
সুপ্রভাত দত্ত 
লীনা দাস
ধীমান ব্রহ্মচারী
আফরোজা সুলতানা 
রণধীর রায়
জারা সোমা
সুষ্মিতা কর
প্রশান্ত সেন, 
কিশলয় গুপ্ত
মোনালিসা নায়েক
অনুপ রায় 
সুদীপ ঘোষাল
বিশ্বজিৎ ভৌমিক
সম্পা পাল 
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
রুদ্র সাহাদাৎ
অমিতাভ মীর 
জয়দীপ রায় 
সুধাশ্রী মণ্ডল
শিল্পী দত্ত

✍️গল্প
পবিত্র চক্রবর্তী
ইমরান হাসান 
নিগার সুলতানা লিয়া 
পিনাকি
সাজ্জাদ আলম 
সোমিনা ইয়াসমিন
স্বরূপা রায়
আবুবকর সরকার 
রাজিত বন্দোপাধ্যায় 
পায়েল মিত্র
রবি মল্লিক
অমৃতা রায় চৌধুরী

✍️অনুগল্প

 শুক্লা মালাকার
মৌমিতা মিত্র
✍️কয়েক কলম: 
রানি মজুমদার




বৃষ্টি সংখ্যা





✍️সম্পাদকীয়.....


"বৃষ্টি...

    মন ভিজিয়ে দাও "

হম্ম ! বৃষ্টি মানেই মন ভিজিয়ে দেওয়া,জানলার বাইরে টুপটাপ ,জলছাপ,আঙ্গুল নেড়ে নেড়ে কিছু স্মৃতি পথ হেটে চলা শুরু।মেঘের ভেলায় প্রিয় গান রেখে ,অনুপম রায় কিংবা সুমনের গান হয়ে যায় প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা ।শহরের ল্যামপোস্টময় উড়ো চিঠির খামে জমা থাকে মনখারাপি।যত রাত বাড়তে থাকে ততই রোমাঞ্চিত হয় ফেলে আসা দিন ,ফেলে আসা চিরকুট ,না বলা সেই কথা যা আজও বলা হয়নি তাকে ,হয়তো বলা হবে না কোনো দিনও, তবুও তো বলে ফেলি ,তবুও তো মনে মনে জলছবি এঁকে চলি ।


ঘাসের উপর বৃষ্টি জমে ভিজিয়ে দেয় মেঠো রাস্তা,ঘাস হয়ে যাওয়া উঠোন।এক চিলতে রোদ্দুরে মন স্নান সেরে বাড়ি ফিরে আসে ।

খুচরো পয়সার খোঁজ পকেট তোলপাড় করে যখন দেখি পাঁচ সিকেতে দিন কেটে গেছে ,বিকেল চুমু খেয়ে বলে ,"রাত জেগে থাক" মন ভিজে যাক শিহরণে ....।



ঠিক তেমনি করেই "ইচ্ছে" গুলো চাঁদ ছুঁয়ে বলে "আমিও" প্রেমিক ।অথচ ভীষণ ভাবে অপ্রেমিক ছেলে বা মেয়েটাকে সম্পর্কের অজুহাতে ভীষণ পর এখন কারো।তাই "ইচ্ছে মত" সেজে নিক মন ,আকাশ।বিদেশি বাতাস তখন কাঁটাতার পেরিয়ে বলে "ভালোবাসি" ।ভীষণ একগুঁয়ে মন ইচ্ছেকে দেয় কারাগারে ,মন্দবাসার গল্পে লেখা হয়ে যায় "তোমার আমার কথা" 



এই গেল মন কেমনের মন কেমন কথা 


কিন্তু চশমা খুলে ফেলেই দেখি বাস্তবতা ,আগুন ,খুন আর মোমবাতি মিছিলে কখন যেন হারিয়ে গেছে সব ।সংবাদ শিরোনামে ধর্ষিত মেয়েটির শেষ অভিশাপ ।
বিষ বাষ্পে মিশে গেছে জল ছবি,কবি।
নেতা ,অভিনেতারাই ব্রেকিং নিউজ ,বর্ডারে মরে যাক সৈনিক ,কিংবা দিনমুজুর আর কৃষকের মুখের ভাত কেড়ে নিয়ে বলে "আমরাই রাজা"।তবে কোন ডেমোক্রেসিতে আছি আমরা ? বেশি কথা বলতে গেলেই মাওবাদী বা দেশদ্রোহী বলে চালান করে দেয় জেলে কিংবা লাশ গুম করে দেয় ছাপ্পা ভোটের রাজনীতি.... আর কতদিন এমন তবে ? এর কতদিন এই আদিখ্যেতা? তাই জ্বলে উঠুক আগুন ,মোমবাতির মিছিলের মুষ্টিবদ্ধ হাত ,প্রশ্ন করুক সবাই "রাজা তোর কাপড় কোথায় ? " 




যাইহোক প্রতিবারের মতো এবারও আমরা প্রচুর লেখা পেয়েছি ,প্রচুর সারা পেয়েছি সবার কাছে ।"বৃষ্টি সংখ্যার" প্রচ্ছেদ নির্ণয়ে আমরা সবার সম্মতিকে বিশেষ ভাবে সম্মান জানাই ।গরিষ্ঠ সম্মতিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে নির্ধারণ হয়েছে প্রতিটি প্রচ্ছেদ।এভাবেই পাশে থাকুন সবসময় ,থাকুন অভ্যাসে .....



এবার কিছু কথায় আসি 
আজকাল প্রায় দেখি অনেকে ওয়েব ম্যাগ গুলো উপেক্ষা করে যায় ,দেখুন একটি ছাপা ম্যাগজিন তৈরি করতে যেমন খাটতে হয় ঠিক তেমনি এখনও এডিটিং ,ব্লগিং ,লেবেলিং ইত্যাদি করতেও কিন্তু প্রচুর টাইম লাগে ।
আজকাল ছাপা ম্যাগজিন এর  ক্ষেত্রে যা দেখা যায় যে কবি/লেখকরা প্রায় ম্যাগাজিন সংগ্রহ করেই না ,আরে মশাই লেখা টাকা দিয়ে কাগজ ,ছাপা হয় ,আপনারা যদি না কেনেন তবে চলবে কি করে কোনো সম্পাদক তো আর দান ক্ষেত্র খুলে রাখেনি (বিশেষ শ্রেণী বাদে)।

ঠিক তেমনি ব্লগ ম্যাগাজিন এর ক্ষেত্রে অনেকেই নিজের লেখা টা দেখে আর কারো লেখা কেউ পড়েই না ।নিজের লেখাটা তো কমসে কম শেয়ার করা যায় সেটাও করে না ।তবে এত টাইম নষ্ট করে আমাদের লেখা ছাপার সার্থকতা কোথায় ? 

যাই হোক 
পুরো নিকোটিনের কাজ আজ প্রায় একবছর ধরে একা করছি ,ভিখারির মত লেখা চেয়েছি ,গালাগালি খেয়েছি অনেক ,ভেবেছিলাম ছাপা অক্ষরে বার করবো কিন্তু ওয়েব ম্যাগ এই যখন কারো আকর্ষণ নেই ছাপা অক্ষরে করে কি লাভ বলুন ? 


রোজ মরতে থাকা আমার মত কিছু বদ্ধ পাগল ,তাদের জন্য অনেক বার বন্ধ হয়ে গিয়েও রোজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই "নিকোটিন" 
          এমনি ভাবেই চলবে হয়তো সেটা আপনারা বলবেন ,আপনারা যদি চান বন্ধ হয়ে যাবে ,যাবে ,আর যদি চান চলবে তবে চলবে ....আপনার কথা গুলো বলতে গিয়ে আমি নিজেই কোথায় যেন হারিয়ে গেছি ,নিজেকে আর খুঁজে পাই না সেভাবে ....

তবুও তো বেঁচে আছি ,আর নিকোটিনও বেঁচে আছে থাকবে  .....

ভালো থাকবেন সবাই ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকেও...



                                ধন্যবাদন্তে ,
                       জ্যোতির্ময় রায় 

   কার্যকরী সম্পাদক ও মুখ্য ইডিটর (না বলা কিছু কথা)


সকলকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা 
নিকোটিন ও না বলা কিছু কথার পক্ষ থেকে 




সূচিপত্র:


বিভাগ: কলমের জোর
              *************
★বিশেষ প্রবন্ধ : পবিত্র চক্রবর্তী ,সোমা বিশ্বাস,
স্বরূপা রায়,রিয়া ভট্টাচার্য,রণধীর রায়,লগ্নজিতা রায়

★কবিতা : রাহুল গাঙ্গুলী ,জারা সোমা,প্রতিভা দে,সন্দীপ দাস,শিল্পী দত্ত,বিকাশ দাস,কাজী জুবেরী মোস্তাক,প্রনবেশ চক্রবর্তী,রাজীব লোচন বালা,সুজান মিঠি,অভিষেক মিত্র,অজাত শত্রু,শুভ্রা দত্ত,সুদীপ্ত বিশ্বাস,শুভেন্দু দাস,


বিভাগ : ইচ্ছেমত 
***************


★কবিতা :চন্দ্রানী পাল,মৌসুমী রায়,শোভন মণ্ডল,শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়,চৌধুরী নাজির হোসেন,শুভজিৎ কোলে,শ্যামাপদ মালাকার,সুদীপ ঘোষাল,অসীম মালিক,জারা সোমা,তুলি রায়,শিশিরবিন্দু দত্ত,সম্পা পাল,বিশ্বজিৎ প্রামাণিক,চিরঞ্জিত সাহা,নীতা কবি মুখার্জী,জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি,মোস্তফা তোফায়েল,তনুজা চক্রবর্তী,মালবিকা ব্যানার্জী,রাজীব লোচন বালা,
তৌশিক ঢালী,অভিজিৎ দাসকর্মকার,সন্দীপ ভট্টাচার্য,বিকাশ দাস,হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়,তপন জানা,মহ. ওলিউল ইসলাম,সিদ্ধার্থ সিনহামহাপাত্র,সুশান্ত সৎপতি,শুভদীপ পাপলু,কাজী জুবেরী মোস্তাক,শিল্পী দত্ত,প্রবীর রায়




সাধারণ বিভাগ 
*************
★অনুগল্প:পায়েল খাঁড়া

★কবিতা : বৈশাখী চ্যাটার্জি,জয়শ্রী রায় মৈত্র,সৌরভ বর্ধন,অনোজ ব্যানার্জী,মোনালিসা পাহাড়ী,পিয়ালী সাহা,মনোজ কুমার ঠাকুর,সুকান্ত মণ্ডল,সায়ন্তনী হোড়,শুক্লা মালাকার,তপময় চক্রবর্তী,সুনন্দ মন্ডল,বিশ্বজিৎ ভৌমিক,শিল্পী গঙ্গোপাধ্যায়,পিন্টু মাহাতো,পূজা গোস্বামী,তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়,মোঃ শামসুজ্জোহা (মুকুল),প্রতিভা দে,ইমরান হাসান,তাপসী লাহা,
অন্তিমা প্রামাণিক




























































































✍️ সম্পাদকীয় কলমে






"জমছে ধুলো মনের কোণে ,বিকোনো আবেগ
তুমি বৃষ্টি চেয়েছো ,আমি সাজাই মেঘ "


আকাশে মেঘ জমলেই ,বুকের ভিতর যেন কেমন কেমন করে উঠে প্রতিবার ।অভিমান ,অজুহাত গুলো নিঃস্তব্ধতায় পাহাড় বনে ...আর রং বদলানোর নামে জল ছুঁয়ে যায় খেঁজুর পাতা ।বৈশাখে ,সাজানো ঘর পুড়েছে ভীষণ রোদে ,ঘামের দামে বিক্রি গেছে কখনো ভালোবাসাবাসির অজুহাত কিংবা পেরোডি ।
চোখের সব টুকু অশ্রু শুকিয়ে গেছে পুকুর ,নদী ...।


তারপর হঠাৎ মেঘ জমে এলে ঘুমোট গরম হওয়ায় "বেশ ভালো আছি'র " মিথ্যে অভিনয়ে দিন যাপন ।ডাল ভাত ফুরিয়ে গেছে শেষ পাতে ,বেনামী কোনো উপন্যাসের মতো ।।



তাই এবারের এই "মেঘ" সংখ্যা ।প্রতিবারের মতো এবারেও  এক গুচ্ছ কবিতা ও কথায় ভরে উঠেছে "তোমার আমার কথা" ।।
সকল কবি ও লেখক/লেখিকা মহোদয়কে নিকোটিনের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।পাশে থাকুন এভাবেই এই আশা রাখি ।ভালো থাকবেন ,ভালো রাখবেন প্রিয় মানুষটিকে ।


"এখানেই শেষ নয় , আরো কিছু কথা আছে ,যেহেতু "তোমার আমার কথা" নিয়েই নিকোটিন তাই আজ কিছু আমার কথা বলা হোক , হ্যাঁ আমি নিকোটিনে ,অভ্যাসে নয় লোকের বদঅভ্যাসেই মিশে থাকা ,রোজ পুড়তে থাকা ,ঘাত প্রতিঘাতের সাক্ষী ।"

অনেকটা ঝড় বয়ে গেছে ইতি মধ্যে নিকোটিন প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রমে বলতে পারেন ।আমি একা কি করে চালবো বলুন ,লেখা সংগ্রহ ,এডিটিং ,লোকের খিস্তি ,অপমান তো আছেই । নিজে লেখা ছেড়ে দিয়েছি এরজন্য ,কোনো ম্যাগাজিনে আর লিখছি না ,টুকটাক ছবি আঁকছি ,টাও বাজে । আর এদিকে বেকারত্ব জাকিয়ে বসেছে আমার ভিতর । এর মধ্য দিয়েই শুধু একা চালিয়ে যাচ্ছি এই " নিকোটিন" ।
আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনার লেখা বেরোলে অবশ্যই share করবেন । আজ কাল অনেক জনকেই দেখি লেখা পাঠায়, লেখা বেরোয় কিন্তু কোনো দিন একবারও নিজের চাহিদায় ব্লগে ভুল করেও সার্চ করে দেখে না । আমি তো কিছুই চাইনি আপনাদের কাছে ,আপনাদের লেখা গুলো যেভাবে লাইন না ভেঙে ,সাজিয়ে ,গুছিয়ে আমি ব্লগে দেই ,একটা তো আশা থাকে ,যে একটু কমসে কম নিজের লেখাটা পড়ে দেখুক কবি/ লেখক ,নিজের লেখাটা share করুক ।


যাইহোক আপনাদের জন্যই এখনো বেঁচে আছে এই "নিকোটিন " আশা করবো বাঁচিয়ে রাখবেন ...যেমন আছে ।





                                      ধন্যবাদান্তে ,
                                 জ্যোতির্ময় রায়
                               ( কার্যকরী সম্পাদক)

**
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবারে নিকোটিনের মেইন প্রচ্ছেদ আঁকার জন্য মনোরঞ্জ সরকার মহাশয়কে ।


এবারের প্রচ্ছেদে
**************

জ্যোতির্ময় রায়


✍️নিকোটিন ও কিছু কথা ...



"নিকোটিন" মানে যেমন আসক্তিকে বোঝায় ,ধসে যাওয়া ,ধ্বংসমুখী কোনো গতিপথে ঠিকানাহীন কোন গন্তব্য ,ঠিক তেমনি রোজ মরতে থাকা জীবন্ত লাশের গন্ধ মেখে ,হাসি হাসি মুখে বলে উঠা ,"বেশ ভালো আছি "


তাই ছোট্ট প্রয়াস কিছু না বলা কথাকে বলে ফেলার আস্পর্ধায় ,চিমনির গতিপথে বারুদ বারুদ কোলাহলে,বেঁচে থাকার ,বাঁচতে দেওয়ার উপত্যকা ।


রোজ ধর্ষিত হওয়ার মনের বসত বাড়ি হোক তবে এই প্ল্যাটফর্ম ,শেষ ট্রেন চলে যাক না কেন ,অপক্ষা না করেই ,মোমবাতি হয়ে পথ খুঁজে পাক নিয়ম ভাঙার আওয়াজ গুলো , আকাশ গুলো ,রাস্তা গুলো ,...।

                                                ধন্যবাদান্তে,

                                             জ্যোতির্ময় রায়
                                        কার্যকরী সম্পাদক
     

জ্যোতির্ময় রায়



বসন্ত শেষে

************


আজ ফের বৃষ্টি হল ,রাম ধনু আঁকা সিঁদুরে মেঘে
আজ ফের কচু পাতায় জমেছে জল
দূর্বা ঘাসের গা ছুঁয়ে ,খেঁজুর পাতা বাতাসে ,
শিউরে উঠে শরীর ।
কাঁচা আম আর লবণ লঙ্কা গুড়ো ... !
তোমার মিষ্টি ঠোঁট আর রেশমী চুল ...
উষ্ণ কিছু চাওয়া ,কিছু নিরব অভিমান
বৃষ্টি ... তুমি এলে ... স্তব্ধ হয়ে যাওয়া
 শব্দে ফের দিলে প্রাণ ... ।।

হারিয়ে যাওয়া এক কবি-কথায় (এক)





"রোজই হচ্ছে নিখোঁজ কথারাও
মুখশের আড়ালে চেনা অচেনা মুখ
    লুকিয়ে থাকা,হারিয়ে যাওয়াই যাদের সুখ "

                       
                               ©জ্যোতির্ময় রায়


এমনি একজনের কথা আজ বলছি সে হল মনোরঞ্জন সরকার । প্রিয় বন্ধু তো অবশ্যই ,এমনকি শুধু প্রিয় নয় ,সব থেকে প্রিয় ,আমি যে কথা গুলো বলতে চাই সে বুঝে নেয় আগেই ।সেই ছেলেবেলা থেকে একমাত্র সঙ্গী ,তার বানানো গল্প শুনার জন্য রোজ যখন ভিড় জমত অবিনাশ জেঠ‍্যুর  মেশিন ঘরে ,বৃষ্টির দিন গুলোতে মাছ ধরতে যাওয়ার দল নেতা কিংবা বসন্তে যষ্টিমধু খুঁজতে বনবাদারে যাওয়া । ডাহুক মারতে যাওয়া সেই মেখেরু ডান্ডায় । কিংবা টিয়া পাখি ধরবো বলে চলে যেতাম শালবনে ।বনভোজনের সময় আলুচুরি ,কপি চুরি । সমস্ত রকম দুরন্তপনা জুড়ে একটা ভালমানুষী । সবার সব বিপদে সবার আগে যার উপস্থিতি । একদম শরৎ চন্দ্রের "লালু "। তার মুখেই প্রথম শুনা গল্পটি আমার ।
ছোট বেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তার আকর্ষণ গুলো আজও বিনম্র শ্রদ্বা নিয়ে আসে ,"কি রে পারে এত নিখুঁত " আর ছড়ার তো সর্বদা লেগেই আছে ।
আমি তার ছড়া গুলো নকল করতাম তখন প্রায় ,আর তাকেই দেখাতাম । নাঃ পড়াশুনা টা আর হয়নি তার । ক্লাস এইট এ শেষ ।জানি না কেন আর পড়েনি সে । "সামান্য একটা সাইকেলে নাকি ,হ্যারিকেনে?" ।। তবে ছবি আঁকা ছাড়েনি ,কিন্তু কবিতা গুলো মরে গেছে ,যে ভাবে লোকটা মরে গেছে ভিতরে ভিতরে ।


আজ আমি যে ছন্দে কবিতা লেখা চেষ্টা করি সে পাঁচ বছর আগেই সেরকম কবিতা লিখত ,আর ছবি গুলো .....জাস্ট দূর্দান্ত । এখন ওই বোনের নষ্ট খাতায় বাদ হয়ে যাওয়া পেজে মাঝে মাঝে কবিতারা আর ছবিরা প্রাণ প্রায় শুধু । মাঝে মাঝে আমি বাড়ি গেলে আমার মোবাইলে ফেস বুকে কিছু কবিতা পোস্ট । নাঃ কোনো ম্যাগাজিনে কোনোদিন কোনো কবিতা দেয়নি ,দিতে চায় না এমন একজন । তার কথা গুলো শুধু ডাইরির পাতায় ডুকরে ডুকরে কাঁদে আজও ।

জন্ম আমাদের গ্রামেই (লোহাগঞ্জ ) আমার থেকে তিন চার বছরের বড় শুধু । তবুও সখ্যতা একটুও ফারাক নেই । আমি বাড়ি গেলেই প্রথম যার খোঁজ করি ,প্রতিটি বিকেল প্রতিটি সন্ধ্যে সে না থাকলেই মনটা খারাপ হয়ে যায় । আজ কলকাতায় বসে কথা হয়না ,তবুও কথা হয় যেন । জমানো শব্দ গুলো বাড়ি গেলেই মুক্তি পায় শুধু ।।

আজ তাকে নিয়েই লিখছি ,নাঃ প্রচার এটা নয় ,সে কোনোদিন নিজের প্রচার চাইনি ,আমি না বলেই কিছু কথা লিখতে চলেছি আজও । কি করবো আজকাল সময়টাও কেমন স্বার্থপর হয়ে গেছে চেনা আচেনায় বিক্রি গেছে স্বপ্ন গুলো । এর মাঝেই ছেলে বেলা বলতে তার কথাই মনে পড়ে যাওয়া । আর সেই গোল্লা ছুটের মাঠে দুলপি ফুল দিয়ে কিছু কথা ফের গল্পে মিশে যাওয়া ।।।


আজকাল আর সে লেখে না ,লিখে বা কি হবে বলুন ? টাকা দেবে কেউ ? বরঞ্চ টাকা নেয় এখন কোথাও লেখা দিতে গেলে ।ভাত ?। আজকাল ভাতের চাহিদায় মিশে গেছে সেও ।


তার কিছু কবিতা আর ছবি নিচে দিলাম।



কবিতা গুচ্ছ
**********



সেই হলদে পাখিটা
***************



কাল আর একবার এসেছিল সেই হলদে পাখিটা
প্রথমে ঠিক চিনতে পারিনি,
তারপর, ওর লালচে ঠোঁটের নিচে হালকা নীলচে দাঁগ আর
তীক্ষ্ন নোখ দেখে বুঝলাম এ সেই,,,
বাঁ-হাতের তালুতে আঁচড়ের দাঁগটা আমার আজও মুছে যায়নি ওর পায়ের -
সেদিন থেকে আর জোরকরে ধরবার ভুল করিনি তাকে।
সেও আমাকে ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল অন্যকোথাও
অনেক দিনের পরে কাল একবার এসেছিল সে।
.
এখন আর জামরুল গাছটা নেই
ও বসেছিল একটা কদম গাছের ডালে
ওকে বলেছিলাম - কেন এসেছো?
ও বলল - ভুল করে এসছি।
আবার বললাম - আগের মতো ডাকতে জানো?
বলল- বয়স বেড়ে গেছে।
হয়তো......
,

এখন অনেক পাখি দেখি কাক গুলো ডানা ঝাপটায় রোজ দূরে কোকিল ডাকে শুনতে পাই
কিন্তু তার মতো কাউকে ভাল লাগেনা
ওকে বললাম সেকথা,
এতদিন শুধু তাকেই মনে পরেছে- তাও
আর বলছিলাম - ওর কাকে মনে পরেছিল?
ও বলল- জামরুল গাছটার কথা, তার কি হল?
আমি বললাম -
সে উড়ে যাবার পরে গাছটিও আত্মহত্যা করেছে।
.
উড়ে যাবার আগে বললাম তাকে - থেকে যাও
বলছিল - আরেকটা জামরুল চারা লাগাও একদিন ঠিক ফিরে আসব
- যদি এখন আর সে না বাঁচে?
উড়ে যেতে যেতে আকাশের অনেক উঁচুতে সে মিশে যেতে যেতে বলল- তবে ভেবে নিও আমিও বেঁচে নেই,,,,,,,,,,,,,




ভালোবাসছি আবার
****************


ভালোবাসছি আবার জীবনের সব রং নিয়ে-
রং- হীন স্বপ্ন যত মনের আঙিনায় 'দাড়িয়ে'।
ভালোবাসছি। ভালোবাসছি আবার আমি-
অনেক চোখের জল। ভালোবাসছি বুকের ভেতর-
শান্ত কোলাহল। ভালোবাসছি।
ভালোবাসছি খালি পায়ে পায়ে বহুদূর হেটে যাওয়া-
ভালোবাসছি "টাঙন নদী" বাঁকে বাঁকে মিশে যাওয়া।
ভালোবাসছি।
                                    . ( সংক্ষিপ্ত)




অভিমান
----------------


রাগ হলে সইতে পারো সহজেই
আমিও পারি ভুলে যেতে
ছোট খাটো ব্যথা, "অপমান"।
বড়ই অবুঝ তুমি
বড্ড ছেলেমানুষ, বোঝোনা!
আঘাত হলে দামি কিছু আবদারে
জন্মায় অভিমান।।
     


----------------------+--------


 জল দিয়ো জল দিয়ো-
তোমার এত সযত্নে লাগানো চারাগাছ,
কিভাবে একটু একটু করে শুকিয়ে যাচ্ছে রোজ
লক্ষ্য করেছো? তাই,,,
নিয়মিত একটু জল টল দিয়ে
ওকে একটু বাঁচিয়ে রেখো। অন্তত বাঁচিয়ে...
বড় হলে সে একদিন নিশ্চই ফল দেবে।
শুনেছোই তো-
মানুষ বেইমানি করে, কিন্তু গাছ?
গাছ কোনোদিন বেইমানি করেনা।
তবে?
দেখবে, কিভাবে একদিন কি দারুন সৌরভে মাতিয়ে দিয়ে-
তোমার দিকে একগাল হাসি হাসিমুখ নিয়ে
দাড়িয়ে আছে অসংখ্য হাসনুহানারা...
ওহ্! কি দারুন হবে ব্যাপারটা
ভেবে দেখেছো,
আর হ্যাঁ-
শুধু জৈব টৈব দিয়ে কিস্যু হবে না
অবশ্যই রাসায়নিক টাসায়নিক কিছু দিয়ো,
সাথে কিছু কীটনাশক-
আজকাল ওসব ছাড়া কোনো গাছই বাঁচে না।
                   





তারপর আর আসোনি...
-----------------------------------



রোজ দেখি এরাস্তায় যাও
কাধে ঝোলানো লালনীল ওড়না। পিঠ ব্যাগ। বইখাতা।স্কেল।
টিউশনে বুঝি? বলতে চেয়েও বলা হয়ে ওঠেনি, কিভাবে
এপথে যেতে যেতে বারবার, মারিয়ে যাও এ-বুক তুমি আর, তোমার কন্যাশ্রী সাইকেল।
ভুলকরে যেই দিন প্রথম চোখে রেখেছিলে চোখ
চলার গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়ে। কি নির্মমতায় মারিয়ে গেছ বুক। তুমি জানো?
ভেবিছিলাম এইতো প্রেমের শুরু। সেদিন থকে তুমি ভীষন সাবধানে
ফেলেছো পা হয়তো দুরুূুদুরু। চোখাচুখির করোনি ভুলচুখ আর কোনোদিন কখ্খনো।
তারপর হঠাত্ যেদিন তুমি নতুন সাজে এলে
হাটুর নীচে দোপাটি রং ফ্রক,
বলেছিলাম।কি দারুন লাগছে তোমায়!
দেখেছিলাম। ভেতর ভেতর ভীষন লজ্জাতে লাল হলে।

তারপর পুজো এলো।
ছুটি ছিল। সেই থেকে আর এ-পথে আসোনি।
না বলাই থেকেছে মনের কথা। শোনাও হয়নি-
ভালোবেসেছিলে কি বাসনি...
আমি এখনো শুধু সেই ভুলের মাশুল গুনি
দু-কানেতে বাহারি হেডফোন,
নচিকেতার নীলাঞ্জনা শুনি।



তোর আগুন
**********



মোমবাতি গুলি জ্বেলে রাখি
ঘরের এক কোণে। এতদিন আমার বুক জ্বলে জ্বলে যে অন্ধকার ধোয়ার সৃস্টি হয়েছিল.....সেই অন্ধকার ওরা খানিকটা চুষে চুষে খাক।
শিরদারা টান রেখে যদি আরেকবার যেতে পারি তোর কাছে......
সেদিন অনেক আগুন চেয়ে নেব
শেষ বারের মতো জ্বলে নেব আলো...... তারপর ব্যস......
ঠিকি শিখে নিতে পারব নিজের সাথে নিজে লড়াই করার।






স্বপ্ন পরি

*****************


একসাথে পথ চলতে চলতে
কোথায় যেন উধাও হলি......
অনেক খুঁজলাম তোকে বাগানে বাগানে, দেওয়ালে, পাখিদের ঝাকে, পার্কের বেঞ্চিতে
আঁকার খাতায় আর কবিতার বইয়ের পাতায়
কোথাও খুজে পেলাম না তোকে।
শেষমেষ সেই জলা জমিটার পাশে গিয়ে দাড়ালাম।
যেই খানে তুই হারিয়ে ছিলি সেইখানে
অনেক খুঁজলাম চাদের আলোয়... হঠাত্
দেখি তুই মাছ হয়ে সাতার কাটছিস জলে আর
আমার মাথার ফুলগুলো সব পোকা হল।




তুমি- আমি
,,,,,,,,,,,,,,,, ,, ,


তুমি শান্ত, খুব জ্যান্ত
লাল গোলাপ, আর,,,ফাগুন মাস
আমি বেপোরোয়া, দিগভ্রান্ত, খুব,,,,
জমে ওঠা শীত বাতাস।
তুমি নীল চাঁদ
মনে রাখা রাত,
ফিরে এসো বারবার,,,,
আমি পথে গজা ঘাস
এই রাতের দূর্বা-শিশির,
মিলেমিশে একাকার।



চুমু
------


তোমাকেও ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি
নিঝুম রাতে ঝাউডালের ছায়ায়
বাঁকা চাঁদ সরে সরে গেলে

তারপর পরী নামে আমার উঠোন জুরে
তোমার হাসির শ্লোক আর
চাঁদের আলো মিশে গিয়ে
এক অদ্ভুূদ মেহেফিল সেজে ওঠে
রাতের আকাশে

তুমি বুঝে নিও
বেশি কথা বলা ঠিক নয় এসময়
শুধু দেখে নেব কিভাবে পরীদের মাথার মুকুট থেকে
এক একটি তারা খসে গিয়ে তোমার দুঠোঁটে সেজে ওঠে

পরীদের আস্কারাতে সব বাঁধন ছিড়ে ছিড়ে যাবে
ভয় পেয়ো না
আমার তখন ইচ্ছে হতেই পারে
ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে নিয়ে
ছায়াপথ দেখার...




মৃত্যুর পাওনা
-------*------*-----

মৃত্যুর পরে
পরে থাকে শুধু কিছু স্মৃতি, আর
কিছু পিছুটান;
হিসেবের খাতা নিঙরে
শেষ পাওনা কিছু মান
কিছু অভিমান।।।



বানভাসি
********


কিছু স্রোত ডাকনামে বেঁধে দিলে
আকছার ভেসে যাবে আমার
বেনামি বারান্দা, ঘরদোর, দারুন অবহেলায়।
কোলাহল উঠবে; ত্রাণ ত্রান
হরদম, মুখে মুখে খই ফোটানো স্মৃতিগুলো
বোবা হয়ে যতবার ভেসে যাবে
সারি সারি কলাগাছের ভেলায়
ঠিক ততবার আমিও বানভাসি।


বৃষ্টিদিন
*******


চুল আমাদের উড়তে থাকুক
মিষ্টি কোনো হাওয়ায়
আমরা বরং ঘনিষ্ঠ হই আরও
বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা
শ্যাওলা ধরা ছাদ
আজকে চলো আদুরে
একটা নাম রেখেদি তারও
এখন সবই অন্য কথা থাক
চোখে চোখ রেখে বুকে পাতি কান
বদ্ধ ঘরে একলা কথা বলুক
তোমার আমার নীরব অভিমান



শিরোনামহীন কিছু কবিতা
*******************

১.

কথা তবু বাড়তে থাকে
বাড়তে থাকে রাতও,
মুখচোরা অভিপ্রায়ে-
কিছু মিথ্যে অজুহাতও।
সময় খালি কমতে থাকে
বয়স বেড়েই যায়,
সস্তা কিছু স্মৃতিও বাড়ে
হেটে যাওয়া রাস্তায়।
যত্নে কিছু স্বপ্ন বাড়ে-
ভালোবাসা আরও,
রীতিমতোই চাহিদা বাড়ে-
গোপন ইচ্ছেটারও।


২.


শিশির জানে রাত্রি জাগার কথা,
বেশ, আলাপ জমায় পাতায়, ফুলে, ঘাসে।
জল ফড়িং-এর কি এসে যায় তাতে
যতই হৃদয় ভাঙুক আতস কাচের।।


৩.


ইচ্ছে করেই তোকে রাগাই রোজ
তোর ভেতরে অনেক মুক্ত রাখা,
একটু খানি হাসিয়ে দিলেই পাব খোঁজ


৪.
বুকের ভেতর তিব্র জোয়ার
বিপদসীমার পূর্বাভাস,
ভাঙছে বাঁধের এ'পার ও'পার
তোমার নামের জলোচ্ছ্বাস।।


৫.

চুপ! রাখি এই হাতে সেই গোলাপ...
মানছি রোজ মিথ্যে সব পাগলামি-
নীলখাতার ভাঁজে ভাঁজে জমছে রোজ একই প্রলাপ।
                                  মাতলামি।
এই সকাল এক প্রকার বোঝাচ্ছে ছিন্নতা।
সুযোগেতে বাড়ে বয়স বালিস ঘুম-
রাজপ্রাসাদ রূপকথা?


৬.

ইচ্ছে হলেই
বৃষ্টিতে ভিজত আমার শহর
সঙ্গি হতো চাল চুলো হীন কাক,
বৃষ্টি ধোয়া ঝাপসা সানগ্লাসে
টাপুসটুপুস গড়িয়ে যেত প্রহর।
আমি কেবল নৌকো গড়ি। সাজাই।
কাগজ প্রেমির মমতা যাক ভেসে...
বৃষ্টি দিনের একটু কাদামাটি
আজ মিশে যাক পুরোনো অভ্যেসে।।

৭.

অতএব...
এরপর হবে কথা
এখন শুধু নীরবতা ছাড়া কিছু নেই,
এখন এক জাল বুনেছি শব্দ ধরার ছকে
আশা করি কিছু কথা জমবেই।।


৮.

প্রত্যেকটা গড়ে ওঠায় খোঁজো ইতিহাস?
নিশ্চিত ভেবেই নাও নায়কের জয় গল্পের শেষে
এতদিন ভুল ভেবেছো-
এখন আমি গল্প সাজাই ভিলেন ভালোবেসে।।

৯.

অভ্যেসে (চেনা যায়)
মুখের আদল। মুখ।
আগুনেতে পোড়ে নির্দোষ সলতে। আগুন।
আর মুখচোরা আলোর অসুখ।


১০.

যে ভাবে বাসছি রোজ
রোজ ভালো রাতদিনে,
সেই ভালো তোকে আর
বাসতে কারুর সাধ্যি নেই...



কিছু ছবি
********














































লেখা ও সংগ্রহে : জ্যোতির্ময় রায়
                        কার্যকরী সম্পাদক




(বিঃ দ্রঃ আপনার জানা এমন কেউ থাকলে আমাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন nicotinemgaz@gmail.com এ ।)