নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

আগমনী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আগমনী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রাজিত বন্দোপাধ্যায়







জীবনের চাপ    
*************

 
আবার এলো উমার আসার পালা
বেহায়া মনে ছমকাছমকি রে ,  
মনের খুলে খড়খড়িটা --  
একি বেশে চলে উমা অভিসারে !   
শিবের ত্রিনয়ন শক্তিহীন এখন      
পরকীয়ার পরম রসে --     
জেন তাতে আর না আছে   
কোন ক্লেশ মা উমার কাছে !!   
তোমরাই তো মা নরনারী তরে  
খুলেছো রুদ্ধ পরকীয়া দ্বার --     
আইনের বেড়ি ফেরি হল আজ   
বিচারকের করি জয় জয়কার ।  
তোমাদের উমা মাটির প্রলেপে  
যত রুদ্ধশ্বাসে সাজুক না কেন --   
যতই ঝলসাক হ্যালোজেনের আলোয়    
গহনা আর পরিপাটির তাপে ,     
সবকিছু আজ বদলে গিয়েছে যে ছাই    
তোমাদের নতুন জীবনের চাপে । 

তোহাদ্দেশ সেখ




পতিতার রাত
*************


       

পতিতার রাত প্রজাপতি হাসে না।
কামুক ইচ্ছেরা উঠ বস করে  
যোনিখোর টাকার ইশারায়।
অশ্রু বা বীর্যের পূর্ব মুহূর্ত গুলো 
লিখে রাখে পুরোনো চৌকাঠ।
কামের সর্বনাশা যদিও সুখের খোঁজে চোখ বুজে।
রাতের বা সর্বনাশার বা পুরোনো চৌকাঠের 
অদেখা থেকে যায় টাকার প্রয়োজনটা।

দোলন দাস মণ্ডল






লজ্জাব্রত
*********




ঠাকুমার ঝুলি হাঁটকালে এখন রূপকথা না,
বেরিয়ে আসে ভোর রাতের ধর্ষণের গল্প। 
   নাতনিদের চোখে অসহায়তা,
            কিছু নাতিদের চোখে লজ্জা 
                          কিছুর চোখে উল্লাস। 

              এ শহরকে আমি চিনি না। 
         জন্মাবধি যাকে আমি চিনে আসছি। 
পিছন ফিরে আমার শৈশবকে অলীক বলে মনে হয়। আঙুল ধরে বড়ো করে তোলা জল-হাওয়া-পথ- মাঠ-ঘাস-
         সবাইকে আজ ধর্ষকের মতো লাগে। 
         
       ... ওরা রাজপথ দিয়ে উলঙ্গ হাঁটে, 
আমরা শালীন পোশাকি রক্ষাকবচ বানানোর মিথ্যে চেষ্টায়.....!
তারপরও শ্বেতশুভ্র শাড়িতে ভয়ঙ্করতার  লাল! 
          দেখি,  চমকে উঠি...
আর বাড়ি ফিরে শিবরাত্রির ব্রত রেখে
   লিঙ্গের মাথায় ঢালি কামনার জল....। 
           

প্রনবেশ চক্রবর্তী




কাপুরুষ নাকি পুরুষ!! 
********************





 ও মেয়ে এক্কেবারেই নারী তো নোস তো তুই বড্ড ছোট্ট শিশু,
তোর আবার কি নারী দিবস, চকলেট দে রে দাশু।
তোর সঙ্গে করলে মজা তাতেও হবে ইস্যু?
চুপ কর তো মজা নিতে দে দেখাস নে তোর আঁশু!

ও মেয়ে তুই বেশ তো ছুঁড়ি, বেশ তো রাইকিশোরী,
তোরও আবার নারী দিবস মানতে যে না পারি! 
আয় না কাছে ঝোপের নীচে একটু আদর করি,
এই তো বয়েস কর না আয়েশ কান্না কি দরকারী?

ও মেয়ে তুই ভরযুবতী ঠিক আছে তুই নারী,
তা হলে তো নারী দিবস তোর জন্যেই ভারী!
নে মেনে নে শান্তমনে করিস না দরাদরি,
নাহলে কিন্তু ভালো হবে না করবো গা জোয়ারি!

ও মেয়ে তুই মাঝবয়েসী সুন্দরী, সংসারী?
নারী দিবস তোরও নাকি? যাঃ কি যে করি!
ছেলে মেয়ে আছে আবার থাক না, তোকেই ধরি,
আমরা পুরুষ অত্যাচারী চাই শুধু একটা নারী! 

ও মা, এটা কে, ঠাকুমা? সত্তর, আশির বুড়ী,
এরও আবার নারী দিবস কি দিন এলো মাইরি!
চল বুড়ীকে সবাই মিলে ধরে মজা করি,
সগ্গে যাবার আগে নাহয় হোক সে আবার নারী!

এই তো হলো নারী দিবস কারো কারো চোখে নারী,
সারা বছরে একটা দিন তো নাহয় একটু হারি! 
হারবো কেন? হোক না তা সে রোজ দিবসই নারী,
ভোগ করতে এসেছি যখন ত্যাগটা কি জরুরী?

আমরা তো আর চাইনি কোন সত্যি পুরুষ দিবস,
তাহলে সত্যি পুরুষই হতাম দিতাম প্রেমের পরশ,
আমরা হলাম কাপুরুষ বুঝলি? এক্কেরে কাপুরুষ!  
নারীতে বাঁধা নাড়ী মোদের মানবো না কোন বয়স!

একদিন হোক নারী দিবস নেই কোন আপত্তি,
বাকি সব দিন পুরুষ দিবস বুঝলি তো এই সত্যি?
না বুঝলেও কি করবি বল? করবি কিছু বিপত্তি? 
যত পারিস বল কাপুরুষ! তবু নারী মোদের সম্পত্তি! 


পারমিতা সাধুখাঁ







বিচিত্রতা
**********




জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে
জি.এস. টির দৌলতে l
চলছে জীবন সস্তাচালে
রেশন দোকান আছে ll

শ্রমের মূল্য ঘামের কাছে
টাকায় কিনে বেচে l
দিনমজুরের আবেগ মরে
খড়ের গাদায় গুঁজে ll

ভোটের নেশায় সমাজ ছোটে
নতুন সরকার গড়ে l
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে
মুখ মুখোশের ঢালে ll

নতুন আলো আলেয়াতে
উলঙ্গ রাজার দেশ l
তবেদারি তোষামোদে
কাটছে জীবন বেশ ll

রবি মল্লিক





সৈনিক
*******



ইতিহাসের পাতা রক্তে রাঙ্গা
বিবিধ যুদ্ধে ভরা,
যাঁদের নাম লেখা রয়েছে
শুধুই কি ছিল তাঁরা?
শক, হুন, মুঘল, পাঠান
এলো আর কতো গেলো,
তাঁদের ধ্বজা তুলতে গিয়ে
নিভল সহস্র আলো৷
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সবই
সৈন্যের লাশের স্তূপ,
রক্তপিপাসু যুদ্ধক্ষেত্র
করবে যে কবে চুপ?
পাতা উল্টে শুধু যুদ্ধের
নায়কদের কথাই পাই,
রাজতন্ত্রের মূল কান্ডারি
সৈন্যরা কোথাও নাই!
সৈন্যরা সব রক্ত দিয়ে
রক্ষা করে সীমানা,
তাঁদের দুঃখ তাঁদের কষ্ট
আছে কী কারো জানা?
দেশের কাছে দশের কাছে
এটাই বলে যাই,
সন্মানের সাথে সৈন্যরা যেন
হৃদয়ে পায় ঠাঁই৷

রাণা চ্যাটার্জী




পর্দা ফাঁস
*********





বাড়ির অমতেই হোক আর অবশেষে ছেলের ভালোবাসায় সিলমোহর দিয়ে পাত্রী নির্বাচনে বিবাহের প্রস্তুতি শুরু করার পরই হবু শশুর মশাই ঢাক পেটাতে শুরু করলেন, "বৌমা দারুন বুদ্ধিমতী,কোনো এক কোচিং সেন্টারে রিসিপশনিস্ট পদে জব করেই নাকি আঠারো হাজার টাকা বেতন পান! " কথাটা  এখনকার  হলেও না হয়  বটে কিন্তু দশ বছর আগে কোন মফস্বল শহরের কোচিং সেন্টারের বেতন এত ! শুনে হেঁচকি উঠলেও বাড়িয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলাটা দারুন টেকনিক ,সবাই পারে না!
যেখানে সেই সময়ে সরকারি স্কুল টিচার এর মাইনে শুরু হতো আঠারো হাজারের  কিছু বেশি দিয়ে! কিন্তু তাতে কি?  উনার ঢাক পেটানোকে গ্রামের অনভিজ্ঞ মহল আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশি বিস্ময় চোখে "তাই নাকি ,আরে বাহ" বলেই খুশি  সেখানে নীরব না থাকলে বদনাম জুটবে,হিংসা করছে বলে!

কিছু কিছু মানুষ এমন টা করে মানে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলে বেশ মজা পান ।ভাবখানা এমন,"কেমন চমকে দিলাম ,বোকা হাঁদার দল কিচ্ছু টেরও পেলো না! কিন্তু সে বা তিনি এটা বোঝেন না ,যে তার সাধের ফোলানো বেলুন, ফুটো হলেই চুপসে যাবে । যে টুকু হৃৎগৌরব এসেছে, সেটাও লোক হাসি  হয়ে গিয়ে পড়ে থাকবে রসকষহীন এড়িয়ে যাওয়া,বা গুরুজনদের বলা যায়না ,সামনে বলা উচিতও নয়, সেই অন্তঃসারশূন্য সমীহ টুকু।

বিয়ের পরে পরেই কোন এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম। নতুন জামাই পেয়ে বাড়ির কর্তা, সারাদিন যে কতবার, ফিরিস্তি দিলেন,রাজকীয় খাওয়া-দাওয়ার  আয়োজন করেছেন বলে। খাওয়া-দাওয়া ,মাংস নাকি প্রচুর পরিমানে,এলাহী ব্যাপার ! রাজকীয় বিয়ে বাড়ির পরিবেশে এসে পড়েছি ভেবে বেশ গর্বিত হচ্ছিলাম  কিন্তু ভুল ভাঙলো বাস্তবের ছবি কড়া নাড়াতে! · হলোটা কি তিন নম্বর ব্যাচ থেকে মাংসের টান!  চার নম্বর ব্যাচ থেকে মিষ্টির কমতি শুরু হলো! আমরা যখন ছয় নম্বর ব্যাচে খেতে বসলাম, গোটা কয়েক শুকনো কচুরি  ছাড়া কিছুই নেই !

এখানে আমি দোষের কথা বলছি না ,বিয়ে বাড়ির মত পবিত্র অনুষ্ঠানে এত লোককে খাইয়ে ভবিষ্যতের ভাঁড়ারে টান পড়ানোর কোনো মানেই হয় না ,কিন্তু তবু এই যে বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলা, বাস্তবের সঙ্গে এমন অসামঞ্জস্য এটা বোধহয় ঠিক নয়। 

কোন কোন বাবা-মাকে দেখি, বাইরের লোকের সামনে ছেলে-মেয়ের দারুণ প্রশংসা করেন। সাবাস ,বলে পিঠ চাপড়ে দেন আবার এটাও দেখি যত ভালোই পড়াশোনা করুক না কেন,অনেক বাবা মা বেশিরভাগই নিন্দা করে ,বকা ঝকাও। ওনাদের উদ্দেশ্য একটাই যে,সন্তান যেন শেখে ,আরো ভালো করে পড়াশোনা করে ,মানুষের মতো মানুষ হয়।

কোন এক কাক,ভাইপোর ওকালতি পড়তে যাবার খবর, যেভাবে গ্রামের লোকের সামনে দিয়েছিলেন , বেশ মজাই লাগছিল শুনে ,"বাপরে বাপ, পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিনা ভাগ্না হাইকোর্টের উকিল হয়ে গেছে !এমন বাড়িয়ে প্রচার  সিনেমার গতিকেও হার মানায়!

ছোটবেলা থেকে বাড়িতে অনেক পত্রপত্রিকা, সৌজন্য সংখ্যা আসার সুবাদে অনেক গল্প পড়তাম সে সব স্মৃতির অতলে তলিয়ে গেলেও একটা অবাক করা মজার গল্প পড়েছিলাম ।লেখকের নামটা ঠিক মনে নেই তবে গল্পের নাম ছিল," রুপার বর মাস্টার"। সংক্ষেপে বিষয়টা ছিল," গ্রামের এক সাধারণ মেয়ের হঠাৎ বিয়ের সম্বন্ধ আসে মাস্টার পাত্রের সাথে ! চাকরির এমন আকালে,ভালো পাত্র হাত ছাড়া কি করা যায় ! তাই মহা ধুমধামে বিয়ে হয়ে গেল রুপার।

অষ্টমঙ্গলায় বেড়াতে আসা জামাই কে ফুরসৎ পেয়ে,কেউ ইস্কুল টা কোথায় জানতে চাইতেই বিপত্তি। ঝোলা থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ার উপক্রম। জামাই ও অবাক,সে জানালো ,"স্কুল মানে?আমি তো ব্যান্ড পার্টির ব্যান্ড মাস্টার!!" এক্ষেত্রে অবশ্য বড় মিসান্ডারস্টান্ডিং ই দায়ী।ভালো পাত্র হাতের নাগালে চলে  যায় পাছে, নানা প্রশ্নে! আবার পাত্রপক্ষ জানিয়েছেও ভাসা, ভাসা যে পাত্র মাস্টার! তবু তথ্যের অভাবে এত বড় অঘটন ! 

কখনো দেখি পাড়ার কোন বাড়ির গার্জেন, পাড়ার অন্যান্যদের প্রতি  দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কথা ছোড়েন ! ভাবখানা এমন যেন,আমার ছেলে বা মেয়ে সোনার টুকরো আর বাকিরা দোষে ভরা!কিন্তু চোখ ,কান মাথা খেয়ে ,অধিক প্রশ্রয়ে সেই বাড়ির ছেলে বা মেয়ে, প্রেম-ভালোবাসা,প্রণয়ে জড়িয়ে অঘটন ঘটায় যখন ,মুখে কুলুপ এঁটে,খিল দিয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে দেন সেই বাড়ির অভিভাবক গণ। কোন সমালোচনা করে বলছি না,রোমিও দাপটে ধোঁকা খাওয়া সত্যি খারাপ কিন্তু তা বলে বাকিরা সব খারাপ, আমি ভালো আর আমার দুধে ভাতে থাকা সন্তানরা সেরা,কেবল, এটা ঠিক  নয়।

একবার  বন্ধুর পিসির বাড়ির ছোটখাটো  বারোয়ারি পুজোতে গিয়ে বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।সামান্য আয়োজনের দু চারটে দোকান আসা মেলায় কোনো এক মধ্য বয়সী আধিকারিক জামাই ঘুরে ফিরে দেখছিলেন। কেউ কুশল কামনা করলেই ,তাদের ঘুরে ফিরে উত্তর দিচ্ছিলেন যে,ওনার ছেলে এবার,মাধ্যমিকের রেসাল্ট বেরুলে মেধা তালিকায় প্রথম না হলেও পাঁচের মধ্যে থাকবেন।

এতবার করে উনি ফাটা  ক্যাসেট বাজাচ্ছিলেন ছেলের কি বলবো!গ্রামের সাদা সিধে সরল মুখের মানুষ গুলো চমকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলেন ওনাকে।এরই মাঝে ওনার ছেলেটি ,সমবয়সীদের সঙ্গে খেলতে খেলতে বাবার কাছ থেকে কুড়ি টাকা নিয়ে জিলাবি কিনে,  পিছন দিক দিয়ে একাই খেতে খেতে চলে গেল ! একা যে খেতে নেই ,ভাগ করে খেতে হয় কে শেখাবে ওকে? এটা ওকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। একা খেয়ে খেয়ে আর  পিঠ চাপড়ানো প্রশংসা দেখেই বড় হয়ে ওঠা তার।

এই বিষয়ের উপর যত আলোকপাত করব,তার শেষ নেই।মানুষের চরিত্রের নানা দিক নগ্ন ভাবে ফুটে উঠতেই থাকবে । ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ জমানায় নিত্যনতুন অ্যাপের দৌলতে , সবাই এমন ঝাঁ-চকচকে নিজেদের ছবি আপলোড করে,বেশ দারুন লাগে। কিন্তু সে বা তিনির সঙ্গে বাস্তবের ছবির  মিল থাকাটাও জরুরি।তবেই না আমার আমিতে আমার বাস! জানিনা বাপু এতে, মনের কনফিডেন্স ঠিক কতটা বাড়ে বরং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষনে  এটা এক প্রকার হতাশা, ফুরিয়ে যাবার বহিঃপ্রকাশকেই ইঙ্গিত করে।

এইভাবে কখনো কেমন পর্দাফাঁসের বিষয় প্রকাশ্যে,গোপনে,মনের গহনে বেআব্রু হয়ে যায়।আজ  মানুষের কিছু চেনা প্রকৃতির,এক ঝলক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলাম ।এখানেই শেষ নয় আসলে এই আলোচনার সত্যিই কোন শেষ নেই।

কার্তিক ঢক্






মালিনী 
******

  

কে তুমি বাজাও শাঁখ
সন্ধ্যারতি শেষে। 
সুগন্ধি জ্বেলে দাও
উন্মুক্ত দ্বারে --

এতোটা নমনীয়তা 
কি করে রেখেছো ধরে
বুকের ভিতর ! 

ইঁট-কাঠ পাথরের স্তুপ --
পায়ের যন্ত্রণা ভুলে
কি ভাবে রেখেছো তুলে দুই হাতে
সবুজ ঘাসের ঘর --
অপরূপ সৌন্দর্য্য তার...

চন্দন বাসুলী





                 রক্তাক্ত অন্তর্বাস 





 উন্নয়নের খাম খেয়ালী হওয়ায় জঙ্গলে রাজপথে ,
 প্রাসাদে বস্তিতে উড়ে বেড়াচ্ছে রক্তাক্ত অন্তর্বাস ;
 ডিজের শব্দে চাপা পড়ছে ধর্ষিতার তীব্র আর্তনাদ ,
 ক্ষিপ্র কাম দণ্ডের প্রবল আঘাতে ছিন্নবিন্ন 
 সহস্র শান্ত গোলাপের কোঁকড়ানো পাপড়ি ।

ডান বাম , উত্তর দক্ষিণ দাবি করে আমাদের বলে 
তখন মহামন্ত্রী নিলাম চালায় বয়সের বিচারে ;
শোক মিছিলে পায়ে পা মিলিয়ে রাস্তায় নামে বুদ্ধিজীবর দল ,
অবশেষে ভাষণ শুনে মুগ্ধ হয়
এই বাংলার আপামর মূর্খ  জনসাধারণ !

অক্ষয় কুমার সামন্ত






মৎস্যকন্যা
********* 



ঠিক করে উঠতে পারছিল না কিভাবে কথা বলবে। আসা-যাওয়ার পথেই আলাপ। খুব স্মার্ট মেয়ে মধুরীমা। তার দামী দামী স্কার্ট দেখে অল্পেশের কথা বলার সাহস হারিয়ে যেত।
খুব সাদা মাটা অল্পেশ। ধুলো কাদা মেখে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তার বড় হওয়া। ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনায় ঝোঁক ছিল। তাই দারিদ্র্যকে পিছনে ফেলে সে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। সরকারি স্কলারশিপ পেয়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। কলেজে 1st সেমেস্টারে সে রেজাল্টও ভালো করে।  বাসে দেখা হলে কথা হতো। তারপর কলেজমোড় থেকে দশ মিনিটের হাঁটা পথে তার সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করতো মধুরীমা।
অল্পেশের ছাতা হারানোর ব্যামো ছিল খুব। প্রত্যেক বছর মা একটা করে ছাতা দিতেন। কিন্তু কতোবার যে চায়ের দোকানে ছাতা ফেলে আনমনে হাঁটতে শুরু করেছে তার হিসেব নেই। তাই তার কাছে ছাতা না থাকাটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় কলেজমোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতো সে। কিন্তু মধুরীমা তাকে ছাতার তলায় ডেকে কথা বলতে বলতে কলেজে যেতো। গ্রীষ্মের রোদেও সে ছাতা নিয়ে অল্পেশের অপেক্ষায় থাকতো। ধীরে ধীরে কথাগুলো গভীর হয়। তাদের কথার সুরে হাওয়া বৃষ্টিকে ডেকে আনতো। অল্পেশ বুঝতেই পারে নি কখন সে তার মনের গভীরে মধুরীমার জন্য আসন পেতে ফেলেছে। অনেককিছু বলবে ভাবে কিন্তু নিজের ছেলেবেলা মনে এলে সব ইচ্ছেগুলো আহত হয়। কথায় কথায় একদিন মধুরীমা বলেঃ আমি শুধু ছাতা হাতে নয়, সারাজীবন তোমার ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে চাই।
অল্পেশের ভয় হয়। চোখের সামনে দেখতে পায় কতো সুন্দর প্রেমগুলো বিয়ের পর কেমন যেন হুড়মুড়িয়ে পড়ে। কথা রাখার থালায় অভাব পড়লেই ওঠে তোলপাড়।
সেটা ঝড় হয়ে নিভিয়ে দেয় ছোট্ট সংসারের ছোট্ট উনোনকেও। সাজানো কল্পনার ডানা হঠাৎ যেন বাস্তবের ঝড়ে পথ হারিয়ে ফেলে। একসঙ্গে বয়ে যাওয়া দুটো জীবন যেন উবু হয়ে বসে থাকা সারি সারি প্রস্তরখণ্ডে ধাক্কা খেয়ে নদীর মতো দুদিকে বইতে থাকে। রাতের বিছানাগুলো যেন দম্ বন্ধ হওয়া শ্বাস-প্রশ্বাসের গুমোটে ঘন্টার কাঁটার একটু হেঁটে চলা। এইসব ভাবতে ভাবতে তার ইচ্ছার রং গুলো যেন মরা স্রোতে ভাসতে ভাসতে জল-কাদা-বালুকণায় ডুবে যায়।
সেদিন মধুরীমা কলেজে আসে নি। সল্টলেক থেকে একা একা ফিরছিল অল্পেশ। যাদবপুরে নেমে একা একা হাঁটতে হাঁটতে ঝিলপাড়ের কাছে গিয়ে বসল। তার চঞ্চল মনের ভাবনাগুলো স্থির হতে হতে সে দেখতে পেল মাছগুলো শ্বাস নিতে নিতে জলের ওপর ভাসতে শুরু করছে। চিন্তার ঘনঘটায় ক্লান্ত চশমার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেল মধুরীমা যেন মাছ হয়ে তার সংগে কথা বলতে ভেসে উঠছে। সেও বিড়বিড় করে একান্তে তার সংগে কথায় মগ্ন হলোঃ

- যদি তোমাকে সাগর থেকে তুলে আনি?
আমার এ ঘরের উষ্ণ মরুতে থাকবে কেমন করে?

- যদি সত্যিকারে চোখ তুলে তাকাও
তোমার তারায় খুঁজে নেব জল- জীবনের সম্বল।

- আমার সামান্য জীবন- পায়ে আটকায় পথ
টিউশানের টাকা চলে যায় মেসের খরচায়
তোমাকে রাখবো কোথায় ?

- ভালোবাসার ভিক্ষা চেয়ে চেয়ে যে আগুন ওঠে
মনের ভেতর তারও আঁচ লাগে আত্মায়
তুমি শুধু রেখো হৃদয়ের বারান্দায়।

- যদি আর না ফেরাই চোখ তোমার চোখে?
- আমার চোখের কোনে খুঁজে নেব জল
আমার ভেসে থাকার আজীবন সম্বল!...

কুনাল গোস্বামী




রূপকন্যা......
 ********



জন্মান্ধ মেয়েটি স্বপ্ন দেখেছিল..
হয়তো কোনোদিন সেও দেখবে শরতের সোনালি রোদ্দুর,
কিংবা বসন্তের কচি বাতাবির মতো সবুজ ঘাসে শিশিরবিন্দু জমে থাকবে তার অনুভূতি গুলো
তার আগুনলাগা ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিল দিগন্তরে
যেখানে সাদা সাদা মেঘপুঞ্জ তার ঘনকালো চুলের মতো ছড়িয়ে থাকবে নীলাম্বরে;
ছিল এক বামুনের ছেলে----
সে খুব পিরিত করে ডাকতো তাকে রূপকন্যা বলে
সেও কি জানতো এমন অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস অপেক্ষা করেছিল তাদের তরে?
মেয়েটি চিৎকার করতে চেয়েছিল....
    তবে তাকে চিত করা হল
সে ধর্ষিত হল এক পাশবিক ধর্ষকের কাছে
   সেই ছেলেটির চোখের সামনে
সে শুধু নিরুপায় হয়ে দেখেছিল সব,
  দেখেছিল তার রূপকন্যা কিভাবে
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত বারেবারে আঁতকে উঠেছিল!
আর আজ এক আত্মহারা কবি এইসব লিখতে বসে রক্তঅশ্রু ঝড়িয়ে বারংবার বলছে------
       ধংস হোক, ধংস হোক এমন বর্বরতার।

শোভন মণ্ডল




নিথর অবয়ব
                                

 
রেডিও-বার্তায়  কে যেন ছড়ালো গুজব
সেসব আগুনের ধোঁয়ায় নীল হয়ে যাচ্ছে শিরা-উপশিরা
পোর্সেলিনের টব থেকে ঝরে গেল সন্ধের ফুল
হাওয়াকল শুষে নেয় পুরনো নুন
আধো প্রেমে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে দেখে 
থেমে যায় সাধের দোলনা
প্রাচীন গাছের গায়ে যে ক্ষত লেগে আছে তার দখল নিচ্ছে লাল পিঁপড়ের দল
একটা ফ্যাকাসে সভ্যতার বুকের ওপর খেলায় মগ্ন 
অজস্র নেকড়ে
এসবের মধ্যে থেকে এভাবেই লাল মোরামে ছড়িয়ে পড়ছি নিজে

কাক এসে খুঁটে খাচ্ছে নিথর অবয়ব

অভিজিৎ দাসকর্মকার





কয়েকটি রাগের কথা
********************




আমি বৃষ্টি ভাবি আর সূর্য ভৈরবীর ছবি তোলে
চার দেওয়ালের পটদীপ দৃশ্যকে
   শাওয়ার জলে আদর করি
তোমার দৃষ্টিতে ধুতরো ফুলের গন্ধ
ল্যাম্পপোস্টের মোড়ে আলো হয়ে যেতে দেখি।
সোনালি চন্দ্রকোষের কোলে তোলা মেয়েটির গার্গী নাম
   পিচ রাস্তার মোড়ে সেলুনকবি
   সমুদ্র-আকাশ মিলিয়ে সরলরেখা টানে
   মুড়ির ঠোঙায় দাঁতের কালসিটে রেখা
প্রতিটি লাইন সমতলে গাণিতিক নৃতত্ত্ব থাকলেও
    শূন্যতার ভিতর ভালোবাসারও সন্ধে নামে 
আসাবরী থেকে কাফির ঠোঁটে ক্রিয়াপদের সুর
       দুচোখে তোমার অঘোষিত ছবিতে
মোনালিসার হাসি...

জারা সোমা




বাবার মতো
*********


শয্যা পেতে রেখো পরিপাটি 
আসছি একটু পরেই
পাশবালিশ জড়িয়ে ঘুম 
তবে আজকের স্বপ্নে
আসবে অন্য কেউ 

কবিতা গোছের কেউ একটা এসেই
খসিয়ে দেবে আঁচল 
লেপ্টে যাবে সিঁদুরের টিপ 
ডালপালা মেলে নিবিড় করবে বন্ধন
মোহময় হবে রাত 

তুমি তখন প্রেমিক থেকে 
বাবার মতো হয়ে যাবে।।।

জারা সোমা






যুদ্ধ

****


নিজের মুখোমুখি দাঁড়ালাম
চারিদিকে সাম্প্রদায়িক রব
দালান -ভিটে ঠাঁই নেই 
মানবিকতা শেষে জেতে রাজনীতি 

সকাল থেকেই গান বাজছে
পতপতিয়ে উড়ছে তেরঙ্গা পতাকা 
স্বাধীনতার ছুটি  বিপণী সাজায় 
কেবল ডুবে যায় ভারতবর্ষ 
হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো শব্দে
  রাম রহিমের যুদ্ধ -যুদ্ধগন্ধ!!!

দীপাঞ্জন দাস




তুমি


মেঘলা আকাশে তোমার প্রতিচ্ছবি
কথা বলে হাত নেড়ে।
একপশলা বৃষ্টি, ক্ষণপ্রভার ঝলকানি
চমক লাগায় প্রতিনিয়ত।
ভালোবাসি বলা হয়ে ওঠেনা,
তবুও কাহিনী মেলায় অবিরত।
তুমিও তো স্পর্শ খোঁজো,
অন্ধ ভালোবাসার মেরুকরণে।
কখন সে মিষ্টি গন্ধ
আঁশটে হয়ে আসে,
চক্ষুদ্বয় তৃপ্তি পান করে
দুঃখ উদযাপন করে অতল গভীরে। 

সোমা দাস






লাশে ঢাকা মা
***********



কাশ ফুলের ঝারে যখন লেগেছে মাতন
যখন পরেছে ঢাকে কাঠি-

আমার বিষন্নতা ছুঁয়ে থাকে জলের তোড়ে
ভেসে যাওয়া মানুষের পীড়িত মুখ! 

নতুন জামার গন্ধে লেগে থাকে -সেই 
দু-মুঠো অন্নের জন্যে ক্রন্দনরত শিশুর
দীর্ঘশ্বাস! 

যেন-দুহাত বাড়িয়ে আনন্দঘনো মুহুর্তগুলোকে
ছুঁতে চায়! 

আমি কাদামাখা লাশের উপর দিয়ে হেঁটে চলি
মন্বন্তর যেন! 

ঢাকের কাঠিতে বাজে স্বজন হারানো কান্নার বোল
হৃদয় বিদারক শব্দের ঝংকারে শূন্য বুকের খাঁচা ! 

কিছু শব্দের অনুরনন ফিরে আসে -

আমাদের বাঁচাও, বাঁচাও আমাদের! ! 

অনির্বাণ দাস




মানবতা 
*******



মিশছে মানুষ মাটির নিচে
থাকছে মানুষ কাহিনীতে
ওই ছেলে টা সহজ সরল
হিংসা ভরা পৃথিবী তে !
যাচ্ছে মুছে শহীদের দান
ভাবছে ওপারে পূর্ব গণ
বলছে ঝুঁকে , হচ্ছে টা কি  ?
মা এর বুকে , এ কোন পাষাণ !
লাল মাটির অরুণ ছায়ায়
তরুণ কেনো রক্তে ভরায়
নদীর কূলে ওই ছেলেটা
মিথ্যে  কেনো দ্বন্দ্বে জড়ায় ?
গোলাপ চারা অরুণ , বরুণ
কাঁটায় আছে রক্ত বিন্দু
হালকা বুলেটে রাস্তা বুলেটিন
বিবেক হবেনা পূর্ণ চেতনা কিন্তু !
পারি না  আমি ফোটাতে ফুল
পারি না আমি জাগাতে কুল
পাই না আমি গোলাপ বর্তমান
পাই না  মাতুঃষ্বসা , মাতুল !
হোক , মেঘের ভেলা আকাশের জন্য,
নীল জল সমুদ্রের জন্য,
সবুজ রঙ প্রকৃতির জন্য,
কোকিলের গান বসন্তের জন্য,
সবুজের উচ্ছ্বাসে, ফুলের ঘ্রাণে
জাগুক আলোড়ন সবার প্রাণে  ! 
একটা আকাশ কি পারে সবটুকু মেঘ ধরে রাখতে?
একটা সাগর কি পারে সবটুকু জল জমা রাখতে?
আর একটা বসন্তই কি পারে সবটুকু ভালবাসা প্রকাশ করতে?
তার পরও যেন ভালোবাসায় পূর্ণ থাকে এই বসন্ত।
সেই শুভকামনাই থাকবে  আমার কলমের মূলে !
নীশি যখন ভোর হবে,
শুকতারা নিভে যাবে,
শুরু হবে নতুন দিন।
দু:খ হতাশা ক্লান্তি ভুলে
দিনগুলি হোক অমলিন,
শুভ হোক প্রতিটি দিন।

রবি মল্লিক




বিপথগামী
**********




আর কতটা রক্ত ঝড়িয়ে
                  তোমরা শান্ত হবে?
আর কতগুলো লাশ দেখলে
                তোমাদের ঘোর কাটবে?
মৃত্যু মিছিল এর প্রচার
                করে চলেছ সগৌরবে,
রক্ষকই নিয়েছে আজ
                ভক্ষকের দায়িত্ব;
"জোর যার মুলুক তার"
                মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে,
রাখতে চাইছো অক্ষুণ্ন
                  ধ্বজার স্থায়িত্ব;
অনিবার্য প্রলয়
              ডেকে আনবেই ধরাধমে,
মায়ের শূন্য কোলের
              হাহকার কাতর বাণী,
বর্তমান আর ভবিষ্যত্‌
             প্রজন্মকে ধ্বংস করে,
কাদের ওপর শাসন চালাবে
             "রাজা আর রাণী"!

অনুরাধা সরখেল







মেয়েকথা ৬
*********



সহেলীর বিবাহের তৃতীয়দিন পরেই নতুন সংসার ছেড়ে চলে আসতে হল।তৃতীয়দিন অর্থাৎ,ফুল সজ্জার ঠিক পরেরদিন।সাদা চাদরে সহেলীর রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি।তাকে পতিতা হতে হল।অথচ যে পুরুষটির সাথে এই নব বধুর বিবাহ ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সে উচ্চ শিক্ষিত।সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের মধ্যে একজন।বিবাহিত পুরুষটির মা,বাবা অধিক আগ্রহে মেয়েটির প্রতি তীব্র কুরুচিকর মন্তব্য প্রর্দশন করলেন এবং সদ্য বিবাহিত কন্যাটি ঘরছাড়া হতে বাধ্য হল।
                                  সতিত্ত রক্ষার প্রধান দায় নারীদের সগর্বে গ্রহন করতে হয়।এঁঠো খাবার যেমন মানুষ খেতে চায়না।পরিস্কার চকচকেথালায় ভিন্নরুপে সুসজ্জিত  ভাবে সাজানো খাবার গ্রহনে আগ্রহী ঠিক তেমনি একজন নারীকে সতিত্ত রক্ষা করে সুসজ্জিত হয়ে পুরুষের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে হয়।সাদা চাদরে রক্তের দাগ না পেলে চরিত্রহীন শব্দটি মাথা পেতে গ্রহন করতে হয়।একটি ছেলের অবশ্য এসবের কোনো বালায় নেয়।যৌবনে বহু ক্রিয়াকলাপের পর বিবাহের সময় একটি সুন্দরী কুমারি মেয়ে খুঁজতে বেড়িয়ে পরে।শহরান্চলে বড় হওয়া বেশ কিছি পুরুষ ,যারা তথাকথিত সভ্য এবং শিক্ষিত বলে বিবেচিত তারা একটু অল্প শিক্ষিত গ্রাম্য মেয়ের সঙ্গে বিবাহ করতে মত প্রকাশ করে।তাদের কুমারিত্ত নিয়ে চিন্তার রেশ বেশ কিছুটা মনে করে সভ্য সমাজের পুরুষরা।
                 পুরুষরা চায় কচি চারা গাছে সদ্য প্রস্ফুটিত একটি ফুল,যে পুর্বে কেও স্পর্শ করেনি,ঘ্রাণ নেয়নি বিবাহের পর তিনি প্রথম স্পর্শ করবেন,ঘ্রান নেবেন এবং ইচ্ছেমত ফুলের একটি একটি করে পাঁপড়ি ছিরবেন।
                                   সায়েন্সের ভাষায় ,হাইমেন
শব্দটির বাংলা অর্থ স্বতীচ্ছদা।সাঁতার,খেলাধুলা,নাচসহ দৈনন্দিন বহু কাজ কর্মের ফলে এই পর্দাটি ছিরে যেতে পারে।এছাড়াও অনেক নারী এই পর্দা ছাড়াই জন্মগ্রহন করেন।এসবের বিচার না করেই কিছু পুরুষ এখনও নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা বলে।পতিতা হতে হয় বহু নারীকে।যারা মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করে তারা সমাজের চোখে জীবিত থাকে আর যারা সহ্য করতে পারেনা সমাজ তাদের নির্বাসন দেয়।