নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শ্যামল কুমার রায়ের দুটি কবিতা

জলছবি

জীবনের কঠিন সময়, মন খারাপের মুহূর্ত
একরাশ হতাশা আর চরম বিরক্তি!
কানহার মতো কে যেন বলে গেল-
এটাই কি প্রথম দুঃসময়?
ফিরে দেখা জীবনের শৈশবে,কৈশোরে,যৌবনে-
কারা যেন বলেছিল-"ওর কিচ্ছু হবে না।"
আজ ওরাই কুৎসাপক্ষ।
অক্ষমের সান্ত্বনা তো কুৎসাতেই।
তবে জীবনের পরিক্রমণ তো ভারী অদ্ভুত!
স্থায়ী সুখ, শান্তি যেন সোনার পাথর বাটি
আসলে সংসারে সুখ তো ভীষণ অনিত্য
এই আছে তো এই নেই।
ভাঙাচোরা জীবন, অস্থির সময়
নড়বড়ে জ্যোতিষ আর চওড়া মার্শাল লাইন
                                        ভরসা জোগায়।কোথাও যেন একটা চাপা থাকা জেদ,স্থির বুদ্ধি
আর হিম শীতল মস্তিষ্ক দৃষ্টি ঘোরায়
ভরসা করে থাকা মুখ আর ভরসার মুখের দিকে
তোকে পারতেই হবে আনন্দ।
ছোট্ট অথচ অনতিক্রম্য দূরত্ব
বৈঠা পার হওয়াই তো জীবন
আর ওপারে? চিরশান্তি।
       ------------------------------------------



আম্লিক
             

আবার একটা নতুন বাড়ি
নতুন করে লাগলো বকুল গাছ,
বকুল গাছের তলায় দেওয়া
আবার প্রথম প্রতিশ্রুতি।
উস্কে দেয় পুরোনো স্মৃতি -
ফেলে আসা দিন,
রেখে হাতে হাত-
জীবন যুদ্ধের অসংখ্য কথামালা।
ক্ষত বিক্ষত মনের আয়নায়
অজস্র আঁচড়ের চিহ্ন।
তৈরি করে বেদনার বিষ বাষ্প।
তোকে কিছুতেই কাছে আসতে দেয় না।
বেদনা বিধুর জীবনে শুধুই শূন্যতা
গড়ে তোলে আম্লিক ভবিষ্যত।
           ----------------------------

প্রতিসৃত : ভগ্নপুরুষ



আবাসভূমি থেকে গড়িয়ে পড়ছে
শিবরঞ্জনীর ধ্যানমগ্নতা___

আমি বোধহয় আরও প্রতিসৃত হবো!--

দৃশ্যে যে ঠিকানা লেগে আছে অবচেতন হয়ে, রাত ২টো-র দখল ছেড়ে ঘ্রাণপুরুষটি গভীরতার ঘোরাটোপে কিশোর-কিশোরী খেলছে__

এখনও রোজ ভোরে রাতের সমঝোতারাও চায়ের টেবিলে বসে
সমাদৃত হবার পর ডান হাতটি উদ্ধার করতে চাইলো নারীর উর্বরতা ---

কাঙাল : সত্যপ্রিয় বর্মন



ও দাদা আমার বড় বিপদ
মনে বড় দুঃখ,
আমার আসপাশটা বড় ফাঁকা
খুব একা হয়ে গেছি দাদা,
সত্যি বলছি -
একটু সঙ্গ দরকার ছিল আপনার,
দুঃখগুলো শেয়ার করতাম
একটু সময় পাওয়া যাবে?
একটু পাশে বসতাম
কথা বলতাম…

বলতে বলতেই হেঁটে যাচ্ছিলাম ফুটপাথ ধ'রে।
রাস্তায় প্রচণ্ড ভিড়
আমি প্রত্যাশি নয়নে চেয়ে ছিলাম ওদের দিকে
কেউ পাশে এসে দাঁড়াল না,
অনেকে অবশ্য সামান্য সমবেদনা জানিয়ে চলে গেল
ব'লে গেল - সবারই ওই এক…
অনেকে আড়াল খুঁজল
অনেকে আড়াল থেকেই বলল - বেশ হয়েছে।
কেউ আমার প্রত্যাশি চোখের দিকে তাকিয়ে
প্রেরণা জাগিয়ে বলল না - পাশে আছি।

এই সামান্য কথাটি শুনলেই হয়তো বেঁচে যেতাম

অমৃত : সুমিত মোদক



যে মানুষ গুলো প্রথম থেকে মরে আছে
ভিতরে ভিতরে ,
তাদের জন্য সমুদ্র মন্থন ;
তাদের জন্য অমৃত কুম্ভ ;
#
 জানি ওরা কেউই অমৃত পাবে না ;
কারণ , ওরা কুম্ভটাকে পেয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দেবে ;
ওরা কেউ বাঁচতে শেখেনি ;
শিখবেও না ;
অন্যকে বাঁচানো তো
অনেক দূরের ভাবনা ;
#
তুমি ওদেরই নতুন প্রজন্ম ;
তুমি নাও অমৃত ;
মহাকালের অমৃতবাণী সকল ।।

দেশবাসী : সোমা জারা



রাজনীতির ফন্দি  গিলে নিচ্ছে
  সাধারণের সহজ সরল জীবন,
 নিরীহ চোখের আর্তি ফায়দা করে
 আজীবনের মতো জমা রাখে ভূখণ্ড,
 আ গ্যয়া আচ্ছেদিন

 আচমকা ঝাঁঝরা শ্বাপদের গুলিতে
ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে
 সকল এয়োতি  চিহ্ন সমূহ
  মৃত্যুর চোখের শরম
 জানাজা ঢাকে কফনে
মেরে প্যারে মিত্র

বহুদূরে অপেক্ষার চোখে নোনাপ্লাবন
ভেসে গেছে সোহাগী অন্ন
ওরা  পাঁচ নাম গোত্রহীন সংখ্যামাত্র
সরকারী ভিক্ষার হকদার
জয় জওয়ান জয় কিষাণ

আমি উপেক্ষা  ঢাকি সুখ চাদরে
কাশ্মীর - যন্ত্রণা - পরিণতি -উন্নয়নের জোয়ারে
মেতে উঠি উৎসবে-মোচ্ছবে- মাতম এ
মেরে প্যারে দেশবাসীও..........

নতুন জীবন : সুমিত মোদক



স্বপ্ন নাচে আঙুলে আঙুলে ;
আঙ্গুল নাচে সুরে ..
সে সুর এতো দিন হারিয়ে গিয়েছিল
নদীর বাঁকে ;
তাকে খুঁজে পেয়েছে হৃদয়
লাজুক প্রেয়সী ;

কয়েক যুগ পর সকলেই হাঁটছি
নদী বরাবর ;
প্রথম সকালের সূর্যোদয় দেখার জন্য ;

আঙুল গুলোয় ছুঁয়ে নিচ্ছি
নতুন আলো
নতুন জীবন ।।