নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

বুকের মাঝে হাস্নুহানা:মৌসুমী রায়



যাক এটাও অনেক পাওয়া
আজো রয়েছি ঘরের সিলিং এর ঝুলে
হয়তোবা অজান্তেই মনের ভুলে...
রয়েছি বইয়ের তাকে
অথবা আঙুলে গোঁজা সিগেরেটের ফাঁকে।

ভালোবাসার কবরে ঘুমায় হাস্নুহানা
আমার চিতা জ্বলে শরীর পোড়ে
তোমার খাটে রোজ রাতে,
কেউ না পাওয়ার শোকে কাঁদে
কেউ পাওয়ার সুখে মাতে।

যন্ত্রণা পুষে রাখব ততদিন
যতদিন না মুক্তির পথ খুঁজে পাই
জীবনের সুর ভুলেছি তাল কেটেছি
শব্দগুলো রোজই হারাই...
ভুলের পথে আমি রোজ হেঁটে চলেছি।


অন্তর্বাহিনী নদী : উত্তম মণ্ডল




আমার বাপ মাকে দেখবো না বললে
তোমার হাত ধরে ছাড়লাম ঘর
তুমি যেটা জমে গেল বলে ভাবছো
সেটা আসলে সম্পর্ক নয়
                                পঞ্চরসের গান।
মাদুরের মত ছলাৎ করে শরীর পেতেছে রোদ্দুর
তুমি একটা সেলফি নিতে চাইলে
এত্তো খুশি, আত্মহারা, রোদ ঝলমলে
মুহুর্ত বন্দি করে রাখলে ক্যামেরায়
স্ক্রিনে নরম আঙুল ছুয়ে ছুয়ে মিলিয়ে নিচ্ছো   
                                          এক একটা ছবি
আর ভিড় করে আসছে রোদ-বাতাস-বৃষ্টির
                                               অবশ স্মৃতি।
প্রতিটা ছবিতে আমার চোখ বড় অদ্ভুত
এতো এতো বালি কাদা কেড়ে নিয়েছে নাব্যতা
সম্পর্ক অন্তর্বাহিনী নদী হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণতায়।   


ভুলে যাওয়া কি সহজ ? শতাব্দী মজুমদার





ভুলতে ভুলতে এগোই আমরা,
অতীতকে ফেলে বর্তমানে বাঁচি ভীষণভাবে।
সত্যি কি ডাকে না ফেলে আসা স্মৃতি?
বলে না আসবে আর একবার,
নেবে কুড়িয়ে টুকরো টুকরো খুশি?
দেখবে ফিরে মনের অলি গলি,
বৃষ্টি ভেজা পায়ে হাঁটবে আবার শহরের প্রান্তর?
ভুলে যাওয়াটাই যদি ইচ্ছা হয়,
তবু কি ভোলা যায়?
ভেসে ওঠে না কিছু চলন্ত ছবি,
চিনচিন করে না বুকের মধ্যিখান?
ফ্ল্যাশব্যাকে পুরোনো ব্যথার এক ঝলক,
কান্নার শুকনো দাগ,মন খারাপ এক বিকেল,
বেদনার দীর্ঘশ্বাস,
হটাৎ আর্তনাদ,বুক জোড়া হাহাকার!!
ভুলে যাওয়া যায় বুঝি সব কিছু --
বন্ধ করা যায় নাকি মনের খড়খড়ি!
ওসব গল্প কথা,
বেঁচে থাকার,ভালো থাকার অজুহাত মাত্র।
মনের গভীর কোণে,
অতি সঙ্গোপনে,
পড়ে থাকে কিছু স্মৃতি,
খুশির ছোঁয়া,হাসির মূহুর্ত,
রাগ অভিমান,প্রেম বিরহ
রঙিন দিন, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস,
অথবা কঠিন রূঢ় অতীত
দগদগে ঘা,
বিবর্ণ মলিন কিছু সময়,
অপ্রাপ্তি,আক্ষেপ,কিছু লাঞ্ছনা,
বিশ্বাসঘাতকতা,অপমান
যেনো শুকনো মরুভূমি।
ভুলি না আমরা কিছুই,
একটু একটু করে সরে আসতে থাকি
বাঁচতে হবে যে
ভালো থাকতে হবে যে
নতুন রূপে,নতুন ভাবে ।।

শারদীয়া আসছে : অমিত কুমার জানা





সেই তটিনীর তীরে    মন গিয়েছে আবারও ফিরে,
            যেথা হাওয়ায় দোলায়িত সাদা কাশ।
  ভোরের শিউলির ঘ্রাণ    ভরায় মন প্রাণ,
             এসেছে শারদীয়ার বাতাস।

সকালে গাঁয়ের রাস্তায়    খুশির দ্যুতি ঘাসের আগায়,
             আগমনির বার্তা নিয়ে এলো।
মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ার কাজে   পূজামণ্ডপ নবরূপে সাজে,
              ওহ্ কি যে তোড়জোড় শুরু হলো।

আমাদের শহর সাজে    প্যাণ্ডেল গড়ার কাজে,
              অলি-গলিতে পোশাকের বিজ্ঞাপন।
পূজোর অফারের সুরে    কান দুটো যায় ভরে,
               অন্তরে আনন্দমাখা শিহরণ।

শুরু হলো দিনগোনা   নানা পরিকল্পনায় আনমনা,
              সমারোহে ভরা পূজোর বাজার।
   ওই চারটে দিনের তরে   প্রস্তুতি ঘরে ঘরে,
               নিজেকে গুছিয়ে নেয় যে-যার।

তুমি :মাধব মণ্ডল






তুমি চাইলে এই ময়ূরাক্ষীর পাড়েও ঘর বাঁধতাম
কালরাতে চেয়েছিলে তাই এপাশে ওপাশে ছিলাম

আলুনি জীবনে তোমার চাওয়া আর চাহনি
ক্ষতগুলো মুছে দিতে চড়চড় এগিয়ে আসে

ফেসবুকে পাতা ফাঁদে জড়িয়ে মরতে গিয়ে
বুঝেছিলে সুখের অসুখ, আঁকড়ে ধরলে জোর

আধদামড়া আধদামড়া ছাপ মেরে ছুঁড়ে ফেলে
অনিদ্রার শান্তি কামড়ে আমাকেও জাহান্নমে রাখো

যৌনতা আরো চায় টাকা, চায় না-ফুরানো শরীর
ধর্ম অসহায় চেয়ে দেখে, আঙুল মটকায় কচলায়

সন্দেহ জাগায় প্রশ্ন, একে একে সব ধর্ম মরে ঐ
হাঁসপাশ ধমনি শিরা বুকের বাঁদিকে তোলপাড়

মায়া সুর কাটো প্রিয় নারী, যথার্থ নদীর পাড়ে
জলের ছলাৎ ছলাৎ, কান্না আজও ঐ ভাসে



আমি আর আসবো কবে?
বর্ষা আর তুই শীত
আমার জিনিসে চোখ রাখিস কেন???
আমি অতো মানাতে মারিনা!

প্রথম ফাল্গুণে এমন নাছোড়বান্দা
ওহো, প্রেম কোরো না হে বৃষ্টিরাণি
আমি তো আধদামড়া
আমি আর আসবো কবে?

আহা, কত আর দেখবো আদিখ্যেতা
ঝরছেন তিনি ঝরছেন!
পশলা পশলা রাণি সাজা বৃষ্টি
আহা, কী লজ্জা লজ্জা ভাব!




তুমি যখন নামের আগে ড., ডাঃ বা খেতাবি কিছু লেখ
এমনকি নামের পরেও লাগাও লেজ
আমার মন করকর চলতেই থাকে

তুমি তো একটা চাকুরি সফল প্রাণ
আমার বাঁদিকটা, অনেকটা ফাঁকা হতেই থাকে

তোমাকে সেদিন দেখলাম ফর্সা, নরম, মায়াবির হাতের রেখায়
আমি চোলাই খোরের মত একাকী চিৎপাত রাস্তায়

তোমার দামি গাড়িটা ছুটে এসে হুড়কো মেরে হাসে
এখন আমি নিজেই পেট্রোল, আগুনও জ্বালি নিজেই

কিন্তু তুমি যেই লোথাল থেকে কোটি কোটি সেকেন্ড পর উঠলে
আর বললে, মরো না, তোমাকেই আমি চাই
আমার লেডি কিলার বলা চোখ ও চোখের পাতা
আর একটিবারও ব্লটিং পেপার হলই না





আজ সকালে বর্ষা এসেছে ভেবে ব্যাঙেরা হুলুস্থুল গানে
তুমি ক'গ্লাস তাড়ি সান্টিং করো, বা না করো, তাদের কিছু যায় আসে না

মেঘ আর সমুদ্র
সোমত্ত পাঁঠি, পাঁঠাও
সুপার সাইক্লোনে নিবিষ্ট হল

অল্প জানাদের ওপর ছড়ি চালায় ওস্তাদেরা
তুমি 'অ' কে গেলো 'আ'
এরপর একলাই একটা মিছিল হবে?

সুপার সাইক্লোন?
ঝুমঝুমি রাগে বিজ্ঞান যেখানে নাচে
প্রকৃতার্থে সে সুপার সাইক্লোন!





এসো তো সূর্য-কন্যা
তোমারই রঙ মাখি অগোছালে...
বাজারটা তোমারই
আমি তো আলতো ছোঁয়ায় খুশি

সূর্য্য-কন্যা
না হোক আমিও বেঁচে আছি
না হোক কেউ কেউ তো আমাকেও গান ছোঁড়ে

সূর্য্য-কন্যা
তবুও বালি-তাতা রোদে তুইই একমাত্র রঙ
না, না, মেঘ-কন্যার পথ সেই কবেই হলো ভেন্ন!

ফিরিয়ে দেবে কি ? সীমন্তিনী





কোন এক শিউলি ঝড়া বিকেলে ,এই ধরো তুমি খুব সেজে গুজে ........ওই কপালে লাল টিপ,কানে একজোড়া বড়ো ঝুমকো,
না ,গলায় পরার অভ্যাস তোমার নেই।
                          আমি ওই পাড়ার মন্ডপে ,
একটা হলুদ পাঞ্জাবী....হাতে একটা ঘড়ি,,
তোমার জন্য পাগল প্রেমের ক্ষীণ সংকোচ
চায়ের কাপে হঠাৎ চুম্বন তোমার নামের,
আর ভীড়ের মাঝে তোমায় হাড়িয়ে নতুন করে খোঁজ।
                     এই ধরো সেদিন ছিলো অষ্টমী,
তোমার সাজের বড্ড ঘনঘটা ,
আমার চোখে প্রেম ,এ মন সর্বনাশা।
তুমি ও ভীষণ বুঝতে পারার আগেই,
একটা চিঠির খাম ,কোন এক পাড়ার বখাটে ছেলে।
                               তারপর  সেদিন দশমী,
আমি আর থাকতে পারিনি ,
তোমার ওই কাজল কালো চোখে,
আর মুখের কোনে সিঁদুরে আড়ম্বর।
আমি এক অবাধ্য মন নিয়ে
ছুঁটে যাই তোমার দিকে ধেয়ে,
তোমার মনে ভীষন উথাল পাথাল
যদি,
এক চিলতে সিঁদুর রাঙাই সিঁথে.....
                  বলো তুমি কি আমায় ফিরিয়ে দেবে???