নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

পরিবর্তন করি নিজেদের.. সুমিত মোদক



ঋতুদি পড়াশুনায় ভালো ;
ঋতুদি দেখতেও ভালো
ঠিক মাটির প্রতিমার মতো ;
নিজের পড়ার খরচ জোগাতে শুরু করল পড়ানো ;
আমি তখন নাইনে উঠেছি
ঋতুদির পড়ছি
ঋতুদি পড়ছে বি.এ ;
#
মনেতে তখন ফাগুন
শরীরে তখন আগুন
সেই আগুনে পুড়ল দুটো মেয়ে ;
খুঁজছিলাম আমি যাকে
পেলাম আমি তাকে
রিতুকে রাতের কাছে পেয়ে ;
#
ও পরিবর্তন আনে আমার ভাবনায়
আমার চাওয়া পাওয়ায় ;
ও আমাকে দেখতে শেখাল
কিভাবে দুটো নারী একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে
হয়ে ওঠে প্রেম
সমপ্রেম ;
#
আমরা খুঁজে নিয়েছি জীবনের ভাষা ;
আমরা খুঁজে পেয়েছি জৈবিক নেশা ;
সেই নেশাতে বুঁদ হয়ে হয়ে ছিলাম কটা বছর ;
এক গ্রামে বাড়ি , পড়াশুনা নিয়ে থাকি
দুজনে ;
সে কারণে অবাধ মেলামেশা অবাধ ইচ্ছা ডানা
শরীরে ও মননে ;
#
হঠাৎ ই কথাটি কিভাবে জানাজানি হয়ে গেল দুটো দুটো বাড়িতে, পাড়ায় ;
মেনে নিতে পারলনা কেউ আমাদের পরিবর্তনের স্বপ্ন ,
পরিবর্তনের ছন্দ , চলচ্চিত্র . .
#
কয়েক দিনের মধ্যে সব ওলটপালট হয়ে গেল .....
ঋতুকে জোর করে বিয়ে দিল ;
আমাকে পাঠানো হল মামার বাড়ি
সবার সঙ্গে আড়ি ;
কেবল ভাব ঋতুর সঙ্গে , ভিতরে ভিতরে ;
#
পুরুষ ঘ্রাণে মন ভরে না
গভীর রাতে ঘুম আসে না
স্বামীর কাছে সুখ পায় না
নিজেকে কখনও নারী ভাবে না   . .
#
তাইতো সে ফিরে এলো
খুঁজে নিলো
আমাকে
নিজেকে ;
দুজনে পালিয়ে এলাম আঙিনা থেকে  , অনেক দূরে ,
এখানে ,
কেউ চেনে না
আমাদের , আমাদের অতীত ,
পরিচয়  ;
#
এখানে আমরা বেশ আছি
পরিবর্তনে আছি
পরিবর্তনে থাকি  ;
পরিবর্তন করি নিজেদের প্রতিদিন , প্রতিরাতে  ।।

বিরোধী শুন্যতাতে বঞ্চিতরা এখনও কাঁদে : শুভম চক্রবর্ত্তী


হস্ত ভাঙা আজ প্রভাতে

ঝান্ডা তো কোন দূর,

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

অশিক্ষা ভরপুর।


আমরা নেতা, আমরা রাজা

ব‍্যালট ভেঙে পায়রা সাজা।

আমরা প্রধান আমরা প্রথম,

প্রতিযোগীদের নেই প্রয়োজন।

আমরা একাই একশ হাঁকিয়ে দেবো,

নিলাম হাতুড়ি গুঁড়িয়ে দেবো,

হাতে বাটি ধরিয়ে দিয়ে

বলব শান্তিপুর।

গনতন্ত্রের বিলুপ্তিতে

একনায়কতন্ত্রতা মজবুর।


বিপ্লববাদ আগুন জ্বালাও,

রক্ত ফুটুক টকবকে।

ভাঙা হাতই সঙ্গী থাকুক,

বিপ্লব দেখো রক্ততে।


শুরু হোক বিরোধীতা

অন‍্যয়ের প্রতিবাদে,

চেয়ে দেখো সকল স্থানে

বঞ্চিতরা এখনো কাঁদে।।

ভারত :- মিঠুন কর্মকার


আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
যে হাতে আমি ঈশ্বরের প্রার্থনা করি
সে হাতে আবার আল্লাহকেউ ডাকি।
গির্জাতে গিয়ে প্রার্থনা করি,
আবার বুদ্ধের নীতিতে ধ্যানমগ্নও থাকি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি।

মোদের রক্ষার্থে কত বীর সৈনিক
প্রাণ বিসর্জন দেয় নিয়ে মুখে হাসি,
জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে গিয়ে তারা
দেশ রক্ষার্থে পায় খুশি এক রাশি।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

যতই করি না কেন কোন্দল
দেশের কথায় যে মোরা একদল,
কতই না এল গজনী ইংরেজ রাশি রাশি
ভারত বীরেরাই উড়িয়েছে তাদের ঘাঁটি ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি ।

কত না বেশ রয়েছে মোদের
কতই না রয়েছে খাদ্যরাশি,
সবাই সবার কথা বুঝি মোরা
যতই বা থাকি ভিন্ন ভাষাভাষী ।
আমি ভারত-
আমি ভারতবাসি,
ভারত কে আমি ভালোবাসি ।

ফিরে আসে ঘরে :- সুমিত মোদক




মেয়েটি ফিরে এসেছে ঘরে ;
#
কদিন ধরে মেঘ জমে ছিল আকাশের বুকে ;
অথচ , বৃষ্টির দেখা নেই  ;
মেয়েটা ফিরে আসতে ঝমঝম করে শুরু হল  শ্রাবণের বৃষ্টি ;
#
পাড়া-গাঁর বর্ষার গান বেঁধে নেয়
উদাস বাউল ;
সেধে নেয় লালন ফকিরের গান ...
নদীর বুকেও ভাটিয়ালি সুর জেগে উঠে
মেয়েটি ফিরে এলে  ;
#
বাদাবনের কাদাজলে জমে থাকে অনেক দুঃখ-যন্ত্রণা-অভিমান---
খাঁড়ি পথে জীবন মৃত্যুর লুকোচুরি খেলা  ;
মেয়েটি বাঁচার জন্য শ্বাসমূল আঁকড়ে ধরে ;
মণি নদী পাড় ভেঙে , জন্ম দেয় দ্বীপ ;
#
মেয়েটি ফিরে এসেছে ঘরে ;
#
আবার সে নেমে পড়বে জলে মিন ধরতে ;
এ শ্রাবণের সকালবেলায় ...
#
মেয়েরা ফিরে আসে ঘরে ।।

রঙ :- কৌশিক গাঙ্গুলি


এখন সবাই শান্তিতে থাকেনা
বুকে আগুন চেপে মুখে মুখোশ আঁটে ,
তাই কষ্টের রঙ বেগুনী আর দুঃখের রঙ ধূসর ...
শান্তি এখন হারিয়ে গেছে বহুদূরে ,
মানুষ ভালবাসতে ভুলে গেছে
মনে ইর্ষা চেপে মুখেতে হাসি সাটে , তাই
প্রেমের রঙ হলুদ আর যৌনতার রঙ লাল ।

অসময়ে : অনিন্দ্য পাল


সেই তারিখটা মুছে দিয়েছি ডেট ক্যালেন্ডার থেকে যদিও শুণ্যতারও ভাষা আছে জানি, অস্তিত্বহীনতা
কথা বলে নিজের মত করে, তবু 'কিছু নেই ' থেকে ভেসে আসে 'না ', আমিও তাকে মুঠো করে লুকিয়ে ফেলতে চাই, ভুলে যাই হারিয়ে যাওয়ার ও নিজস্ব অঙ্ক থাকে ...

চুল্লির ও খিদে থাকে দুর্ভাগা কয়েদির মত।