নোটিশ বোর্ড

" নিকোটিন 2.0 এর নতুন প্রজেক্ট "ক থা হো ক" এর জন্য শীঘ্রই আপনার সেরা লেখাটি এক্ষুনি mail করুন nicotinemagz@gmail.com এ প্রতিদিন সকালবেলা প্রকাশিত হবে

চাইছি এখন; চাইছি না কবি: মনদীপ ঘরাই



খুব বেশি তো চাই নি আমি!
সকাল সকাল ধোঁয়া ওঠা উষ্ণ তোমার একটা ফোন...
রিসিভারের ও প্রান্ত থেকে দরদ নিয়ে
জানতে চাইবে: তুমি ভালো আছ তো?
আমি ইথারে ভাসিয়ে দেব উত্তর:
ভালো আছি। ভালো আছি।

খুব বেশি কি চেয়েছি আমি?
আনমনা দুপুরে ক্ষুদেবার্তার ভেলায় আসবে ভেসে:
এখনও খাও নি কেন? চুপ করে খেয়ে নাও।
আমি ক্ষুধার্ত বাঘের মতো খেয়ে নেব
দুপুরের রোদ, যানজট আর অপেক্ষার সব মেঘ।
তারপর তৃপ্তি করে বলবো:
তুমি না থাকলে কী যে হতো আমার!

এর বেশি তো চাই নি আমি!
ক্লান্ত সন্ধ্যায় মেসেঞ্জারের উত্তাল জগতে টুং করে শব্দ হবে দুবার। তুমি লিখে পাঠাবে:
ভালোবাসি। ভালো থেকো।
আমি তোমার জন্য ভাল থাকবো পুরোটা সন্ধ্যে-রাত।

রাত। ও হ্যাঁ, রাত।এখন অনেক রাত।
যোগাযোগের মাধ্যমগুলো নীরবতার ক্যাপসুল খেয়ে ঘুমাচ্ছে রাতের পর রাত।
ওরা জানেও না, এ কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গাতে তোমার লাগে মুহূর্তখানেক সময়!

অথচ তুমিও ঘুমাচ্ছ ওদের মতোই। নীরবে। আদরে।

আমার পাঠানো বার্তাও হয়তো পৌঁছায় না তোমার করতলে।
ইস! যদি পৌঁছাতো আমার বলা-না বলা সব কথা।
এখন আমি....
এর বেশি চাইতে ভুলে গেছি।

#ধার্মিক..... কৃষ্ণ বর্মন .....



আমি অক্ষরে অক্ষরে ধর্ম মেনে চলি।
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক।
ধর্ম বলতে তোমরা যা জানো আমিও তা জানি
কিন্তু আমি তোমাদের মত করে বুঝি না।
তোমাদের বোঝাটাকে যদি জোর করে
আমার উপর বোঝার মত চাপিয়ে দাও
তখন আমি তো কথা বলবই।

ভোর চারটের আজান কিংবা চৌ রাস্তার মোড়ের
জয় শ্রীরাম ধ্বনি আমাকে বিভ্রান্ত করে না।
ছোটো বেলায় দেখেছি ভোর চারটের আজান শুনে
আমার ঠাকুমা ঘুম থেকে উঠে
দুই মাইল পথ পায়ে হেঁটে গঙ্গা থেকে জল এনে
সকালের প্রথম সূর্য কিরনে ধুঁইয়ে দিত
আমাদের বাড়ীর দু'শো বছরের পুরানো তুলসী চাতাল।
একটু বড় হলে সন্ধ্যার জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে
মনসুর আলির ছেলে রহমতও আমার সাথে মন্দিরে ছুটে গেছে
সোনামুগের প্রসাদী লাড্ডুর আশায়।
সেদিন আমার মন মস্তিষ্কে কোনো বিভ্রাট ঘটেনি
আজও ঘটে না।

তোমরা যদি জোর করে আমার ধর্মকে মন্দির মসজিদ
কিংবা গীর্জায় আটকে রাখার চেষ্টা কর
তখন আমি তো চুপ থাকব না।
আমার ধর্মে আঘাত লাগলে
কিংবা বিচ্যূতি ঘটিয়ে আমাকে ধর্মান্তরিত করতে চাইলে
আমি তৎক্ষনাৎ চীৎকার করে বলব
আমি একজন গোঁড়া ধার্মিক,
তোমার ধর্ম আমার ধর্ম নয়।

যেদিন তোমার ধর্ম আমার বাড়ির ফ্রিজে নজরদারি চালাবে না
যেদিন তোমার ধর্ম জেহাদের নামে
আমার বাড়ির কিশোর কিশোরীর মস্তিষ্ক অপহরন করবে না
কিংবা রক্ত ঝরাবে না রথযাত্রা ইস্টারে অথবা জুম্মাবারে
সেদিন জানবে তোমাদের সকলের ধর্মই আমার ধর্ম।

মায়া,,,, রহমান জিল্লুর


.

দ্বিধাগ্রস্ত -
হৃদয়ে যারা পাড়ি দিতে চায় প্রণয় সমুদ্র। আমি
চিরকালই অস্বীকার করি তাদের। কভু -
যারা অন্ধ বিশ্বাসে -

                                                          প্রেয়সীর
                           ঠোঁট শুষে পান করেনি অমৃত
        শবার। আমি চিরকালই তাদের ঘেন্না করি।

তথাপিও নিজের প্রতিও আছে কিছু অভিযোগ।

আমি কেবল, প্রত্যাখ্যাত প্রেমিকের মত এসেছি
ফিরে, ঘর পালানো জ্যোছনা রাতে
নিবৃত্ত অভিমানে।

স্তব্ধ নয়নে নিদ্রার গভীরে স্পষ্ট দেখেছি
নিজেকে খুলে   -

                                                 রোজ বিকেলে

                                     "একটি কিশোর ছেলে
        চুপি চুপি সাগরের কূলে দাঁড়াতো একাকী
তন্ময় চোখে তার রাশি রাশি বিস্ময় নিয়ে " -

                                                         জেনেছি
                             জীবন যাত্রা যদিও দীর্ঘ নয়
            তবুও বিদায়ের অধিক দুঃখ বুকে নিয়ে
পৃথিবীর দিকে'ই চেয়ে থাকে শব মানুষের হৃদয়।

বেওয়ারিশ গনতন্ত্র,,, প্রভাত মণ্ডল


একটার পর একটা লাশ পড়ছে
বেওয়ারিশ গনতন্ত্রের।

কোনো শিল্পীর তুলির নৈপুণ‌্যতায়
রক্তাভ বাংলার ক‌্যানভাস।

নির্বাক বায়োস্কোপের দশর্কাসনে
আমি তুমি উপভোগ করছি,

দেখেছি পচন ধরা গনতন্ত্রের বেওয়ারিশ লাশ।



#রূপনামা_রূপকার#.....উচ্চিঙ্গে



কথারা রূপ হয়ে যায় তোমার মাদকতায়।
নারায়ণে রূপ দিয়ে বসে থাকি মুক্ত প্রকৃতিতে
আমাকে ক্ষমা করেনি সে ও...
ধোয়া হয়নি চক্রপুরের মণিপুরী ধাম
হাত থেকে লাল নিয়ে শুধু টিপ এঁকেছি

যেখানে যায় না কেউ- যেখানে যায়নি কেউ
সেখানে সুর বেঁধেছি - সে সুর কীর্তন হয়নি আজও
জাগতিক রূপে যখন এসে দাঁড়াও মণিপুরে
 - ব্রহ্মনাদ শুনি...
কখন অচেতন হয়ে যাই খোঁজ রাখে কেবল মায়া
যে প্রেম লিখি রোজ - সেখানেই তুমি আসো
 সদাবিরাজমান।

ভুলে যায় রূপনগর
ভুঁয়ো আলোরন ভুলে যাই নিছক নাটুকে কথকতা।
সব মায়া।
ছায়া হয়ে ওঠে পাপকুন্ড
ক্ষমা নেই এ রূপকথায়-
কেবল  রূপোলী রূপময়তায় হাসে বৈরাগ্য রূপকার।।


বহিস্কৃত প্রেমিক এস.এম বিল্লাল

বহিস্কৃত প্রেমিক
                        এস.এম বিল্লাল

তোমার সুউচ্চ পাহাড়ের মত
অঢেল সম্পদ কোন একদিন,
তৃষ্ণার্ত ভুভুক্ষের দল
গনতন্ত্রের বুলি আওড়াতে
আওড়াতে ছিঁড়ে খুবলে খাবে।

আমরা গুটিকয়েক প্রেমিক
হাইকোর্টে মদনলেখায় স্মারক লিপি
জমা দিবো, পশ্চিমপাড়ায় মানববন্ধন
করে, সকালের সমুদ্রে পূন্যস্মান সেরে
 মাজার জিয়ারত করবো।

ওরা সমস্ত অপরাধ জমা দিবে
কোন রাজনৈতিক মিছিলে।
নিজের সাথে যুক্ত করবে
সরকারি নেতার পরিচয়।

অথচ আমরা সংস্কারপন্থী ছিলাম না
শুধু মাত্র নৈতিকতা ধারণ করার
অপরাধ ছিলো। রাস্তায়, পার্কে বা
ঘুটঘুটে সন্ধ্যায় জড়িয়ে ধরিনি তোমায়।
কিছুটা অভাব ছিলো বটে
তাই ভাড়া হয়নি লিটনের ফ্লাট।
এ অপরাধ কম কিসে?

সময়ের লেনাদেনায় অমিল ছিলো বেশ
নিজের দলে নিগৃহীত আজ
পরিচয়ে তাই যুক্ত হয়েছে
বহিস্কৃত প্রেমিকের সাঁঝ