নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

ধর্ম :সুদীপ্ত বিশ্বাস

 

আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে কেউ মুসলমান ছিল না।আজ থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর আগে কেউ হিন্দু ছিল না।কিন্তু  তার আগেও বহুকাল ধরে মানুষ ছিল।মানুষের সাথে মানুষের বিবাদ বা বিভেদ যেটুকু ছিল তা ছিল খাদ্য ও বাসস্থানের। এরপর এল কিছু সুবিধাবাদী চালাক মানুষ। তারাই ধর্ম সৃষ্টি করল। পুঁতে দিল বিভেদের বীজ।এরপর মানুষ মানুষের থেকে এভাবে আলাদা হয়ে গেল যে আজ এতযুগ পেরিয়ে এসেও, এই স্মার্ট ফোনের যুগেও মানুষ এক হতে পারেনি।বরং ধর্মের বিষগাছটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে মানুষের রক্ত মজ্জায় ঢুকে গেছে।মানুষ হয়ে পড়েছে ধর্মান্ধ।শিক্ষা মানুষের জ্ঞান চক্ষুর উন্মোচন ঘটায় কিন্তু ধর্মের অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে না।মানুষের জীবন, রাজনীতি, চিন্তাভাবনা সব কিছুর মধ্যেই ঢুকে পড়ে মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে সেই অতীতকালে কিছু চালাক মানুষের তৈরি ' ধর্ম '।

 ধর্ম আমাদের অন্য ধর্মের মানুষের থেকে আলাদা করে দেয়।ধর্ম সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে।আর সম্প্রদায় থেকেই আসে সাম্প্রদায়িকতা।অনেকে মুসলমান ধর্মের লোকজনকে বিশ্ব সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করেন।কিন্তু প্রকৃত সত্য হল সব ধর্মই সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ায়।প্রকট বা প্রচ্ছন্ন ভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেওয়াটাই ধর্মের উদ্দেশ্য। ধর্মের প্রধান কাজই নিজের আখের গুছানো আর অন্য ধর্মের নামে কুৎসা রটানো। পৃথিবীতে এমন কোনও ধর্ম নেই যেটা বলে অন্য ধর্মগুলোও ভাল আর মঙ্গলকর।বরং সব ধর্ম এই শিক্ষা দেয়, যে সেই ধর্মই একমাত্র ভাল আর সব ধর্মই ভয়ংকর খারাপ। এভাবে মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে যত লেলিয়ে দেওয়া যায় ততই জ্বলে ওঠে সাম্প্রদায়িকতার আগুন।ধর্ম ব্যবসায়ীরা মনের আনন্দে এই আগুন জ্বালিয়ে রাখে আর সাধারণ মানুষ পোকার মত আত্মাহুতি দেয় নিজের বাড়ি,পরিবার এমনকি জন্মভূমিও।

 আমাদেরকে বলতে হয় না আমরা আগুনে বিশ্বাস করি, বা জলে বিশ্বাস করি।আগুনে বিশ্বাস করে আগুনে হাত দিলেও হাত পোড়ে, আগুনে অবিশ্বাস করে হাত দিলেও হাত পুড়ে যায়।জলে ডুবে যাওয়ার সাথে জলকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের কোনও সম্পর্ক নেই।সুতরাং, যা কিছুর প্রকৃত অস্তিত্ব আছে তা আমাদের বিশ্বাস অবিশ্বাসের তোয়াক্কা করে না।যার অস্তিত্ব নেই তাকে আমাদের বিশ্বাসে ভর দিয়েই বেঁচে থাকতে হয়।আমরা যদি ভূত,প্রেত, জীন, পরি, হুর,ঈশ্বর এসবে বিশ্বাস না করি, তাহলে এদের কোনও অস্তিত্বই থাকে না আর।আর তাই আমরা 'ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না' বললেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা রে রে করে তেড়ে আসে।আমাদের অন্ধত্বই তাদের ব্যবসার প্রধান মূলধন। মানুষের মধ্যে যত বিদ্যা বুদ্ধি ও বিজ্ঞান চেতনার প্রসার ঘটে ততই অন্ধকার দূরে সরে যায়।অন্ধবিশ্বাস যত দূরে সরে যায়,প্রকৃত সত্য তত উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। প্রকৃত শিক্ষা আমাদেরকে অন্ধবিশ্বাস ত্যাগ করে যুক্তিবাদী হতে অনুপ্রেরণা দেয়।

ছিলো না সায় : বিকাশ দাস



কবিতা আগে কোনদিন পড়িনি।
কবিতার সরোবরে  নাইতে এলে নন্দিনী
পুরুষের চোখ কতোটা ডুবলে জানবে,  লজ্জার স্বচ্ছতায়
নারীর সম্মতি। দৃষ্টির সায়। বুঝিনি। 
তুমি বয়স ছুঁয়ে লিখেছো কবিতা     ভালোবেসে নারীর স্বচ্ছতা 
আঙুলের স্পর্শের দাগে অনেক মেয়েলি শব্দ হয়েছিলো ধর্ষিতা  
মেয়েদের বুক ভারি হলেই যে সবাই নারী, জানি জানতে সে কথা। 
লজ্জার লাবণ্যতা 
অন্তর্বাসের পিঠের সুতো আগলা না করে।

তবু আধুনিক সভ্যতা 
কাঁখের লাজুক নগ্নভাঁজ শরীরের যুবতী কারু কাজ
স্বচ্ছতার আকর্ষণে ভেতরের আকর্ষী চেখে দেখার প্রবণতা  
দূর থেকে দু’চোখে মাখলে ধিক্কারে বলেছে এতো অসভ্যতা!  

কিছুটা বাজলো ঠোঁটের শিসে 
কিছুটা জিভ  খোয়ালো  বিষে  
কতোটা লিপ্সা কোন দেখার দর্শন,  বলবে যৌনতার ধর্ষণ? 
ফুলের তোড়ায় জড়িয়ে সৌজন্যতার ভাণ  
সুবিধাবাদিরা, নারী  খুবলে চোষার আনচান 
আছে, থাকবে যতোদিন নারী পুরুষ অসমান। 

আদালত আইন পড়বে আইন মেনে 
কথার ব্যকারণ পোশাকে আশাকে টেনে 
কতোটা স্বচ্ছতার দায়,  দৃষ্টির স্নান জেনেছে মানবকোষ অভিধান? 

উচ্চতা : জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়




পাহাড় উঠেছে খাড়া কোন পরিচয়ে
কালোসাদা দুধজল মাখামাখি। 
প্রকল্প ছিল কি ? পরিকল্পনাময় প্রবীন প্রান্তর
পাথরের দ্বীপ তরলজমানো সুখ
বিক্ষোভবিভোর
জিনগত ব্যাপার ছিল না দ্বিপদের
মগজও ছিল না কূট তবে?
সঙ্ক্ষুব্ধ বাষ্পীয় উষ্ণতার বুড়োকাল
ত্রিভঙ্গমুরারি হয়ে আক্ষেপে ফোঁসে।

এই সবুজের ভিড়ে সোনালি ধানের শিষ নেই
আকাশমঞ্জরিরেণু পোড়াবাড়ির ছাই হয়ে ওড়ে
মরা ব্যাঙের মতো পড়ে আছে অন্ধকার
এ উচ্চতায় খুজে নাও
জোনাকির সিগন্যাল নীল ও হলুদ।

ঐতিহ‌্য রক্ষার লড়াই :প্রভাত মণ্ডল


একটা আস্ত তমসা ভরা রাত
বন্ধ‌্যা নারীর মাতৃত্বের হাহাকার সম
ঐতিহ‌্য রক্ষার লড়ায়ে বাঙালী আজ। 
থমকে আছে বিবেক এখন ধমক খাওয়ার ভয়ে
পাশার চালে, হাত পড়েছে বাংলা মায়ের গায়ে। 
করুক্ষেত্র উঠছে সেজে, তুমি থাকো নীরব
নেতাজী, ক্ষুদিরামের সোনার বাংলায়
এখন পাবে কাঠ-কয়লার শব। 
বাঙালী আজ জাগো শীতের ঘুম হতে
তাবেদীয়ানার বেড়া ভেঙে আসো সাজায় সোনার বাংলাকে। 
                      

ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ: অলোক মিত্র



রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে
ডেকে বলতো কবি হবি, 
আয় চলে আয়,আমার শান্তি নিকেতনে
লালমাটির মলাটে মোড়ানো কবিতার 
খাতায় শুরু হোক আজ থেকে 
তোর কবিতার ক্লাস।
আমি জীবনানন্দের শহর ছেড়ে
কখন যেন বোলপুর এসে কবিতার
ঈশ্বর পুত্রকে খুঁজি দু'নয়নে
বাতায়ন খুলে, লালমাটি ও 
তার বুক চিরে একটা মাংগলিক সূর্য
আমাকে অভিবাদন জানালো
অচেনা লতাগুল্মের স্নেহ পরশ কান্ডে।
আমি ভালোবাসার ব্যবচ্ছেদ করি
হরিতকী আর অর্জুন শাঁখে।
হয়ে যাক এক কাপ লিকারে গাঢ় রং চা, 
প্রত্যাদিষ্ট কবি বসে আছেন লালমাটি
খড়িমাটি রূপ রসের মাতাল সমীরণে।

"হারিয়ে যাওয়া নাটক পাড়া" : বটু কৃষ্ণ হালদার


আজ থেকে প্রায়
100 বছর আগে বিশ্ববাসীর বেশি সংখ্যক জনগণ কোন না কোন দেশের আওতায় পরাধীন ছিলেন।যতদিন যায় মানসিকতায়  আসে পরিবর্তন ।পরাধীনতার থেকে মুক্ত হতে চলতে থাকে মহাসংগ্রাম ,লড়াই ।অবশেষে দাসত্ব প্রথার অবলুপ্তি ঘটতে থাকে ।আধুনিক সভ্যতার বিকাশ ক্ষেত্র গড়ে ওঠে। এসময় 8 ঘণ্টা কাজ 8 ঘণ্টা বিনোদন 8 ঘন্টা বিশ্রামের জন্য শুরু হয় লড়াই। দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে প্রতিবাদী দের রক্তের বিনিময়ে আসে আটঘণ্টা কাজ ,আট ঘণ্টা বিনোদন, আধঘন্টা বিশ্রাম।এ কথা আজ আমরাসবাই ভুলে গেছি।8 ঘণ্টা বিনোদন এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান হল নাটক নাটক কি বর্তমান সমাজে তা বোধ হয় বিশেষ করে বলার অপেক্ষা রাখে না তবে  এই সুসভ্যতায়নাটকের বিশেষ গুরুত্ব আছে বলে বোধগম্য হয় না নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান এই অন্তনিহিত শব্দটির মধ্যে দিয়ে ভারতবর্ষকে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে বিশ্বের দরবারে।ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষজনদের ভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সেই অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব চরিত্র হলো নাটক। সাহিত্য রচনা একটি বিশেষ শ্রেণী হলো এই নাটক।প্রাচ্য ও নাট্যশাস্ত্র একই দৃশ্যকাব্য বলে অভিহিত রেছেন গ্রিক ভাষা থেকে আগত ড্রামা শব্দটির অর্থ হলো অ্যাকশন অথবা কিছু করে দেখানো ।বাংলা নাটক নাট্য নট-নটী প্রভৃতি শব্দ থেকে শব্দ উদ্ভূত হয়েছে নট ধাতু থেকে যার অর্থ নাড়াচাড়া করা নড়াচড়া করা অর্থাৎ নাটকের মধ্যে এক ধরনের গতিশীলতা রয়েছে যা একটি ত্রিমাত্রিক শিল্প কাঠামো গড়ে তোলে এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য যেবর্তমান সময়ে নাটক পরিবেশন এর জনপ্রিয় মাধ্যম টেলিভিশন হলেও মঞ্চস্থ নাটক এর প্রকৃত যথার্থ পরিবেশ স্থল প্রকৃতপক্ষে নাটকের মধ্যে একটি সমষ্টিগত শিল্প প্রয়াস সম্প্রদায়ভুক্ত থাকে ।এতে অভিনেতারা দর্শকদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উপনীত হয়ে গতিময় মানব জীবনের কোনো এক বা একাধিক বিশেষ ঘটনার প্রতিচ্ছবি অভিনয় মাধ্যমে উপস্থাপনা করেনসাধারণভাবে নাটক যে চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয় তা হল কাহিনী বা প্লট চরিত্র সংলাপ পরিপ্রেক্ষিত ।কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং সহায়ক বিভিন্নচরিত্রের সংলাপ কে আশ্রয় করে উপস্থাপিত হবার প্রয়াস পায় নাটকে।এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে নিত্য গীত আবহসংগীত শব্দ সংযোজন আলোরসজ্জা মঞ্চকৌশল প্রভৃতি।
দুরন্ত সময়, প্রতিযোগিতার পাল্লা ঊর্ধ্বমুখী, বিশ্ব আজ তালুবন্দি, সময় কি আজ মানুষ লাগাম দিতে পারেনি কর্মমুখী ব্যস্ত জীবনে মানুষ হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের জীবনের বৈচিত্র পিছনে ফিরে তাকানোর অবকাশ নেই আজ কারো। ফেলে আসা শৈশব আজ পিছন থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।বৈচিত্র্যময় জীবন কাহিনীতে মানুষ মিথ্যা নাটক করতে করতে ভুলে গেছে সত্যি নাটকের দিনগুলো। ভিন্ন সম্প্রদায়ে দেশ ভারত বর্ষ, বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিকউৎসব লেগে থাকে, বিশেষ করে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, গ্রাম বাংলার আত্মার আত্মীয়ও হল। এই উৎসবকে ঘিরে লেগে থাকত উদ্দাম উদ্দীপনা উত্তেজনা। দূর-দূরান্তের মানুষজন জড়ো হতে উৎসবকে কেন্দ্র করে আপন জন বন্ধু বান্ধব একে অপরের আত্মিকতায় ভরিয়ে তুলতে মেলা প্রাঙ্গণ। সেই মেলায় হত নাটক, যাত্রাপালা ,পুতুল নাচের গান আরো নানান সামাজিক অনুষ্ঠান। নাটকের মঞ্চ হল অভিনেতার প্রথম প্রতিফলন ।এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বহু নামীদামী শিল্পী যারা অভিনয় মঞ্চে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সাড়া বিশ্বে। একসময় কলকাতা ও নাটক নিয়ে থেমে থাকেনি এক সময়ে বহু নামিদামি শিল্পীদের আনাগোনা ছিল নাটক পাড়ায় বহু নামিদামি শিল্পীদের । জীবন অতিবাহিত করার প্রধান উৎস ছিল নাটক । বহু শিল্পী জীবনের মূল পন্থা হিসেবে।অনেক নামীদামী শিল্পী তার জীবন অতিবাহিত করেছে এই নাটকের মধ্য দিয়ে। নাটকের উন্মাদনা কে ঘিরে তৈরি হয় কলকাতার বুকে অনেক বড় বড় মঞ্চ। শিশির মঞ্চ ,তপন থিয়েটার হল,দাশুমতি ভবন ,নন্দন,উৎপল দত্ত মঞ্চ, আরো অনেক বড় বড় মঞ্চ। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আর সেই শিক্ষার প্রথম মঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেমনই অভিনয় জগতের প্রথম ধাপ হলো নাটক। গতিময় জীবনের বৈশিষ্ট্য আজ বড্ড ফ্যাকাশে গেছে। বই কে ঘিরে উন্মাদনা যেমন নেই বইপ্রেমী দের, আজ বই এর জন্যে বই মেলায় ভিড় লাগেনা। তেমনই বর্তমানে নাটক নিয়ে উন্মাদনা আর নেই নাটক পাড়ায়। আমরাই আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতি গুলোকে হারিয়ে ফেলেছি জীবনের অঙ্ক থেকে।মানব জীবন আটকে গেছে হাতের তালুর মধ্যে। বাস্তব জীবন ছেড়ে কৃত্তিম জিবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এর থেকে মুক্তির উপায় নিজেদের বের করতে হবে। এর জন্যে স্মার্ট ফোন। চারিদিকে তাকিয়ে দেখল মনে হবে আদিম মানুষ দের ভিড়। সবাই ঝুঁকে কি যেনো খুঁজছে স্মার্ট ফোনের ভিতর। তাহলে বুঝবো পৃথিবীর আদিম মানব জীবনে ফিরে যেতে হয় তো কি আর বেশি দূরে নয় ?