নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

রিয়াজুল হক সাগরের ৩ টি কবিতা





১,
কবিতাঃ মনুষত্ব

আমি এসেছি এক মানুষ হয়ে এই জগৎ পানে
সত্যিকারের মানুষ হতে এসেছি আমি,
আজ হারিয়ে ফেলেছি তার মনুষত্ব ও বিবেক
তাকেই ভুলে আজ আমাদের চলার পথ।
হে মানব দেহ্ তোমাকেই বলছি
জেগে উঠ আমার বিবেকের দ্বার প্রান্তে,
তুমি একজন মহা-মানব তোমাকে
জাগতেই হবে আবার আমার বিবেক মাজারে।
আমি ভবের পুজারী নয় সৃষ্টির পুজারী,
তবে পাগল নেশায় ব্যস্ত এই ভবের সুখে
জাগ্রত হও হে মানব সমাজ এই ভবে।



2
হরিয়ে যাওয়া দিন

আমি ক্ষয়ে যাওয়া এক নাবিক মাত্র!
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছি রোগে আর শোকে,
সাধ জেগেছে নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখছি
আবার যদি ফিরে পাই হারিয়ে যাওয়া শৈশব।
এই তো সে দিনের পথ চলা আমার
পাঠশালার দিন কত মাঠে প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি,
পুকুড়ে আর জলাসয়ে অনেক সাতঁরিয়েছি
জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া আমি এক সৈনিক।
ছিলাম শিশু হলাম বালক তারপর বাবা
দাদু হয়ে এখন আমি আবার শিশুর ন্যায়,
সময় কাটেনা কারও উপরে ভরদিয়ে চলছি
অথচ এই সময় আমার ছিলো না এক সময়।
হে যুবক শুনে রেখ আসছে সময়
হারিয়ে যাবে দিন ফুরিয়ে যাবে কথা,
চলার পথ চিরোতরে হারিয়ে যাবে
ফিরে আসবেনা সুদিন।
ক্ল্যান্ত আমি রক্তে মাংসে এখন শক্তি নাই
আগামির জন্য আমি রেখে যেতে চাই,
সু দিনের পথ চলার সঙ্গি হয়ে থাক
আমার আগামির প্রজম্ম থেকে প্রজ্ম্ম।





হেমন্তের  বাশিওলা

মাঠে প্রান্তে ভরে গিয়েছে সোনালী ফসলে,
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক দিন মজুর
নবান্নের উৎসবে গ্রাম বাংলার বধুরা,
পিঠা পুলির আয়োজন।
চারিদিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে
আমাদের গ্রাম দুর থেকে মনে হয়,
কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম আমি
কোন এক অজানা পথে।
শিশির ভেজা মুক্তো দানায় পুরো মাঠ
যেন মুক্তো দানায় শিক্তো বিন্দু কণা,
এযে এক নতুন দিনের আলোয় ভরা
সবুজ শ্যামল বাংলা আমার।
এই আমার গ্রামের নিত্য দিনের
হেমন্তের বাশিওলার প্রতি নিওতো,
এই বাংলায় বার বার ফিরে আসে
বছর ফিরে বাংলার ঘরে ঘরে।

মেয়েরা : সুমিত মোদক




মেয়েদের তৃতীয় নয়ন প্রখর ,
তাই তারা ঝড়ের পূর্বাভাস বোঝে  ;
মেয়েরা নমনীয় ,
তাই তারা প্রকৃতি ;
হাতে অস্ত্র তুলে নিলে ,
তং হি দুর্গে ..
অসুর নিধন ;
শক্তি রূপেণ .....

বলয়গ্রাস: মায়িশা তাসনিম ইসলাম



প্রিয়তমা অন্ধকার
"একাকীত্ব" শব্দটির কাছে একাধিক ছায়াও নিঃসঙ্গতায় আত্মাহুতি দেয়
সমাজ কবিতা শেখাতে আসলে নির্ণয় করি দ্রাঘিমা ও ব্যক্তিগত সারাংশ
দ্বীপের বুকে উঠে আসে সৌরজগৎ, কুয়োর থেকে ধীরে ধীরে সরে জলের গান
তৃষ্ণা থাকে না বলেই অসামাজিক কবির পটভূমিতে নির্লজ্জ শব্দেরা ঘর বাঁধে, সংসার ভাঙে


প্রিয়তমা অন্ধকার
এই বহুগামী সমাজ কবিতাকে 'অশ্লীল' বলতে বলতে ভুলে যায় গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করার কথা!
দহনে ফুল ফোটাও প্রিয়তমা, জল ঢাললে মরে যাই....মরে যাই.....


অভিশপ্ত পৃথিবী : শাহীন রায়হান



বড় দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়েছি আজ
যেন দুর্দিনের যাত্রী ছাইচাপা আগুন মাড়িয়ে
অভিশাপের বোচকা কাঁধে চাপিয়ে হেঁটে চলেছি
নিদারুন যন্ত্রনাময় মৃত্যু অবগাহনে।

আজ নিজেকে বড়-ই অচেনা মনে হয়
পৃথিবীকে মনে হয় বিধ্বস্ত শ্মশান
যেখানে প্রতিটি লম্পট হাত বুবুক্ষু মানুষের খাবার কেড়ে নেয়
তরুণীর কাজল মুছে দেয় পাষাণ মীরজাফর-
রক্তাক্ত মানচিত্র পোড়ায় আবু জাহেল ফেরাউন।

আর পৃথিবী কাতরায় মহমারী রোগে
তার শরীরে কুষ্ঠের দগদগে ঘা
আজ পৃথিবীর বুকে গোলাপের সুবাস নেই
আছে শুধুই বারুদের গন্ধ শুধুই অভিশাপ।

ডাস্টবিন : আমিনুল ইসলাম


ডাস্টবিন থেকে ধূলো উড়ছে, আর
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত আবর্জনার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়ে ওঠেনি কলম, যেহেতু তার সুডোল শরীরের যন্ত্রনায় একবিন্দু আফশোস মেখে নেই আমার।

'আমি' মানে এখানে 'আমিই' নই, এখানে 'আমি' হচ্ছেন উত্তম পুরুষ যাঁর চামড়া পুরু হওয়া বাঞ্ছনীয়
এবং যে সলতে হয়ে পুড়তে সক্ষমতা পেয়েছেন
কারণ পুড়তে অক্ষমতা থাকলে, আলো হওয়া যায় না...

নদীজলের সান্ধ্যভ্রমণ : অভিজিৎ দাস কর্মকার



ফেলে আসা পথ__
    ভয়ের পিছনে আবছায়া হয়ে ওঠে |

তবুও
আমি আগরবাতির ধোঁয়া হতে পারলাম না |

উদ্ভাসিমন সমস্যায় পড়েছিল---
হাতে চায়ের কাপ | কোলে সিন্ধুসভ্যতা ডুবছে পরিপাটি |

তখনই,
  সম্মোহিত অস্থিরতায় রুদ্রফল এবং পৃথিবীর গতানুগতিক জাড্য___
জিন্দাবাদ জানিয়েছিল  নদীজলের সান্ধ্যভ্রমন |
       ৫টি হরিণ শাবক ও ১টি সিগারেট সঙ্গী ছিল আমার,
                       তুমি তাও দেখা দাও নি!