নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

সেই সময় : রিয়াজুল হক সাগর



দুর থেকে কাউকে চেনার উপায় নেই
আসল আর নকলের তফাৎ বোঝার,
ভাবছি আগুন খাবো আগের মত করে
ক্ষুদায় কাতর পথ শিশু পড়ায় পাড়ায়।
ফুল কুড়ানির আনা গোনায় জট লেগেছে
জেলেরা নদীতে কৃষক মাঠে রাখাল গরু
নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে,
অভাবের সংসার বকুলের করিমের।
আধুনিগতার ছোয়া পাইনি তারা এই সময়ে এসে
ভোর হলে চলে যায় সন্ধায় ফিরে ঘরে,
কারো সাথে কথা নেই দু-বেলা খেতে পাড়লেই সব
না হলে আগুন জ্বলে পেঠে আকিবরের।
চুলোতে ভাঁত উঠে না কাজের অভাবে
বধুরা ধাঁন কুড়িয়ে পার করে দিন ছকিনাও,
পাগল হয়ে এখন পাগলা গাড়দে হামিজ মিয়া
টাকা নেই খাবার নেই গরুটাও মরেছে।
শহরের বড় বড় দালান দেখে আজিম হতবাগ
এই কি শহর হালের গরু নেই মাঠ নেই পাখি ডাকে না,
আছে শুধু দালান আর পাথরের দেয়াল আজ শহর হয়েছে
নগর হলো হতে পারিনি আমি আধুনিক ।

সমুদ্র ইতিহাস : শাহীন রায়হান


হিমালয়ের বরফকুচি থেকে অানমনে যে শিশির বিন্দুটি খসে পড়ে ছিল-
প্রকৃতির বুক চিড়ে সেই জলকণা আজ জল সমুদ্রের ঢেউ
যার বুকে প্রেম আছে বিরহ আছে-
আছে প্রেমের আগুনে পোড়া প্রেমময় বারুদের গন্ধ।
.
শ্রাবন মেঘের অন্ধ পদযাত্রায় ভেসে যায় এক ঝাঁক- পথভোলা বালিহাঁস
আমার উড়ো ভাবনার ব্যবচ্ছেদে
সমুদ্র ক্যানভাসে এঁকে যাই তার এক সমুদ্র ইতিহাস।

বটগাছ : শ্যামল কুমার রায়



বড় বেমানান এ জীবনে
প্রতি নিয়ত ক্ষত বিক্ষত
টোল খাওয়া আত্ম বিশ্বাস
চিড় ধরা সম্পর্ক
উদ্যত অভিযোগের আঙুল
অসন্তোষের বিষেদাগার
সম্পর্কের ফাটলেই -
গগনচুম্বী বটগাছ।
________________

চির বিদ্রোহী: বিপ্লব গোস্বামী



তুমি চির বিদ্রোহী,করেছো বিদ্রোহ
আজীবন আপুষ বিহীন,হে মহা বীর ;
করেছো লড়াই বলদপী' অত‍্যাচারী সনে
তবু,কভু হওনি নত শীর।

বিলিয়েছো তুমি বিদ্রোহী বাহী
নিখিল অখিল ব‍্যাপিয়া ;
তোমারি ভয়ে অত‍্যাচারী সবে
উঠেছিলো সেদিন কাঁপিয়া।

নির্ভীক তুমি করেছো প্রতিবাদ
যেখানে যখনই হেরেছো অন‍্যয় ;
ধরণী তুমি ভাসিয়ে দিয়েছো
তব প্রতিবাদের বন‍্যায়।

রাজদণ্ড ভয়ে যে গান গাহে নাই কেহ
সে গান গাহিলে তুমি ;
গেয়েছিলে গান নির্ভীক তুমি
বীরেদের জন্মভূমি।

অত‍্যাচারী শাসক দিয়েছে কারাবাস
তবু হওনি নত শীর ;
করেগেছো রণ কলম সৌনিক
চির উন্নত তব শীর।

দুখু মিয়া তোমার দুঃখ বিনা
সুখ হলো না জীবনে ;
শেষ বেলা ধরলে মৌন ব্রত
কোন সে অভিমানে।

আঙুলের কলকেলি :অভিজিৎ দাসকর্মকার



কিশোরীর শেষে
জলজ-শ্যাওলায় লি লি বাতাস,
ঢেউয়ে দোলা অসংখ্য ঘুনসি বাঁধা নস্টালজিয়া

অতঃপর গলায় ছোট্ট মাদুলি আর,
গোরুটির ইউরেনাস অর্বিটে জাবর কাটা বা
পায়রা উড়ে যাওয়া ডট্-বল লেখা দানাটির উপর

পুটুস ফুল বাড়ছে স্যাটেলাইট ছাতা ধরে
কানের কাছে শালিক পাখিটি ওয়েব লেন্থ আঁকা বৃষ্টিদুপুর বলেছিল
ভলতেয়ার তখনো সামনে দাঁড়িয়ে

পাটকুহু পাখিটি মুখে করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নক্সা কাটা টুনটুনি পাখির অভিনয় যাপনের আষাঢ়িকোষ

অহল্যাবাই রাস্তাটি ঠিক
অক্লান্ত জলের বুদবুদ ভিড়ে মিশে গেছে,  আর-
সরবনে দ্রুপদীপদের আলাপ

সা-পা ধরে তানপুরা
সকালে খবরকাগজ হাতে
মৈত্রী চ্যানেল শোনে আর-
চায়ের ঠোঁটে গরম ক্ষণিক চুমু, এতে -
শিবরঞ্জনী ও রাগ হারায়

কবি শান্ত হয় কলমে 
প্রেমিকার কোলে মাথা আর
আঙুলের কলকেলিতে আঙটির কলাকোষ
সোনা-জল হয়ে বয়ে যায়...

খুশবু পারভিন এর প্রতি : হাসিবুল



বয়স আমার কেবল দশ
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি
মায়ের চোখের সোনামনি ছিলাম
বাবার চোখের পরি ।

পুজোর এক অনুষ্ঠানের
প্রতিযোগিতায় দিতে গিয়েছিলাম যোগ
হটাৎ পথে দস্যু এসে
করলো আমায় ভোগ ।

ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেছি মাগো
কেউ শোনেনি কথা
রাক্ষসের ন্যায় গিলে খেয়েছে
পেয়েছি অনেক ব্যথা ।

জানি কোন ইনসাফ নেই
এই ভারতের বুকে
তুমি মা আর কেঁদোনা ওগো
আমি আছি সুখে ।

বুক চিতিয়ে ঘুরে ওরা
এই সমাজের মাঝে
ইনসাফ নেই এই ভারতে
মাগো যেওনা রাজার কাছে ।