নোটিশ বোর্ড
আবাহন-৩ : কিশলয় গু প্ত
মাটির প্রলেপ দিস না বুকে মা
খড়ের বাঁধন চাই না
রক্তে মাংসে আসবি যদি আয়
হাজার আলো শুকনো মুখে মা
চড়াই। উতড়াই না
প্রতিদিন চোখ স্বপ্নটা পাল্টায়।
চন্ডীপাঠে পাকদন্ডীই থাক-
গন্ডী কাটা ঘর
রাস্তায় তোর খুব বেশী দরকার
ঠাকুরদালান শূণ্যই চমকাক
নাচুক বছর ভর
তুই ঠিক কর কে কার সরকার।
মাটি লাগুক পায়েরই আলতায়
নজরে আন সন্দেহ
আমাদের সামনে বিশাল খাদ
আয় মা- এবার অস্ত্র হাতে আয়
তুলে রাখ অপত্য স্নেহ
চেখে দ্যাখ বদরক্তের স্বাদ।
তোমার আবক্ষমূর্তি :শাহীন রায়হান
পানাম নগরে ঈঁশা খাঁর রাজধানী ডিঙিয়ে
প্রিয়তম কামাগ্নি নদী বার বার ফিরে আসো
পালক ঝরা ভাঙা হৃদয়ে পঞ্চ মোহনায়।
.
তোমার প্রেমময় গোপন চত্ত্বরে কামনায় জেগে থাকা
সূঁচালো কাঁটাতার উড়ন্ত পাখির ডানায় একাকি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
কুসুমিত জোড়া নিতম্বে আজও নগ্ন স্বপ্ন আঁকে।
সোঁদা গন্ধে অনন্ত ঝর্ণার অন্তহীন রিনিঝিনি শুনে
প্রতীক্ষার গ্রীবায় জাগা ফাল্গুনী রূপালী চাঁদ
পুরুষত্বের সুখে উষ্ণতায় গলে গলে যায়।
.
কামনা মেঘের প্রার্থণায় তখনও শুধুই তুমি
হৃদয় চত্ত্বরে দাগ কাটা অভিমানী নিশি কন্যা
কতোদিন তোমাকে নিয়ে জীর্ণ ছাদের চিলেকোঠায়
পুরনো টেপরেকর্ডারে সুরের মাতম তুলি না-
গড়িনা তোমার পতিত অন্দরে রক্তস্রোত পেরিয়ে
তোমার আবক্ষমূর্তি-
📜 সম্পাদকীয় ✍️
"গ্রাম ছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ ,আমার মন ভুলায় রে"
দূরে থাকা প্রিয় মানুষ জানি উৎসবেই আসবে ফিরে "।।
উৎসব মানেই ফিরে আসা ,ফিরে দেখা ,মিলন
ছুটির আমেজ,খুশির ছোঁয়া, ঠিক ভালো হয়ে যাবে মন।।
নদীর পাড়ে শুনতে পেলাম,ঢাকের আওয়াজ,ঈদে
মাটির গন্ধে ভিজছে আঁচল,হঠাৎ দেখা ছোট্টবেলার হারিয়ে যাওয়া বান্ধবীকে।।
শালুক ফুলের বউ মালা আর,পদ্মদীঘির পাড়
দেওয়াল দেওয়া মনের ভিতর, ফের পাতাবে সংসার।।
এমন সময় ফুরফুরে মন,ইচ্ছে আলিশ কিনছে বই
দূরের কোথাও বন্ধুকে বলা ,এবার পুজোয় ফিরবো'ই।।
তাই তো আবার নতুন করে ,নতুন ভাবে পথ চলা
মনের ভিতর জমছে কথা ,ফের হোক একটু বলা।।
দেখতে দেখতে কাটছে সময়,গুনছে দিন
ভিড় জমাটি মোড়ের মাথায়, পুজোর আমেজ খুব রঙ্গিন।।
সাজবে আলো,শহর জুড়ে ,মন পড়ে থাক উৎসবে।
দূরেও জানি ফুটবে খুশি,দিনান্তের দুবেলা ভাত,মফঃস্বলে।।
যেমন প্রিয় ফিরলো বাড়ি,বছর পাঁচেক পর,
উমা'ও এলো বাপের বাড়ি ,জানান দিচ্ছে গ্রাম-শহর।।
তাই
সবার কলম লিখছে কথা,জমছে বুকে নিন্মচাপ ,
আপনার “না বলা কথা’য়” ফের নিকোটিন প্রাণ পাক।
হারিয়ে যাওয়া মাস্তুলে ,পুড়ছে সবাই,চিবুকের কাছে একা,
তোমার আমার কথা’র মাঝেই ,মন-জমি কে “উৎসবে’তেই দেখা।।
ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন,হাসি থাকুক প্রিয় মানুষটির মুখে,
শুভেচ্ছাটা সঙ্গে নেবেন,সঙ্গে রেখো এই আগন্তুক কে।।
ধন্যবাদন্তে,
নিকোটিন ও নিকোটিন পরিবার
📜 সুচিপত্র
সুমিত মোদক
অরূপ সরকার
জিয়া
রুনা দত্ত
শুভঙ্কর গড়াই
জ্যোতির্ময় মুখার্জি
রাণা চ্যাটার্জী
মৌসুমী রায়
উত্তম মণ্ডল
শতাব্দী মজুমদার
অমিত কুমার জানা
মাধব মণ্ডল
সীমন্তিনী
স্বাগতপর্ণ গোস্বামী
সুদীপ ভট্টাচার্য্য
সায়নদীপা পলমল
যীশু চক্রবর্তী
সুমিত মোদক
অমিত কুমার জানা
প্রতিভা দে
আশীষ মাহাত
শিবানী বাগচী
রবি মল্লিক
আমিনুল ইসলাম
শাহীন রায়হানের গুচ্ছ কবিতা
অনিন্দ্য পাল এর গুচ্ছ কবিতা
সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)
সবুজ জানা ,
অনাদি রায় এর গুচ্ছ কবিতা
অভিজিৎ আচার্য্য
জয়দীপ রায় এর গুচ্ছ কবিতা
তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশদীপ গড়গড়ী
জিয়াউল হক
কাজী জুবেরী মোস্তাক
তন্মনা চ্যাটার্জী
জসিমদ্দিন সেখ
মৌসুমী রায়
শুভম চক্রবর্ত্তী
মান্নুজা খাতুন
।।শুদ্ধিকরণ ।।সুমিত মোদক
জেগে উঠে প্রথম সকাল
তানসেনের সুরে .....
সম্রাট অশোকের রাজপ্রাসাদ
দূরে , বহু দূরে ....
তোমার মধ্যে সেই শিশুটি
জাগতে দেখি আবার ....
বিক্রমাদিত্যের সিংহাসনে বসত যে
বারবার , এবার ....
জল চেয়েছি , প্রাণ চেয়েছি ,
বাতাস চেয়েছি শুদ্ধ .....
তোমার সঙ্গে শুদ্ধি করণে
আমরা ঐক্যবদ্ধ ....
মেলে দেবো সবুজ পাতা
বৃক্ষরাজি , নম্রতায় ..
চাণক্যর অর্থশাস্ত্রে ইলশে গুঁড়ি
বৃষ্টি আজি , সভ্যতায় .. .
।।যাপন ।। অরূপ সরকার
রাত শেষ হচ্ছে বিলম্বিত লয়ে,
বালিঘড়ি ও ক্লান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ,
দূরে কোথাও হচ্ছে দেবীর থানে ওঠার আবাহন
সময় চক্রে খন্ডিত হওয়া ব্রহ্ম নাভি জানাচ্ছে দেবীর আগমন।
মুছে গেছে সব হিংস্রতা, আজানের সুরে জেগেছে মানুষ,
হ্যাঁ হ্যাঁ মানুষ,সকলেরই তো মা এসেছেন,
সকলের সুরই মিলে গেছে চন্ডী পাঠে,
ধুনোর গন্ধ গায়ে মেখে নিয়ে নাচছে ওই কুতুবউদ্দিন,
ঈদের তো বাকি আর মাত্র কয়েক দিন।
সমস্ত বেড়া দ্রাঘিমা ও অক্ষ পুড়ে গেছে মণিকর্ণিকার ঘাটে,
কোনো ফারাক আর নেই গীতা আর কোরানে,
না প্রয়োজন নেই কোনো পান্ডা বা ঈমামের
জিভ নিজেই স্বয়ংক্রিয়,উচ্চারণ করতে জানে ।
গীতা ও কোরান দুই আত্মীয় পাশাপাশি শুয়ে থাকে ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)