নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

জয়ীতা চ্যাটার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জয়ীতা চ্যাটার্জী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সময়ের কাছে: জয়ীতা চ্যাটার্জী





সময়ের কাছে সময় এসে থামে, 
কখনো সে শীর্ণতোয়া নদী, 
কখনো পাহাড় ডিঙনো ঝরনার জল, 
বাতাসের কাছে সময়, সময় রাখে যদি। 

সময়ের বার্তা উড়ে গেছে পাখি হয়ে কত কাল, 
মনে রাখেনি  কোন অতীত, রাখেনি ভবিষ্য জাল
সময় সে যেন দূরন্ত এক কালবৈশাখী ঝড়, 
ডানা মেলে চলে যায় মানবীর মতো, ভেঙেচুরে স্মৃতিরঘর। 

কত অরন্য ঘুমিয়ে পড়েছে পাশ ফিরে, 
কত নগর তুমুল বৃষ্টিতে ঝুম, 
কত কথা ভাঙে পাহাড়ের কোলে, কিছু কথা 
ভেঙে ভেঙে আসে নীরবতা, রাতের আঁধারে নিঝুম। 

এমন নৈঃশব্দেও বাতাস কথা বলে, 
মরমর ধ্বনি লিখে যায় পাষানের তলে, 
কালপুরুষ মৃদু হাসে আয়নার কাছে, 
অবিনাশী  সময় হৃদয়েতে আছে, আছে সব রাখা আছে।।

বিজয়: জয়ীতা চ্যাটার্জী



উদিসীনতা, ও আমার পাথর চাপা দুখ।
বড় উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়েছে আজ,
এগিয়ে যাওয়ার নেশা চেপেছে,
পায়ের পাতায় ফুটছে, আজ রক্ত কাঁটা সুখ।

বড়ো  সাধ চেপেছে মনে মনে চাইছে গৃহ কোন।
যারা রঙ তুলিতে ইতিহাস আঁকে,
তাদের তো দুঃখ নেই ছিন্ন পোশাকের,
জীবন জোড়া না পাওয়া আর তাতেই উপশম।

উদাসীনতা, ও আমার বড়ো শান্তির আপন গাছের তলা।
এবার যে তোর তেষ্টা পাবে, ভেতর জুড়ে
গুলিয়ে উঠবে চাবির শোক, স্পর্শের সৌজন্যে
 পুড়ে যাবে কথা, নিঃশ্বাসে থেকে যাবে সমস্ত না বলা।

আমার বই এর পাতা হলুদ হয়েছে, তাকে বুকে নিয়ে ফিরতে  হবে দিগন্ত থেকে ও কিছু দূরে। পলাশের বন, দীঘির কোনের সামনে দিয়ে যাব, আসন ছেড়ে না ,
সেই অসংখ্য অধ্যায়দের ইচ্ছে করে ভুলে।।

আহ্নিক গতি: জয়ীতা চ্যাটার্জী


পেরিয়ে যাচ্ছে দিন
বাতাস কেটে কেটে।
পেছন থেকে ঠেলা লাগে গরম নিঃশ্বাসের
জানি বাকি আছে পথ পেরতে হবে হেঁটে।

একটা বিশাল রাত
এসে দাঁড়িয়েছে অশ্বত্থের নীচে।
আমি একাকী পেরোচ্ছি বাঁক, প্রাগৈতিহাসিক
তত্ত্ববিদ তাড়া করে আমায়, সময়ের পিছে।

সীমাহীন এক দৌড়,
ছুটতে ছুটতে ছুঁয়ে দেবে আকাশের বুক।
হে পৃথিবী তোমারই গর্ভ থেকে জন্ম
নেয় আরও আরও পৃথিবী, আরও কত দুখ।

আদিমাতা তোমার কাছে
জীবন ,শেষ অঙ্গীকার রাখে।
বিগত জন্মের কাছে কোন প্রশ্ন থাকবে না
ভেসে যাবে মহাশূন্যের নিগূঢ় জ্যোৎস্নাতে।

পূজা: জয়ীতা চ্যাটার্জী



হে অপরূপ, তুমি সৃষ্টির সুন্দর পূজা নিবেদন।
                শ্বেত শুভ্র, তুমি বন্দনীয় আমার।
তোমার ভেতরের তুমি সে একান্তই আমার একমাত্র।
             অন্তরের সমস্ত শোক তাপ মুছে দেবো চুম্বনে।
তোমার ভেতরের হিম যুগকে
            শুষে নিতে খুলে যায় ওষ্ঠধার।
বার বার উচ্চারিত হয় শ্লোক, আমি সেই পূজারিনী
       যার বিশ্বাস একেশ্বরবাদ।
তোমার কাছে ,তোমার গুণের কাছে,
           তোমার রূপের কাছে চির ঋণী আমি।
আসনের সামনে সাজিয়েছি যজ্ঞবেদী,
               আগুন, কাঠ, হেম দিয়ে, সময় অভিমানী!
ক্ষয়ে যাচ্ছে জীবন অসম্ভব সহিষ্ণুতায়।
          জাগিয়ে রাখি তোমার বুকে গোটা একটা জীবন
মন্ত্র সাধনায়।
আদ্রতা কমে আসে ঠোঁটের,
চুঁয়ে চুঁয়ে রক্ত পড়ে
আঙুলের ডগায় তোমার বুকের আকাশ ছুঁই,
      তোমার প্রত্যেকটা নিশ্বাস জন্ম দেয় একটা একটা নক্ষত্র,আমি তাদের সযত্নে রাখি অধরে।
অপরূপের ভেতর তোমার যে বিশাল রূপ সেই পাবে পূর্ণতা আমার আরাধনায়।
পূজো হবে বিশ্বাসের মন্ত্রে, প্রেমের মন্ত্রে, সাধনার বলে ত্রিমাত্রিক ছায়ায়।।