তোর চশমা পরা সজল চক্ষের বাইরে রৌদ্রাগ্নিতে পুড়ে যাচ্ছিলো শহর, আমি নিতান্ত বোহেমিয়ান সুরে বাঁশী বাজাচ্ছিলাম শহরের কোণে বসে। তোর ভালোবাসার রক্তকোষগুলো রঙ মেখে দিয়েছে আমার সবকটি শিরা-উপশিরায়,
এমনি অনুভূতির নিউরোনগুলোতেও।
শহিদ মিনারের লাল বৃত্তটির উপর বসে একরাশ স্বর্গীয় সুখ নিয়ে কীর্তন গেয়ে গেলো একটি ফিনিক্স পাখি- কারণ পাখিটি বুঝে গিয়েছিল দেবীর আগমন ধ্বনি।
আকাশ বাতাস সমগ্র ত্রিভূবন সাক্ষী স্বরুপ জ্বালিয়ে দিলো ভালোবাসার আলো-খচিত হীরক দণ্ড অবশেষ।
যতোবার তোর নয়নে ভালোবাসার নীল প্রজাপতি উড়েছে ততোবার ভালোবাসা পেয়েছে ঐশ্বরিক ছোঁয়া, তোর ভালোবাসার বাহুডোরে গোলাপ বৃষ্টি করে দেবতারা।
শতো জনমে শতোবার পৃথিবী চোখ তুলে থাকালে একটি মুখ দেখেছে বারবার, তোর বিশুদ্ধ মুখশ্রী। যেখানে লেখা আছে ভালোবাসার গল্পগুলো, পৃথিবীর বিবরণ, নীল পদ্মের ইতিহাস, অক্সিজেন তত্ত্ব ও একজন প্রেমিকের যাপিত সংসার।
তোর রহস্যময় নয়নদ্বয়ে ঈশ্বর লিখে রেখেছে মানব জাতির ইতিহাস,
দেবীর নয়নে নিমজ্জিত হয়ে প্রেমিক পুরুষ হুংকারে ছেড়েছে সর্বনাশ।
তোর চশমার কিনারায় লেগে আছে প্রেম, জনম জনমে যুক্ত হবার আহ্বান।
তোর ভালোবাসা আনবিক শক্তিসম্পন্ন অক্সিজেন বোমা, বেঁচে থাকার বিশুদ্ধ আর্তনাদ, জোছনার পরিপূর্ণ চাঁদ, কবিতার আত্মা আমার লুকোচুরির সুর।
মাঠের পর মাঠ সাম্রাজ্যবাদীরা দখল করে নিলেও আমি শুধু তোরে দখলের আশায় নির্বাক থাকবো, তোর কানে গুজে দিবো আমার নিদারুণ স্পর্শ।
আমার ছন্দের বৃক্ষরাজি তোর ধ্যানে মগ্ন হয়ে স্তুতি করে, দেবী তোর আগমনে এখানে বসন্ত হয়, সবুজ হয় সবকিছু আবার, ফুল আর ফলে ভরে যায় আমার হৃদয়, পত্রবিল্লব, পুষ্প আর দূর্বাদি দিয়ে চলে তোর আরাধনা।
ভালোবাসার আলিঙ্গনে সহস্র বছরের কবিতার সব পঙক্তি তোর নামে লিখে দিয়ে আমি হবো পৃথিবীর মরুকবি।