নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

শ্রাবনের ধারা ও পক্ষীকূল :- মান্নুজা খাতুন



হয়তো কোন এক গাছের বড় ডালের নিচে
নয়তো বা কারো ব্যালকনির ছোট ফোকরে
নিয়েছে আশ্রয় মা-পাখিটি।
ঠোঁটের ফাঁকে হয়তো এখনো ধরা আছে
 খাদ্যশস্যের ছোট্ট টুকরোটি
দুরের ওই বট গাছের ফোকরে
এখনো হয়তো পথ চেয়ে আছে
সদ্যজাত পক্ষী শাবকটি।
     
শ্রাবণের বৃস্টি,  অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ
সব মিলিয়ে দিশেহারা মা-পাখিটি করে ছটফট
বাসায় ফেলে আসা ছানার কথা ভেবে
ওদিকে অশ্রুসিক্ত  চোখে পথ চেয়ে থাকে পক্ষীশাবকটি।

বৃষ্টি হতে পারোনি :শিবানী বাগচী



হঠাৎ বৃষ্টি নামলো ভুল ঠিকানায় -
ভিজে ইচ্ছেদের সাথে ডুব সাঁতারে
হারাতে চাই জোছনা সিক্ত প্রশান্তি মেখে!

ঘুম আসেনা চোখে -
নিস্তব্ধ রাতের কোচকানো বিছানায়
তোর স্মৃতিগুলো দিয়ে কাটাকুটি খেলি!

ফেলে আসা রোজ নামচা,
গোলির মোড়ে আড়াল হয়ে চোখ ইশারা -
খাতার ভাঁজে,ব‍্যগের খাঁজে,
স্পর্শ খুঁজেছি বৃষ্টিতে ভিজে!

ইমনের নি রে গা তে আঙুলের ডগায়
লেগে থাকা ঘূণ পোকারা তাই
দেহ মন আজও কুড়ে কুড়ে খায়!

অঝোর ধারায় ভেসে যাক সব বিষন্নতারা --
অকাল বর্ষণে বৃষ্টি নুপূরের রিনি রিনি -
চেয়ে আছো মোর পানে;
কিন্তু তুমি তো বৃষ্টি হতে পারোনি?

আত্ম দহন :অথৈ দেবনাথ (রিনা)



রক্ত যেখানে জল হয়ে যায়,
বক্ষ তটিনী শুকায়।
স্বার্থ সেথায় বাঁধিছে চরাবলী,
ওরে ও অবুজ পাখি।
সেইখানে তুই ,
আসিয়াছিস কোন ভরসায়?
আত্মবিশ্বাস লয়ে।
মোহিত হৃদয়ে
ফুটাতে কুসুম কলি,,
করিছো কাহার কাছে
হৃদয় দাবী?
ওরে ও অবুজ পাখি।
আপন যাদের ভাবলি এতদিন,
তারা সে তোর নয়কো আপন।
ভাটির টানে স্বার্থনাষে,
যখণ রক্ত শুকায় অঙ্গ মাঝে।
সময় তখণ,
 এসে দেয় যে বলে
কে সে তোর আপনজন।।


আলিঙ্গনায় অদ্ভুত অর্থ :নঈম হাসান



নীলাঞ্জনা তুমি কোথায়?...
তোমার নামের অর্থ হয়েছে অনেক
আগুনের মত ঝলসে যাওয়া
রক্ত গরমের মত ছড়াছড়ি
হ্মন্ডলিপির মত আছড়ে খেয়ে পরে
প্রতিটি অহ্মর।
কখনো আবার হ্মন্ডলিপির মত
আগুনের বারুদ হয়ে
উফরে পরে
দেহের প্রতিটি খন্ড।
সেটি পরিহ্মার অগ্রগতি "হলেও
নীল সীমানায় ঢেকে আছে
দেহের হ্মন্ড।
আছড়ে পরছে বিভিন্ন্য আকাড়ে
স্বরলিপির কিঞ্চিৎ শব্দে।
বিহ্মন্ড হ্মন্ড হয়েও
অজস্রো শ্রাবণ ভাবে
এক বিদুৎের ঝলক আসে
ভয়াবহ তীব্র স্থানে।
শরীরের কুচড়ানো মাংস খন্ড
হ্মত-বিহ্মত হচ্ছে
আর
চুষছে লাল গোলাপের মিস্টি আচে।
একটি ঠোট
তখনি খন্ডলিপির মত ছড়িয়ে পরছে
রক্তের স্থানে মিশছে
সাগরের কিনারে
তখনি একটি
আলিঙ্গনায় প্রেমিক জড়িয়ে যায়
অহ্মরে এক বিষ পান
মধুরত এই সাগরে।
তখনি
মধুরত হয়ে ওঠে
হ্মত-বিহ্মত শরীরটি নিয়ে
আর
ফুটাই
 বিভিন্ন্য আকাড়ের
খন্ড খন্ড দেহ।

জলে ভেজা রাত :শিবানী বাগচী



ঘুঘুর ডানাঝাপটানো গোপন শয‍্যায়
দু জোড়া চোখ;মুখটা বড় আবছা দেখা যায়!

রাতের ছায়ার ফিসফিসানি
নাকি ঘড়ির টিকটিক,
বলতো কে বেশী জোড়ালো?

দিশাহীন সুখের ঘোরে,
জোছনায় ভিজে বিছানায় ঝাঁপ!

তারাদের অট্টহাসিতে তরলের ফোয়ারা ছোটে;
এক ঘটি জলেই হাবুডুবু,সারারাত ভিজে যায়!

রাত জাগা চোখে প্রশ্নগুলো
কেবলি আছাড় খায় -
অধিকারহীন ভ্রুণ ঘাপটি মেরে প্রহর গোনে;
জন্মের ইচ্ছে পূরণ যে নিয়তির বরদান!

মুহূর্তগুলো বুঝি রাখবো লিখে
ডায়রীর শেষ পাতায় -
কেউ কিন্তু কোন প্রশ্ন করোনা?

ছুঁতে না পারা : আকাশ কর্মকার



কবিতারা আজকাল তেমন আর আসে না..
চোরাস্রোতের টানে হারিয়ে যাচ্ছে আবেগ..
বৃষ্টির বিকেলে কেউ আমার কবিতা পড়ে প্রেয়সী হতে চাইবে,
সেরকম কবিতা আর এলো কই!
ধূসর একটা আস্তরণে আবৃত হয়ে পড়ছি নিজের অগোচরেই।
না এলো মেঘ, না পেলাম বৃষ্টির দেখা!
সঙ্গী শুধু কয়েকটা ভাঙা ভাঙা শব্দ।
অনুভূতি গুলো ঝাপসা, আরো ঝাপসা হচ্ছে দিনদিন।
শব্দের তীব্রতা, ক্ষিপ্রতা আজ ম্রিয়মাণ..
সাদা কাগজ গুলো হলদেটে হয়ে ঝুলে মিশছে ক্ষণেক্ষণে।
ঝিরঝিরে বৃষ্টির মাঝে এ আমার একা পথচলা..
পথগুলো জরাজীর্ণ, ক্লান্ত কলমের কালি;
আশ্রয় খুঁজেছে সে কোনো এক নিশীথে নিষিদ্ধ পল্লীতে।
আমাদের যে আর সত্যিই দেখা হয়না আজকাল!