নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শহরের ইতিকথা : নন্দিনী পাল


আকাশটা আজ নেমে এসেছে চৌকাঠে
ছুঁয়ে আছে মিনারের মাথা
বহুতলের ছাদের উপর ধূসর দিগ্বলয় 
সাঁতরে যাচ্ছে সময়,
জলের উপর তরঙ্গ ফেলে।
দূরে ওই ব্রীজের পাঁজরে
বর্ষার রুগ্ন জোলো হাওয়া 
নদীর বুকে লঞ্চটা ভোঁ আওয়াজ দিয়ে
ডাকেনি অনেকদিন
কারখানার মৃত চিমনিগুলো
আকাশের দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে
কপাটের তালায় পড়েছে জং
অনেকদিন কোন কোলাহল নেই
নেই ব্যস্ততা
অন্ধকার শীতল এখানে
যান্ত্রিক নিস্তব্ধতা শুধু পায়রার ডানায় ভেঙে খানখান
সাড়া দেবার কেউ নেই
দমবন্ধ কিছু কান্নারা ফিরে গেছে কড়া নেড়ে,
উৎসবের জ্যোৎস্নার আদরমাখা সন্ধ্যায় আজানের সুরে
 চাঁদের চর্যাপদ
ওদের একফালি রুটির আশ্বাস দিও।

হৃদয় থাকলে : সুমিত মোদক




কোনো কথার ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করলে সকল কথা কে ঠিক ভাবে চেনা যায় । সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ভালবাসা । ষোড়শী । হৃদয় তা-ধিন-তা-ধিন করে নেচে ওঠে । আর যাযাবর পাখি উড়তে থাকে । অনেকে সমাধির ভিতর ঢুকে পড়েছে । অনেকে আবার সমসাধী ভিজিয়ে দিচ্ছে চোখের জলে । কথার ভিতর দিয়ে হাঁটা যায় হৃদয় থাকলে  ।।

গোলাপি বিকেল : শিবানী বাগচি


তুমি আবহমান শব্দে
বুরবুরি ওঠা ঝরে পড়া প্রেম;
চাঁদের জোছনা মেখে
ফাগুনে রোদ্দুরে হও ছাড়খার

গোলাপী বিকেলে গোপন কথার
ঢেউয়ে আবেগে দোল খাও -
অসময়ের আদুরে উচ্ছলতায়!

নীল কামনা মেখে নেমে আসো
হিমবাহ থেকে থরের উষ্ণতায়!

করোনা : শ্যামল কুমার রায়



করোনা এবার দিচ্ছে ডাক
মানব সভ্যতা নিপাত যাক।
সচেতনতা ভাই উঠছে গড়ে
করোনা তাই যাচ্ছে সড়ে।
সভ্যতার আজ চরম সংকট
স্বার্থপরতা হচ্ছে প্রকট।
ছুটছি সবাই নিজের তরে
রসদ মজুত নিজের ঘরে।
আতঙ্ক আজ বড়ো পুঁজি
কালো বাজারির সুযোগ খুঁজি।
আর্ত অসহায় রইলো পরে
দিন মজুরিতে পেটটা ভরে
মৃত্যু মিছিল খবর করি
আরোগ্য সব আড়াল করি।
প্রভু তুমি দাওগো মেরে
মনুষ্যত্বহীনতা চিরতরে।
----------------------------

পল্লব সিনহা




চোখ যায় যতদূর; কেবলই পড়ে থাকা হাড়।
'ইহা ভালোবাসার ধ্বংসস্তুপ' বলেছো তুমি।
মৃত পর্যটকের পাহাড়।

নেমেছে গৃহযুদ্ধ।

আমরা সেই পাহাড় ফেলে, এগিয়েছি ঈশ্বর।
এখানে রক্তের ঘ্রাণ, উড়িয়েছে বন্দুক।
ভুলিনি তাকে;

সে ঘ্রাণে মেখে সাদা ভাত, খাওয়ানো প্রিয় বন্ধু!

এখানেই শেষ প্রেম। শরীরও বন্ধ্যা।
জেনেছি হে জীবন; মৃত্যু অলকানন্দা!

বিরহের উদ্যান; সাজিয়েছে যখ।

আমরা-

পরিচয়হীন। শায়িত। দুই মৃত পর্যটক!

সারাফাত হোসেন






একা



বৃষ্টি এলো,
পাখি ফিরে গেলো বাসায়।

মেয়েটা ভিজছে
একা
দূরে অনেক দূরে আর একজন
সেও ভিজছে
তবে তার সাথে নতুন মানুষ,
নতুন বসন্তের মত ওদের প্রেম।

বৃষ্টিতে নাকি ভালোবাসা বাড়ে,
হয়ত বাড়ে
কিন্তু বৃষ্টি যত প্রখর হয় মেয়েটা তত একা একা হয়ে যায়।

এমনটা তো পারত ছেলেটার নতুন প্রেমিকা সে-ই হতো,
সে ভিজত ছেলেটার সাথে যেমন আগের বর্ষায় ভিজেছিল তারা দুজন।