নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

নির্ঘুমতায় রাত্রী কাটে : মোঃ গোলাম মোস্তফা লিটু



বহুদিন ধরে ঘুমাইনা আমি
প্রহরের পর প্রহর কেটে যায় নির্ঘুম
নিদ্রাহীন চোখের নিচে
কালসিটে দাগ,স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়।

রাতের পর রাত কেটে যায় নির্ঘুমতায়।

যখনি চেষ্টা করি ঘুমানোর
চোখের সামনে ভেসে ওঠে,ধর্ষণের পরে হত্যা চেষ্টায় দেয়া আগুনে পোড়া
আমার বোনের ঝলসানো বীভৎস শরীর।

যন্ত্রনা ক্লিষ্ট নিষ্পাপ মুখাবয়ব।

আমাকে রোজ যন্ত্রণা দেয়
সীমাহীন কষ্টে ভোগায়
অসুস্থ পিতার অসহায় মুখচ্ছবি
মাতার করুন আর্তনাদ। ধর্ষিতা বোনের--

শতকোটি প্রশ্ন সম্বলিত স্ব-করুণ চাহনি?

আমাকে রাত্রির পর রাত্রি জাগায়
ডুবিয়ে রাখে সীমাহীন বিষন্নতায়
ঘুম নামক শান্ত দানব হিংস্র হয়ে উঠে
আমাকে চোখ রাঙিয়ে শাসায়। বলে --

ঘুমাতে চাও ? প্রতিবাদী হও। প্রতিরোধে যাও।।


টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট : আহাম্মেদ হৃদয়



ক্রিকেটের দামাকা টুয়েন্টি ওভারে
টান টান শিহরণ, গ্যালারির ভিতরে।

জাদুকরী বলার বল করেন পিচে
বলে বলে ছক্কা, মাথা বুক চিতিয়ে।
শতকের সেন্ঞ্চুরি নিতে চায় হাকিঁয়ে
বল দেখে ব্যাটসম্যান, থাকে শুধু তাকিয়ে।

আগুনের ফুলকি ঘর্ষা খায় পিচে
ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যান, চোখ দেখে শর্ষে।
প্রতিবলে মনে হয় এই বুঝি ছক্কা
ঘুর্নির গতিবলে ব্যাটসম্যান অক্কা।

শিশুর না: আহাম্মেদ হৃদয়



হাসঁ ডাকে
মুরগি ডাকে
ডাকে কবুতর।

তাই না দেখে
শিশু নাচে
নাচে নয়া বর।

হাসঁ ডাকে খালে-বিলে
মুরগি ডাকে চালে।
শিশু নাচে মাঠের ভিতর
নয়া বরের সাথে।

জীবন এ্যাশট্রে :-শাহীন রায়হান


কতগুলো নিহত ধূসর ছাই নিঃসঙ্গ পড়ে আছে
বেদনাহত জীর্ণ এ্যাশট্রেতে
এক সময় ওরা ছিলো জেব্রা ক্রসিংয়ের মতো
সাদা কালো রং চকচকে জীবন্ত নিসর্গ
খরস্রোতা নদীর বুকে নক্ষত্র রাতে একাকী
ভেসে চলা প্রিয়তম জবা
হৃৎপিণ্ড রিদমে অন্ধকারে জ্বলে ওঠা
এক টুকরা অমলিন আশার আলো
প্রেম প্রত্যাশায় জেগে ওঠা এক বাসন্তী গোলাপ কুঁড়ি।
তোমাকে তৃষ্ণায় ছুঁয়ে যাওয়া বৈকালি
পাখির কলরব
.
আমার যন্ত্রনাময় ক্রুদ্ধ ব্রহ্মান্ডের জ্বলন্ত চিতায়
সেই কবে পুড়ে গেছো তুমি-
আজ তুমি স্বপ্নহীন স্মৃতির অদ্ভুত ক্যালেন্ডারে নেই
কোথাও নেই
শুধু জীবন এ্যাশট্রেতে দিশাহীন পড়ে আছে
নগ্ন আতশ কাঁচের প্রেমহীন আগুনে পোড়া
স্বপ্নহীন ঘাসের মিহি ডগার মতো
নিদ্রাহীন কতগুলো ছাই।

"রাজখেলা" :মিঠুন কর্মকার



শিকল পড়িয়েছে মোদের হাতে
শিকল পড়িয়েছে মোদের বুদ্ধিতে,
শিকল পড়িয়ে করেছে বিকল
সুন্দর এই রাজনৈতিক ফন্দিতে ।

ডিগ্রি গুলো হয়েছে বোঝা
কোনো পথেই লাগে না সোজা
লক্ষ্যে স্থির রয়েছি আমি
তবুও কঠিন হয়েছে পথ খোঁজা।

রাজপথে কেবল যন্ত্রণাময় হাহাকার
শোনা যাচ্ছে শিক্ষিত বেকারদের চিৎকার,
নিজের অধিকারকে আদায় করতেও
হবু শিক্ষকদের খেতে হচ্ছে পুলিশের মার।

ছেড়া হচ্ছে পোশাক যারা শিক্ষিতা বেকার
কিছু জন বানিয়েছে রাজনীতিকে হাতিয়ার,
বোমা ও ধর্মই আজ রাজনৈতিক মহলে
এক খেলা দেখিয়ে চলেছে অতি চমৎকার।

মরুস্থলে : বাবুল চন্দ্র শীল


নিশি অবসানে রবির তপ্ত কিরণে
ছড়ালে উষ্ণ প্রাণের ছটা।
যত বেলা বাড়ে নাভিশ্বাস ওঠে
সে এক ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা ;
অগনিত পশুপাখির দল
খোঁজে ছায়া সুনিবিড় আশ্রয়স্থল,
জল জল বলি তাদের গলা ফাটে,
শুধু উটেরা দেয় জীবন যুদ্ধে বাঁচার মন্ত্রণা।

গুল্মগুচ্ছের ছায়াহীন আবাস
দিনের তপ্তবালুকার শ্বাস,
দমকা এক শুষ্ক হাওয়ার টানে
দল ভাঙ্গে ডিউনের সারি,
চিন্তা নেই তাদের -
আজ এখানে তো কাল সেখানে জমাবে পাড়ি।
শুধু এরাই জীবন মৃত্যুর অটুট সত্যটা জানে।
দিনের শেষে শীতল বাতাস মৃদুমন্দ বহে
প্রাণে জাগে হিমের পরশ রাতের মরুস্থলে।