নোটিশ বোর্ড
।।বর্ষা ভেজা সকাল।। জসিমদ্দিন সেখ
ভোর হতে সকাল এল নেমে
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দমকা মেঘের ডাক,
পলকা পবনের প্রতারণা নেমে আসে
আকাশে আঁচড় দিয়েছে বজ্র চমক।
গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দমকা মেঘের ডাক,
পলকা পবনের প্রতারণা নেমে আসে
আকাশে আঁচড় দিয়েছে বজ্র চমক।
সদ্য জন্মানো কচি পাখিদের কিচিমিচি
বর্ষা ভেজা সকালে খিদের তাড়োনে,
মাছেরা জল হতে উঁকি মারে
পুনরায় ফিরে যায় গভীরে তৎক্ষণে।
বর্ষা ভেজা সকালে খিদের তাড়োনে,
মাছেরা জল হতে উঁকি মারে
পুনরায় ফিরে যায় গভীরে তৎক্ষণে।
বর্ষার ভেজা সকালে বৃষ্টির আগমন
নদী পাড় ছাপিয়ে সেঁজেছে কুমারী,
জেলেরা মাছ শিকারে পেতেছে ঢিকিজাল
ভোর হতে সন্ধ্যা দিয়েছে পাড়ি।
নদী পাড় ছাপিয়ে সেঁজেছে কুমারী,
জেলেরা মাছ শিকারে পেতেছে ঢিকিজাল
ভোর হতে সন্ধ্যা দিয়েছে পাড়ি।
চারিদিকে থৈই থৈই আঙিনা ভরা জল
কাদাতে জমেছে স্যাঁতসেতে পিচ্ছিল আলপনা,
মেঘেদের ভিড় কোথা হইতে উপস্থিত
তাদের শ্লেষ হাসাহাসি যেন কল্পনা।
কাদাতে জমেছে স্যাঁতসেতে পিচ্ছিল আলপনা,
মেঘেদের ভিড় কোথা হইতে উপস্থিত
তাদের শ্লেষ হাসাহাসি যেন কল্পনা।
।।আলোগাছ।।মৌসুমী রায়
আলোগাছ হতে চাই বুঝলে প্রেমিক
বাধা দেয় কপালের লাল ক্ষতের দাগ
তোমার বুকের বোতাম খোলা থাকলে...
যতটুকু শরীর দেখা যায় ততটুকুতেই আমার ভাগ।
লোভ হয় লোভ ভীষণ রকম
শেষ কবে কাকে ভালোবেসেছি মনে নেই
জানি কেউ আসবেনা প্রেমহীন জীবনে...
বেজন্মা কবিতা ঘুরে ফিরে আমার মাথায় আসবেই।
জানালার গরাদ চুঁয়ে কামুক রাত নামে
আমার পুরুষ অপমানের ভয় পায়
আমি ক্ষইতে থাকি অভিমানে অপেক্ষায়...
হারাবার ভয় আমায় আলোগাছ হতে শেখায়।
।।শারদ উপহার।।শুভম চক্রবর্ত্তী
লজ্জা, ঘৃন্য, জঘন্য;
বলে গন্য-মান্য।
ওদের বাড়ির ছেলে,
যেমন তুলসী পাতা ধুলে।
অসহায় শুধু তুমি,
তাই ধর্ষণ- ই প্রনামী।
গুমরে গুমরে মরো,
সমাজ দোষাবে এরপরেও।
ওদিকে চলে আলোর ছটা,
আড়ম্বরই পূজার ঘটা;
মাতৃ ভক্তি ওসব মিথ্যা,
গ্ৰাস করে সব উল্লাস ও উগ্ৰতা।
আমি তাই বেড়োচ্ছিনা,
আমার পূজা সূচী আর হচ্ছে না।
নারী তুমি গর্জে ওঠো,
প্রতিবাদে তোলো হাতিয়ার।
সেটাই হবে আমার জন্য
শ্রেষ্ঠ শারদ উপহার।
||একটি নাবালিকা বোনের কথা || মান্নুজা খাতুন
জন্ম নেবার পর সময়ের সাথে তাল রেখে
স্বপ্ন দেখেছিলিস অনেক! অনেক ;
চেয়েছিলিস গড়তে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ,
করেছিলিস অঙ্গীকার বাবা-মাকে ভালো রাখার।
তখনও শুনিস নি বোধহয় সংসার নামক শন্দটা,
বুঝিয়ে কেউ দেয় নি তোকে ঘর- সংসার স্বামীর অর্থ।।
বারোর কাটা অতিক্রম করে সবেমাত্র দিয়েছিলিস পা পনেরোই
সময় হয়েছিল তোর, এজগৎকে নতুন করে চেনার
তার পরিবর্তে! অভাবের সংসারের দোয়ায় দিয়ে
এতটুকুন তোকে ঘোমটা পরিয়ে দিয়ে এল ছাদনাতলায়
পুতুলের মতো করলি মন্ত্রপাঠ, বাবা মা ফেলল স্বস্তির নিঃশ্বাস।।
বিনিময়ে! বিনিময়ে পেলি টা কি তুই বোন?
বয়সে দ্বিগুণ স্বামীর বিকৃত কামের ফাঁদের পড়ে
বিয়ে বাড়ির সানাই বন্ধ হওয়ার আগেই ঠাই হলো তোর হাসপাতালে;
দিনের আলো ফুটতে বা ফুটতে হারালি তাদের
মন্ত্রপাঠ করে করেছিলিস গোত্র ধারণ যাদের
স্বামী পালাল কৈফিয়ৎ আর লজ্জার ভয়ে, আত্মীয় পালাল দায়সারাভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে।।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে
পাত্রপক্ষের ঝুলি ভরতে গিয়ে সর্বশান্ত হওয়া হতভাগ্য পিতা এল দ্রুতপদে।
রক্তের অভাবে, অর্থের অভাবে ধুকতে ধুকতে চলে গেলি অকালে।
বুঝলি না তুই সংসারের মর্মবাণী, পেলি না আস্বাদ
কৈশোরের লীলাচপলতার
রয়ে গেল অজানা সব কিছু তোর অভিধানে
তবু তুই জেনে গেলি বোন! নারীর যন্ত্রণা।।
জনতার চাঁদ : গোলাম রসুল
শেষ মিছিলে ক্লান্ত পৃথিবীর ছায়া পড়েছে
আর ছায়ায় কিছু রক্ত রয়েছে তাই দেখা যাচ্ছে মানুষের হৃদয়
মাথার ওপরে জনতার চাঁদ
ভাগ্য যেমন হয়
দুশ্চিন্তার কাক
ইলেকট্রিক তার
পোড়া ইটের বাড়ি
আমারা সম্মান জানাচ্ছি নাগরিক সমাজকে
আকাশে কাজ করছে মানুষের একঝাঁক হাত
শ্রমিকের মর্যাদা মেঘ আর পিরামিড আমাদের ভবিষ্যৎ
অন্ধকার মাতাল জলাধার
ব্যবহার করা শব্দের ডাস্টবিন
আর হাই ড্রেনের সুগন্ধ উচ্ছ্বাস
বই পাঠশালা
আট দশটি কথা
টেবিল প্লেট চামচ একটি নক্ষত্র
দিগন্ত পানশালার দেয়াল
পাখির দেহ
ঝোপের ভেতরে তালাচাবি দেওয়া রোম্যান্টিক প্রেম
কল্পনার ভিটে বাড়িতে আলো জ্বলছে
অবশিষ্ট আদিমতার এখনো সেই বাগান
তারপর বৃষ্টির সন্ধ্যা ঠিক একটি নরকের সংস্করণ
নীল মোহনা
নদীগুলো সব ফিরে যাচ্ছে বিরহের দিকে
মিছিলের শেষে ক্লান্ত পৃথিবীর ছায়া পড়েছে
-------------
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)