ও বলেছিল ওর একটা গোপন তিল আছে। আমি যদি সত্যি প্রেমিক হই তবে খুঁজে পাব।
এ আবার কেমন কথা? তুমি যদি ফুলের পাপড়ির মতো নিজেকে মেলে ধরতে পারো, আমি অনায়াসে তা খুঁজে দেব।
-তাই! বেশ। কিন্তু মনে রেখ, পরীক্ষায় ফেল করলে আমায় হারাবে।
শুনে হেসেছিলাম। আমার স্মাইলি দেখে ও কিছুক্ষনের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক সেলফি সেন্ড করতে লাগল। প্রথমে পায়ের ছবি। দেখি বাঁপায়ের পাতায় দুটো আর ডানপায়ের বুড়ো আঙুলে একটা তিল। এইভাবে একে একে ঠোঁটের কোণে, ডানচোখের পাতায়, বাঁ ভ্রু-র পাশে, ডানদিকের চিবুকে, গলার মাঝখানে, বাঁহাতের কনুইয়ে, ডানদিকের ঘাড়ে... ছোট্ট ছোট্ট কত তিলের ছবি দেখিয়ে গেল।
- কিন্তু এগুলো তোমার গোপন তিল নয়।
বলতেই ও এরপর নাভিদেশের সেলফি পাঠালো। আমি যথারীতি জানালাম, না, এটাও নয়।
-ভেবেছ গোপন তিল মানেই গোপন জায়গায় থাকে! কিন্তু মশাই, আর তো কিচ্ছু দেখাবো না।
-আমি তো সেকথা বলি নি। বলেছি যেগুলো দেখালে সেগুলো তোমার গোপন তিল নয়।
- তাই! তবে বলো সেটা কোথায় আছে? - সেটা এমন জায়গায় আছে যার সেলফি মোবাইলে ওঠে না।
-তাই বুঝি!
-হুম।
- তা কোথায় আছে শুনি।
-কেন তোমার বুকের বাঁদিকে যেটা সবসময় ধুকপুক করছে। তার ভিতরে আছে সেই গোপন তিল।