নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শিক্ষার হালচাল : মাধব মন্ডল


বিষয় : শিক্ষার হালচাল
স্থান : শিক্ষাপুর,
কলার : পিকু
অন্যান্যরা : ইকু, মিকু, রিয়া ও রুবিনা।
----------------------------------------------


পিকু : আগত সবাইকে জানাই স্বাগত।
অন্যান্যারা(একসঙ্গে) : মহা স্বাগত।
পিকু : শিক্ষাপুরে সত্যিই শিক্ষার ফল
ফলছে।
ইকু : নিশ্চয়ই, না হলে এখানে একসঙ্গে এত
স্কুল চলছে!
মিকু : চারদিক বিজ্ঞাপণে গিয়েছে ছেয়ে।
রিয়া : মনে হচ্ছে বাচ্চারা বড় হবে বিজ্ঞাপণ
খেয়ে।
রুবিনা : রিক্সাওলাও হাজির বিজ্ঞাপণ পেয়ে।



পিকু : ফ্রি প্রাইমারি তকমা পেয়েছে খিচুড়ি
স্কুলের।
রুবিনা : এস এস কের কপালেও জুটেছে ছাপ
একই ফুলের।
রিয়া : বাদ নেই এম এস কে আর জুনিয়র
হাইও।
মিকু : এর বাইরে আর কিছু নাইও।
ইকু : এবার তাহলে শিক্ষা কিনতে অন্য
কোথাও যাইও।



পিকু : তাহলে প্রথম চলো জ্ঞানালয়ে।
যেতে পারি বোধোদয়ে। না হলে
জ্ঞান পিপাসায়। জ্ঞানজলসায়?
হ্যাঁ তাও যাওয়া যায়।
ইকু : অকারণ বইয়ের বোঝা।
মিকু : দায় হয় মাজা রাখা সোজা।
রিয়া : এলেবেলে টিচারকুল।
রুবিনা : হম্বিতম্বিতে নাম্বার ওয়ান বিলকুল।
ছুতো নাতায় পয়সা আদায়ে করেনা
ভুল। হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা
মারছে খালি গুল।



পিকু : ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে
সব। যেমন ছিরি নামের তেমনি লক্ষ্য
নিয়েও নীরব।এক একটি শিক্ষাগর্ধভ।
রিয়া : লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষই বড়। মান?
মান চুলোতে যাক টাকা পেমেন্ট কর।

মিকু : শিক্ষাপুরের শিক্ষাশালায় প্রোডাক্ট
তৈরি হয়।তা ঝাঁ চকচকে মোড়ক
মোড়া সমাজ বৈরি হয়।
রুবিনা : নিজেকে ছাড়া কাউকে চেনে না।
এমনকি মাঝে মাঝে মনে হয় এরা
নিজেকেও চেনে না। দেশ নয়, মাটি
নয়, মা নয়, শুধু মস্তিতে বাঁচো। টাকা
টাকা করে শুধু হিঁচ্চা হিঁচিং হাঁচো।
ইকু : নিজেদের দোষে ডুবে মারি তোকে। হায়,
ঝাঁ চকচকের, অকারণ শৌখিনের কদর
করছে লোকে।



পিকু : ভুলে ভরা বই।
সাত ভূতে খায় কমিশনই।
রুবিনা : ব্যবসা বাড়ছে চড়চড়।
শয়তান ওড়ে ফড়ফড়।
রিয়া : খাতারও নেই শেষ।
চুপ, শিক্ষা চলছে বেশ।
ইকু : প্রজেক্টের জোয়ার!
কিছু শিখুক না শিখুক থাকবোই গোঁয়ার।
মিকু : পয়সায় পয়সায় শিক্ষা ওড়ে
তোমার বাড়িতে যায়।
হায়, হায়, হায়!
****************************

ঊনিশের প্রেম দিবস : প্রলয় কুমার বিশ্বাস


এক থালা পায়েস সাজিয়ে ছিল মা
ফেরা হয়নি জন্মদিনে,
গত শ্রাবণী পূর্ণিমার  বোনের রাখি হাতে ছিল সেদিনও,
প্রতি বছর এইদিনটিতে প্রেয়সী গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতো স্কুলের চেনা কৃষ্ণচূড়ার নীচে।
কিন্তু, এবারে আর ফেরা হয়নি।

আমার শরীরে এদিন তেরঙ্গা জড়ানো ছিল
মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি,
গোটা দেশের চোখে তখন জল।
যারা কাছের ছিল, তারাই আগুন দিল
শূন্যে ভাসলো গুলির শব্দ
দলা পাকাতে লাগল আমার শিরা উপশিরা।
কিন্তু, অমরত্ব পেলাম আমি
আর ঊনিশের প্রেম দিবস।

সাদা এপ্রোনের মেয়ে : নির্ঝর চৌধুরী


একটা মেঘাচ্ছন্ন সন্ধ্যা,বৃষ্টির প্রতিক্ষায় থাকা আমাদের অনুভূতি গুলো।আর ওপাশে খোলা চুলে একটা সাদা এপ্রোনের তুমি অবিরাম।

হঠাৎ তুমুল বৃষ্টি নামুক।বৃষ্টিভেজার ছলে সাদা শার্টের বুক পকেট বরাবর একটা গোলাপি লিপিষ্টিকের জীবন্ত দাগ লাগুক।এইতো বেশ....

বিশ্বাস করো একটা জীবন তোমার সাদা এপ্রোনে কবিতা লিখতে লিখতে কাটিয়ে দেবো....

সুখটুকু : মান্নুজা খাতুন



বামপাশের পার্লামেন্টে  ক্ষুদ্র ইচ্ছেখানি ধারণ  করে
বিভোর  ভাবুকতার রঙিন মায়ার আবেশে
নিশিদিন রচেছি হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে সুখমাল্য।।

প্রবৃত্তির কঠিন পীড়নে  হায়!
গড়া স্বপ্ন  ধূলিসাৎ হয়ে যায় ;
তবুও অতৃপ্ত আত্মাটি সব ভুলে
ভাবের তাপে আবারও  গড়তে বসে
হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ পুস্পের সমাহারে সুখমাল্যখানি
খুঁজতে থাকে সত্যকারের হৃদয়াসনটি। 

একটা কবিতা একটা তর্জনী : অলোক মিত্র



একটা কবিতা আজ গান হোল
শুধু তোমার জন্য...
একটা তর্জনী আজ প্রতিবাদের ভাষা হোল
তোমার জন্য, হে কবি।
তুমি উঠে এসো হাজারো প্রতিবাদী কবিতায়
মধুমতির পলল মৃত্তিকায় তুমি ঘুমিয়ে থেকো না,
তুমি আমার রক্তের অস্তিত্বে মিশে আছো,
চেতনার বোধীবৃক্ষ।
আমি ক্লান্ত পথিক, তোমার সবুজ শ্যামল
ছায়াতলে বেঁচে আছি নির্ভয়ে।
হে প্রিয় কবি, তোমার বজ্রকন্ঠে
আমার প্রিয় কবিতা, বাঙালির মুক্তির ডাক....
আমি শ্রদ্ধায় মাথানত, আপদমস্তক
আমাকে রাখি তোমার পদতলে।
হে প্রিয় কবি, একটিবার উঠে এসো
আমার চেতনার বোধীবৃক্ষ।
মধুমতির জ্বলে জোয়ারের বান ডেকে।
আমি শতবার পূজিত চোখে
আমি আমার পিতার ছবি দেখি
হাজার টাকার নোটে।
সারা বাংলায় কে আছে বলো
তোমার চেয়ে বড়!




ত্রিতাল: ভগ্ন পুরুষ



রাত্রে ঘুমিয়ে আছে পিলসুজ,
রাস্তাময় কেউ কি কিছু ভাবছে ভগ্নাংশ নিয়ে ?
      তবুও
          কিছুদূর
            এগিয়ে চলেছি
 
আলো ক্রমশ সর্বশেষ সিদ্ধান্তে প্রশমিত করছে শরীরমুখি কোলেস্টেরল___
   কয়েকটা যৌগ সংখ্যা অনর্গল কাছে আসছে

তাকাও,____
        পিছনে সন্ধান পাবে না
                                     অন্ধকারের

রেটিনায় দৃশ্য গুলো দারুণ উর্বর হচ্ছে
টালমাটাল নদীর সন্ধান গড়িয়ে পড়ছে ইন্দ্রিয়ে
    তবু, কিছুতেই ত্রিতাল বাজানো যাচ্ছে না__